সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
১৪ই সেপ্ঢেম্বর’২০২৪,‘প্রভাতসঙ্গীত দিবসে’র ৪২তম বর্ষপূর্ত্তিতে রেণেশাঁ আর্টিস্ট এন্ড রাইটার্স এ্যসোসিয়েশন সংক্ষেপে রাওয়া’র পক্ষ থেকে কলকাতার ভি.আই.পি বাজার, তিলজলাস্থিত আনন্দমার্গ প্রচারক সঙ্ঘের কেন্দ্রীয় আশ্রমে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷ ১৯৮২ সালের ১৪ই সেপ্ঢেম্বর দেওঘরে ‘বন্ধু হে নিয়ে চলো’ এই সঙ্গীতের মাধ্যমে প্রথম প্রভাতসঙ্গীত রচনা ও সুরারোপ করেন মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার তথা আনন্দমার্গের প্রতিষ্ঠাতা মহান ধর্মগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী৷১৯৮২ সালের ১৪ই সেপ্ঢেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের ২০শে অক্টোবর পর্যন্ত মাত্র ৮বছর সময় কালে তিনি বাংলা, সংস্কৃত, ইংরেজী, হিন্দী, ঊর্দু, অঙ্গিকা, মগহী ও মৈথিলী এই প্রভৃতি ভাষায় ৫০১৮ সঙ্গীত রচনা ও সুরারোপ করেন৷ এই বিশাল সঙ্গীত সম্ভারই বর্তমান বিশ্বে ‘প্রভাতসঙ্গীত’ নামে জনপ্রিয় ও সুপরিচিত৷ ১৪ই সেপ্ঢেম্বর প্রথম ‘প্রভাতসঙ্গীত’ রচনা ও সুরারোপ করা হয় বলেই এইদিনটি ‘প্রভাতসঙ্গীত দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে৷
রাওয়া আয়োজিত ‘সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে’ সভাপতিত্ব করেন আনন্দমার্গ প্রচারক সঙ্ঘের পুরোধা বোর্ডের সচিব তথা প্রবীণ সন্ন্যাসী আচার্য ভবেশানন্দ অবধূত৷ এছাড়াও অতিথিগণের মধ্যে ছিলেন-সঙ্ঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আচার্য সুতীর্থানন্দ অবধূত, কেন্দ্রীয় কার্যালয় অধ্যক্ষ আচার্য সুধাক্ষরানন্দ অবধূত, কেন্দ্রীয় জনসংযোগ সচিব আচার্য দিব্যচেতনানন্দ অবধূত, আনন্দমার্গ প্রচারক সঙ্ঘের মহিলা বিভাগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যা তথা প্রবীণ সন্ন্যাসিনী অবধূতিকা আনন্দ করুণা আচার্যা, সঙ্ঘের নারীকল্যাণ বিভাগের প্রধানা অবধূতিকা আনন্দ বিশোকা আচার্যা৷
মার্গ গুরুদেব শ্রীশ্রীআনন্দমূর্তীজীর্ প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও প্রদীপ প্রজ্বোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ হয়৷ ‘প্রভাতসঙ্গীত’ অবলম্বনে সমবেত সঙ্গীত, একক সঙ্গীত, সমবেত নৃত্য, একক নৃত্য পরিবেশিত হয়৷ প্রবীণ প্রভাতসঙ্গীত শিল্পী আচার্য নিত্যসত্যানন্দ অবধূত,প্রভাতসঙ্গীতজ্ঞ আচার্য প্রিয়শিবানন্দ অবধূত এঁরা এই অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেন৷ এছাড়াও সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী শ্রীমতি শ্বাশ্বতী চৌধুরী, শিল্পী অবধূতিকা আনন্দ অভীষা আচার্যা প্রমুখ৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শ্রীতপোময় বিশ্বাস৷
চুঁচুড়ায় প্রভাত সঙ্গীত দিবস---গত ১৪ই সেপ্ঢেম্বর চুঁচুড়া আনন্দমার্গ স্কুলে প্রভাত সঙ্গীত দিবস পালিত হয়৷ ওইদিন প্রভাত সঙ্গীত ও প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্য পরিবেশন করেন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রাবৃন্দ৷ প্রভাত সঙ্গীতের ওপর ক্যুইজ প্রতিযোগিতা হয়৷ অনুষ্ঠান শুরু হয় প্রথম প্রভাত সঙ্গীত--- ‘বন্ধু হে নিয়ে চলো’ এই গানটির পরিবেশন করে৷ দুর্র্যেগপূর্ণ আবহাওয়োর মধ্যেও অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রাবৃন্দ উৎসাহের সঙ্গে অনুষ্ঠানে যোগ দেন৷ ক্যুইজ ও সঙ্গীত পরিচালনা করেন শিক্ষক তপোময় কুণ্ডু, নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন পরিক্ষিত চক্রবর্তী, সঞ্চালনা ও প্রভাত সঙ্গীতের ওপর আলোকপাত করেন স্নেহময় দত্ত৷ স্কুলের শিক্ষক রঞ্জন দে, মানস মণ্ডল, রঞ্জিত দাস প্রমুখের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান সফল হয়ে ওঠে৷