পৃথিবীর জলসম্পদের সংরক্ষণ

Baba's Name
শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার

পূর্ব প্রকাশিতের পর

নদী

তিন ধরনের নদী হয় –– বরফগলা জলে পুষ্ট নদী, বৃষ্টির জলে পুষ্ট নদী, আর ভূ–গর্ভস্থ জলে পুষ্ট নদী৷ প্রথমটির ক্ষেত্রে যখন তাপমাত্রা বাড়ে তখন নদীতে বন্যা হয়, আর বাকী দু’ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ঋতু অনুযায়ী যখন ভারী বৃষ্টিপাত হয় তখন বন্যা হয়৷ অবশ্য তাপমাত্রা বেশী বাড়লে এই ধরনের নদী শুকিয়েও যায়৷

রাঢ়ের নদীগুলি বারমাস জলে ভর্ত্তি থাকে, না সেগুলি ঋতু নির্ভর? তারা আসলে কী বরফ গলা জলে পুষ্ট বা বৃষ্টির জলে পুষ্ট বা আর্তেশীয় জলস্তরের নিকটবর্ত্তী হওয়ার কারণে তারা কী ভূগর্ভস্থ উৎস থেকে জল পায়? অনেক বৃষ্টির জলে পুষ্ট নদী জল–সরবরাহ পায় বর্ষাকালে, অন্য ঋতুতে নয়৷ মধ্য রাঢ়ের নদীগুলিও বৃষ্টির জলে পুষ্ট কিন্তু আর্তেশীয় উৎস থেকেও তারা কিছু জল পায়৷ আমাদের শুধুমাত্র বৃষ্টির জলে পুষ্ট নদীর ওপর নির্ভর করা উচিত নয়৷ কেননা বর্ষাকালে প্রচুর জল জমা হলেও অন্য ঋতুতে তাদের শুকিয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে৷ কিছু বৃষ্টির জলে পুষ্ট নদী ভূ–গর্ভস্থ জলে (আর্তেশীয় উৎস) সারা বছর ধরে পুষ্ট হওয়ার যদি সুযোগ পায়ও, তবুও সেক্ষেত্রে ভূ–পৃষ্ঠস্থ জল সঞ্চয় করে রাখার সব রকম প্রয়াস করা উচিত৷

চার শ্রেণীর নদী হয় –– খুব ক্ষুদ্র নদী (জোড়), ক্ষুদ্র নদী, মাঝারি নদী ও বড় নদী৷ নদীরও আবার তিন’টে স্তর –– পার্বত্য স্তর, সমতল স্তর ও ব–দ্বীপীয় স্তর৷ কিছু নদীর ব–দ্বীপীয় স্তর থাকে না৷ কেননা সমুদ্রে পৌঁছানোর আগেই মাঝপথে নদী হারিয়ে যায়৷ মিথিলা ও মগধের ভূ–সংস্থানকে এ ব্যাপারে উদাহরণ হিসেবে দেখা যাক্৷ মিথিলায় বর্ষাকালে প্রচুর জল বাগমতী, গণ্ডক, কোশী দিয়ে প্রবাহিত হয়৷ এই নদীগুলির পার্বত্য স্তর নেপালে, সমতল স্তর মিথিলায় আর ব–দ্বীপীয় স্তর বাঙলায়৷ মিথিলায় সমতলের মাটি নরম মাটি৷ তাই এ নদীগুলি বার বার গতিপথ পরিবর্তন করে৷ এদের কোনোটারই ব–দ্বীপীয় স্তর মিথিলায় নেই৷ এই নদীগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে মিথিলা ও বাঙলার যৌথ সহযোগিতা চাই৷

মগধে কিন্তু নদীগুলির পার্বত্য ও ব–দ্বীপীয় স্তর মগধেই –– ব্যতিক্রম শুধু সুবর্ণরেখা যা দক্ষিণ মগধ ও উত্তর ছত্রিশগড়ের সীমান্ত দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে৷ মগধ ও কোশলের পারস্পরিক সহযোগিতায় কোয়েল নদীকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়৷ বস্তুতঃ মগধ ও কোশলের অনেক সমস্যা একই ধরনের৷

কোনো নদীকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্যে বা তাকে বশে আনার জন্যে বিশেষজ্ঞদের দিয়ে শক্তিশালী বোর্ড প্রতিষ্ঠা করা দরকার যাতে নদীর তিনটি স্তর সম্পর্কে অভিজ্ঞ লোকেরা থাকবেন৷ এর ফলে নদী পরিকল্পনা সফলভাবে রূপায়িত হতে পারবে৷ আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী কোনো দেশই নিজের ইচ্ছামত নদীর জল ব্যবহার করতে পারে না৷ পার্বত্য স্তর, সমতল স্তরের সঙ্গে ও সমতল স্তর ব–দ্বীপীয় স্তরের সঙ্গে পারস্পরিক আলোচনা করে নেবে৷ উদাহরণস্বরূপ, নেপালের যেসব নদী ভারতের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়, কিছু করতে গেলে নেপালকে তাদের সমতল স্তর ও ব–দ্বীপীয় স্তরের কর্ত্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে নিতে হবে৷ যদি এই তিনের মধ্যে সহযোগিতা না থাকে, যেসব নদী পার্বত্য স্তর থেকে আসছে বা ব–দ্বীপীয় স্তরে অবরুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে, তারা এক বিশাল এলাকাকে প্লাবিত করবে৷ মগধ সেক্ষেত্রে এক সুবিধাজনক অবস্থায় আছে কেননা তাদের নদীগুলির পার্বত্য ও সমতল স্তর মগধের মধ্যেই৷

বনসর্জন

সব জলপ্রবাহের দু’টি তীরই গভীর অরণ্যে আচ্ছাদিত হওয়া উচিত৷ এর পিছনে বিজ্ঞানটা হ’ল এই যে গাছের শেকড় জলকে ধরে রাখে৷ যখন জলস্তর নীচে নেমে যায় তখন গাছের শেকড় ধীরে ধীরে জল ছাড়তে থাকে৷ তাই গাছপালা দিয়ে ঘেরা পুকুরের জল কখনই সম্পূর্ণ শুকিয়ে যাবে না৷ গাছের পত্ররাজি জলের বাষ্পীভবনের মাত্রাকেও কমিয়ে রাখে৷ এছাড়া গাছের পাতায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্র থাকে যা মেঘকে আকর্ষণ করে৷ এইভাবে গাছ বৃষ্টিপাত বাড়াতে সাহায্য করে৷ মাত্র একশ বছর আগেও রাা ভূমিতে বিশাল বিশাল অরণ্য ছিল৷ সে সময় মানভূম জেলাতে বাৎসরিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৭০ থেকে ৮০ ইঞ্চি৷ এখন তা কোনো রকমে ৪০ থেকে ৪৫ ইঞ্চি মাত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে৷

বনরচনার যে–কোনো বিজ্ঞানসম্মত পরিকল্পনার দু’টো দিক থাকা উচিত৷ প্রথম স্তরে, শীঘ্র বাড়ে এমন গাছ লাগাতে হবে৷ সেই গাছই নির্বাচিত করতে হবে যা ছয় মাস বা দু’ বছরের মধ্যে পূর্ণ উচ্চতায় পৌঁছে যায় আর গহন সবুজ বনানী তৈরী করে দেয়৷ দ্বিতীয় স্তরে যেসব গাছ বর্ধিত হতে বেশী সময় নেয় কিন্তু তারাও গহন সবুজ বনানী তৈরী করে, তাদের লাগাতে হবে৷ এই পদ্ধতিতে কোনো অঞ্চলের পরিবেশগত ভারসাম্য দ্রুত পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে৷

নিবিড় বনসর্র্জন আর বিস্তৃতভাবে বনসর্জন –– দু’ভাবে এই কাজ করতে হবে৷ সবচেয়ে ভাল উপায় হ’ল শীঘ্র বাড়ে ও ধীরে বাড়ে এই দু’ধরনের গাছই একসঙ্গে লাগানো৷ শুধুমাত্র ধীরে বাড়ে এমন গাছ লাগানোটা আর্থিক দিক দিয়ে লাভজনক হবে না৷ কেননা আশানুরূপ ফল পেতে গেলে ৩০, ৫০, ৭০ বা ১০০ বছরও অপেক্ষা করতে হতে পারে৷ আর শীঘ্র বাড়ে শুধু সেই ধরনের গাছ লাগালেও তা থেকে কোনো দীর্ঘকালীন সুফল পাওয়া যাবে না৷ তাই অবিলম্বে নিবিড়ভাবে ও বিস্তৃতভাবে, এই দুইভাবে বন রচনার কাজ করতে হবে৷ পূর্ণত্বে পৌঁছানোর পরেই বাছাই করে গাছ কাটা উচিত আর তা বিক্রয় করা উচিত৷

পুকুর–বাঁধ–খাল–স্ বা জলাশয়ের পাড়েও বন রচনা করা উচিত৷ যেমন, এ সব স্থানে বাবুল বা খয়ের গাছ লাগানো যেতে পারে৷ এদের মাঝখানে লাগানো যেতে পারে বকফুল৷ আবার তাদের মাঝখানে লাগানো যেতে পারে ভারতীয় প্রজাতির শাল৷ এর কারণ হ’ল বকফুল খুব তাড়াতাড়ি বাড়ে ও পাঁচ বছরেই দীর্ঘ বৃক্ষে পরিণত হয়৷ কিন্তু বাবুল বাড়তে এর থেকে বেশী সময় নেয়৷ শাল গাছ বাড়ে ধীরে৷ কিন্তু অনেক দিন বাঁচে৷ এই ভাবে বকফুলের গাছ তাড়াতাড়ি বড় হয়ে সেগুলি মেঘকে আকর্ষণ করে বৃষ্টিপাত ঘটাবে ও অন্য গাছকেও বাড়তে সহায়তা করবে৷ তারপর পাঁচ–ছয় বছরে সেই গাছগুলি পূর্ণত্বে পৌঁছলে কেটে ফেলা যাবে৷ কিন্তু ততক্ষণে শালের এক গভীর বন তৈরী হয়ে যাবে৷

এই গাছগুলির আবার অন্যদিক থেকেও উপযোগিতা আছে৷ যেমন বকফুলের পাতা গোরুর দুধ বাড়ায়৷ আবার এর পাতা বা কাণ্ড থেকে সুতোও তৈরী করা যায়৷ শালগাছ বৃষ্টিপাত বাড়ায় আর গোড়ায় জল ধরে রাখে৷ এর ফুল থেকে প্রচুর পরিমাণে মধু পাওয়া যাবে৷ পাতা থেকে পত্রথালি তৈরী করা যাবে৷ রস থেকে আঁঠা তৈরী হবে যা ধূপবাতি শিল্পে ব্যবহৃত হবে৷ আর গাছে অ–তুঁত রেশমের চাষ হবে যা থেকে তসর সিল্ক্ পাওয়া যাবে৷ এর বীজ মানুষের খাদ্য যা গরীব লোকেরা খায়৷ আর শালের মধুর ঔষধীয় গুণ থাকায় আর্থিক দিক দিয়ে মূল্যবান, কেননা তা রপ্তানিযোগ্য পণ্য হিসেবে বিদেশী মুদ্রা আনতে পারবে৷ যদি প্রয়োজন হয় শালের মাঝখানে পিয়াশালও লাগানো যেতে পারে৷ এইভাবে ধাপে ধাপে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে৷

বিজ্ঞানসম্মত ভাবে শস্য উৎপাদন, জল সংরক্ষণ ব্যবস্থার এক অত্যাবশ্যক অঙ্গ৷ যেমন বার্লির ক্ষেতের থেকে শাকসব্জির ক্ষেতে  বেশী জল লাগবে৷ যদি দুই ধরনের ক্ষেত পাশাপাশি থাকে তা হলে তরকারীর ক্ষেত মোট সেচের জলের ৭৫ ভাগ জল টেনে নেবে৷ বাকী পঁচিশ ভাগ জল যদি বার্লি ক্ষেতের দিকে বইয়ে দেওয়া হয় তাহলে ওই ক্ষেতের সেচের জন্যে সেই জল হবে যথেষ্ট৷ বার্লি ফসলের জন্যে আলাদা কোনো সেচের ব্যবস্থা রাখার দরকার পড়বে না৷

ফলের গাছ গোড়ায় যথেষ্ট জল ধরে রাখতে পারে৷ তাই নদীর দুই ধারে আর শস্য ক্ষেতের কাছে ফলের গাছ লাগানো উচিত৷ এতে জল সংরক্ষণের সুবিধা হবে৷ আনন্দনগরে ফসল কাটা হয়ে গেলে জমির জল অলকানন্দা (আলকুশি) ও পরাগতির (পরগো) জোড়ে গিয়ে পড়ে৷ এতে ক্ষেত শুকিয়ে যায়, অল্প দিন পরে জোড়ও শুকিয়ে যায়৷ কেননা জমি থেকে চোঁয়ানো জলের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়৷ এ সমস্যা সমাধানের জন্যে জোড়ের ধারে ফলের গাছ লাগানো উচিত৷ ফলগাছের গোড়ায় সঞ্চিত জল মাটিকে সরস ও উর্বর করে রাখবে৷ এটা দেখতে হবে যাতে ফল গাছের শাখা–প্রশাখা শস্যের ক্ষেতে সূর্যরশ্মিকে না আটকে দেয়৷ যদি এ নিয়ম মেনে চলা হয় তাহলে ফসল কাটার পরে জমি জলহীন হয়ে পড়লেও জোড়ে কিন্তু জলের প্রবাহ বজায় থাকবে৷ যদি নদীর দু’ধারে ফল গাছ লাগানো হয় তাহলে সেগুলি জল সঞ্চিত করে রাখবে৷

বুদ্ধিহীন ও লোভী মানুষেরা নদীর দু’পাড়ের সব গাছই কেটে ফেলেছে৷ তাই এখন অনেক নদী মৃতপ্রায়৷ কে বিশ্বাস করবে যে আজ থেকে একশ পঞ্চাশ বছর আগেও ক্ষাংলার ময়ূরাক্ষী নদীতে বড় বড় নৌকা চলাচল করত? আজ ময়ূরাক্ষী এক ছোট নদী, কেবল বর্ষাকালে ছোট নৌকো নদীর বুকে চলাচল করে৷ নদী তীরের সব বন নিশ্চিহ্ণ৷ বনের বড় বড় গাছ তাদের গোড়ায় যে জল ধরে রাখে তা নিয়ন্ত্রিত ভাবে তারা ছাড়ে বলে নদীর নাব্যতা বজায় থাকে৷ এখন তোমরা অরণ্যের গুরুত্ব ও উপযোগিতা বুঝতে পারলে তো? ময়ূরাক্ষী নদীর ধার ঘেঁসে কটাসু গ্রামে আমি একবার পুরনো জাহাজের মাস্তুলের টুকরো খুঁজে পেয়েছিলুম৷ এতে প্রমাণিত হয় যে এক সময় এই নদীর ওপর দিয়ে বড় বড় জাহাজ চলাচল করত৷ আমি দামোদর নদীর তীরেও এমন জিনিস দেখেছি৷ অরণ্য ধ্বংস করার ফলে এই নদীগুলি শুকিয়ে আসছে, তাই বৃষ্টিপাতও গেছে কমে৷

আমাদের জল–সংরক্ষণ পরিকল্পনার মূল ভাবধারা হ’ল এই যে, ভূ–পৃষ্ঠস্থ জলের বর্তমান পরিমাণকে অবিলম্বে বাড়িয়ে দ্বিগুণ করতে হবে৷ তবে সবচেয়ে ভাল হয় তা যদি দশ গুণ বাড়ানো যায়৷ এর জন্যে শ্রেষ্ঠ উপায় হ’ল জল সংরক্ষণের জন্যে এক বিকেন্দ্রিত ব্যবস্থা নেওয়া যা জল ভাণ্ডার তৈরী বা সেই সংক্রান্ত ব্যবস্থার গভীরতা ও পরিধি বা দুই–ই বাড়িয়ে দেবে৷ প্রথম পদক্ষেপ হ’ল, ওইসব পুকুর, বিল, বাঁধ, সায়র, নদী আর বড় জলাধারের –– যা বর্তমানে জলসঞ্চয়ের জন্যে ব্যবহৃত হচ্ছে ––তার গভীরতা বাড়িয়ে দেওয়া৷ দ্বিতীয় পদক্ষেপ হ’ল এই স্টোরেজের (জলভাণ্ডার) সুবিধাপ্রাপ্ত এলাকা ক্ষাড়িয়ে দেওয়া৷ আর তৃতীয় পদক্ষেপ হ’ল এদের চারিপাশে গাছের সংখ্যা পর্যায়ক্রমে ক্ষাড়িয়ে চলা৷ এই নোতুন গাছ লাগানোকে দশ গুণ কীভাবে করা যাবে? এ জন্যে প্রত্যেক স্টোরেজ ব্যবস্থার চারপাশে গাছের সারি পাঁচ গুণ করে দিতে হবে আর প্রতিটি গাছের মধ্যবর্ত্তী দূরত্ব কমিয়ে অর্ধেকের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে ৷ এর অতিরিক্ত অনেক ছোট ছোট পুকুর, বাঁধ, বিল, সায়র ও জলাধার তৈরী করতে হবে৷ একটা সাধারণ নিয়ম মেনে চলতে হবে যে ভূ–গর্ভস্থ জলের তুলনায় ভূ–পৃষ্ঠের জলের ব্যবহারকে বেশী প্রাধান্য দিতে হবে৷

তুমি আগে নিজেকে তৈরী কর৷ জ্ঞানের পরিধি বা পরিক্ষেত্র ক্ষাড়ানো বা জ্ঞানের বিস্তার নিজেকে নিয়ে শুরু করতে হয়৷ মানবতা তোমার দিকে তাকিয়ে আছে৷ তুমি জান তুমি কে, আর পৃথিবীর মানুষ তোমার কাছে কী আশা করে৷  আজকের পৃথিবীর সব সমস্যার সমাধান তোমাকেই করতে হবে৷ তোমরা বিস্তারিত ভাবে কাজের পরিকল্পনা তৈরী করে নাও আর সেই অনুযায়ী কাজে লেগে যাও৷ তোমাদের পথ প্রদর্শক হতে হবে৷

২৫ মার্চ ১৯৮৯, কলিকাতা