স্বাস্থ্য বিজ্ঞান

শীতের রোগ থেকে বাঁচতে কী কী করবেন

বিশেষ প্রতিনিধি

শীতকালে বাড়ীর তৈরী হালকা রান্না খাবার শরীরের পক্ষে ভাল৷ শরীরের জন্যে যতটা প্রয়োজন ঠিক ততটা খান৷ অল্প অল্প করে বারে বারে খিদে পেলে খান৷ নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খান৷ দুপুরের খাবার বিকেলে, বিকেলের খাবার সন্ধ্যায় বা রাতের খাবার অধিক রাতে খেলে হজমের সমস্যা দেখা দেবে৷ শীতে বিভিন্ন ফাস্ট ফুড তেল মশলা জাতীয় খাবার ও ফ্যাটিফুড জাতীয় খাবার যত কম খাওয়া যায় বা না খাওয়া যায় ততই ভাল৷ এতে শরীর সুস্থ থাকবে৷ বিভিন্ন মশলা জাতীয় খাবার রোগব্যাধী সৃষ্টি করে৷ একটা কথা মনে রাখতে হবে পেটের শত্রু হ’ল জিভ৷ মানুষ সাধারণত শরীরের জন্যে ভেবেচিন্তে খাবার খায় না৷ জিভের স্বাদের জন্য খায়৷ ফলে হজমের নানা সমস্যায় ভোগে৷

খেজুর / খেজুরের তাজা রস/ খেজুর গুড়

তালীবর্গের অন্যতম গাছ হচ্ছে খেজুর৷ সংস্কৃত ‘খর্জুর’ শব্দ থেকে ৰাংলায় তদ্ভব ‘খাজুর’ বা ‘খেজুর’ এসেছে৷ খেজুর গাছের সঙ্গে ভারত ও মধ্য এশিয়ার লোকেরা দীর্ঘকাল ধরেই পরিচিত৷ ভারতীয় বা ইন্ডিকা বর্গীয় খেজুরের মোটামুটি চারটি শাখা আছে–১) গাঙ্গেয় (গ্যাঞ্জেলাইটিস), ২) রাজস্থানী, ৩) গুজরাতী, ৪) দক্ষিণী (ডেকানাইটিস)৷ এদের মধ্যে স্বাদে–গুণে গুজরাতী খেজুর সর্বোৎকৃষ্ট৷ রাজস্থানী খেজুরও উন্নত মানের৷ দক্ষিণী খেজুর সাধারণ মানের৷ আর গাঙ্গেয় খেজুরের শাঁস বলতে কিছুই নেই৷ কিন্তু এই গ্যাঞ্জেলাইটিস্ প্রজাতির খেজুরের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে গাছগুলো একেবারে রসে টইটম্বুর৷ এই গাছগুলি থেকে প্রচুর পরিমাণে রস ও তাড়ি (শুদ্ধ বৈয়াকরণি

জ্বর ও জণ্ডিসের উপকারী আনারস

বিশেষ প্রতিনিধি

আনারস বিশ্বের অন্যতম সেরা ফল৷ পৃথিবীতে প্রায় ৯৫টি প্রজাতির আনারস চাষ হয়৷ পশ্চিমবাঙলার উত্তর দিনাজপুর ও দার্জিলিং জেলার সংলগ্ণ এলাকাতে এর বহুল চাষ করতে দেখা যায়৷ অসম, ত্রিপুরাতে আনারস চাষ একটি অর্থকরি ফসল৷ আনারসের পুষ্টিগুণ অতুলনীয়৷ এতে ভিটামিন এ, বি, সি, ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য পুষ্টির উপাদান রয়েছে৷ ১০০ গ্রাম আনারসে ০.৬ ভাগ প্রোটিন, শ্বেতসার ৬.২ গ্রাম, ০.১ ভাগ সহজপাচ্য ফ্যাট, ০.৫ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ১২.০ গ্রাম শর্করা, ০.১১ গ্রাম ভিটামিন বি–১,০.০৪মি. গ্রাম ভিটামিন–২, ভিটামিন সি ২১ মি.গ্রা., ক্যালসিয়াম ১৮ মিলিগ্রা.

বাঁশপাতাও তার ঔষধীয় গুণ

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ তৃণ বর্গের সবচেয়ে বৃহৎ প্রজাতি হচ্ছে বাঁশ৷ জাওল বাঁশ, মুঠি বাঁশ, মূলী বাঁশ, তলতা বাঁশ, পলকা বাঁশ–এরা সবাই অতি দীর্ঘকায় তৃণ ছাড়া আর কিছুই নয়৷ সেই সকল বৃহৎ তৃণকে বাঁশ বলি যাদের ফুল–বীজ হোক না হোক, পাশ থেকে কোঁড় বের হয়, ঝুড়ি তৈরী হয় ও অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভেতরটা থাকে ফাঁপা৷ সাধারণতঃ যে সকল বাঁশ বেশী দীর্ঘকায় হয় তারা বেশী ফাঁপা৷ যে সকল বাঁশেরা ছোট (এই ধরনের বাঁশ থেকেই লাঠি তৈরী হয়) তারা আকারে অতি ৰৃহৎ হয় না–ওজনে হয় ভারী৷ গাছগুলিও লোহার মত শক্ত৷

উচ্ছে

পরিচিতি ও প্রজাতি ঃ উৎস  কন্  টা ঞ্চ উৎসিকা৷ যে তরকারীটি খেলে শরীরের বিভিন্ন উৎস থেকে লালা উৎসারিত হয়ে খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে তাই–ই উৎসিকা৷ উৎসিকাঞ্ছউচ্ছিআঞ্ছউচ্৷ সে জন্যে উচ্ছে প্রথম পাতে খেতে হয়৷ আদিম অবস্থায় বা বন্য অবস্থায় উচ্ছে ৰাংলার পথে–ঘাটে এখনও জন্মায়৷ এই বুনো উচ্ছেগুলি আকারে খুব ছোট, অতিমাত্রায় তিক্ত ও ঔষধীয় গুণ এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী৷ দ্বিতীয় ধরনের উচ্ছে হ’ল চাষের উচ্ছে৷ বুনো উচ্ছেকে চর্চার দ্বারা উন্নীত করে চাষের উচ্ছের সৃষ্টি হয়েছিল৷ এই উচ্ছে আকারে কিছুটা বড়৷ তিক্ততা বুনো উচ্ছের চেয়ে কিছুটা কম৷ উত্তর ভারতে এই চাষের উচ্ছেকে বলা হয় ‘করেলী’৷ এই চাষের উচ্ছেকে চর্চার দ্বারা আবার

শিশুদের সর্দি–কাশিতে আক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচাতে অভিভাবকদের করণীয়

ডাঃ আলমগীর

সর্দি–কাশি কেন হয়? সর্দি–কাশি কেন হয় তা জানতে হলে প্রথমেই কয়েকটি বিষয় জানা প্রয়োজন৷ বিশেষ করে বংশগত ধারা, অ্যালার্জি ও ঋতু পরিবর্ত্তন উল্লেখযোগ্য কারণ৷

কর্কট রোগ (ক্যান্সার)

লক্ষণ ঃ আক্রান্ত স্থানে কাটা–ছেঁড়ার মত যন্ত্রণা, অতিরিক্ত অসহিষ্ণুতা বোধ, স্পর্শকাতরতা, দুর্বলতা, বমনেচ্ছা প্রভৃতি এই ব্যাধির প্রধান লক্ষণ৷ রোগটির প্রথম অবস্থায় রোগী বিশেষ কোন যন্ত্রণা অনুভব করে না, তাই প্রথমের দিকে রোগটি প্রায়শই উপেক্ষিত হয়৷

মানসিক রোগ

মনের রোগের ফলস্বরূপ যে সব শারীরিক ব্যাধির সৃষ্টি হয়, বিশেষ করে কয়েকটি বিশেষ ধরনের রোগ, তারা হ’ল কর্কট রোগ (cancer), অজীর্ণ, গেঁটে বাত৷ মনের রোগের ফলে উৎপন্ন রোগের সংখ্যা খুব বেশী না হলেও খুব কমও নয়৷ আমরা অনেক সময় দেখে থাকি, খিট্খিটে মেজাজের মানুষেরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বদহজমে ভুগে থাকেন৷ ঙ্মআজকাল অবশ্য মনের রোগ তথা উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা, দুর্ভাবনার শিকার হয়ে অনেকেই হূদরোগ, রক্তচাপ রোগ, ডায়াবিটিস ইত্যাদি রোগের কবলে পড়ছেন৷ এটাই হ’ল আজকের সভ্যতার অন্ধকারময় দিকৰ৷
হিস্টিরিয়া ও মৃগীরোগ ঃ

কয়েকটি গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ ও পাতার ব্যবহার

গাঁদাল পাতা ঃ

পরিচয় ঃ গাঁদাল পাতার সংস্কৃত নাম খরগন্ধা/খরগন্ধিকা/খরগন্ধনিভা৷ তিনটে শব্দেরই অর্থ গাঁদাল পাতা৷ খর মানে ....... পায়খানার দুর্গন্ধ৷ যে পাতায় কতকটা ওই ধরণের গন্ধ রয়েছে তা খরগন্ধা৷ গাঁদাল পাতার অন্য সংস্কৃত নাম হচ্ছে–কৃষ্ণপল্লবি/কৃষ্ণপল্লবী/কৃষ্ণপল্লবিনী৷ ঙ্মলৌকিক সংস্কৃতে ৰলা হয় গন্ধভাদালী ৰ৷ গাঁদাল একটি লতানে উদ্ভিদ৷

অর্জুনের ছাল দন্ত ও মাড়ির বিভিন্ন প্রকার রোগের মহৌষধ

ছোটবেলা থেকেই দাঁত দুর্বল থাকলে, আর কিশোর–যুবা বয়সে দাঁতের যত্ন না নিলে, দাঁতের এনামেল ও দাঁতের ভেতরের অংশ ক্ষয়ে গিয়ে পরবর্ত্তীকালে গর্তের ন্তুত্র্লন্ব্ধম্ভগ্গ সৃষ্টি হয়৷ সেখানে খাদ্য–কণা জমে রোগ ৰীজাণুর জন্ম হয় ও তীব্র প্রদাহ–যন্ত্রণার সৃষ্টি করে৷ বয়স্কদের ক্ষেত্রে তখন দাঁতের ডাক্তারের কাছে দৌড়নো ছাড়া কোন উপায় থাকে না৷ টুথৰ্রাশের ব্যবহার ঠিকমত না জানার কারণে অর্থাৎ জোরে জোরে ৰ্রাশের ব্যবহার করলে দাঁতের এনামেল দ্রুত উঠে যেতে বাধ্য৷ কোন বহুল বিজ্ঞাপিত টুথপেস্টের ব্যবহারেও তা আটকানো যাবে না৷ পেয়ারা পাতার ঘন ক্কাথ তৈরী করে তা দিয়ে নিয়মিত ভাবে মুখ ধুলে বা দাঁত মাজলে দাঁতের রোগে ভাল ফল পাওয়া যায়