সংবাদ দর্পণ

চুঁচুড়ায় দুঃস্থদের মধ্যে আহার্য প্রদান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ৩০শে আগষ্ট চুঁচুড়া আনন্দমার্গ ত্রাণ শাখার পক্ষ থেকে এলাকার কয়েকটি স্থানে কিছু দুঃস্থ মানুষদের মধ্যে আহার্য প্রদান করা হয়৷ আনন্দমার্গের প্রবীন সাধক স্নেহময় দত্ত তাঁর প্রয়াত স্ত্রী কৃষ্ণা দত্তের স্মরণে নিজ উদ্যোগে এই ব্যবস্থা করেন৷ আহার্য প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মার্গের কর্মী মানস মণ্ডল, রঞ্জন দে ও মিতালী সানা৷

চুঁচুড়ায় অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১লা সেপ্ঢেম্বর আনন্দমার্গের প্রবীন সাধক শ্রী স্নেহময় দত্তের বাসগৃহে অখণ্ড ৰাৰা নাম কেবলম্‌ স্থানীয় মার্গের সকল সাধক-সাধিকাবৃন্দের ভক্তিমূলক কীর্ত্তন পরিবেশনায় উপস্থিত সকলে আপ্লুত হন৷ অনুষ্ঠানে শ্রী দত্তের আত্মীয়-পরিজন ও প্রতিবেশীরা উপস্থিত ছিলেন৷ কীর্ত্তন ও পূজা পাঠ শেষে মিলিত আহারে সকলে অংশগ্রহণ করেন৷

কোচবিহারে সাধনা শিবির

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১৩-১৫ই সেপ্ঢেম্বর কোচবিহার নিউটাউন আনন্দমার্গ স্কুলে তিনদিনের একটি সাধনা শিবির অনুষ্ঠিত হয়৷ এই শিবিরে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় দুইশত মার্গী ভাই বোন যোগ দিয়েছিলেন৷ শিবিরের মুখ্য প্রশিক্ষক ছিলেন আচার্য বিকাশানন্দ অবধূত৷ তিনি সাধনা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন৷ তাঁর মনোজ্ঞ আলোচনায় মার্গী ভাইবোনরা অত্যন্ত উপকৃত হয়৷ তারা দৈনন্দিন সাধনার সময় যেসব ভুল ত্রুটি ছিল তা বুঝে সংশোধন করে নেন ও সাধনায় অনুপ্রাণিত হন৷ তিনদিনের এই সাধনা শিবিরে আচার্য বোধিসত্ত্বানন্দ অবধূত তাঁর ক্লাসে মার্গীদের প্রাত্যহিক দুবেলা সাধনায় বসতে অনুপ্রাণিত করেন৷ এই সাধনা শিবিরটি পরিচালনা করেন কোচবিহার ডিট.এস. আচার্য কৃষ্ণধ্যানানন্দ অবধূত ও জেলার ভুক্তিপ্রধান বাসুদেব মল্লিক৷ সহযোগিতায় ছিলেন স্থানীয় মার্গীবৃন্দ৷

সংস্কৃতির অঙ্গণে সুপ্রভাতের প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রভাত সঙ্গীতের আবির্ভাব - ১৪ই সেপ্ঢেম্বর মহাসমারোহে প্রভাত সঙ্গীত দিবস পালন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

১৪ই সেপ্ঢেম্বর’২০২৪,‘প্রভাতসঙ্গীত দিবসে’র ৪২তম বর্ষপূর্ত্তিতে রেণেশাঁ আর্টিস্ট এন্ড রাইটার্স এ্যসোসিয়েশন সংক্ষেপে রাওয়া’র পক্ষ থেকে কলকাতার ভি.আই.পি বাজার, তিলজলাস্থিত আনন্দমার্গ প্রচারক সঙ্ঘের কেন্দ্রীয় আশ্রমে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷ ১৯৮২ সালের ১৪ই সেপ্ঢেম্বর দেওঘরে ‘বন্ধু হে নিয়ে চলো’ এই সঙ্গীতের মাধ্যমে প্রথম প্রভাতসঙ্গীত রচনা ও সুরারোপ করেন মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার তথা আনন্দমার্গের প্রতিষ্ঠাতা মহান ধর্মগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী৷১৯৮২ সালের ১৪ই সেপ্ঢেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের ২০শে অক্টোবর পর্যন্ত মাত্র ৮বছর সময় কালে তিনি বাংলা, সংস্কৃত, ইংরেজী, হিন্দী, ঊর্দু, অঙ্গিকা, মগহী ও মৈথিলী এই প্রভৃতি ভাষায় ৫০১৮ সঙ্গীত রচনা ও সুরারোপ করেন৷ এই বিশাল সঙ্গীত সম্ভারই বর্তমান বিশ্বে ‘প্রভাতসঙ্গীত’ নামে জনপ্রিয় ও সুপরিচিত৷ ১৪ই সেপ্ঢেম্বর প্রথম ‘প্রভাতসঙ্গীত’ রচনা ও সুরারোপ করা হয় বলেই এইদিনটি ‘প্রভাতসঙ্গীত দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে৷

রাওয়া আয়োজিত ‘সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে’ সভাপতিত্ব করেন আনন্দমার্গ প্রচারক সঙ্ঘের পুরোধা বোর্ডের সচিব তথা প্রবীণ সন্ন্যাসী আচার্য ভবেশানন্দ অবধূত৷ এছাড়াও অতিথিগণের মধ্যে ছিলেন-সঙ্ঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আচার্য সুতীর্থানন্দ অবধূত, কেন্দ্রীয় কার্যালয় অধ্যক্ষ আচার্য সুধাক্ষরানন্দ অবধূত, কেন্দ্রীয় জনসংযোগ সচিব আচার্য দিব্যচেতনানন্দ অবধূত, আনন্দমার্গ প্রচারক সঙ্ঘের মহিলা বিভাগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যা তথা প্রবীণ সন্ন্যাসিনী অবধূতিকা আনন্দ করুণা আচার্যা, সঙ্ঘের নারীকল্যাণ বিভাগের প্রধানা অবধূতিকা আনন্দ বিশোকা আচার্যা৷

মার্গ গুরুদেব শ্রীশ্রীআনন্দমূর্তীজীর্ প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও প্রদীপ প্রজ্বোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ হয়৷ ‘প্রভাতসঙ্গীত’ অবলম্বনে সমবেত সঙ্গীত, একক সঙ্গীত, সমবেত নৃত্য, একক নৃত্য পরিবেশিত হয়৷ প্রবীণ প্রভাতসঙ্গীত শিল্পী আচার্য নিত্যসত্যানন্দ অবধূত,প্রভাতসঙ্গীতজ্ঞ আচার্য প্রিয়শিবানন্দ অবধূত এঁরা এই অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেন৷ এছাড়াও সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী শ্রীমতি শ্বাশ্বতী চৌধুরী, শিল্পী অবধূতিকা আনন্দ অভীষা আচার্যা প্রমুখ৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শ্রীতপোময় বিশ্বাস৷

চুঁচুড়ায় প্রভাত সঙ্গীত দিবস---গত ১৪ই সেপ্ঢেম্বর চুঁচুড়া আনন্দমার্গ স্কুলে প্রভাত সঙ্গীত দিবস পালিত হয়৷ ওইদিন প্রভাত সঙ্গীত ও প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্য পরিবেশন করেন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রাবৃন্দ৷ প্রভাত সঙ্গীতের ওপর ক্যুইজ প্রতিযোগিতা হয়৷ অনুষ্ঠান শুরু হয় প্রথম প্রভাত সঙ্গীত--- ‘বন্ধু হে নিয়ে চলো’ এই গানটির পরিবেশন করে৷ দুর্র্যেগপূর্ণ আবহাওয়োর মধ্যেও অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রাবৃন্দ উৎসাহের সঙ্গে অনুষ্ঠানে যোগ দেন৷ ক্যুইজ ও সঙ্গীত পরিচালনা করেন শিক্ষক তপোময় কুণ্ডু, নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন পরিক্ষিত চক্রবর্তী, সঞ্চালনা ও প্রভাত সঙ্গীতের ওপর আলোকপাত করেন স্নেহময় দত্ত৷ স্কুলের শিক্ষক রঞ্জন দে, মানস মণ্ডল, রঞ্জিত দাস প্রমুখের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান সফল হয়ে ওঠে৷

এক দেশ এক ভোট যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

২০১৪ সালে শপথ নেবার আগেই নরেন্দ্র মোদী জোর গলায় ঘোষনা করেছিলেন--- ‘আচ্ছা দিন এসে গেছে’৷ সুইস ব্যাঙ্কের কালোটাকা, শূন্য এ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ, দুর্নীতিমুক্ত দেশ--- সব কথার কথা নোট বন্দি রাম মন্দিরে ঢাকা পড়ে যায়৷ তবে ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বড় ঘা খেয়েছে মোদি ম্যাজিক৷ ৪০০ পারের হুঙ্কার দিয়ে নির্বাচনী প্রচারে নেমেছিলেন৷ ভোটের ফলে ৪০০ পার তো দুরের কথা একক গরিষ্ঠতাও পায়নি৷ ২৪০-এই থেমে যেতে হয়েছে৷ যোগী রাজ্যে ভরাডুবি হয়েছে৷ মোদি নিজেও গতবারের তুলনায় অনেক কম মার্জিনে জয়ী হয়েছে৷ এই অবস্থায় জনগণের দৃষ্টি ঘোরাতে এক দেশ এক ভোটের স্লোগান৷

গত ১৮ই সেপ্ঢেম্বর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার বৈঠকে এক দেশ এক ভোট প্রস্তাব অনুমোদিত হয়৷ তার আগে কেন্দ্রীয় সরকার ঘটিত রামনাথ কোবিন্দ কমিটি এক দেশ এক ভোট বিষয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দেন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে৷ কমিটির কাছে মোট ৪৭টি দল মতামত জানায়৷ ১৫টি দল বিপক্ষে মত দেয় বাকী ৩২টি দল সমর্থন করেন৷ কেন্দ্রীয় সরকার মনে করে সমস্ত আইনী প্রক্রিয়া শেষ করে ২০২৯ সালে চালু করা সম্ভব হবে এই ব্যবস্থা৷

ইন্ডিয়া জোট এই ব্যবস্থা মানবে না একথা তারা আগেই জানিয়েছে৷ এখন ইন্ডিয়া জোটের বক্তব্য মোদি সরকার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে নূতন ইস্যুর দিকে মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতে চাইছে৷ এই প্রক্রিয়ার দ্বারা স্বৈরাচারী মোদী সরকার রাজ্যগুলির ক্ষমতাকে আরও বেশী করে কেন্দ্রীকরণ করতে চাইছে৷ বর্তমান লোকসভা ও রাজ্যসভায় আসনের নিরিখে শাসক দল ও বিরোধী দলের যে অবস্থান তাতে এই বিল পাশ করাতে সরকারকে অনেক বেশী কাঠ খড় পোড়াতে হবে৷ এই বিল পাশ করাতে দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন প্রয়োজন৷ কিন্তু লোকসভায় শাসক জোটের সদস্য সংখ্যা ২৯৩, প্রয়োজন ৩৬২ জন সাংসদের৷ একই ভাবে রাজ্য সভায় দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন পেতে হলে ১৬৪জন সদস্যের সমর্থন দরকার৷ কিন্তু সরকারের হাতে আছে মাত্র ১১৫৷ তাই উভয় কক্ষেই শাসকদল দুই-তৃতীয়াংশ থেকে অনেক দুরে৷ এই অবস্থায় দেখার প্রয়োজন এই বিল পাশ করাতে ‘অপারেশন লোটাস’ কতদুর যায়৷

আমরা বাঙালীর কেন্দ্রীয় কমিটির সংঘটন সচিব তপোময় বিশ্বাস এক প্রেস বার্র্তয় জানান--- যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আজ আর সেই পরিস্থিতি নেই এক দেশ এক ভোট করার৷ বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন আঞ্চলিক দল ক্ষমতায়৷ স্বাধীনতার পর প্রথম এক দশক একবারই ভোট হতো৷ তখন গোটা দেশে একপ্রকার একদলেরই শাসন ছিল৷ বর্তমানে জোর করে এক দেশ এক ভোট আইন চাপিয়ে দিলে ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রে সংহতি বিপন্ন হবে৷ যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে পড়তে পারে৷ ভারতের পরিণতি শোভিয়েত ইয়ূনিয়নের মতো হতে পারে, তাই এই নীতি প্রয়োগের আগে সরকারকে অনেকবার ভাবতে হবে৷

মার্গীয় বিধিতে অন্নপ্রাশন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

কলকাতা বিধাননগর নিবাসী বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী স্বপন সাহার কনিষ্ঠ পুত্র কৌশিক সাহা ও পুত্রবধূ শিল্পা সাহার প্রথম কন্যা সন্তানের অন্নপ্রাশন ও নামকরণ অনুষ্ঠান আনন্দমার্গে চর্যাচর্য বিধিমতে অনুষ্ঠিত হয়৷ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত ও অবধূতিকা আনন্দকরুণা আচার্যা৷ শিশুকন্যার নাম রাখা হয় তনুশ্রী৷ অনুষ্ঠান শেষে তণুশ্রীর মুখে প্রথম অন্ন তুলে দেন আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত৷

অভয়া’র নারকীয় হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে কলকাতায় বিক্ষোভ প্রদর্শন আমরা বাঙালীর

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

অভয়া’র নারকীয় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের কঠোর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান ও অপরাধের উৎস বন্ধের দাবীতে ১১ই সেপ্ঢেম্বর ২০২৪, গত বুধবার কলকাতার রাজপথে বাগবাজার বাটার মোড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটন৷ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সচিব তপোময় বিশ্বাস সি.বি.আইয়ের উদাসীনতা, ঢিলেমির বিরুদ্ধে সরব হন৷ তিনি আরো বলেন মুখ খোলো সি.বি.আই, বাঙালী বোন অভয়া’র বিচার চাই.. দোষীদের কঠোরতম দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী, মাদক দ্রব্য, নোংরা অশ্লীল যৌনতা সর্বস্ব সিনেমা, নেট দুনিয়ায় নগ্ণ রঙিন চিত্রের অবাধ বিচরণ যা মূলত পশুবৃত্তি উষ্কানীমূলক অপরাধের উৎস...এগুলিকে অবিলম্বে নিষিদ্ধের দাবীতে একমাস ধরে রাজপথেই রয়েছে ‘আমরা বাঙালী’৷ এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সচিব জ্যোতিবিকাশ সিনহা, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সচিব তথা প্রবীণ নেতা বকুলচন্দ্র রায়, সমতট সাংগঠনিক সচিব জয়ন্ত দাস, যুগ্মসচিব বন্দ্যোপাধ্যায়, যুথিকা চ্যাটার্জী, কলকাতা জেলা সচিব সুদীপ দাশগুপ্ত, সুশীল জানা, তপন সমাদ্দার, নমিতা দেব, তনিমা বৈরাগী, কেন্দ্রীয় প্রকাশন সচিব প্রণতি পাল, অরূপ মজুমদার প্রমুখ নেতৃবৃন্দ৷

ইউটিউব দেখে অস্ত্রোপচার করল চিকিৎসক! বিহারে মৃত্যু কিশোরের

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

পেটে অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে ‘চিকিৎসক’-এর দ্বারস্থ হয়েছিল ১৫ বছরের কিশোর৷ ইউটিউব ভিডিয়ো দেখে কিশোরের গলব্লাডার অস্ত্রোপচারও করেন চিকিৎসক ও তাঁর সঙ্গীরা৷ এর পরেই মৃত্যু হয়েছে কিশোরের৷ ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিহারে৷

নিহত কিশোরের নাম কৃষ্ণ কুমার৷ বিহারের সারানের বাসিন্দা ওই কিশোর৷ কৃষ্ণের পরিবার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কয়েক দিন ধরেই বারবার বমি করছিল সে৷ সঙ্গে পেটে অসহ্য যন্ত্রণা৷ তড়িঘড়ি তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁরা৷ প্রাথমিক পরীক্ষার পর সেখানকার এক চিকিৎসক তাঁদের জানান, অবিলম্বে গলব্লাডার অস্ত্রোপচার করতে হবে৷ এর পর পরিবারের সম্মতি ছাড়াই ইউটিউব ভিডিয়ো দেখে অস্ত্রোপচার সেরেও ফেলেন ‘চিকিৎসক’ ও তাঁর সঙ্গীরা৷ কিন্তু অস্ত্রোপচারের পরেই অবস্থার অবনতি হতে থাকে কিশোরের৷ সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে তাকে অন্য হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷ কিন্তু রাস্তাতেই মৃত্যু হয় কিশোরের৷ ঘটনার পর থেকেই ফেরার ওই ‘চিকিৎসক’ ও তাঁর সঙ্গীরা৷ চিকিৎসকের নাম অজিত কুমার পুরি৷ তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ নিহত কিশোরের পরিবার দাবি করেছে, ওই ব্যক্তি আদৌ কোনও চিকিৎসক নন, তাঁর শংসাপত্রগুলিও ভুয়ো৷ ইতি মধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷ নিহত কিশোরের দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে৷ ওই ‘চিকিৎসক’ ও তাঁর সঙ্গীদের খোঁজ চলছে৷

গুজরাতের কচ্ছে ‘অজানা জ্বর’

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

ক্রমাগত ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত গুজরাত৷ তার মধ্যে নতুন বিপত্তি দেখা দিল কচ্ছ জেলার লাখপত তালুকে৷ সেখানে জ্বরে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের৷ তাঁদের মধ্যে রয়েছে চার শিশু৷ ওই শিশুদের সকলের বয়স ১২ বছরের কম৷ প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, মৃত্যুর প্রাথমিক কারণ সম্ভবত নিউমোনিয়া৷ জ্বরের সঙ্গে শ্বাসকষ্টও হচ্ছে রোগীদের৷ স্থানীয় কয়েকটি পঞ্চায়েতের সদস্যদের দাবি, চিকিৎসকেরা জ্বরের কারণ নির্ণয় করতে পারেননি৷

পাকিস্তান সীমান্তের কাছেই রয়েছে এই লাখপত তালুক৷ কচ্ছের জেলাশাসক অমিত অরোরা জানিয়েছেন, ওই তালুকে ২২টি পর্যবেক্ষক দল মোতায়েন করা হয়েছে৷ জ্বরে আক্রান্তদের রক্ত, লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হচ্ছে৷ দেখা হচ্ছে, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি, সোয়াইন ফ্লু বা ক্রিমিয়ান-কঙ্গো জ্বর হয়েছে কি না! তাঁর কথায়, ‘‘প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে নিউমোনাইটিসে মৃত্যু হয়েছে আক্রান্তদের৷ ছোঁয়াচে কোনও রোগ বলে মনে হচ্ছে না৷’’

কচ্ছ জেলার পঞ্চায়েতের সদস্য মীনাবা জাডেজা গুজরাতের কংগ্রেস প্রধানকে একটি চিঠি দিয়েছেন৷ সেখানে দাবি করেছেন, ৩ থেকে ৯ সেপ্ঢেম্বর ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ মৃতদের বয়স পাঁচ থেকে ৫০ বছর৷ লাখপতের প্রাক্তন সদস্য হুসেন রায়মা জানিয়েছেন, আক্রান্তদের প্রথমে লাখপত তালুকের ভার্মানগর টাউনের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল৷ সেখান থেকে ভুজের সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ স্থানীয়দের দাবি, আক্রান্তদের জ্বর, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট রয়েছে৷ পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ জং জাটের দাবি, চিকিৎসকেরা সঠিক ভাবে রোগের কারণ নির্ণয় করতে পারেননি৷

উত্তরপ্রদেশের একাধিক প্রান্তে শিয়ালের উপদ্রব

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

উত্তরপ্রদেশের বহরাইচে মানুষখেকো নেকড়ের হামলার পর থেকেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মনে৷ এরই মধ্যে আবার শিয়ালের হানা৷ এ বারও সেই উত্তরপ্রদেশেই৷ শনিবার উত্তরপ্রদেশের পিলভিট জেলার দু’টি গ্রামে শিয়ালের হানায় অন্তত সাত জন জখম হয়েছেন৷ জখমদের মধ্যে রয়েছে দুই শিশুও৷ প্রাথমিক ভাবে গ্রামবাসীরা সন্দেহ করেছিলেন নেকড়ের হানা৷ তবে পরে বন দফতরের তরফে জানানো হয়, সেগুলি নেকড়ে ছিল না৷ পার্শবর্তী বনাঞ্চল থেকে শিয়াল প্রবেশ করেছিল গ্রামে৷ পিলভিট জেলার জেহানাবাদ থানার অন্তর্গত দু’টি গ্রামে তাণ্ডব চালায় শিয়াল৷ শিয়ালের কামড়ে জখম হয় দুই শিশু এক জনের বয়স তিন বছর, অপর জনের ন’বছর৷ এ ছাড়া আরও পাঁচ জনকে জখম করে ওই শিয়াল৷ জখমদের উদ্ধার করে দ্রুত পাঠানো হয় নিকটবর্তী হাসপাতালে৷ শনিবারের ঘটনা প্রসঙ্গে বিভাগীয় বন আধিকারিক মণীশ সিংহ জানিয়েছেন, প্রথমে গ্রামবাসীরা দাবি করছিলেন নেকড়ে হামলা চালিয়েছে৷ তবে এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি৷ পরে বিষয়টি খতিয়ে দেখে বনকর্মীরা নিশ্চিত হয়েছেন শিয়ালের হামলা ছিল৷ শনিবারের এই ঘটনার পর বন দফতর আরও সজাগ রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷ গত শনিবারই উত্তরপ্রদেশের অম্বেডকর নগর জেলাতেও পৃথক একটি ঘটনায় শিয়ালের হামলায় তিন জন জখম হয়েছেন৷ তাঁদেরও নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে চিকিৎসার জন্য৷ মূলত খাবারের সন্ধানেই বনাঞ্চল ছেড়ে লোকালয়ে শিয়াল প্রবেশ করছে বলে মত বন আধিকারিকদের৷

উল্লেখ্য, বহরাইচের ঘটনার পর থেকে উত্তরপ্রদেশ তো বটেই, এমনকি মধ্যপ্রদেশেও মানুষখেকোর আতঙ্ক ছড়িয়েছে৷ শুক্রবার রাতে মধ্যপ্রদেশের খান্দওয়া জেলায় নেকড়ের হামলায় জখম হয়েছেন পাঁচ জন৷ পার্শবর্তী গ্রামগুলিতেও ছড়িয়েছে আতঙ্কের বাতাবরণ৷ পরিস্থিতি যে জায়গায় পৌঁছেছে, তাতে নেকড়ে ভেবে সারমেয়দের হত্যার ঘটনাও প্রকাশ্যে এসেছে বহরাইচ থেকে৷