স্বাস্থ্য বিজ্ঞান

স্নায়ুরোগ–মস্তিষ্ক বিকৃতি–স্মরণ শক্তি ৰৃদ্ধি–মানসিক রোগ

গুড়ুচি–গুলঞ্চ ঃ Tinospora cordifolia  Miers.ঃ

পরিচয় ঃ যে আয়ুর্বেদীয় ওষুধটির নাম গুড়ুচি তাও মুথা বা কন্দের সাহায্যে চাষ করা হয়৷ তাই তাকে গুলঞ্চকন্দ বা গুড়ুচিকন্দ বলা হয়৷ কথ্য ৰাংলায় গুড়ুচি শব্দের ব্যবহার কম, গুলঞ্চ শব্দের ব্যবহার বেশী৷ হিন্দীতে গুড়ুচী বা গুরুচি দু’টি শব্দই চলে৷

শ্বাসযন্ত্র সংক্রান্ত রোগ ও জ্বররোগে তুলসী ও মধুর প্রয়োগ

তুলসীর পরিচয় ও প্রজাতি ঃ বিশ্বে এক শতাধিক প্রজাতির তুলসী বা চ্ত্রব্দন্প্ত বর্গীয় গাছ রয়েছে৷ তুলসী জন্মায় আইবেরিয়ায় (স্পেন ও পর্তুগাল) সবচেয়ে বেশী৷ ৰাঙ্গালীস্তানের মাটি, জল, আবহাওয়া তুলসীর পক্ষে খুবই উপযোগী৷ শুধু ৰাঙ্গালীস্তান নয়, সমগ্র ভারতের প্রতি গৃহেই তুলসীর গাছ রাখার বিধি, এর ঔষধীয় গুণের কথা ভেবেই৷ সমগ্র তুলসী বর্গীয় গাছের একটা নিজস্ব বর্ণ–গন্ধ আছে৷ যদিও সকল রকম স্বভাবের তুলসীর ৰীজ অনেকটা এক ধরনের ও তুলসী বর্গের মূল গন্ধ সবাইতে আছে, তবুও সবাইকারই স্বকীয় বৈশিষ্ট্য হিসেবে নিজস্ব গন্ধও আছে৷ যে কয়েক প্রজাতির তুলসী ৰাংলার একেবারে স্থানীয় অর্থাৎ ব্যাঞ্জালাইটিস বর্গীয়, তাদের মধ্যে রাধাতুলসী ও

রোগ ও চিকিৎসা

মানুষের ও জীবের ঔষধের সন্ধান শুধু উপবাস, সূর্য্যালোক, জল, বায়ু বা মৃত্তিকাতে সীমিত থাকেনি৷ প্রাথমিক স্তরে মানুষ যে ঔষধের আবিষ্কার করেছিল তা ছিল বিভিন্ন গাছ–গাছড়া ও তাদের ছাল–মূলের বহিঃপ্রয়োগ৷ সেকালের মানুষ ওই সৰ জিনিসকে দাঁতে চিৰিয়ে রোগাক্রান্ত স্থানে প্রলেপ দিত বা ঘষত৷ এই প্রলেপ ছিল মানুষের আবিষ্কৃত প্রথম ঔষধ৷

ভেষজ দ্রব্যের অভ্যন্তরীণ প্রয়োগ ঃ এই প্রলেপ যেখানে বাইরে কাজ করত না, তখন তাকে শরীরের ভেতরে নিয়ে যাওয়ার দরকার হ’ত৷ মানুষ তা চর্বন করে বা গলাধঃকরণ করে ঔষধরূপে ব্যবহার করত৷ এটাই ছিল মানুষের ইতিহাসে ঔষধ ব্যবহারের দ্বিতীয় চরণ৷

গরমে রোগ–ব্যাধি ও নানা সমস্যা

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ বসন্ত ঋতু বিদায় নিয়ে এই বাঙলায় গ্রীষ্ম আসছে৷ গ্রীষ্মকাল মানেই গরমকাল৷ গরমে শারীরিক অস্বস্তি ও নানান রোগ–ব্যাধি দেখা দেয়৷ বলতে গেলে ছয় ঋতুর প্রভাব এই পশ্চিমবঙ্গে দেখা যায়৷ আর প্রতিটি ঋতুর আগমনই আমাদের কাছে আনন্দদায়ক৷ তবে প্রতিটি ঋতুর মত গ্রীষ্মেরও ভাল ও মন্দ দু’দিক রয়েছে৷ একটু সচেতন থাকলে গ্রীষ্মের এই মন্দ অর্থাৎ রোগ–ব্যাধি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব বলে চিকিৎসকদের অভিমত৷ এই গরমে চলতে ফিরতে সকলের অসুবিধা হয় ও আমরা সবাই কম বেশী শারীরিক ও মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ি৷ সময়মত সচেতন না হলে অনেক সময় তা মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে৷ সাধারণত অতিরিক্ত গরমে যে সব সমস্যা দেখা দিতে পারে, স

শুকনো রুটি ও ভেজানো (বা অঙ্কুরিত) ছোলা

রুটি চাটুতে সেঁকে তারপর উনুনে ফেলে গরমে ফুলিয়ে নিলে তা ব্যবহারের উপযুক্ত হয়, অন্ততঃ আজকালকার নিয়মে৷ কিন্তু আসলে রুটিতে যদি ঘি বা জল না বোলানো হয় তবে তা অগ্ণ্যাশয় (Pancreas) ও যকৃতের ওপর ধাক্কা দেয়৷

বিভিন্ন তেলের গুণাগুন

পত্রিকা প্রতিনিধি

তেল হিসেবে সরিষার তেল, নারকেল, জলপাই(অলিভ) সয়াবিন, তিল, পাম, বাদাম, সূর্যমুখী প্রভৃতি বিভিন্ন তেল  মাখার জন্যে ও খাবার জন্যে ব্যবহার হয়৷

মধু

আয়ুর্বেদাচার্য

নেবুর রস ও মধু

ঠাণ্ডা লাগলে বা সর্দিতে গরম জলের সাথে নেবুর রস ও মধু মিশিয়ে খেলে অসুস্থতা দূর হয়ে যায়৷ গল্ ব্লাডারে ও লিভারের ব্যাধি দূর করতেও মধু যথেষ্ট সাহায্য করে৷ নেবুর রস, মধু আর অলিব ওয়েল মিশিয়ে পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করলে লিভার ও গল্ ব্লাডারের ব্যাধি দূর হয়ে যায়৷

কলার বিচি ও মধু

রক্ত আমাশয় দূর করতে কলার বীচি ও মধু ভাল ওষুধ রূপে কাজ করে৷ কলার বীচিতে রয়েছে প্রোটিন, টানিন, তৈলাক্ত পদার্থ ইত্যাদি৷ ব্রঙ্কাইটিস্, টি. বি. আর প্লাবিসি ব্যাধিতেও কলার পাতার রস, জল আর মধু মিশিয়ে খেলে ঙ্ম৬ গ্রাম কলা পাতার রস, ২০০ গ্রাম জল আর ৩০ গ্রাম মধুৰ ব্যাধিগুলি দূর করতে সাহায্য করে৷

ঘামাচী (ঘর্মচচী)

চামড়াকে ঘর্মচচী থেকে বিমুক্ত করার জন্যে সমপরিমাণ তাজা দুধের সর ও ময়দা মিশিয়ে অল্পক্ষণ আঙ্গুলে ফেনিয়ে বা ফেটিয়ে নিয়ে, তারপর সারা শরীরে ওই সর–ময়দা মেখে ১৫/২০ মিনিট আলো–হাওয়া যুক্ত শুকনো জায়গায় (রোদে নয়) বসে থাকতে হয়৷ তারপর ওই লেপটে যাওয়া সর–ময়দাকে ঘষে ঘষে তুলে দিতে হয় ও সাবান না মেখে স্নান করতে হয়৷ সর–ময়দা ব্যবহারে সামান্যতম ক্ষতি হয় না৷ বরং ১৬ আনা লাভ হয়৷ শীতের দিনে চামড়া ফেটে গেলে অথবা অন্য যে কোন কারণে চামড়া খসখসে হয়ে গেলে, মেয়ে–পুরুষ যে কেউই সর–ময়দা ব্যবহার করতে পারেন৷

হলুদ–গাত্র–হরিদ্রা ঃ