February 2023

বাংলা সাংস্কৃতিক জগতকে বোম্বের ‘গিলে খাওয়া’ থেকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন

তপোময় বিশ্বাস

সম্প্রতি দেশে মুক্তিপ্রাপ্ত হিন্দী সিনেমা ‘পাঠান’ বাংলার সিনেমা হলে ও মাল্টিপ্লেক্সে দেখানোর ব্যাপারে হল মালিকদের উদ্দেশ্যে এক ফতেয়া জারি করেছে ওই সিনেমার প্রযোজক সংস্থা যশরাজ ফিল্মস৷ মুম্বাইয়ের এই অবাঙালী বেনিয়া প্রযোজক সংস্থার ফতেয়া অনুযায়ী হিন্দী সিনেমা ‘পাঠান’ বাংলার সিনেমা হলগুলিতে দেখাতে গেলে সেখানে কোন বাংলা ছবি দেখানো চলবে না৷ এই নির্দেশ অমান্য যারা করবে তাদের হলে ‘পাঠান’ ছবি দেখানো হবে না৷

নেতাজী তোমায় কিছু বলার ছিল

সুপর্ণা মজুমদার

নেতাজী তোমায় কিছু লিখবো বলে

কলম ধরেছি আজ৷

আঁধারে কেন বিলীন হলো

তোমার রণসাজ?

সত্যিই তুমি কোথায় আছো

জানতে ইচ্ছে করে,

তোমাকে ছাড়া বাঙালী আজ

কুকুরের মতো মরে৷

স্বাধীনতার বদলে রক্ত চাওয়া

ছিল কি তোমার অন্যায়?

তবে কেন তুমি হলে অপহৃত

বুর্জোয়ার ছলনায়?

আন্দামানে তোমার উড়ানো

প্রথম ত্রিবর্ণ ধবজা,

বিনিময়ে কি তুমি পেলে

এতো কঠোর সাজা?

নেতাজী, তোমার আজাদ হিন্দ ফৌজ

কোথায় কেমন আছে?

একটিবারও জানতে চাও না

দেশবাসীর কাছে?

ধর্মের নামে অধর্ম চলে

জয়তু নেতাজী

কৌশিক খাটুয়া

স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে

এক চিরস্মরণীয় কিংবদন্তি,

লক্ষ্য দেশমাতৃকার শৃঙ্খল মোচন

নয় আপোষ, নয়কো সন্ধি৷

তিনশো বছরের পরাধীন জাতি

কে করিবে উদ্ধার,

পরাধীনতাই ভবিতব্য!

জুটে শোষণ বঞ্চনা মার৷

নিস্তেজ জাতিকে নেতাজি দিলেন

নতুন প্রাণের সঞ্চার,

অনৈক্যের মাঝে জাতীয় স্বার্থে

নিলেন দেশের ভার৷

মুক্ত কন্ঠে দেশবাসীর প্রতি

রক্তের আহ্বান,

বিনিময়ে পাও স্বতন্ত্র দেশ

বাড়াও দেশের মান৷

ভারতমাতার দামাল ছেলে

দূর করে দুর্বৃত্ত,

কর্মকাণ্ড কি প্রচণ্ড

রাঙাদাদুর আসর - প্রিয় বিদ্যালয়

বিক্রম পাল (দশম শ্রেণী---পঞ্চমুখ স্কুল)

আমার প্রিয় বিদ্যালয় ভাই গর্বের আর সীমা নাই,

মন খুলে গান গাই যে, খেলার জন্য সাথীও পাই৷

সবুজ মাঠের মাঝে স্কুল, ফুল বাগানে ঘেরা

পড়ার সময় পড়া করি, ফাঁকে গল্প-গুজব করা৷

মনে পড়ে আজও আমার সে দিনগুলোর কথা,

মোহন স্যারের আদর আর পি. কে স্যারের ছড়া৷

ভর্তি হলাম অনেক আগে ছোট্ট ছিলাম যবে,

তখন থেকেই প্রভাত সংগীত গাইতে ভালো লাগে৷

এই স্কুলের প্রীতির স্মৃতি থাকবে গাঁথা মনে,

হৈ হুল্লোড় আমোদ-প্রমোদ জাগবে ক্ষণে ক্ষণে৷

সঙ্গী সাথী ভাই-বোনেদের যাব না কভু ভুলে৷

ভাসবে তারা মনের পাতায় দুলবে দ্যোদুল দুলে৷

রাঙাদাদুর আসর - শিক্ষকদের প্রতি

গৌরব চক্রবর্ত্তী (সপ্তম শ্রেণি---আগরতলা)

মোদের কাছে মহান যে জন,

     মোদের প্রিয় শিক্ষকগণ৷

আমরা যে তাঁদের চোখের মনি,

আমরাই তো তাঁদের ধন৷

যাদের পরশে হলাম মানুষ,

তাঁরাই তো মোদের জাগালো হুঁশ৷

যাদের কাছে শিক্ষার আলো

পেলাম মোরা সবাই,

সবার আগে তাদের মোরা

শতকোটি প্রণাম জানাই৷

ভারতের মহিলা অনুধর্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দলের বিশ্বকাপ জয় - অন্ধকার উন্নাওকে আলোয় ফেরাল অর্চনা

একদা নারীর ওপর হওয়া পাশবিক অত্যাচারের প্রতীক হিসাবে সবার সামনে দগদগে ঘা-এর মতোই উচ্চারিত হতো উত্তর প্রদেশের উন্নাও গ্রামের নাম৷ ২০১৭ সালের সেই কলঙ্কজনক ঘটনা৷ অন্ধকারের আর এক নাম উন্নাও৷ সেই উন্নাওকে অন্ধকার থেকে আলোয় ফেরাল অর্চনা মহিলাদের অনুধব -১৯  টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য৷ অচর্নার বাড়ী উত্তর প্রদেশের উন্নাও-র রাতাই পুরওয়া গ্রামে৷ বিশ্বকাপ জয়ী অর্চনার জন্যই সমস্ত অন্ধকার সরিয়ে আলোয় ফেরার সুযোগ পেল উন্নাও৷ কারণ তাদের ঘরের মেয়ে যে এখন বিশ্বকাপ জয়ী৷ রবিবার ক্যাপ্ঢেন শেফালী ভার্র্মর যে টীম সূদূর দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুধর্ব টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে, অর্চনা সেই দলের সদস্য৷ বিশ

কন্যাশ্রী কাপে চ্যাম্পিয়ন দিনমজুরের মেয়ে রিম্পা হালদার

দিনমজুরের মেয়ে ফুটবল খেলবে? বিশ্বাস করেননি অনেকেই। তবে রিম্পার পায়ের কাজ দেখে এক জনের বিশ্বাস ছিল, ফুটবল খেললে এ মেয়ে বহু দূর যাবে। সে সব ভেবেই তাঁকে আলাদা করে অনুশীলন করানো শুরু করেন হাঁসপুকুরিয়া স্পোর্টিং ইউনিয়নের অভীক বিশ্বাস। রিম্পাকে দেখে এলাকার বহু মেয়ে ফুটবলের টানে মাঠে আসতে শুরু করে। শুরু হয় মেয়েদের ফুটবল কোচিং ক্যাম্প। ওই কোচিং ক্যাম্প থেকেই উত্থান রিম্পার।

আপ্তবাক্য

‘‘তোমার মূল্যহীন  টাকাগুলো অন্যকে ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে সেগুলোকে মূল্যবান করে নিতে হবে৷ তাই বলি পার্থিব সম্পদের অন্যতম বিনিময়-মাধ্যম এই অর্থের উচিত ব্যবহার  জানে না প্রকৃতপক্ষে তারা সমাজদ্রোহী৷ সমাজের  যেটা প্রাণের কথা সেই ‘একসঙ্গে চলার ভাব’              তাদের মধ্যে নেই৷ মুখে ৰড় ৰড় কথা  বলে মানবিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যায় না৷ এই মূল্যবোধের  পরিচয় ছোট বড় প্রতিটি কাজের মধ্যে দিয়েই দিতে হয়৷ আর এই কাজগুলোর একমাত্র কারণ না হলেও অন্যতম হচ্ছে আর্থিক ক্ষেত্রে মানবিকতাকে স্বীকৃতি দেওয়া৷                                ---শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার

স্মরণিকা

* কেউ ভগবানকে যে ভাবেই উপাসনা করুক না কেন, সব সেই ভাবগ্রাহী পরমে অর্পিত হয়৷... যার চিত্তশুদ্ধি আছে তার কোনো ধর্মই প্রয়োজন নেই৷

* ত্রিকালজ্ঞ, আত্মতত্ত্বজ্ঞ মহর্ষি, দেবর্ষি সিদ্ধমহাত্মাগণ তপোবলে, জ্ঞানবলে ও যোগবলে যে সকল চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত করে গিয়েছেন তাতে কি সংশয় করতে আছে?  তাঁরা যা বলেছেন তা সম্পূর্ণ সত্য৷

* অজ্ঞানের পাশ হলেই জ্ঞান আপনিই প্রকাশ পায়, আত্মার সঙ্গে পরমাত্মার যে যোগ, সেই অমরত্ব হলেই জীবের মুক্তি লাভ হয়৷

                   ---ত্রৈলঙ্গ স্বামী

ব্রহ্মচারিণী উমা আচার্যা’র আত্মবলিদান দিবস উদ্‌যাপন

আনন্দমার্গকে চিরতরে নিশ্চিহ্ণ করার চক্রান্তের পরিকল্পনা স্বরূপ তদানীন্তন কমিউনিষ্ট সোভিয়েত ইয়ূনিয়ন সরকারের প্ররোচনায় তদানীন্তন ভারত সরকার আনন্দমার্গের প্রবক্তা ও প্রাণপুরুষ শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী মিথ্যা মামলায় পাটনা বাঁকিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আটকে রাখে ও প্রাণে মারার জন্যে বিষপ্রয়োগ ও ক্রমাগত শারীরিক নির্যাতন করার প্রতিবাদে ও তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে ১৯৭৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারীতে জার্মানির বার্লিন শহরে ‘‘ব্রহ্মচারিণী উমা আচার্যা’’ আত্মাহুতি দেন৷ অবশেষে ১৯৭৮ সালের ২রা আগষ্ট পাটনা উচ্চতর আদালতের রায়ে মিথ্যা প্রমাণিত হয় ও বেকসুর খালাস পেয়ে জেল থেকে মুক্তি লাভ করেন৷ প্রসঙ্গত উল্লেখনীয় যে ধর্ম