স্বাস্থ্য বিজ্ঞান

ৰাহ্মী শাক

ৰাহ্মী ও তারই প্রজাতিবিশেষ থানকুনি ও থুন্কুড়ি (ভোজপুরীতে পাতাল নিম) প্রভৃতি শাকেরা স্নায়ুরোগের পুষ্টি বিধায়ক, স্মরণশক্তি ক্ষর্দ্ধক ও শুক্ররোগের ঔষধ৷ ৰাহ্মী ও থানকুনি উভয়েরই পাতা ঔষধ হিসেবে ব্যবহূত হয়৷ স্নায়ুদৌর্বল্য রোগেও এটা উত্তম ঔষধ৷ সকল প্রকারের স্নায়বিক রোগ ও মানসিক ভারসাম্যহীনতা রোগে এর ব্যবহার আছে৷ ৰাহ্মীঘৃত (অথবা ৰাহ্মী সিরাপ) পরীক্ষার্থীদের বিশেষ সহায়ক৷ ৰাহ্মী ও থানকুনি উভয়েই লতানে উদ্ভিদ৷

ভক্ষ্য–অভক্ষ্য

রসোন (রসুন)–Allium sativum
তোমরা রসুনের নাম শুনেছ নিশ্চয়৷ শব্দটি রসুন নয়–রসোন৷ রস  উন  ঞ্চ রসোন৷ তিক্ত, কটু, কষায়, লবণ, অম্ল, মধুর–এই ছয় রকমের খাদ্য রস আছে৷ রসোন তামসিক খাদ্য হলেও তাতে ছ’টি রসের মধ্যে পাঁচটি রস রয়েছে–নেই কেবল অম্ল রস৷ তাই অম্লরসের সঙ্গে রসোন মিশ্রিত হলে তাতে একাধারে ছ’টা রসই এসে যায় উন মানে কম, যাতে একটা রস কম তা রসোন৷ উত্তর ভারতে রসোনকে ‘লহসূন’ বলা হয়৷

যক্ষ্মা রোগ (টি.বি.)

প্রভাত রঞ্জন সরকার

লক্ষণ ঃ সকালে সন্ধ্যায় গলা ঘর ঘড় করা, স্বরভঙ্গ, শুকনো কাশি অথবা শ্লেষ্মায় লাল রক্তের ছিট থাকা বা রক্ত বমন হওয়া, সন্ধ্যার দিক থেকে ঘুসঘুসে জ্বর হওয়া, বুকে পিঠে বেদনা, দুর্বলতা বোধ ও নৈশ ঘর্ম, বিশেষ করে মাথা ঘেমে যাওয়া–এইগুলি যক্ষ্মার প্রধান লক্ষণ৷ 

পক্ষাঘাত (প্যারালিসিস)

মানুষের দেহরূপী যন্ত্রের আপাতঃ নিয়ন্তা তার মস্তিষ্ক৷ সংজ্ঞা ও আজ্ঞা নাড়ীর সাহায্যে মস্তিষ্কই বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ থেকে ভাব গ্রহণ ও সঞ্চালন করে’ থাকে৷ এই মস্তিষ্করূপী স্নায়ুকেন্দ্র আবার দক্ষিণ ও বাম ভেদে মোটামুটি দু’টি অংশে বিভক্ত৷ দক্ষিণ মস্তিষ্কস্থ স্নায়ুপুঞ্জ দেহের বাম অংশ বা বাম পক্ষকে নিয়ন্ত্রণ করে ও বাম মস্তিষ্ক স্নায়ুপুঞ্জ দেহের দক্ষিণ অংশ বা দক্ষিণ পক্ষকে নিয়ন্ত্রণ করে৷ রক্তের চাপে বা অন্য কোন কারণে মস্তিষ্কের কোন একটি অংশের স্নায়ুপুঞ্জ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে’ পড়লে সেই অংশ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত দেহাংশ বা পক্ষ নিষ্ক্রিয় হয়ে’ পড়ে৷ দেহাংশবিশেষের এই যে নিষ্ক্রিয়তা একেই বলা হয় পক্ষাঘাত বা পক্ষবধ র

উচ্ছে

পরিচিতি ও প্রজাতি ঃ উৎস কন্ টা ঞ্চ উৎসিকা৷ যে তরকারীটি খেলে শরীরের বিভিন্ন উৎস থেকে লালা উৎসারিত হয়ে খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে তাই–ই উৎসিকা৷ উৎসিকাঞ্ছউচ্ছিআঞ্ছউচ্৷ সে জন্যে উচ্ছে প্রথম পাতে খেতে হয়৷ আদিম অবস্থায় বা বন্য অবস্থায় উচ্ছে ক্ষাংলার পথে–ঘাটে এখনও জন্মায়৷ এই বুনো উচ্ছেগুলি আকারে খুব ছোট, অতিমাত্রায় তিক্ত ও ঔষধীয় গুণ এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী৷ দ্বিতীয় ধরনের উচ্ছে হ’ল চাষের উচ্ছে৷ বুনো উচ্ছেকে চর্চার দ্বারা উন্নীত করে চাষের উচ্ছের সৃষ্টি হয়েছিল৷ এই উচ্ছে আকারে কিছুটা বড়৷ তিক্ততা বুনো উচ্ছের চেয়ে কিছুটা কম৷ উত্তর ভারতে এই চাষের উচ্ছেকে বলা হয় ‘করেলী’৷ এই চাষের উচ্ছেকে চর্চার দ্বারা আবা

কৃশতা

কারণ ঃ শারীরিক কৃশতার কারণ নানাবিধ ঃ
১) দুর্বল বা অসুবস্থ পুং বা স্ত্রীবীজ থেকে যে সকল শিশুর দেহ সৃষ্টি হয়েছে, তারা স্বভাবতই শক্তিহীন ও কৃশকায় হয়ে থাকে৷
২) শিশু যদি যথেষ্ট পরিমাণে মাতৃস্তন্য না পায় সেক্ষেত্রেও সে সাধারণতঃ কৃশকায় হয়ে থাকে৷
৩) দারিদ্র্য নিবন্ধন যে সকল পিতা–মাতা সন্তান–সন্ততিদের জন্যে যথেষ্ট পরিমাণে দুগ্ধের ব্যবস্থা করতে পারেন না ও অল্প বয়স থেকে তদের জন্যে ভাত, ডাল বা সাবু–বার্লি দেওয়া হয়, তাদের যকৃৎ ও পরিপাক যন্ত্রগুলি দুর্বল হয়ে পড়ে ও অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারা কৃশকায় হয়ে পড়ে৷

পুষ্টিকর খাদ্য ও জন্মনিয়ন্ত্রণ

সাধারণতঃ দেখা যায় যাঁদের আর্থিক অবস্থা ভাল, বিশেষ করে যাঁরা ভাল ও পুষ্টিকর খাদ্য খান, তাঁদের বংশ বৃদ্ধি হয় না৷ তাঁদের বংশবৃদ্ধির হার আশ্চর্যজনক ভাবে কমে যায়৷ মা ষষ্ঠীর কৃপা গরীবের ঘরে আর্থিক স্বচ্ছলতার দরুন কয়েকটি বিশেষ বর্গের ঘরে সন্তানের সংখ্যা খুব কম হয়ে থাকে৷ আর তাই পোষ্যপুত্র তাঁরাই গ্রহণ করেন৷ তোমরা খোঁজ নিলেই জানবে যে বড় বড় ধনীদের, রাজা–রাজড়াদের অনেকেই ছিলেন অপুত্রক৷ পোষ্য নিয়েই তাঁদের বংশধারা বজায় রাখতে হয়েছিল৷ যেকালে কায়স্থদের অবস্থা ভাল ছিল, সেকালে তাঁদের সংখ্যাক্ষৃদ্ধি ঘটত খুব কম৷ বণিকদের সংখ্যা ক্ষৃদ্ধি এখনও খুব কমই ঘটে থাকে৷ বড় বড় চাষীদেরও পুত্রকন্যার সংখ্যা কম৷ প