January 2023

শুভদীপিকা

অবধূতিকা আনন্দ অদ্বৈতা আচার্যা

সত্যাশ্রয়ী আমরা সবে

সদা সত্য বলবো

নীতিবাদের শিক্ষা দিয়ে

নোতুন সমাজ গড়বো৷

 

ছোট্ট শিশু আমরা তোমার

আমরা ঘরের শোভা,

আদর্শের প্রদীপ জ্বেলে

আনব জীবন-প্রভা৷

 

বন-সর্জন সমাজ সেবা

সুস্থ পরিবেশে,

বন-সম্পদ কেটে ফেললে

ক্ষতি দেশে দেশে৷

রাঢ়ের মাটি                 সৃষ্টির ঘাঁটি

শিবরাম চক্রবর্ত্তী

রাঢ় বাংলাই এই পৃথিবীর

সৃষ্টির মূলে থাকার ফলে,

শুনেই তাই আনন্দের ক্ষীর

খেয়ে বাঙালী নেচেই চলে৷

শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার

যুক্তিসহ প্রমাণ দিতে,

‘সভ্যতার আদিবিন্দু রাঢ়’

বই লিখে তার কাটেন ফিতে৷

পুরাতত্ত্ববিদগণেরা

এই বইটি বিষদ ভাবে,

পড়লেই ভাল জানবেন তাঁরা

জগৎ সৃষ্টি হলো কবে৷

সে যাই হোক, সৃষ্টির মূলেই

রাঢ় বাংলাকে পেয়ে যেতে,

সভ্যতাও তাই রাঢ় থেকেই

ছড়িয়ে যায় বিশ্বের ক্ষেতে৷

রাঢ়ের মাটি নিয়ে ল্যাবে

কেহ পরীক্ষা করলে পরে,

সে ঠিক নোবেল প্রাইজ পাবে

নোতুন পৃথিবী

প্রভাত খাঁ

জরাজীর্ণ এ ধরণী বুকে

নোতুনের বার্তাবহ রূপে

যে তরু সৃজিয়া গেলে

আশীর্বাদ পুণ্য বারি দানে,

সে আজ সেবিছে বিশ্বে

ক্লান্তিহীন বটবৃক্ষরূপে৷

আজিকার শুভদিনে

তাপসের দল আপ্লুত হৃদয়ে

তোমারে স্মরণ করে সেই বৃক্ষ তলে৷

হে মহান, তোমার অভীষ্ট

যেন সিদ্ধ হয় ‘নোতুন পৃথিবী’ রূপায়নে৷

আমার প্রার্থনা পিতঃ

সুভাশিস দানে জাগ্রত করিয়া

তোল সকলের প্রাণে৷

 

শিক্ষা

রত্নেন্দু দাশ

আজ যা কিছু অঘটন ঘটছে তার মূলে রয়েছে শিক্ষা৷ আমরা অনেকেই মনে করি যা সবার জীবনে নূ্যনতম চাহিদা হল তিনটি, সেগুলো হল অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থান কিন্তু জগতকল্যাণসুন্দর বিশ্বগুরু তথা মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার আরও দুটো জিনিসকে জুড়ে দিয়েছেন তা হল শিক্ষা ও চিকিৎসা৷ তিনি এগুলোকে কেন জুড়ে দিলেন এই তিনটির সাথে এটা আবার কেউ কেউ প্রশ্ণ করেন কারণ কেউ কেউ মনে করেন জীবনে কোনরকম খেয়েদেয়ে বাঁচতে পারলেই হল৷ কিন্তু না৷ প্রথমে আমাদের  ক্ষুধা নিবারণের জন্য অন্ন চাই তারপর থাকার জন্য চাই বাসস্থান সাথে বস্ত্র তো আছেই কিন্তু এগুলো দিয়ে কি হবে যদি অকালে জীবনটা চলে যায় তাই তিনি বললেন নূ্যনতম চাহিদা হল চিকিৎসা এর

‘না তাকাইঁ’

রাঢ়ের মানুষ একদিকে  যেমন দার্শনিক চিন্তা করেছে, অন্যদিকে তেমনি হালকা মেজাজে হাসি–তামাসা–নৃত্য–গী উচ্ছল হয়ে উঠেছে৷ রাঢ়ের মানুষ মজলিশী, মিশুক ও খোসমেজাজী৷ দারিদ্র্যভারে জীর্ণ হলেও সে মানুষকে ডেকে খাওয়ায়–খাওয়ায় তা–ই যা সে নিজে খায়–ভাত, কলাইয়ের ডাল (রাঢ়ী বাংলায় ‘বিরি’), বড়ি–পোস্ত আর কুমড়োর তরকারি (রাঢ়ী বাংলায় ‘ডিঙ্লা’)৷ তার আচরণে–ব্যবহারে কোনো দারিদ্র্যগত সংকোচ নেই৷ বিনা কষ্টেই সে স্পষ্ট কথা বলে থাকে৷ রাঢ়ের মানুষের সরলতার একটি নিদর্শন ঃ

দুই বাঁড়ুজ্জে

ভাষাতত্ত্ব প্রসঙ্গে মনে রাখতে হবে যে বিধির সাথে নিষেধ অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত থাকে৷ ‘হয়’–কে বাদ দিলে ‘নয়’ পুষ্ট হয় না, আবার ‘নয়’–কে বাদ দিলে ‘হয়’–এরও পায়ের তলায় জমি থাকে না৷ একথা সর্বক্ষেত্রেই সমভাবে প্রযোজ্য৷ তাই ভাষাতত্ত্বের ব্যাপারে একথা আমাদের মনে রাখতে হবে––মূল নিয়ম মনে রাখি বা না রাখি ব্যতিক্রমগুলো (হিন্দীতে ‘অপবাদ’) যত ৰেশী মনে রাখি ততই ভাল৷ ইংরেজীতে যেমন একক ব্যঞ্জনের পূর্বে যদি একক স্বরবর্ণ থাকে তাহলে ওই ব্যঞ্জনের পরে কোনো প্রত্যয়  লাগলে ব্যঞ্জনের দ্বিত্ব হবে৷ যেমন ‘ণ্ঠন্ব্ধ’ কিন্তু ‘ণ্ঠন্ব্ধব্ধনুন্ধ’, ‘ণ্ঠন্ব্ধব্ধন্দ্বস্তু’ ইত্যাদি৷ আবার  এর ব্যতিক্রমও রয়েছে৷

সঙ্কটময় থাকা দেশের মুখে হাসি ফুটিয়ে এশিয়া কাপ উৎসর্গ করল শ্রীলঙ্কা

 শ্রীলঙ্কায় রাজনৈতিক  আর্থিক সঙ্কট এখনও চলছে, তারা পুরোপুরি এখনও ঘুরে দাঁড়াতে  পারেনি৷ তার মাঝে ক্রিকেট মাঠে সাফল্য পেল শ্রীলঙ্কা৷ সে কারণেই দেশবাসীকে ট্রফি উৎসর্গ করেছেন ক্রিকেটারকে৷

 রাজনৈতিক ও আর্থিক সঙ্কট থেকে এখন বেরোতে পারেনি শ্রীলঙ্কা৷ দেশবাসীর দুঃখ-দুর্দশার  মাঝে এশিয়া কাপ জয় সবার মুখে হাসি ফোটাবে৷ এমনটাই মনে করছেন  ফাইনালের নায়ক ভানুকা রাজাপক্ষ৷ রবিবার  রাতের  জয় তিনি উৎসর্গ করেছেন গোটা দেশকে৷

কলকাতার ইডেনেই হচ্ছে এল.এল.সি (লেজেন্ড লিগ) ম্যাচ

অনেক দিন ধরেই  এই ম্যাচের আয়োজন নিয়ে টালবাহানা চলছিল দু’পক্ষের মধ্যে৷ সময় ক্রমশঃ কমে আসছিল৷ এ দিকে ম্যাচের আয়োজন নিয়ে চূড়ান্ত কিছু ঠিক হচ্ছিল না৷ অবশেষে সমস্যা মিটল৷ কেটে গেল সমস্যা কলকাতায় লেজেন্ডস লিগ ক্রিকেটের ম্যাচ হতে আর কোন সমস্যা নেই৷ গত সোমবার অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকের পর প্রতিযোগিতার  আয়োজকদের অনুমতি দিয়ে দিল সিএবি৷ ফলে ইডেন গার্ডেন্সে বীরেন্দ্র সহবাগ-সহ এক ঝাঁক প্রাক্তন তারকাকে দেখতে পাওয়ার সুযোগ পাবেন শহরের সমর্থকরা৷

আপ্তবাক্য

আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত

‘‘তান্ত্রিকদের কর্তব্য হচ্ছে স্থূলতা, অসাম্য ও ভীতম্মন্যতার বিরুদ্ধে নিরলস সংগ্রাম করে যাওয়া৷ সমাজে সত্যিকারের সাম্য কখনোই আসতে পারে না যদি বিচারের মাপকাঠি  গুণগত না হয়ে শুধু সংখ্যাভিত্তিক হয়৷ সেই জন্যেই আজ যারা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নিজেদের পরিশীলিত বা উদ্দীপিত করে তোলেন নি, তাদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি তাই গণতন্ত্রের মাধ্যমে নয়, যারা সত্যিকারের তান্ত্রিক তাদের হাতে দায়িত্ব অর্পন করে বা ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে পৃথিবীতে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সত্যিকারের সাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে৷ কেননা একাজ অ-তান্ত্রিকের নয়, তান্ত্রিকদের দ্বারাই সম্ভব৷ অবশ্য মানসিক তথা, আধ্যাত্মিক অধিক্ষ

আপ্তবাক্য

আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত

আমি তোমাদের বলব কোনো অবস্থাতেই পাপের সঙ্গে হাত মিলাবে না, পাপকে সহ্য করবে না, পাপী যদি তোমার অতি নিকটজনও হয়, ঘরের লোকও হয় তবুও তার মুখ দেখবে না৷ সত্য পথে চলবে ও মানুষ গড়ে তুলবে৷ সুশিক্ষায় পশুও মানুষ হয়, দেবতা হয়৷ আমি বলব এ কথাটা তো ঠিক৷ এর অতিরিক্ত আরও একটা কথা কী?---না, পাপীকে অবস্থার চাপে ফেলে তাকে ভালো হতে বাধ্য করো৷ দুষ্টু লোকের চারপাশে এমন একটা প্রাচীর রচনা করো যে তার বাইরে বেরিয়ে গিয়ে সে আর পাপ করতে না পারে,তার থোঁতা মুখ ভোঁতা হয়ে যায়, চিরদিনের জন্য তার শিক্ষা হয়ে যায়৷ একটা দুষ্টু লোক যদি ভালো হয়ে যায় তাতে বিশ্বমানবতার কল্যাণ, লাখ লাখ মানুষের কল্যাণ, লক্ষ লক