February 2022

নীলকণ্ঠ দিবসের আহ্বান---শোষণ মুক্ত নোতুন বিশ্বের

পথিক বর

জগৎগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী তাঁর একটি বাণীতে বলেছেন ---

‘‘ইতিহাসে দেখা গেছে যখনই মানুষ ধার্মিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক বা অন্য কোন ক্ষেত্রে স্পষ্ট কথা বলেছে, সন্দেহের নিরসন করেছে বা অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে, তখনই তার বিরুদ্ধে পাপ শক্তি ষড়যন্ত্র করেছে, বিষ প্রয়োগ করেছে, অপপ্রচার করেছে, ক্ষেপে মরিয়া হয়ে উঠেছে, ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে৷ নিষ্ঠুর ভাবে আঘাতের পর আঘাত হেনেছে, কিন্তু সেই আঘাতই আবার প্রত্যাহত হয়ে তারই কাছে ফিরে গেছে৷ নিজের আঘাতের প্রত্যাঘাতেই পাপশক্তি বিনষ্ট হয়েছে৷ তোমরা জেনে রেখো, ইতিহাসের অমোঘ বিধানে পাপ শক্তিকে বিধবস্ত হতেই হবে৷’’

ভক্তি পথ নয়, লক্ষ্য

কর্মমার্গ, কর্মযোগ একটা পথ, সাধনাও একটা পথ, ও সেই পথ ধরে লক্ষ্যের দিকে চলতে হচ্ছে৷ জ্ঞানমার্গ (জ্ঞানযোগ)–সেও সাধনার একটা পথ৷ সেই পথ ধরেও লক্ষ্যের দিকে চলতে হচ্ছে৷ কিন্তু ভক্তি একটা পথ নয়, ভক্তি হ’ল লক্ষ্য, যেখানে পৌঁছুতে চাইছি৷ সেই জায়গাটা৷ সুতরাং ভক্তি কোনো ন্তুব্ভপ্তব্ধ নয় অর্থাৎ কোনো বিধি, সাধনা–বিধি নয়৷ ভক্তি হ’ল লক্ষ্য যেখানে পৌঁছুতে চাইছি৷

এপারে বাংলা আজও অনাদৃত

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী বাঙলার ইতিহাসে–এখন আর শুধু বাঙলার ইতিহাসে নয় পৃথিবীর ইতিহাসেই এক স্মরণীয় দিন৷

এপারেও প্রয়োজন ২১-এর আন্দোলন

মনোজ দেব

১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী৷ মাতৃভাষার গৌরব প্রতিষ্ঠার আন্দোলন বিশেষভাবে স্মরণীয় একটা দিন৷ ওই দিন ওপার বাঙলায় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে অবিস্মরণীয় এক ভাষা আন্দোলনের দিন৷

নেতাজীর ভারত গড়ার স্বপ্ণ ও শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের শোষনমুক্ত বিশ্বের চিন্তা

এইচ.এন.মাহাত

ভারতের স্বাধীনতার মুক্তি সূর্য, ব্রিটিশকে ভারত ত্যাগ করতে বাধ্য করার মূল কান্ডারী, মহান বিপ্লবী নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু সম্পর্কে মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার যে মহান বানী উৎসর্গ করেছেন তাহা হলো---’’ পৌরুষের বজ্র কৌস্তব... রাজনীতির জ্বলন্ত ধুমকেতু... উল্কার অনলশিখা, সেই সুভাষচন্দ্রও ছিলেন বংশধারা সূত্রে রাঢ়ের মানুস৷’’ তার জন্মের  ১২৫ বছর পর কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধির জন্য নানা রকমের লোক দেখানো অনুষ্ঠানের অবতারনা করেছেন৷ আজকের নব প্রজন্ম জানতেই পারলেন না নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোসের স্বাধীনতার পূর্বে ভারতের মাটিতে ও বিদেশে যে বক্তব্য রেখেছিলেন তার উদ্দেশ্য কী?

যুক্ত রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে মান্যতা দিয়ে ন্যায় ও সত্যের ভিত্তিতে দেশ শাসিত হোক

প্রভাত খাঁ

স্মরণে রাখা অত্যাবশ্যক তা হলো ধর্ম ও ধর্মমত এক নয়৷ তাই ভারত হলো প্রকৃত সনাতন ধর্মের দেশ৷ তাই ভারতের ঋষিগণ বলতেন, হে অমৃতেরসন্তানগণ- ভূমাকে লাভ করাই জীবনের লক্ষ্য৷ তাই মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ নেই, সবাই এক পরমব্রহ্ম-এরই সন্তান৷ কিন্তু বৈচিত্র্যের মধ্যেই ঐক্য, তাই ভারত সব ধর্মমতকে  মান্যতা দিয়ে থাকে৷ তাই ভারতের সংবিধান ধর্মমত নিরপেক্ষ৷

কিন্তু দেশ ভাগ করে নেতারা মারাত্মক ক্ষতি করে গেছে মানুষের সেই ঐক্য ও সংহতিতেই আঘাত করে৷

মানব দেহের বিভিন্ন চক্রগুলির সহিত মাইক্রোবাইটামের সম্পর্ক

শ্রীসমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

সাধক-দেহে বিভিন্ন গ্রন্থি-উপগ্রন্থিতে পজেটিব্‌ মাইক্রোবাইটামের মাধ্যমে পরমপুরুষ (সদ্‌গুরু) সাধকের ওপর শক্তিসম্পাত করেন৷ মূলাধার চক্র থেকে সহস্রার চক্র পর্যন্ত যোগ-মনস্তত্ত্বের চারটি পর্যায় বা স্তর রয়েছে৷ এরা হ’ল ---

(১) ভৌতিক স্তর physical stratum)

মূলাধার থেকে মণিপুর পর্যন্ত অর্থাৎ মূলাধার, সাধিষ্ঠান ও মণিপুর ---এই তিনটিকে একসঙ্গে বলা হয় ভৌতিক স্তর৷

(২) ভৌতিক মানসিক স্তর physio-psysicological stratum)

মণিপুর হতে বিশুদ্ধ চক্র পর্যন্ত হ’ল ভৌতিক মানসিক স্তর৷

(৩) মানস-আধ্যাত্মিক  স্তর physio spiritual stratum)

আজও জনগণ যদি ঐক্যবদ্ধ ও সচেতন না হন তা হলে মিথ্যাচারী শাসকগণ তাঁদের শোষণ করেই যাবে

নিরপেক্ষ

আজ যাঁরা অতি প্রবীণ তাঁরা দেখছেন ও বুঝছেন যে, বর্তমানে দেশের যাঁরা শাসক ও ভাগ্য বিধাতা তাঁরা প্রতিপদে পদে ঝুড়ি ঝুড়ি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন আর বড়ো বড়ো খবরের কাগজে মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন৷  সারা ভারতের ১৩৫ কোটি মানুষের মধ্যে শতকরা ৯০ শতাংশ মানুসের পেটে  দুবেলা অন্ন জোটে না৷ বাস্তবের মাটিতে যে ভয়ঙ্কর অভাব অনটন  সেটা বুঝতে  তিলমাত্র সময় লাগে না৷ অসহায় জনগণ শাসকদলের ধাপ্পাবাজিকে নীরবে ধিক্কার জানান৷

‘‘২১শে ফেব্রুয়ারী’’- তুমি এসো বারবার

জ্যোতিবিকাশ সিন্‌হা

একুশ ফেব্রুয়ারী ক্যালেণ্ডারের পাতায় একটি খোপ কাটা দিনের পরিচিতি নয়, ২১শে ফেব্রুয়ারী হলো বাংলা ভাষার সম্মান রক্ষার্থে সংগ্রামের এক অগ্ণিক্ষরা  ইতিহাস, একটা আদর্শ ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আত্মবলিদানের মূর্ত্ত প্রতীক৷ এই দিনটিকে স্মরণ করলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে হাজার হাজার মুষ্টিবদ্ধ হাত, দৃঢ়প্রত্যয়ী মুখ আর মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার দুরন্ত সংগ্রাামে সর্বস্ব পণ করা বাঙালীর রণহুঙ্কার৷ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান যা ভারতবর্ষের স্বাধীনতার নামে অনৈতিক, অবৈজ্ঞানিক ও অমানবিকতার নিদর্শন রূপে কেটে দেওয়া অখণ্ড বাঙলার পূর্বাংশ ও যাকে অন্যায়ভাবে পাকিস্তান রাষ্ট্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল---তার অধিবাসী বাঙালীদ