আজ যা কিছু অঘটন ঘটছে তার মূলে রয়েছে শিক্ষা৷ আমরা অনেকেই মনে করি যা সবার জীবনে নূ্যনতম চাহিদা হল তিনটি, সেগুলো হল অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থান কিন্তু জগতকল্যাণসুন্দর বিশ্বগুরু তথা মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার আরও দুটো জিনিসকে জুড়ে দিয়েছেন তা হল শিক্ষা ও চিকিৎসা৷ তিনি এগুলোকে কেন জুড়ে দিলেন এই তিনটির সাথে এটা আবার কেউ কেউ প্রশ্ণ করেন কারণ কেউ কেউ মনে করেন জীবনে কোনরকম খেয়েদেয়ে বাঁচতে পারলেই হল৷ কিন্তু না৷ প্রথমে আমাদের ক্ষুধা নিবারণের জন্য অন্ন চাই তারপর থাকার জন্য চাই বাসস্থান সাথে বস্ত্র তো আছেই কিন্তু এগুলো দিয়ে কি হবে যদি অকালে জীবনটা চলে যায় তাই তিনি বললেন নূ্যনতম চাহিদা হল চিকিৎসা এরপরেই আসছে শিক্ষা৷ এখন প্রশ্ণ হল শিক্ষা কেন? আমরা মানুষ কিন্তু আমাদের শরীরটা মানুষের মত হলেই মানুষ বলা যায় না, শরীর মানুষের মত আছে কিন্তু আচরণ পশুর মত, জীবনে কোন লক্ষ্য নেই (লক্ষ্য হল জগত কল্যাণ করে সেই পরমব্রহ্মে লীন হয়ে যাওয়া), আদর্শ নেই এমন জীবন কিসের? এটা তো কেবল আত্মস্বার্থের কথা চিন্তা করা হয়েছে৷ আমি সবার কাছ থেকে কিছু না কিছু উপকার পেলাম তার পরিবর্তে আমি জগতকে কিছুই দিলাম না ও সারাটা জীবন অর্থের পিছনে ছুটে চললাম, অন্যকে শোষণ করে অর্থের পাহাড় তৈরি করলাম৷ এটাই হচ্ছে আজ৷ ডিগ্রীর তো অভাব নেই কিন্তু সেটা কাজে লাগছে কোথায়? তাই মানুষের মত মানুষ হতে হবে৷ যদি সমাজকে ঠিক পথে আনতে হয় তবে নব্যমানবতাবাদী শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে সমাজকে নইলে সমাজ পরিবর্তন সম্ভব নয় তাই শিক্ষাগুরু শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার সমগ্র পৃথিবীতে নব্যমানবতাবাদী শিক্ষার ব্যবস্থা করেছেন যাতে সবাই আদর্শ মানুষ হয় ও একে অপরের দুঃখ বুঝতে পারে৷ এমন শিক্ষা পাওয়ার জন্য আমি আমার আধ্যাত্মিক গুরু তথা শিক্ষাগুরু শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারকে জানাই শতকোটি প্রণাম তাঁর আদর্শ দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ুক৷
- Log in to post comments