February 2022

বিজ্ঞান হোক সেবা ও কল্যাণের জন্যে

প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকেই অর্থাৎ আনুমানিক দশ লক্ষ বছর আগে– পৃথিবীতে মানবজাতি আসার ঊষালগ্ণ থেকেই–বিজ্ঞানের সঙ্গে মানুষের জীবন অচ্ছেদ্যভাবে সম্পর্কিত৷ যতদিন পর্যন্ত একজন মানুষও থাকবে ততদিন বিজ্ঞানের যুগ থাকবে৷

জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সর্বাত্মক জয়লাভের ইচ্ছা মানুষের মধ্যে আদিম ও অনন্ত প্রয়োজনীয় বা অপ্রয়োজনীয়–জীবনের সকল ক্ষেত্রে ছোট হয়ে বাঁচাটা মানুষের পক্ষে অভাবনীয়৷ অনন্তকাল ধরে’ প্রকৃতির আজ্ঞাবহ ভৃত্য হিসেবে বাঁধাধরা পথে চলার ধারণা কোনদিনই তার মনঃপুত নয়৷ যেহেতু তাকে টিকে থাকতে হয় আপাতঃ প্রতিকূল স্থূল জগতে, তাই তমোগুণী প্রকৃতিকে জয় করতে গিয়েই উদ্ভব হয়েছে Science বা ভৌতিক বিজ্ঞানের৷

নেতৃত্বের সংকট ও সমাধান 

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

বহু দলীয় গণতন্ত্রে নেতার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ কারণ যদিও গণতন্ত্র প্রসঙ্গে বলা হতে থাকে জনগণের জন্যে-জনগণের দ্বারা জনগণের সরকার৷ সার্থক গণতন্ত্র তখনই সম্ভব যখন রাষ্ট্রের কমপক্ষে ৫১ শতাংশ মানুষ শিক্ষিত ও সামাজিক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে সচেতন হবে৷ ভারতবর্ষে তথাকথিত শিক্ষিত মানুষের একটা বড় অংশ আজও সামাজিক অর্থনৈতিক রাজনৈতিক বিষয়ে শুধু অসচেতন নয়, অজ্ঞ বলা চলে৷ এই অবস্থায় ভারতীয় গণতন্ত্র দলতন্ত্রে পরিণত হয়েছে৷ অর্থাৎ দলের দ্বারা, দলের জন্যে, দলের সরকার৷ আবার দল নির্ভর করে ব্যষ্টি নেতৃত্বের ওপর৷ তাই ভারতীয় গণতন্ত্রে ব্যষ্টি নেতৃত্বকে অস্বীকার করা যায় না৷ ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামে ব্

দলত্যাগ আইন কঠোর হওয়া প্রয়োজন

প্রভাত খাঁ

এদেশে জঘন্য দলবাজীর রাজনীতি গণতন্ত্রকে প্রহসনে পরিণত করেছে৷ স্বাধীনতার পর আজ পর্যন্ত দেশে ৭০ বার রাষ্ট্রপতি শাসন জারী হয়েছে৷ দেশে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা আইন জারী হয়েছে একবার৷

জনগণের সার্বিক কল্যাণ ও স্বনির্ভরতা অর্জনে প্রাউটই একমাত্র পথ

প্রাউটিষ্ট

প্রচলিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে থেকেই  বিভিন্ন ভাবে কি কেন্দ্রীয় সরকার কি রাজ্য সরকার দরিদ্র্য জনসাধারণের সমস্যা সমাধানের নামে নানান পাঁয়তারা কষছেন, নানা ধরণের চমক দিয়ে চলেছেন৷ কিন্তু স্বাধীনতার পর ৭৪ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেল আজও গরীব জনসাধারণের দুর্দশার অন্ত নেই৷ আসলে পুঁজিবাদ বা মার্কসবাদ–এদের কোনটাই দরিদ্র্য মানুষের যথাযথ কল্যাণ করতে পারবে না৷ প্রাউটের অর্থনৈতিক গণতন্ত্রই একমাত্র বিকল্প৷

কোচবিহারে ‘আমরা বাঙালী’র সম্মেলন

গত ১৩ই নভেম্বর কোচবিহার জেলা ত্রিবার্ষিক সম্মেলন মাথাভাঙ্গা নজরুল ভবনে অনুষ্ঠিত হয়৷ দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে জেলা সম্মেলনের  সূচনা করেন কেন্দ্রীয় সচিব জ্যোতি বিকাশ সিনহা৷ সূচনায়  ‘বাঙলা আমার দেশ’ প্রভাতসঙ্গীতটি সমবেতভাবে পরিবেশিত হয়৷

রক্তদান শিবির

আনন্দমার্গ ইয়ূনিবার্সাল রিলিফ টিম সেবাদলের পক্ষ থেকে নিউব্যারাকপুরে আনন্দমার্গ জাগৃতিতে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল৷ শিবিরে ১১জন মহিলা সহ মোট ২৮জন রক্তদান করেন৷

শিবিরের আয়োজন করেন উত্তর ২৪ পরগণার ভুক্তিপ্রধান শ্রী সন্তোষ বিশ্বাস, সেবাদলের পক্ষে আচার্য সন্দৃপ্তানন্দ অবধূত ও স্থানীয় ইয়ূনিটের মার্গী ভাইবোনেরা৷ প্রতিবছরই উত্তর ২৪ পরগণার জেলার পক্ষ থেকে রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হয়৷

 

অমানবিক

নজির বিহীন নির্মমতার স্মৃতি হয়ে থাকলো মালদহ জেলার মানিকচক থানার বাঙাল গ্রামের একটি অমানবিক ঘটনা৷ ওই গ্রামের মাম্পি মাঝি গত ২৯শে অক্টোবর একসঙ্গে তিনসন্তানের জন্ম দেন মালদহ মেডিক্যালে৷ ১৭ই নভেম্বর তিনি তিন সন্তানকে নিয়ে বাড়ী ফেরেন৷

দুর্নীতির নিরিখে ভারত ৮২ নম্বর

‘না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা’ এই স্লোগান ছিল নরেন্দ্র মোদীর মুখে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসার আগে৷ তিনি ভারতবাসীকে অনেক স্বপ্ণ দেখিয়েছিলেন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার আগে৷ কিন্তু আর পাঁচটা স্বপ্ণের মতই মোদির দুর্নীতি মুক্ত ভারত সাতবছরেও অধরা৷

সম্প্রতি ‘ট্রেস’ নামের একটি সংগঠন বিশ্বের ১৯৪ টি দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক ঘুষের নিরিখে সমীক্ষা চালিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷ তাতে ভারতের স্থানঃ ৮২ নম্বরে৷ গত বছরে ভারতের স্থান ছিল ৭৭ নম্বর৷ অর্থাৎ একবছরে মোদির ভারত ঘুষের নিরিখে দুর্নীতিতে আরও পাঁচ ধাপ নেমেছে৷

খুলছে বাঙলা ডেয়ারি

নভেম্বরের শেষ থেকেই পশ্চিমবাঙলায় রাজ্য সরকারের উদ্যোগে চালু বাঙলা ডেয়ারি৷ হাওড়ার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন---চলতি মাসের শেষ থেকেই বাঙলা ডেয়ারি পথ চলা শুরু করবে৷ বেসরকারী সংস্থা চাইলে বাঙলা ডেয়ারির সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে৷ আপাতত বাঙলা ডেয়ারি প্যাকেটজাত ঘি, পনির, লস্যি ইত্যাদি বিক্রি করবে৷ প্রশাসনিক কর্র্তরা জানান এখুনি রাজ্যে ৫১২ টি বিপণন কেন্দ্র খোলা হচ্ছে৷ এখান থেকেই ওই সব দুগ্দজাত দ্রব্য বিক্রয় করা হবে৷ তবে প্রশাসনের লক্ষ্য আছে  ৬০০-এর বেশি বিপণন কেন্দ্র খোলার৷ এইসব কেন্দ্র থেকে রাজ্যের মানুষ সহজে ও সস্তায় দুগ্দজাত উৎপন্ন দ্রব্য সংগ্রহ করতে পারবে৷