প্রবন্ধ

সদ্বিপ্র সমাজকে ঠেকাতে পুঁজিপতিদের নয়া কৌশল

সুকুমার সরকার

যোগী মহারাজ যোগের উচ্চাসন ছেড়ে উত্তরপ্রদেশে রাজ-সিংহাসনে বসেছেন৷ এ নিয়ে ভারতীয় সমাজ-রাজনীতি আজ দ্বিধা বিভক্ত হিন্দুত্ববাদীরা মহা উল্লাসিত ৷ তারা ভাবছেন, এবার উত্তরপ্রদেশে ধর্মের ধবজা পত্পত্ করে উড়বে৷ অহিন্দুত্ববাদী বা সেকুলারবাদীরা ক্ষুব্ধ তারা ভাবছেন এবার ভারতীয় মিলন-সংসৃকতিতে সংকীর্ণতার বীজ বপন হবে ৷

পুঁজিবাদী আগ্রাসনের অবসান কোন্ পথে

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

আজ সমাজের সর্বক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে অবক্ষয়, শোষণ, নির্যাতন একজনকে বঞ্চিত করে আর একজন তার কাঙ্খিত দ্রব্য পেতে চায় ফলে শুরু হয়েছে অবাধ প্রতিযোগিতা সমাজের অধিকাংশ মানুষের প্রতি বঞ্চনার ওপর তৈরী হচ্ছে মুষ্টিমেয় ধনিক শ্রেণীর প্রাচুর্যের ইমারত ফলে স্বাভাবিকভাবে জমছে ক্ষোভ সমাজের বৃহত্তম অংশের এই ক্ষোভকে যতই প্রশাসনিক শৃঙ্খলার নামে শাসক শ্রেণী সংযত রাখার চেষ্টা করুক না কেন, তা একদিন বিস্ফোরণের রূপ নেবেই নেবে আর সেই বিস্ফোরণে ধবংস হয়ে যাবে আজকের সভ্যতার এই চাকচিক্যময় ইমারত তখন কেউ বাঁচবে না পুঁজিপতি ধনিক গোষ্ঠী তো বাঁচবেই না, কিন্তু পাল্টা আক্রমণে পুরো সমাজটাই ধবংসস্তুপে পরিণত হবে

যে অনির্বাণ দীপশিখা আজও প্রোজ্জ্বল

দীপশিখা জ্বলে কীভাবে দীপশিখার শীর্ষবিন্দু সবসময় ওপরের দিকে থাকে৷ হাওয়ায় সেই দীপশিখা হয়তো কিছুটা নড়ে–চড়ে, হেলে–দুলে যায়৷ কিন্তু তার শীর্ষভাগের অবস্থান কখনও বদলায় না৷ এইভাবে সেই দীপশিখা প্রোজ্জ্বল অবস্থায় অনড়–চল থাকে৷ আর সেই দীপশিখা যদি অনির্বাণ হয় সেই নিরন্তর দেদীপ্যমান ঊর্ধ্বপানে অবিচল অনলশিখাই তো মানুষকে সবচেয়ে বেশী আকর্ষণ করে৷ চিরকাল তাই করে এসেছে৷

আমেরিকায় ভারতীয় খুন---এ এক জঘন্য বর্ণবিদ্বেষ!!

আমেরিকার গণতন্ত্রে স্ট্যাচু অব্ লিবার্টি-র এক সময়ে যে মর্যাদা ও সম্মান ছিল সেটা কি ধীরে ধীরে অস্বীকৃত হচ্ছে৷ এ প্রশ্ণ আজ সারা বিশ্বের ভিন্ রাষ্ট্রগুলির মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে৷ কানসাসে ভারতীয় খুনের ঘটনার জন্য দুই তরুণ ভারতীয় শ্রীনিবাস ও মাদাসানি যাঁদের বয়স ৪০-এর নীচে, আক্রান্ত হন পানশালার এক শেতাঙ্গ নৌবাহিনীর অফিসারের দ্বারা৷ অফিসারটি মনে করেছিলেন যে, এই কৃষ্ণাঙ্গেরা মধ্যপ্রাচ্যের অধিবাসী, তারা আমেরিকার নয়৷ যেহেতু বিদেশী কৃষ্ণাঙ্গ ও আমেরিকায় কর্মরত তাই তিনি তাদের গুলি করেন ফলে একজন নিহত হন ও আর একজন মৃত্যুরর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে৷

শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্যে চাই আদর্শ রাজনীতি

হরিগোপাল দেবনাথ

সামাজিক অস্থিরতা, সাংসৃকতিক অবক্ষয় অর্থনৈতিক বিপর্যয়, প্রশাসনিক অথর্বতা, শাসক শক্তির ক্লীবতা, রাজনীতির অসাড়তা, জনজীবনে আসুরিক দৌরাত্ম্যের কারণে নিরাপত্তার অভাব ও দুর্নীতির একাধিপত্য---এত সব যে অবাঞ্ছিত বিড়ম্বনা আজ সর্বত্রই মারাত্মকভাবে প্রকটিত৷ এর পেছনে শুধু একটাই কারণ বিদ্যমান রয়েছে বলেই এক মহামানবের সিদ্ধান্তমূলক ঘোষণা৷ অবশ্য তিনি অন্যান্য অধিকাংশ অর্থাৎ শতকরা ৯৯ শতাংশ রাজনীতিক, ঐতিহাসিক, দার্শনিক, তাত্ত্বিকদের মত শুধু ঘোষণাকরেই ক্ষান্ত থাকেন নি৷ উপরে উল্লিখিত সমস্যাগুলিই তো শুধু নয় এ ধরণের আরো অজস্র রকমের ছোট কিংবা বড় মাপের সমস্যাগুলি রয়েছে৷ বলতে গেলে মানব দেহে যেমন স্নায়ুগুলো সারা দেহ জ