February 2022

প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে কর্মশালা

গত ১৫ই নভেম্বর প্রভাত সঙ্গীত   অবলম্বনে কর্মশালার উপর জাতীয় ওয়েবিনারের আয়োজন করে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের বিদ্বৎ শাখা রেঁণেসা ইয়ূনিবার্সাল৷ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্ধ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ রাজেন্দ্র কুমার কামাকার৷ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে তিনি বলেন প্রভাত সঙ্গীতের ভক্তিভাব হৃদয়ের গভীরে স্পর্শ করে৷ ওয়েবিনারে প্রধান বক্তা ছিলেন আর ইউ ও রাওয়া সেক্রেটারী আচার্য দিব্যচেতনানন্দ অবধূত৷ তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে সঙ্গীত জগতে প্রায় সাত হাজার বছর আগে ভগবান সদাশিবের অবদানের কথা৷ সদা শিবই সুর সপ্তকের আবিষ্কার করেন৷ এছাড়া বক্তব্য রাখেন নারায়ণ পাণ্ডা, কে অনুরাধা, ডঃ সরস্বতী বিদ্যার্থী৷ দীপান্বিতা দেব

নারীর প্রতি অবিচার ঃ ভাষা ব্যবহারে

এই দশ লাখ বৎসরের মানুষের ইতিহাসে মানুষের প্রতি সুবিচার করা হয়নি৷ মানুষের একটি শ্রেণী, একটি বর্গের প্রতি বেশী বাড়াবাড়ি করা হয়েছে, বেশী আদিখ্যেতা করা হয়েছে, ও তা, করতে গিয়ে অন্যকে তাচ্ছিল্য করা হয়েছে৷ একজন মানুষ লড়াই করল, মরল, আত্মদান দিল, কাগজে বড় করে তা ছেপে দেওয়া হ’ল, আর সে মরে যাওয়ার পর ছোট ছোট ছেলেমেয়েগুলিকে নিয়ে তার বিধবা স্ত্রীকে কী ধরণের অসুবিধায় পড়তে হ’ল সেকথা খবরের কাগজে বড় করে ছাপানো হ’ল না অর্থাৎ একতরফা বিচার করে আসা হয়েছে৷ যদিও ব্যাকরণগত ব্যাপার, আর হঠাৎ বদলানো যায় না, তবু ‘ম্যান’ ‘man’ এই কমন জেণ্ডারের মধ্যে ‘ম্যান’, আর ‘ওম্যান’ •woman— দুই–ই এসে যায়৷ অথচ ‘ওম্যান’ এই কমন জেন্ডার

নারীর নামের সঙ্গে ‘শ্রীমতী’

কিছুকাল আগেও কেউ কেউ বিধবা নারীর নামের সঙ্গে ‘শ্রীমতী’ বা ‘দেবী’ না লিখে ‘শ্রীমত্যা’ বা ‘দেব্যা’ লিখতেন৷ এরকম লেখা ব্যাকরণের দিক দিয়ে ত্রুটিপূর্ণ তো বটেই, নারীর পক্ষে মর্যাদা হানিকরও৷ কারণ, বিধবা কী এমন অপরাধ করেছে যে জন্যে তাঁর শ্রীমতীত্ব বা দেবীত্বকে এই ভাবে ছিনিয়ে নেওয়া হবে বৈয়াকরণিক বিচারে ‘শ্রীমত্যা’ মানে ‘শ্রীমতীর দ্বারা’, ‘দেব্যা’ মানে ‘দেবীর দ্বারা’৷ অথবা–সধবা–বিধবা নির্বিশেষে সব নারীর নামের সঙ্গেই ‘শ্রীমতী’ বা ‘দেবী’ শব্দ ব্যবহূত হতে পারে৷ এতে কোন সামাজিক বাধাও নেই, আবার বৈয়াকরণিক আপত্তিও নেই৷ ইংরেজী ‘মিস’ ত্তন্ব্দব্দগ্গ শব্দের অনুকরণে বাঙলায় অধবা মেয়েদের নামের আগে যে ‘কুমারী’ শব্দ

ভাইফোঁটা

কৌশিক খাঁটুয়া

দিদিদের বাড়িতে সাজো সাজো রব

শুক্লা দ্বিতীয়ার ভাইফোঁটা উৎসব৷

নিমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকায় আমি,

অনাহত নয় আমি, আজ বড় দামী!

দলে দলে জড়ো হই দিদিদের ঘরে,

ললাটে চন্দন টিকা জ্বল জ্বল করে৷

ভাইফোঁটা নিয়ে হতে হবে আয়ুষ্মান,

জগতের কাজ করে হব সুমহান৷

পরবর্তী নির্দেশ ভীষণ জরুরি,

সবিনয়ে সে আদেশ পালন করি৷

ভোজনে আসন গ্রহণ, কত বড় কাজ৷

এর থেকে বড় কাজ ছিল নাতো আজ৷

মধ্যাহ্ণ ভোজনে আজ নানাবিধ পদ,

পদে পদে ছয়লাপ বাড়ায় বিপদ৷

অবাধ্য ডাক্তারি নিষেধ

খাওয়ার নাই ভেদাভেদ

নামে–দামে

শিবরাম চক্রবত্তী

 বাঙলার সম্পদ সত্যজিৎ রায়

            ‘অস্কার’ পুরস্কার পান,

‘পথের পাঁচালী’ শ্রেষ্ঠ গল্প

            বিভূতিভূষণের দান৷

অমর্ত্য সেন বাঙলার রত্ন

            অর্থনীতিতেই,

‘নোবেল’ প্রাইজ পেয়েছিলেন

            যোগ্যতায় জিতেই৷

বঙ্গের ভূষণ (বিজ্ঞানী) জগদীশ বসু

            গাছের যে প্রাণ আছে,

(প্রথম) গবেষণায় প্রমাণ করে

            বলেন সবার কাছে৷

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর

            বাংলা ভাষা রক্ষায়,

জয় বাঙলা ধ্বনি তুলে

            ‘বাঙলাদেশ’ গড়ে নেয়৷

কিশোর বিপ্লবী

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

সেটা ১৯০৬ সাল৷  সারা দেশ ব্রিটিশের অত্যাচারে অতিষ্ট৷ মুক্তি পাগল দেশবাসীর মনে  স্বাধীনতার স্পৃহা জাগাবার জন্য সশস্ত্র উষ্ণ রক্ত বিপ্লবীর দল সবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে৷ ফেব্রুয়ারি মাস মেদিনীপুর শহরের একটি পুরোনো জেলখানার প্রাঙ্গনে কৃষি শিল্পের প্রদর্শনী শুরু হয়েছে৷ নানান লোকের আনাগোনা চলছে৷  দর্শকের সংখ্যা নিতান্ত কম নয়৷ একটি বালক রোজই আসে৷ মেলা দেখে চলে যায়৷

মেলা আরম্ভ হবার ৮ দিন পর  শুরু হলো পুরস্কার বিতরণী সভা৷ জেলায় যত হোমড়া-চোমড়া এবং বড় সরকারী কর্মচারী যোগ দিলেন সেই সভায়৷ চারদিকে হৈচৈ পড়ে গেল৷ অতিথিদের আপ্যায়ণে সভার উদ্যোক্তারা ব্যস্ত ৷

গল্পের গল্পকথা

অনেকে ভাবে ‘গল্পষৰ’ বুঝি একটি সংস্কৃত শব্দ৷ না, এটি একটি গৃহীত সংস্কৃত শব্দ অর্থাৎ যে শব্দ মূলতঃ সংস্কৃত নয়, অন্য ভাষা থেকে নেওয়া হয়েছে যেমন ‘গুবাক’, ‘রজ্জু’, পান অর্থে ‘পর্ণ’, মাছ অর্থে ‘মীন’, গ্রাম অর্থে ‘পল্লী’---এরা সবাই গৃহীত সংস্কৃত৷ ‘গল্প’ শব্দটি তাই-ই৷ গল্প / গল্পিকা দুটোই গৃহীত শব্দ৷ সংস্কৃতে এরকম গৃহীত শব্দগুলির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হ’ল এদের ব্যুৎপত্তি পাওয়া যায় না৷

ফের ক্রিকেট ফিরছে ভারতে

গত বুধবার থেকেই জয়পুরের সোয়াই মানসিংহ স্টেডিয়ামে ভারত ও নিউজিল্যাণ্ডের ম্যাচ দেখার জন্য  ১০০ শতাংশ দর্শকদের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, আর প্রথম দিনেই দর্শকদের উদ্বেগ ছিল দেখার মতো৷ কিন্তু কোভিড বিধি শিকেয় তুলে দিয়ে এ কীরকম রূপ দর্শকদের৷ এই অতিমারির সময় যে ক্রিকেটের মতো জনবহুল খেলা দেখার অনুমতি সরকার যে দিয়েছে এটাই অনেক৷ আর এটা প্রত্যেককে দেওয়া হয়েছে সম্পূর্ণ কোভিড প্রোটোকলের আওতায় থেকে৷ কিন্তু অসচেতন দর্শক নিজেদের উদ্বেগের বশে নিজেদের হুঁশ হারিয়ে সমস্ত কোভিড বিধি ভঙ্গ করে ফেলেছেন৷ না না হলে কীভাবে কোন মাস্ক ছাড়া মাঠের মধ্যে দেখা গেল বহুল দর্শকদের৷ রাজস্থান সরকার জানিয়েছিল, মাঠে ঢুকতে গেলে দর্শকদে

১২বার কলকাতা লিগ ঢুকলো মহামেডানে

গত বৃহস্পতিবার যুবভারতীতে রেলওয়ে এফসি-কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ান হল সাদাকালো বিগ্রেড৷ দুই প্রধানের অনুপস্থিতিতে মহামেডান ম্যাচ জেতার যেন সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে গেছে৷ ম্যাচের এক মাত্র গোলটি করে মার্র্কস৷ তা এই নিয়ে ১২ বার কলকাতা লিগ ঢুকল মহামেডানে৷

ফাইনালে যুবভারতীতে প্রায় ৪০ হাজার দর্শক উপস্থিত ছিলেন৷ ম্যাচের শুরু থেকেই চাপ দেওয়া শুরু করে মহামেডান৷ দলের সেরা তিন অস্ত্র মার্র্কস, আজহারউদ্দিন ও ফৈয়াজকে শুরু থেকেই খেলতে নামিয়েছিলেন কোচ আন্দ্রেই চের্নিশভ৷ তার ফল মেলে হাতে নাতে৷ দ্বিতীয় মিনিটেই গোল করে দলকে এগিয়ে দেন মার্র্কস৷