সংবাদ দর্পণ

কৃষ্ণনগরে অখন্ড কীর্ত্তন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

রাঘবপুর ঃ নদীয়া জেলার অন্তর্গত রাঘবপুর গ্রামের বিশিষ্ঠ আনন্দমার্গী তথা নদীয়া আনন্দমার্গ ভুক্তি কমিটির শিক্ষা সচিব শ্রী অনিল চন্দ্র বিশ্বাস ও শ্রীমতী সরস্বতী বিশ্বাস এর নিজ বাসগৃহে ২৩/০২/২০২৫ রবিবার সকাল ৯টা৪০মিঃ থেকে বেলা ১২টা৪০মিঃ পর্যন্ত- কৃষ্ণনগর ডায়োসিস সচিব আচার‌্য পরাজ্ঞানানন্দ অবধূত শ্রীমতী কাকলী বিশ্বাস, শ্রীমতী তনুকা সরকার, ডাঃবৃন্দাবন বিশ্বাস, শ্রীকৌশিক সরকার ও কৃষ্ণনগর ডিট (এল) তথা কৃষ্ণনগর আনন্দমার্গ স্কুলের অধ্যক্ষা-অবধূতিকা আনন্দ শিবধ্যানা আচার্যার পরিচালনায় প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশনের পরে মানবমুক্তির মহামন্ত্র ‘বাবানামকেবলম অখন্ড কীর্তন হয় মৃদঙ্গ সঙ্গতে ছিলেন - শ্রীবিবেক জ্যোতি সরকার৷

নদীয়া জেলা ও তৎপার্শ্ববর্তী জেলাগুলি থেকেও বহু ভক্তজন সকাল থেকেই কীর্তন অঙ্গনে উপস্থিত হয়ে কীর্তনে অংশ গ্রহন করেন৷ অখন্ড কীর্তন শেষে মিলিত সাধনা, গুরুপুজার পরে স্বাধ্যায় করেন কৃষ্ণনগর ডায়োসিস সচিব আচার‌্য পরাজ্ঞানানন্দ অবধূত অনুষ্ঠানে ‘’কীর্তন মহিমা’’-র ওপর আলোকপাত করেনবিশিষ্ঠ তাত্বিক তথা সুবক্তা শ্রীগোরাচাঁদ দত্ত ও কৃষ্ণনগর ডিট(এল) তথা কৃষ্ণনগর আনন্দমার্গ স্কুলের অধ্যক্ষা-অবধূতিকা আনন্দ শিবধ্যানা আচার্যা কীর্তনানুষ্ঠান শেষে তিন শতধিক ভক্তকে নারায়ন সেবায় আপ্যায়ীত করেন শ্রী অনিলচন্দ্র বিশ্বাস ও শ্রীমতী সরস্বতী বিশ্বাস৷

বেথুয়াডহরী ঃ নদীয়া জেলার অন্তর্গত বেথুয়া ডহরী, ক্ষিদিরপুর,পূর্বপাড়া নিবাসী বিশিষ্ঠ আনন্দমার্গী শ্রীদীপকবিশ্বাস ও শ্রীমতীসবিতা বিশ্বাস এর বাসগৃহে ২/০৩/২০২৫ রবিবার সকাল ৯টা২০মিঃ থেকে বেলা ১২টা২০মিঃ পর্যন্ত- শ্রীমতীকাকলী বিশ্বাস শ্রীমতীকাজল সরকার, শ্রীকৌশিক সরকার ও কৃষ্ণনগর ডিট(এল) তথা কৃষ্ণনগর আনন্দমার্গ স্কুলের অধ্যক্ষা-অবধূতিকা আনন্দ শিবধ্যানা আচার্যার পরিচালনায় প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশনের পরে মানবমুক্তির মহামন্ত্র ‘বাবানামকেবলম অখন্ড কীর্তন অনুষ্ঠিত হয়

স্কুলের শিশুদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

২১শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫, শ্যামপুর আনন্দমার্গ প্রাইমারি স্কুলের মাতৃস্নেহ শাখায় গভীর শ্রদ্ধা ও উজ্জীবিত আবহে পালিত হলো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস৷ বিদ্যালয়ের শিশুরা সৃজনশীল উপস্থাপনা, আবৃত্তি ও প্রসেশনের মধ্য দিয়ে মাতৃভাষার প্রতি তাদের ভালবাসা ও সম্মান ব্যক্ত করে৷ এদিন শিক্ষার্থীরা ভাষা আন্দোলনের গৌরবময় ইতিহাসকে স্মরণ করে নানা সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে দিনটিকে সার্থক করে তোলে৷

মার্গীয় বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

হাওড়া মৌড়ীগ্রাম নিবাসী বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রীশ্যামাপদ মণ্ডলের মাতৃ দেবী শেফালিকা মণ্ডলের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান গত ২৫শে ফেব্রুয়ারী,২৫ আনন্দমার্গে চর্যাচর্য বিধিমতে অনুষ্ঠিত হয়৷ প্রভাত সঙ্গীত ও কীর্ত্তন পরিবেশন ও মিলিত সাধনা ও স্বাধ্যায়ের পর মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়৷

স্বাধ্যায় করেন সুব্রত সাহা ও শ্রাদ্ধানুষ্ঠান পরিচালনা করেন আচার্য দেবেশানন্দ অবধূত৷ শ্রাদ্ধানুষ্ঠান শেষে আনন্দমার্গ সমাজশাস্ত্র বিষয়ে ও শেফালিকা মণ্ডলের স্মৃতিচারণা করে বক্তব্য রাখেন বকুলচন্দ্র রায় সুশান্ত শীল ও পুত্র শ্যামাপদ মণ্ডল৷ অনুষ্ঠানটি পরিচালনায় সহযোগিতা করেন বিজলী মণ্ডল৷

কৃষ্ণনগরে আনন্দমার্গীয় পদ্ধতিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গোয়ালা পাড়া ঃ নদীয়া জেলার অন্তর্গত কৃষ্ণনগর গোয়ালা পাড়া নিবাসী প্রবীন আনন্দমার্গী তথা বিশিষ্ঠ- শিক্ষাব্রতী শ্রীবলাই চন্দ্র বিশ্বাস গত ০৮/০২/২৫ রাত ১০টার সময় পরমপুরুষের স্নেহময় কোলে আশ্রয় নিয়েছেন৷ সংঘ জীবনে তিনি ছিলেন একজন ভালো মনের মানুষ, একজন ভক্ত মানুষ৷ সারা জীবন নানা প্রতিকুলতার সঙ্গে লড়াই করেও কখনো সংঘজীবনের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হন নি৷

গত ১৬/০২/২৫ রবিবার তারিখে কৃষ্ণনগরের অন্তর্গত আনন্দনগর নিবাসী তাঁর একমাত্র কন্যা বিশিষ্ঠ মার্গীবোন শ্রীমতী লক্ষী মন্ডলের বাসগৃহে আনন্দমার্গের বিধি অনুসারে কৃষ্ণনগর ডিট(এল) তথা কৃষ্ণনগর আনন্দমার্গ স্কুলের অধ্যক্ষা-অবধূতিকা আনন্দ শিবধ্যানা আচার্যার পৌরহিত্যে তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হয়৷

অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রভাত সঙ্গীত, মানবমুক্তির মহামন্ত্র অষ্টাক্ষরী সিদ্ধমন্ত্র কীর্তন মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, গুরুপুজা, স্বাধ্যায় হয়৷ আনন্দমার্গ শ্রাদ্ধনুষ্ঠানের বৈশিষ্ঠ পর্যায়ে মূল্যবান আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন বিশিষ্ঠ তাত্বিক তথা সুবক্তা শ্রীগোরাচাঁদ দত্ত৷ স্মৃতিচারণ করেন ভুক্তিপ্রধান ডাঃ বৃন্দাবন বিশ্বাস, বিশিষ্ঠ শিক্ষাব্রতী তথা বিশিষ্ঠ প্রাবন্ধিক শ্রীমনোরঞ্জন বিশ্বাস ও গৌরাঙ্গ ভট্টাচার্য৷

রাঘবপুর ঃ নদীয়া জেলার অন্তর্গত রাঘবপুরের তরুন মার্গীভাই শ্রী সুকান্ত বিশ্বাসের মাতৃদেবী শ্রমতী শশীরানী বিশ্বাস ১৪/০২/২৫ শুক্রবার বেলা ১১টা ৩০ মিঃ এর সময় পরমপুরুষের স্নেহময় কোলে আশ্রয় নিয়েছেন৷ তিনি ছিলেন একজন ভালো মনের মানুষ,একজন ভক্ত মানুষ৷ গত ২৩ /০২ /২৫ রবিবার আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবের উপস্থিতিতে নদীয়া জেলার রাঘবপুরে তাঁর বাসগৃহে আনন্দমার্গের বিধি অনুসারে কৃষ্ণনগর ডায়োসিস সচিব আচার‌্য্য পরাজ্ঞানানন্দ অবধূতের পৌরহিত্যে তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হয়৷ অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রভাত সঙ্গীত, মানবমুক্তির মহামন্ত্র অষ্টাক্ষরী সিদ্ধমন্ত্র কীর্তন ,মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান,গুরুপুজা, স্বাধ্যায় হয়৷ আনন্দমার্গের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন শ্রীগোরাচাঁদ দত্ত৷ ভুক্তিপ্রধান ডাঃ বৃন্দাবন বিশ্বাস,কৃষ্ণনগর ইউনিট সেক্রেটারীশ্রীআনন্দ কুমার মন্ডল,শ্রীমনোতোষ মজুমদার, ভুক্তি কমিটির অন্যতম সদস্য শ্রীগৌরাঙ্গ মল্লিক প্রমুখ৷

কলিকাতায় সেমিনার

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ডায়াসিস স্তরের সেমিনার৷ গত ২১,২২,২৩শে ফেব্রুয়ারী কলিকাতা ভি.আই.পি নগরের আনন্দমার্গ আশ্রমে আনন্দমার্গ দর্শন নিয়ে চর্চার জন্যে তিনদিনের এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল৷

এই আলোচনা সভায় আনন্দমার্গ দর্শনের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও আধ্যাত্মিক বিষয়ের ওপর আলোচনা হয়৷ আলোচনার আধ্যাত্মিক বিষয় ছিল ‘তন্ত্র ও সাধনা’ চতুবর্গ ও ভক্তি৷ এছাড়া সামাজিক বিষয় ছিল--- আমাদের সমাজ শাস্ত্র ও প্রাউটের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কয়েকটি বৈশিষ্ট্যের ওপর আলোচনা হয়৷ সেমিনারের আয়োজক ছিলেন কলিকাতার ভুক্তিপ্রধান সুনন্দা সাহা, তাঁকে সহযোগিতা করেন স্থানীয় ইয়ূনিটের মার্গী ভাইবোনেরা৷ আলোচনায় প্রশিক্ষণ ছিলেন আচার্য অভিব্রতানন্দ অবধূত ও আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷

ভারতীয় ভোটের হার বৃদ্ধির জন্য অনুদান দিতে চাইছে না আমেরিকা

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

ভারতে ভোটের হার বৃদ্ধির জন্য আমেরিকার অনুদান প্রসঙ্গে যে বিতর্ক দানা বেঁধেছে, প্রায় প্রতি দিনই তাতে ইন্ধন জুগিয়ে চলেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ প্রতি দিন এ বিষয়ে কিছু না কিছু মন্তব্য করছেন তিনি৷ এ বার জানালেন, আমেরিকার থেকে অনেক সুযোগসুবিধা নেয় ভারত৷ বরং এখন ভারতের উচিত, আমেরিকাকে সাহায্য করা৷ ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর আমেরিকার অনুদান নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে৷

গত রবিবার ভারতের ২ কোটি ১০ লক্ষ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৮২ কোটি টাকা) অনুদান বন্ধের কথা ঘোষণা করে আমেরিকার সংশ্লিষ্ট দফতর৷ আন্তর্জাতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশকে অর্থসাহায্য করে থাকে আমেরিকা৷ অভিযোগ, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার সেই (ইউএসএইড) অনুদান আসত ভারতে ভোটের হার বৃদ্ধি করার জন্য৷ ট্রাম্প জানান, ভারতকে এই অর্থসাহায্যের কোনও প্রয়োজন নেই৷ শনিবার (স্থানীয় সময়) একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘ভারতকে তাদের নির্বাচনের জন্য আমরা এত টাকা কেন দেব? বরং ওরা আমাদের সাহায্য করুক৷ সেটা কেমন হবে? ভারতের কোনও টাকার প্রয়োজন নেই৷’’

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘‘ভারত আমাদের থেকে প্রচুর সুযোগসুবিধা নেয়৷ ওদের করের পরিমাণ অনেক বেশি৷ আমরা ওখানে কিছু বিক্রি করতে চাইলে ২০০ শতাংশ কর নেওয়া হয়! আর ওদের ভোটের জন্য আমরা টাকা পাঠাচ্ছি? কেন?’’ উল্লেখ্য, ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশের ২৫২ কোটি টাকার (২ কোটি ৯০ লক্ষ ডলার) অনুদানও বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন৷ সেই অনুদানকেও একই ভাবে অপ্রয়োজনীয় বলেছেন তিনি৷

আমেরিকার অনুদান প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামও করেছেন ট্রাম্প৷ তিনি বলেন, ‘‘ভোটের হার বৃদ্ধির জন্য ২.১০ কোটি ডলার ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে যাচ্ছে! কিন্তু কেন আমরা এই টাকা ভারতকে দেব? আমাদেরও তো ভোটের হার বৃদ্ধি করা দরকার৷’’ ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর ভারতের বিদেশ মন্ত্রক থেকে বিবৃতি এসেছে৷ মন্ত্রকের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘সম্প্রতি মার্কিন প্রশাসনের তরফে তহবিল সম্পর্কিত কিছু তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে৷ বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে৷ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ হচ্ছে, যা উদ্বেগের৷’’ বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘ট্রাম্পের প্রশাসনের আধিকারিকেরা কিছু তথ্য প্রকাশ করেছেন এবং অবশ্যই তা উদ্বেগের৷ ইউএসএইড নিয়ে আমরা কাজ করি কি না, তা নিয়ে কোনও প্রশ্ণ নেই৷ ইউএসএইড-কে ভারতে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷ বছরের পর বছর ধরে ওই সংস্থা এখানে কাজ করছে৷ কিন্তু ওদের কাজ করতে দেওয়া হয়েছিল সরল বিশ্বাসে, ভাল কাজের জন্য৷ এখন কথা উঠছে, আমেরিকার অনুদান খারাপ কাজে ব্যবহার করা হয়েছে৷ ফলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার৷ যদি এই অভিযোগ সত্যি হয়, দেশের মানুষের এটা জানার অধিকার আছে যে, কারা সেই খারাপ কাজের সঙ্গে যুক্ত৷’’ গত শনিবার ট্রাম্প আবার এই অনুদানের বিতর্ক উস্কে দিলেন৷

মহাকাশ গবেষণায় মোড় ঘোরাতে নতুন প্রযুক্তি নিয়ে হাজির রাশিয়া

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

দূরত্ব প্রায় সাড়ে ২২ কোটি কিমি৷ অথচ সেখানে পৌঁছোতে লাগবে মাত্র ৩০ দিন৷ ২১ শতকে এ ভাবেই চোখের পলকে লাল গ্রহ জয়ের স্বপ্ণ দেখা শুরু করেছেন রুশ মহাকাশ গবেষকেরা৷ তার জন্য তৈরি হয়েছে অতিশক্তিশালী অত্যাধুনিক ইঞ্জিন৷ মস্কোর মিশন সফল হলে মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞান সংস্থা নাসা (ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন)যে বড় ধাক্কা খাবে,তা বলাই বাহুল্য৷

সম্প্রতি মঙ্গল অভিযানের দিকে নজর দিয়েছে রুশ প্রশাসন৷ সেই লক্ষ্যে একটি অতি শক্তিশালী প্লাজমা ইঞ্জিন তৈরি করেছেন সেখানকার মহাকাশবিজ্ঞানীরা৷ তাঁদের দাবি, এর সাহায্যে মাত্র ৩০ দিনের মধ্যে পৌঁছোনো যাবে লাল গ্রহে৷ ইঞ্জিনটির নির্মাণকারী সংস্থা রোসাটম ট্রয়েটস্ক ইনস্টিটিউটের দাবি, তাঁদের যন্ত্র জ্যোতির্বিজ্ঞানে নতুন যুগের সূচনা করবে৷ রোসাটমকে যাবতীয় সাহায্য করছে রাশিয়ার সরকারি মহাকাশ সংস্থা রসকসমস৷

রোসাটমের ইঞ্জিনের চূড়ান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ১৪ মিটার লম্বা এবং ৪ মিটার চওড়া একটি ভ্যাকুয়াম চেম্বার তৈরি করেছেন রুশ ইঞ্জিনিয়রেরা৷ চেম্বারটির ভিতরে কৃত্রিম ভাবে এক টুকরো মহাকাশকে রেখেছেন তাঁরা৷ পাল পর্যায়ক্রমিক মোডে সেখানে ইঞ্জিনটি ৩০০ কিলোওয়াট শক্তিতে কাজ করেছে৷ টানা ২,৪০০ ঘণ্টা সচল ছিল ওই ইঞ্জিন৷ মঙ্গলযাত্রার পক্ষে এই সময়সীমা যথেষ্ট৷ তা সত্ত্বেও ইঞ্জিনটির আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানানো হয়েছে৷ মহাকাশ গবেষণায় প্লাজমা প্রপালশান পদ্ধতি নতুন নয়৷ তা সত্ত্বেও রোসাটমের ইঞ্জিনটিকে ‘খেলা ঘোরানো’ আবিষ্কার বলেই মনে করা হচ্ছে৷ তার একমাত্র কারণ হল, রুশ ইঞ্জিনটির গতিবেগ৷ জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের একাংশের মতে, ইঞ্জিনটির সাহায্যে নভোচারীরা মাত্র ৩০ দিনে মঙ্গলে পৌঁছে যেতে পারবেন৷ সেই মাইলফলককে অবিশ্বাস্য বললেও কম বলা হবে৷

সূত্রের খবর, ২০৩০ সালের মধ্যেই রোসাটম সংশ্লিষ্ট প্লাজমা ইঞ্জিনের একটি ফ্লাইট মডেল তৈরি করবে৷ এর পর সেটিকে মহাকাশে পাঠাবেন রুশ জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা৷ সে ক্ষেত্রে সৌরজগতের বাইরে অভিযানের দরজাও খুলে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে৷ এ ছাড়া দূরবর্তী গ্রহগুলিতে নভোচারী প্রেরণ এবং গ্রহাণু অনুসন্ধানের কাজ বেশ সহজ হবে বলে ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন দুনিয়ার তাবড় মহাকাশবিজ্ঞানীরা৷ সূত্রের খবর, ২০২৬ সালের মধ্যে ক্যাটাপল্টের সাহায্যে একগুচ্ছ কৃত্রিম উপগ্রহ মহাশূন্যে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থার৷

পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে কাটিয়ে মহাশূন্যে কৃত্রিম উপগ্রহ বা মহাকাশযান নিয়ে যেতে লক্ষ লক্ষ পাউন্ড জ্বালানি পুড়িয়ে শক্তি সঞ্চয় করে রকেট৷ ক্যাটাপল্টের প্রযুক্তি এর থেকে একেবারে ভিন্ন৷ স্পিনলঞ্চ পেলোড (ওজন) উৎক্ষেপণের জন্য এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করছে বিশুদ্ধ গতিশক্তি৷ সংস্থার তৈরি যন্ত্রটিতে বিশাল ভ্যাকুয়াম সিলড সেন্িন্টফিউজ রয়েছে৷

ক্যাটাপল্ট উৎক্ষেপণের জন্য বিশেষ ধরনের একটি টিউব ব্যবহার করছে স্পিনলঞ্চ৷ এর সাহায্যে পেলোডগুলিকে অস্বাভাবিক গতিতে ঘুরিয়ে শক্তি সঞ্চয় করা হচ্ছে৷ সেই শক্তিই কৃত্রিম উপগ্রহ বা মহাকাশযানকে পৌঁছে দিচ্ছে অন্তরীক্ষে৷ পেলোডগুলিকে দুরন্ত গতিতে ঘোরাতেও বিদ্যুতের ব্যবহার করছে স্পিনলঞ্চ৷

পুঁজিবাদী শোষণ ও দুর্নীতির জাল ছিন্ন করতে সমবায় ব্যবস্থাকে সফল করে তুলতে হবে

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

প্রবীন আমরা বাঙালী নেতা শ্রী মনতোষ মণ্ডল তাঁর বোকারো বাস ভবনে এক আলোচনায় বলেন--- সারাদেশে পুঁজিবাদী শোষণ ও দুর্নীতির জাল বিস্তার করেছে৷ এর থেকে শোষিত জনগণকে মুক্তির পথ দেখাতে পারে একমাত্র সমবায় আন্দোলন৷ এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পথ নির্দেশনা আছে শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের সামাজিক অর্থনৈতিক তত্ত্ব যা প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্ব বা সংক্ষেপে প্রাউট নামে পরিচিত৷

শ্রী মণ্ডল বলেন পুঁজিবাদী শোষকরা তাদের শোষণ কায়েম রাখতে কখনই সমবায় ব্যবস্থাকে সফল হতে দেবে না৷ কারণ সমবায় সফল হলে আর্থিক ক্ষমতা স্থানীয় মানুষের হাতে চলে যাবে৷ প্রাউটের বিকেন্দ্রিত আর্থিক ব্যবস্থায় অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলি গড়ে উঠবে একই অর্থনৈতিক সমস্যা, একই ধরণের সম্পদ ও সম্ভাবনা, জাতিগত সাদৃশ্য, সাধারণ ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য, একই সাধারণ সামাজিক সাংস্কৃতিক বন্ধন--- যেমন ভাষা সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য সাংবেদনিক উত্তরাধিকার প্রভৃতির ভিত্তিতে গড়ে ওঠা জনগোষ্ঠীকে নিয়ে৷ এই জনগোষ্ঠীর ওপর থাকবে আর্থিক ব্যবস্থা পরিচালনার দায়িত্ব৷ এখানে বহিরাগতের স্থান হবে না৷ তাই প্রাউটের সমবায়-ব্যবস্থা গড়ে উঠবে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থানীয় জনমণ্ডলীর শ্রমে ও বুদ্ধিতে একই অর্থনৈতিক কাঠামোয় একই প্রয়োজনের তাগিদে ও হাতের কাছে থাকবে উৎপন্ন বস্তুর বাজার৷

ঠিকপথে পরিচালিত হলে সমবায় ব্যবস্থা ব্যষ্টি মালিকানার ত্রুটি থেকে মুক্ত হবে৷ এ ব্যাপারেও প্রাউট তিনটি তত্ত্বের উল্লেখ করেছে সমবায় ব্যবস্থাকে সফল করতে নৈতিকতা, শক্তিশালী প্রশাসন ও জনগণের দ্বারা আন্তরিকভাবে সমবায়কে গ্রহণ করা৷ শ্রী মণ্ডল পরিশেষে বলেন তাই সমবায় ব্যবস্থা সফল করতে প্রয়োজন সৎনীতিবাদী নেতৃত্বের৷ সেই সঙ্গে জনগণকে শিক্ষিত সচেতন করে গড়ে তুলতে হবে যাতে তারা সমবায়ের উপকারিতা বুঝতে পারে৷

কিন্তু ভারতের মতো পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক কাঠামোয় সমবায়-ব্যবস্থা কখনই সফল হবে না৷ কারণ পুঁজিবাদী শোষক, অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বিভিন্ন ক্ষেত্রের দালাল ফোড়েরা কখনই আর্থিক ব্যবস্থাকে সফল হতে দেবে না৷ তাই প্রথমেই প্রয়োজন ধনতান্ত্রিক আর্থিক নীতি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ও রাষ্ট্রের আর্থিক কাঠামোয় আমূল পরিবর্তন৷ তবেই সমবায় ব্যবস্থার সফল রূপায়ন সম্ভব হবে৷

পান্তা ভাতে নুন যোগাতে সময় চলে যাচ্ছে--- সামাজিকতা হারিয়ে যাচ্ছে জীবন থেকে

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

সম্প্রতি ইণ্ডাসভ্যালির এক সমীক্ষার বার্ষিক প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে দেশের প্রায় ১০০কোটি মানুষ বেঁচে থাকার রসদ যোগাড় করতেই উপার্জনের সব টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে৷ সঞ্চয় বা অন্য ভোগ্যপণ্য কেনার মতো সামান্য অর্থ সাধারণ মানুষের হাতে থাকছে না৷ আচ্ছা দিনের ভারতে মাত্র ১০ শতাংশ মানুষ দেশের ৫৭ শতাংশ সম্পদ কুক্ষিগত করে রেখেছে৷ দিন দিন তাদেরই বিকাশ ঘটছে৷ তারাই ধনী থেকে ধনীতর হচ্ছে৷ চরম মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্বের কবলে পড়ে আমজনতা পান্তা ভাতে নুন যোগাতেই হিমসিম খাচ্ছে৷ কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রক টাইম ইউজ সার্ভের প্রতিবেদনে ২০১৯ ও ২০২৪ সালের পার্থক্য তুলে ধরে দেখিয়েছে ২০১৯ সালে যেখানে ৬ঘন্টার কিছু বেশী সময় কাজ করলেই অন্নের সংস্থান হয়ে যেত, ২০২৪ সালে সেখানে সাড়ে সাত ঘন্টা কাজ করতে হচ্ছে৷ তাতেও হেঁসেল সামলানো যাচ্ছে না৷ অতিরিক্ত সময় কাজ করতে হচ্ছে, ফলে পারিবারিক জীবনে সময় দিতে পারছে না, আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে লৌকিকতা বজায় রাখতে সময় পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ৷ জীবন থেকে সামাজিকতা হারিয়ে যাচ্ছে৷

আচ্ছা দিনের স্বপ্ণ দেখিয়ে মোদি ক্ষমতায় বসেছেন৷ সবকা সাথ সবকা বিকাশের কথাও মোদির মুখে প্রায় শোণা যায়৷ অথচ মোদি জমানায় বিকাশ মাত্র ১০ শতাংশ মানুষের৷ ১১বছর মোদি জমানায় কর্ম হারিয়ে বেকার হয়েছে ২০ লক্ষ মানুষ৷ মধ্যবিত্তের সঞ্চয়ের হার গত ৫০ বছরে সর্বনিম্ন৷ সরকারই প্রতিবেদনই প্রমাণ করছে মোদি সরকার ধণিক শ্রেণীর বিকাশের জন্যে৷

মহাকুম্ভের গল্প ফেঁদে ব্যবসা উঠছে নানা প্রশ্ণ

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

১৪৪ বছর পরে একবার মহাকুম্ভ৷ সব মানুষের জীবনে এই অমৃত লাভের সুযোগ আসবে না৷ যারা সুযোগ পাবে তাও জীবনে একবারই৷ যে দেশে শিক্ষিত অশিক্ষিত অর্ধশতাংশের বেশী মানুষ এখনও কুসংস্কারাচ্ছন্ন, অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে তথাকথিত ধর্মীয় আবেগে ছুটে চলে হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে---সেই মানুষকে সুচতুর কৌশলে মহাপুণ্য সঞ্চয়ের লোভ দেখিয়ে লক্ষ কোটির ব্যবসা করার সুযোগও হয়তো ১৪৪ বছরে একবার আসে৷ তাই ব্যবসাদার ব্যবসা ফেঁদে বসেছে, মানুষ ছুটছে অমৃতের আশায় মনুষ্যত্ব বিসর্জন দিয়ে মানবতাকে পদপিষ্ট করে৷

অমৃতলাভের আশায় অন্ধ আবেগে ছুটছে উদ্‌ভ্রান্ত মানুষ মরছে পদপিষ্ট হয়ে৷ মহাকুম্ভে অমৃতলাভের আশায় জনস্রোত নয়াদিল্লি রেলস্টেশন থেকে প্রয়াগরাজ৷ ধর্মের নামে ব্যবসায় মত্ত উত্তরপ্রদেশ সরকার, কেন্দ্র সরকার সেদিকে দৃষ্টি নেই৷ সরকারের লক্ষ্য সেই সব কোটিপতিদের দিকে৷ তাদের জন্যে লাখো টাকার তাঁবু আসা যাওয়ার ভি.আই.পি ব্যবস্থা৷ আর পদপিষ্ট হয়ে যারা অকালে ঝরে গেল তাদের প্রকৃত হিসাব কি সরকারের কাছে আছে৷ যদিও সরকারী হিসেবে মহাকুম্ভের বলি ৫৫ জন৷ কিন্তু সরকারী তথ্য বিশ্বাস করে ক’জন!

যে মহাকুম্ভের গল্প ফেঁদে এত মানুষকে আবেগে ভাসিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিল সেই মহাকুম্ভের সত্যতা নিয়েই এখন প্রশ্ণ উঠছে৷ ১৪৪ বছর পর মহাকুম্ভের গল্প ফেঁদে৷ মানুষকে টেনে আনার আসল উদ্দেশ্য কি ব্যবসা করা! বিজেপি সাংসদ খাণ্ডেলওয়ালার দাবি ব্যবসা তিন লক্ষ কোটি ছাড়িয়ে যাবে৷ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন ১৪৪ বছর পর মহাকুম্ভের দাবী বিশ্বাসযোগ্য নয়৷ আমি এ বিষয়ে অজ্ঞ তবে যাঁরা গবেষণা করেন তারাই আসল সত্য বলতে পারবেন৷ অধ্যাপক নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি বলেন--- যদি ১৪৪ বছর আহে মহাকুম্ভ হয়ে থাকে তবে সাল তারিখ জানাক৷ বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকার পুরোহিত কমলেশ ভট্টাচার্য বলেন ১৪৪ বছর এই প্রথম এমন যোতত্ত্ব কতটা গ্রহণযোগ্য সন্দেহ আছে৷ যারা মহাযোগ তত্ত্বের প্রচার করছে তাদের কাছেও কোন প্রামান্য তথ্য নেই৷ সুকৌশলে একটা মিথ ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল ব্যবসার লক্ষ্যে৷ অর্দ্ধ শতাধিক লাসের উপর দাঁড়িয়ে যোগীর সরকার সেই লক্ষ্যে সফল৷