প্রবন্ধ

নববর্ষের অঙ্গীকার

দেখতে দেখতে একটা গোটা বছর আমরা কাটিয়ে ফেললাম৷ বিদায় নিচ্ছে ১৪২৩৷ অন্যদিকে নোতুনের গান গেয়ে এসে গেছে ১৪২৪৷ আপামর বাঙ্গালীর কাছে ১লা বৈশাখ দিনটি একটি বিশেষ মাত্রা নিয়ে আসে৷ যদিও পরিতাপের বিষয় যে ইংরেজী নববর্ষকে নিয়ে বিশ্ববাসীর যে উন্মাদনা দেখা যায় তাঁর বিন্দুমাত্র বাংলা নববর্ষের কপালে জোটে না৷ জুটবেই বা কেন এ যে নেহাৎ ‘গেঁয়ো যোগী ভিখ পান না’র মত দশা৷ আমরা বাঙালীরা যতটা ধুমধামে ইংরেজী নববর্ষ উদযাপন করি বাংলা নববর্ষের বেলায় ততটা অবহেলা করি৷ বাঙালী আত্মবিস্মৃত জাতি হিসেবে নিজেকে দেখতে ও দেখাতে খুশি হয়৷ কিছুদিন হল আমরা ২১শে ফেব্রুয়ারীর স্মরণে নানা উৎসব অনুষ্ঠান করলাম৷ ‘বাংলা আমার প্রাণের ভাষা’ বল

সমবায়ের গুরুত্ব ও সাফল্যের সম্ভাবনা সম্বন্ধে প্রাউটের বক্তব্য

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

ব্যষ্টিস্বাতন্ত্র্যবাদ ভিত্তিক অর্থনীতি (পুঁজিবাদ) শোষণ–ব্যবস্থার নামান্তর৷ মার্কসবাদী রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কৃষি ও শিল্প–উদ্যোগ বা কমিউন ব্যবস্থায় ব্যষ্টিস্বাধীনতার কোনো মূল্য নেই, এসব ক্ষেত্রে পরিচালক ও শ্রমিকের সম্পর্ক প্রভু–ভৃত্যের সম্পর্কের মত৷ উৎপাদনে শ্রমিকের কোনো উৎসাহ থাকে না, মমত্ববোধও থাকে না৷ তাতে উৎপাদন চরমভাবে ব্যাহত হয়৷ প্রকৃতপক্ষে এও এক শোষণ–ব্যবস্থা৷ তাই এই ব্যবস্থাকে প্রকৃত জনকল্যাণমূলক বলা চলে না, আর এ ব্যবস্থা বেশি দিন টিঁকেও থাকে না৷ 

মানব কল্যাণে মাইক্রোবাইটামের ভূমিকা

শ্রী সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

কার্য অনুযায়ী মাইক্রোবাইটাম  তিন প্রকারের হয় এরা হল---(১) মিত্র মাইক্রোবাইটাম (ফ্রেণ্ড মাইক্রোবাইম), (২) অরাতি মাইক্রোবাইটাম (এনিমি মাইক্রোবাইটাম) ও (৩) নিরপেক্ষ মাইক্রোবাইটাম (নিউট্রাল মাইক্রোবাইটাম) ৷
মিত্র মাইক্রোবাইটামেরা স্বভাব অনুযায়ী মানুষের সঙ্গে মিত্র সুলভ কার্য করে এরা মনুষ্য সমাজকে শুভের পথে চালিত করে ও হিতের ভাবনা মনের মধ্যে যুগিয়ে যায়৷ 

নিছক উৎসব নয়---বাঙলার নববর্ষের দিন হোক বাঙলার মর্যাদা রক্ষার শপথের দিন

স্নেহময় দত্ত

ঋতুচক্রের পরিক্রমণ ও বর্ষ পরিক্রমার নিয়মানুযায়ী বাঙলার ১৪২৩ সনকে পিছনে ফেলে আর মাত্র কয়েকটা দিন পরেই আসবে ১৪২৪ সন ১লা বৈশাখ, বাঙলার নববর্ষারম্ভ---বাঙলার নববর্ষের দিন বসন্তের তথা চৈতের শেষ লগ্ণ থেকেই শুরু হয় বর্ষবরণের দিন গোনা মন-প্

বাঙালীজাতির মহাশত্রু সিপিএম

হরিগোপাল দেবনাথ

বিগত ১৯৬২ সালে চীন অতর্কিতে ভারত আক্রমণ করে বসে৷ তখনকার প্রধানমন্ত্রী নেহেরুজীর সঙ্গে চীনা প্রধানমন্ত্রীর বন্ধুত্বপূর্ণ ঘনিষ্ঠতা জমে উঠেছিলো বলে শ্লোগান উঠেছিল হিন্দী-চীনা ভাই-ভাই, আর এর পর মূহূর্তেই চীন ভারতকে আক্রমণ করে বসে৷ কম্যুনিষ্ট রাষ্ট্র চীন যে আগ্রাসী নীতিতে বিশ্বাসী ও চরম সাম্রাজ্যবাদী, এর প্রমাণ আগেও রেখেছিল তিববত দখলে রেখে ও পাকিস্তানের যোগ-সাজসে সিয়াচীনকে কব্জা করে৷ যা হোক এর পর ভারতের কম্যুনিষ্ট বা সমাজবাদী (তথাক

রাজবংশী, কামতাপুরী কি আলাদা ভাষা

সুকুমার সরকার

একদিকে সরকার বলছেন, বাঙলাকে ভাগ হতে দেব না অন্যদিকে বাংলা ভাষার বিভিন্ন উপভাষাকে স্বীকৃতি দিচ্ছেন৷ এই দুটি ঘটনার মধ্যে যে বিরাট ফাঁক রয়ে গেছে সেই ছিদ্র পথেই একদিন ধবংস হবে বাঙলা ও বাঙালীর জাতি সত্তা

উদ্বাস্তু সমস্যা সমাধানে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ করে কেন্দ্রীয় সরকার গণতন্ত্র রক্ষার প্রতিশ্রুতি পালন করুন

প্রভাত খাঁ

অসমে বাঙালীদের ওপরে বিশেষ করে পূর্ব পাকিস্তান, পূর্ব বাঙলা থেকে যে সব হিন্দু উদ্বাস্তু হয়ে কয়েক দশক পূর্বে অসমে এসেছেন তাঁদের ওপর সংকীর্ণ রাজনৈতিক কারণে অসমে এমনকি পূর্ব ভারতের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যগুলিতে একনাগাড়ে ভয়ঙ্কর অত্যাচার ও নির্যাতন চালানো হচ্ছে৷ গত কংগ্রেসী আমলে স্থানীয় সরকারগুলি যেভাবে অত্যাচার করত আজও সেইভাবে অত্যাচার

স্বাধীনতার ৭০ বছর পর ভারতে বাঙালীরা বিদেশী কেন

কেশব মজুমদার

বাঙলা ও বাঙালীরা ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের তৎকালীন নেতৃবৃন্দের তথা নেহেরু-প্যাটেল দুষ্টচক্রের বিশ্বাসঘাতকতার বলি৷ শুধু বাঙলা নয়, এই বিশ্বাসঘাতকদের কারসাজিতে বলি প্রদত্ত হয়েছে পঞ্জাব, সিন্ধু, উত্তরপূর্ব সীমান্ত প্রদেশ ও বালুচিস্তান৷ এই সীমান্তপ্রদেশ ও বেলুচিস্তান মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল হওয়ায় সেখানকার কংগ্রেসীরা কোনমতে এই বেইমানিকে সামাল দিতে পেরেছেন৷ অঘোষিত লোক বিনিময়ের ফলে পাঞ্জাবীদের পূর্ব পঞ্জাব ও দিল্লীতে পুনর্বাসনে ও রাষ্ট্রীয় মূলধারায় মিশে যেতে তেমন বেগ পেতে হয়নি৷ কিন্তু শেষ হয়ে গেছেন সিন্ধ্রির অধিবাসীরা তাদের রাজ্য বা প্রদেশ বলে আজ আর কিছুই নেই যারা এপারে এসেছেন, (শতকরা প্রায় ৯৮ জনই চ

আনন্দমূর্ত্তিজীর চিন্তার আলোক

শ্রীমদ্ভগবদগীতায় শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন–
‘‘যদা যদা হি ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি ভারত৷
অভ্যুত্থানমধর্মস্য তদাত্মানং সৃজাম্যহম৷৷
পরিত্রাণায় সাধূনাং বিনাশায় চ দুষ্কৃতাম্৷
ধর্মসংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে৷৷
অর্থাৎ যখন সংসারে ধর্মের অবনতি হয় ও অধর্মের প্রাদুর্ভাব ঘটে তখনই আমি নিজেকে সৃষ্টি করি৷ সাধু ব্যক্তিগণের পরিত্রাণের জন্যে ও দুষ্ক্র্মকারীগণকে বিনাশ করার জন্যে আমি যুগে যুগে অবতীর্ণ হই৷

আন্তর্জাতিক নারী দিবস ও সমাজ

বিশ্ববিধাতার মানস কল্পনা সঞ্জাত এই বিশ্ব সৃষ্টির সংরচনায় সৃষ্টিচক্রের ঘূর্ণনকে সচল ও সুসমঞ্জস রাখার জন্যে সৃষ্টি হয়েছে নারী ও পুরুষ৷ আর পরমপিতার সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান মানুষের ক্ষেত্রেও এই নিয়মের ব্যতিক্রম হয়নি৷ নারী ও পুরুষ যেন একটি কাগজের এপিঠ-ওপিঠ৷ দুইয়ের মধ্যে এক অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক বর্তমান৷ একপক্ষকে বাদ দিলে অপরপক্ষের অস্তিত্ব সংকট দেখা দেয়৷ মানুষ্য সৃষ্টির প্রথম ভাগে মানুষ যখন অরণ্যচারী ও পর্বত গুহাবাসীর জীবন যাপন করত, সে সময় মানুষের সমাজে কোনও বন্ধন ছিল না--- তাদের জীবনযাত্রা ছিল অনেকটাই বন্য প্রাণী সুলভ, ছন্নছাড়া৷ পরবর্তীকালে যখন মানুষ একটু সঙ্ঘবদ্ধ হতে শিখল ও এক-একটা পাহাড় বা গোত্রকে কে