February 2022

আনন্দমার্গ দর্শনভিত্তিক আলোচনা চক্র

গত ১৯শে নভেম্বর শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে অনলাইনে একটি আলোচনা চক্রের আয়োজন করেছিল আনন্দমার্গ প্রচারক সঙ্ঘের বিদ্বৎ শাখা রেণেসাঁ ইয়ূনিবার্র্সল ও ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়৷ অনুষ্ঠানের সূচনায় প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন সুস্মিতা দেবনাথ৷ প্রধান অতিথির ভাষণে অধ্যাপক কপিল কাপুর বলেন--- আনন্দমার্গ দর্শনের বহুমুখিতা ও গভীরতা বোঝাতে বুদ্ধিজীবি মহলে ১০০টি অনলাইন আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল৷ পণ্ডিত সমাজ আনন্দমার্গ দর্শনের সাহিত্য-অর্থনীতি নব্যমানবতাবাদ প্রভৃতি বিষয় নিয়ে গবেষনা করতে বহু বিদ্বৎ-জন এগিয়ে  আসেন৷ ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহন দেব

অপরাধের উৎস খুঁজতে গিয়ে বিজ্ঞান সাহিত্যকলা অপরাধীর কাঠগোড়ায়

প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রীপ্রভাত খাঁ গত২২শে নভেম্বর,অপরাধের উৎস সন্ধান বিষয়ে এক আলোচনায় বলেন---আজ সমাজের কোনায় কোনায় যে অশ্লীলতা যে ব্যাভিচার এর জন্যে শুধু অপরাধীকেই দায়ী করলে চলবে না৷ সমাজতাত্ত্বিক ও শাসককে অপরাধের উৎস খুঁজে বার করতে হবে৷ চটুল সাহিত্যরসের, চলচিত্র-সঙ্গীত ও বিজ্ঞানের অব্যবহার সমাজকে কলুষিত করছে, যুব সমাজের মানসিকতাকে হীন প্রবৃত্তির দিকে ঠেলে দিচ্ছে৷ সমাজে কোন নক্কারজনক ঘটনা ঘটলেই প্রশাসনের ব্যর্থতা নিয়ে ও  অপরাধীর কঠোর শাস্তির দাবীতে সরগোল পড়ে যায়৷

স্নাতক হওয়ার উপহার

পুরুলিয়া জেলার বরাবাজারের লটপদা গ্রামের বাসিন্দা রত্নাবলী শবর  স্নাতক হলেন পুরুলিয়া সিধু-কানু বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে৷ গত বছর বরাবাজারে ফুলঝোরের বাসিন্দা শকুন্তলা শবর, রমনিতা শবর স্নাতক হয়েছিলেন৷ রত্নাবলী স্নাতক হওয়ার পর বরাবাজারের পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁর বাড়ি গিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল স্নাতক হওয়ার জন্য তিনি কি পুরস্কার চান৷ রত্নাবলী পুলিশকে জানায় আমার গ্রামবাসীদের জন্যে একটি নলকূপ চাই৷ পাড়ার মানুষকে দশ মিনিট হেঁটে চল আনতে যেতে হয়৷ তাই পাড়ার নলকূপ হলে সকলের উপকার হবে৷ সেটাই আমার স্নাতকের উপহার৷ 

কৃষি আইন প্রত্যাহারেই কৃষকের দুর্দশা ঘুচবে না

সামনে পাঁচরাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে খারাপ ফলের ইঙ্গিত পেয়ে অবশেষে মোদী সরকার তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেন৷ যদিও সিদ্ধান্ত কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ সংসদে কৃষি আইন প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত কৃষকরা আন্দোলন প্রত্যাহার করছে না৷ অর্থাৎ কৃষকরা মোদির কথায় বিশ্বাস করছেন না৷

ভোট বড় বালাই তাই মাথানত মোদীর---আমরা বাঙালী

সামনে উত্তরপ্রদেশ সহ কয়েকটি রাজ্যের ভোট৷ কয়েকমাস আগেই উত্তরপ্রদেশ পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি হয়েছে৷ তাই কৃষি আইন নিয়ে অনড় প্রধানমন্ত্রী গত ১৯শে নভেম্বর গুরুনানকের জন্মদিবসের প্রাক্কালে কর্ষকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে অবিলম্বে তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানান৷ সামনের সংসদ অধিবেশনে এই তিনটি কৃষি-আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথাও তিনি জানান৷ তীব্র শৈত্যপ্রবাহে, বৃষ্টির জলে, গ্রীষ্মের দাবদাহে আনুমানিক ৭০০ কর্ষকের প্রাণের বলিদানে শেষ পর্যন্ত মোদি সরকার কর্ষকদের কাছে ক্ষমা স্বীকার করে আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন৷ মোদির কৃষি আইন সম্পূর্ণরূপে কর্র্পেরেটদের দ্বারা পরিচালি

নিন্দাবাদের বৃন্দাবনে বাঙালী

একর্ষি

(পূর্বপ্রকাশিতের পর)

(১) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনৈক গবেষক, অধ্যাপক বাঙালী চরিত্রের কতগুলো দোষের কথা যেমন বলেছেন পাশাপাশি তার কারণও অনুসন্ধান করেছেন৷

(২) বাঙালী-চরিত্র সম্বন্ধে বিদেশীদের ধারণা কখনও ভাল ছিল না৷ মিথ্যা কথন, ভীরুতা,মামলা-প্রিয়তা, প্রবঞ্চনা প্রভৃতি বাঙালী চরিত্রে ছিল সুলভ৷

(৩) বাঙালী ভোগলিপ্সু কিন্তু কর্মকুন্ঠ৷ এর কারণ হিসাবে তিনি দেখিছেন---বৈরাগ্য-প্রবণ জৈন-বৌদ্ধ -বৈষ্ণব মতবাদ বাঙালী চিত্তে কর্মকুন্ঠা....প্রবল করেছে৷ এমন মানুষ ভিক্ষাবৃত্তি বা চৌর্যবৃত্তি অবলম্বন করে৷ ‘‘এই প্রসঙ্গে আরো বলেছেন৷

মনকে ভারমুক্ত রাখ

ৰুদ্ধির মান অনুযায়ী জীবকে তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা যেতে পারে–পশু, মানব আর দেবতা৷ আমাদের মানব সমাজেও আমরা পাই মানবীয় আধারে পশু, মানবীয় আধারে মানব আর মানবীয় আধারে দেবতা৷

প্রাউট প্রসঙ্গে প্রবচন (১)

জ্ঞান দুই ধরনের –– ৰুদ্ধি সঞ্জাত জ্ঞান ও ঐশ্বরীয় অনুভূতি সঞ্জাত জ্ঞান৷ ৰৌদ্ধিক জ্ঞান যেহেতু অভিজ্ঞতা সঞ্জাত সেহেতু তা আপেক্ষিকতার দোষে দুষ্ট৷ সেইজন্যেই ৰৌদ্ধিক জ্ঞানকে চরম জ্ঞানের দাবীদার বলা চলে না৷ ঐশ্বরীয় অনুভূতি সঞ্জাত জ্ঞানই চেতনাসম্পৃক্ত৷ এই জ্ঞানই সমস্ত কিছুকে চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে সমর্থ –– তাই ঐশ্বরীয় অনুভূতি সঞ্জাত জ্ঞানই চরমজ্ঞান৷

প্রকৃত উন্নয়ণের পথ

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

আজকে দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হ’ল নৈতিকতার সমস্যা৷ সৎ, নীতিবাদী, কর্তব্য সচেতনতার অভাব৷ আজকের মানব সমাজের আর যত সমস্যা তার মূল কিন্তু এইটাই৷

এই সমস্যার কথা দেশের প্রায় সমস্ত বুদ্ধিজীবীরাই বলছেন৷ সমাজের সমস্ত নেতৃস্থানীয় ব্যষ্টিও এটা হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করছেন৷ এই সমস্যা সমাধানের যথার্থ পথ সবাই হাতড়ে বেড়াচ্ছেন৷

যুক্ত রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে মান্যতা দিয়ে ন্যায় ও সত্যের ভিত্তিতে দেশ শাসিত হোক

প্রভাত খাঁ

স্মরণে রাখা অত্যাবশ্যক তা হলো ধর্ম ও ধর্মমত এক নয়৷ তাই ভারত হলো প্রকৃত সনাতন ধর্মের দেশ৷ তাই ভারতের ঋষিগণ বলতেন, হে অমৃতেরসন্তানগণ- ভূমাকে লাভ করাই জীবনের লক্ষ্য৷ তাই মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ নেই, সবাই এক পরমব্রহ্ম-এরই সন্তান৷ কিন্তু বৈচিত্র্যের মধ্যেই ঐক্য, তাই ভারত সব ধর্মমতকে  মান্যতা দিয়ে থাকে৷ তাই ভারতের সংবিধান ধর্মমত নিরপেক্ষ৷

কিন্তু দেশ ভাগ করে নেতারা মারাত্মক ক্ষতি করে গেছে মানুষের সেই ঐক্য ও সংহতিতেই আঘাত করে৷