প্রবন্ধ

দার্জিলিং য়ে গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে কিছু কথা৷

বিশেষ প্রতিনিধি গোর্খা

গোর্খাদের আন্দোলন দেশদ্রোহী বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন৷ ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ দার্জিলিং৷ আর গোর্খারা বিদেশী--- নেপালের লোক৷ রুজি রোজগারের ধান্দায় দার্জিলিং এসেছে৷ এতো বিদেশীদের আগ্রাসী আন্দোলন যা কোন মতেই সহ্য করা যায় না ৷ ওরা নেপালের লোক৷ নেপালে গিয়ে গোর্খাল্যান্ড করুক৷

মানব জীবনে বিজ্ঞান ও ধর্ম

সৌমত্র পাল

মানব জীবনের সুষ্ঠু বিকাশে বিজ্ঞান ও ধর্ম এর প্রভাব একান্ত অপরিহার্য৷ তাই ধর্মমানুষের নিজস্ব বিষয় ও বিজ্ঞানের সাথে এর কোন সংযোগ নাই’--- এরূপ ধারণা শুধু যে ত্রুটিপূর্ণ তাই নয় বরং ধর্ম ও বিজ্ঞানকে পৃথক করলে ম

প্রভাত রঞ্জনের মননে গন্ধ পরিক্রমা

সমরেন্দ্র নাথ ভৌমিক

এই  বিশ্বচরাচর সবকিছু পঞ্চভূতের সমাহার৷ আর এই বিশ্বচরাচরের সব অস্তিত্বগুলি স্পন্দনাত্মক ৷ স্পন্দনাত্মক অস্তিত্বগুলির মধ্যে সবচেয়ে সুক্ষ্মতম অস্তিত্ব হল তন্মাত্র                            inferences) আবার এই  তন্মাত্রগুলি অর্র্থৎ  শব্দ- স্পর্শ-রূপ-রস-গন্ধ তন্মাত্রগুলির মধ্যে শব্দ তন্মাত্র হ

বাংলা বাঁচাও, বাঙালী বাঁচাও

একর্ষি

ভাষা-সংসৃকতি একটি জনগোষ্ঠীর প্রাণ ভোমরা৷ একে অবহেলা করা, অবজ্ঞা করা, গুরুত্বহীন করা বা মর্র্যদা না দেওয়া নিজের পায়ে নিজেই কুড়ুল মারা ৷ সর্র্বেপরি মাতৃভাষাকে সরকারী বেসরকারী  সব ধরণের  কাজে ও শিক্ষায় আবশ্যিক না করা  আত্মহননের  সামিল৷ পশ্চিমবঙ্গে কর্মক্ষেত্রে ও শিক্ষায় বাংলা আবশ্যিক না হওয়াতেই যত বিপত্তি৷ ভা

দার্জিলিঙের বিছিন্নতাকামী শক্তির বিরুদ্ধে সমস্ত বাঙালীরা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তুলুন

স্নেহময় দত্ত

পাহাড় জ্বলছে৷ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে বাংলার ভাষার পঠন-পাঠন্ বাধ্যতামূলক ঘোষণা করার পর থেকেই পাহাড়ের বিমল গুরুং এ্যান্ড কোং গর্জে ওঠেছে বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে৷ শুধু বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে নয়, তাঁদের মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে দার্জিলিংকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিচ্ছিন্ন করে গোর্র্খল্যান্ড গড়ে তোলা৷  বাংলা ভাষায় পঠন একটা অছিলামাত্র,

জি.এস.টি ---প্রারম্ভিক ঢক্কানিনাদ ও ধোঁয়াশা

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

গত ৩০শে জুন মধ্যরাত্রে সংসদের সেন্ট্রাল হলে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে পণ্য-পরিষেবা কর বা গুডস্ এ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স সংক্ষেপে জি.এস.টি-র পথ চলা শুরু হলো৷ সারা দেশে একই রকম কর ব্যবস্থা প্রবর্ত্তনের উদ্দেশ্যে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর আমলে প্রায় সতেরো বছর আগে জি.এস.টির ভাবনা -চিন্তা শুরু হয়৷ পরবর্ত্তীকালে ২০১১ সালে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী ও বর্তমান রাষ্ট্রপতি শ্রী প্রণব মুখ্যোপাধ্যায় সংসদে জি.এসটির সংশোধনী বিল পেশ করেছিলেন৷ এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক স্তরে আলাপ-আলোচনা,

দার্জিলিংয়ে বাঙালী বিতাড়ন ও বাঙালীদের সম্পত্তি জবরদখল

বিশেষ প্রতিবেদক

পূর্ববঙ্গের ‘শত্রুর সম্পত্তি’, পরবর্তীতে ‘অর্পিত সম্পত্তি’ আইনে কীভাবে বাঙালীদের সম্পত্তি জবর দখল করে নেওয়া হয়েছে ইসলামিষ্টদের দ্বারা, আমরা জানি৷ কিন্তু দার্জিলিংয়ে কীভাবে বাঙালী বিতাড়ন ও বাঙালীদের সম্পত্তি দখল হয়েছে, তার কোনও পূর্ণাঙ্গ ক্ষতিয়ান আজও লেখা হয়নি, তার একটা খণ্ড চিত্র পাচ্ছি৷

আমরা যোগ সাধনা করব কেন?

আনন্দমার্গী

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

যোগের আধ্যাত্মিক দিক

আমরা মনের যে অংশ নিয়ে প্রাত্যহিক কাজকারবার করি তা কিন্তু আমাদের মনের অতি ক্ষুদ্র অংশ৷ আমাদের মনের অতি বহৎ অংশ–যেখানে রয়েছে বিপুল সম্পদ, ঐশ্বয্য–তা সাধারণতঃ আমাদের  অজ্ঞাতই থেকে যায়৷

গণ–অর্থনীতিকে সার্থক করে তুলতে হবে সমবায়ের মাধ্যমে

প্রভাত খাঁ

ব্যষ্টি নিয়ন্ত্রিত ও রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত উৎপাদন ব্যবস্থাই অদ্যাবধি পৃথিবীর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে ও মূলতঃ বন্টন ব্যবস্থাকে পরিচালিত করছে৷ এদের যথাক্রমে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রক সাম্যবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বলা হয়৷

আজ এই দুটি উৎপাদন ও বন্টন ব্যবস্থাই শোষণের হাতিয়ার হিসাবে চিহ্ণিত হচ্ছে৷

সারা পৃথিবীতে চলছে চরম অর্থনৈতিক শোষণ৷ বর্ত্তমানে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাই সর্বত্র স্বনামে ও বেনামে কাজ করে চলেছে৷ এই দুই ক্ষেত্রেই শ্রমিক, বুদ্ধিজীবী নানাভাবে আর্থিক দিক থেকে শোষিত হচ্ছে৷

পশ্চিম রাঢ়ের রাজনৈতিক–সামাজিক প্রেক্ষাপট

সমীর সিংহ

(৫) বিহারের জাতীয় কংগ্রেসের নীতিই ছিল বাঙালী বিদ্বেষ৷ কংগ্রেসের নেতা রাজেন্দ্র প্রসাদের সভাপতিত্বে ‘‘বিহার কমিটি’’ তৈরী হয়েছিল৷ রাঢ়ের বাঙলা সুক্লগুলি ধ্বংস করাই ছিল এই কমিটির যেন প্রধান কাজ৷ ভদ্রলোকের মুখোশধারী শয়তানদের বাঙলার দাবীকে নস্যাৎ করার চক্রান্তও এ প্রসঙ্গে বিশেষ ভাবে বলা প্রয়োজন৷