সংবাদ দর্পণ

মার্গীয় বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

হাওড়া জেলার মৌড়ীগ্রাম নিবাসী বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রীশ্যামাপদ মণ্ডলের স্ত্রী বিজলী মণ্ডলের মাতৃদেবী শেফালী মণ্ডলের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান আনন্দমার্গের চর্যাচর্য বিধিমতে অনুষ্ঠিত হয় গত ২রা মার্চ মৌড়ীগ্রাম বাসভবনে৷ মৃত্যুর সময় শেফালী মণ্ডলের বয়স হয়ছিল ৮৫ বছর৷

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রভাত সঙ্গীত ও ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্তন ও মিলিত ঈশ্বর প্রণিধানের পর ভাবগম্ভীর পরিবেশে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান শুরু হয়৷ অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন আচার্য দেবেশানন্দ অবধূত৷ উপস্থিত ছিলেন মহাব্রত ব্রহ্মচারী৷ ব্রহ্মচারীনি রঞ্জিতা আচার্যা অবধূতিকা আনন্দরসধ্যানা আচার্যা সুব্রত সাহা, বকুলচন্দ্র রায়, সুশান্ত শীল প্রমুখ৷

শ্রীমতী শেফালী মণ্ডল পুরুলিয়া জেলার হুড়ায় তাঁর পৈত্রিক বাসভবনে উপস্থিত থেকে স্থানীয় ৩০জন দুঃস্থ মহিলার হাতে শাড়ী একটি করে মিষ্টির প্যাকেট ও এক বোতল করে জল দেন৷

মহিলা স্বশক্তিকরণের প্রথম ব্যাচের পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

২০শে মার্চ ২০২৫, ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্র্পেরেশন অনুমোদিত আনন্দনগর অ্যাপারেলস প্রশিক্ষণ কেন্দ্র-এর প্রথম ব্যাচের চূড়ান্ত পরীক্ষা সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে৷

এই ব্যাচের ৩৬ জন মহিলা প্রশিক্ষণার্থী চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন৷ প্রতিটি প্রশিক্ষণার্থীকে ব্যবহারিক (প্র্যাকটিক্যাল), তাত্ত্বিক (থিওরি) ও মৌখিক (ভাইভা)এই তিনটি পর্যায়ের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে৷

NSDC-এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে নিয়োজিত এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রশিক্ষণার্থীদের ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্র্পেরেশন কর্তৃক আনুষ্ঠানিক শংসাপত্র প্রদান করা হবে, যা তাঁদের দক্ষতা ও স্বনির্ভরতার পথ সুগম করবে৷ এই প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে নারীদের আত্মনির্ভরশীল করে তোলার প্রয়াস এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করল৷

মোদির শাসনে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ঘরে-বাইরে সমালোচিত

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

ভারতবর্ষকে বলা হয় বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ৷ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ব্যষ্টি স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা, নিজের বিশ্বাস অনুযায়ী ধর্মাচরণ৷ এইগুলি প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে৷ কিন্তু মোদির ভারতে এই মৌলিক অধিকারগুলো পদে পদে খর্ব করা হচ্ছে৷ এই নিয়ে ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখে পড়েছে মোদি সরকার৷

সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক সমীক্ষার প্রতিবেদনে ভারতকে স্বৈরতন্ত্রের পর্যায়ে রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷ সুইডিশ ইনস্টিটিউট ভি-ডেম (ভ্যারাইটিজ অব ডেমোক্রেসি)-এর সমীক্ষার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ভারতে নির্বাচন হওয়া সত্ত্বেও ভারত এখন স্বৈরাতান্ত্রিক পর্যায়ে রয়েছে৷ দেশে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন হলেও ব্যষ্টি স্বাধীনতা, আইনের শাসন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷ এই সমীক্ষার প্রতিবেদন অনুসারে উদার নৈতিক গণতন্ত্রের সূচকে ১৭৯টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১০০ নম্বরে৷ ভারত এত পিছিয়ে থাকার কারণ বলা হয়েছে নির্বাচনে নিরপেক্ষতা, ব্যষ্টিগত স্বাধীনতা ও সংখ্যা লঘুদের অধিকার ক্ষুণ্ণ্ হচ্ছে৷ নির্বাচনী গণতন্ত্রে ভারত আরও কয়েক ধাপ নীচে নেমে ১০৫ নম্বর স্থানে হয়েছে৷ এক্ষেত্রে সূচকের মান ধরা হয়েছে---মত প্রকাশের স্বাধীনতা, নির্বাচনে স্বচ্ছতা, সংঘটনের অধিকার বিষয়গুলি, এই সব বিষয়ে ভারত ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে৷

ভারতে গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্ণ্ হওয়ার আরও যে সব কারণ রয়েছে সেগুলি হল---মত প্রকাশ, সংবাদ মাধ্যম, বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিরপেক্ষতা অভাবে ভারত পিছিয়ে পড়েছে৷ ভারতীয় সমাজে যুক্ত রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় ক্ষমতা ও সম্পদের বন্টনেও বৈষম্য রয়েছে৷ ওই সমীক্ষার সূচকে ভারতের স্থান ১৩৪তম স্থানে৷ সমীক্ষায় পূর্ব ইয়ূরোপের কোন কোন দেশেও স্বৈরাচারী প্রবণতা বাড়ার ইঙ্গিত মিলেছে৷

কয়েকদিন আগে বাক্‌স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করায় গুজরাট সরকারের কঠোর সমালোচনা করে শীর্ষ আদালত৷ কংগ্রেস সাংসদ ইমরান প্রতাপ গাড়ির একটি পোষ্টের বিরুদ্ধে এফ.আই.আর দায়ের করে গুজরাত পুলিশ৷ শীর্ষ আদালতের দারস্থ হন ইমরান৷ শীর্ষ আদালত গুজরাত পুলিশকে তীব্র সমালোচনা করে এফ আই আর খারিজ করে দেয়৷ শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয় বাক স্বাধীনতা সুস্থ গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ৷ ইচ্ছে মত কারো কন্ঠ রোধ করা যায় না৷ মতপ্রকাশের অধিকার সভ্য ও সুস্থ সমাজের অঙ্গ--- এছাড়া নিশ্চিন্ত ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন যাপন সম্ভব নয়৷

সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি এ.এস. ওকা ও উজ্জ্বল ভুয়ানের বেঞ্চ জানায়--- স্বাধীনতার পর ৭৫ বছরের বেশী সময় পার হয়ে গেল এখন আমরা আমাদের মৌলিক নীতির প্রতি দুর্বল হতে পারি না৷ সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার ভার আদালত ও পুলিশের৷ এই অধিকারের মধ্যে বাক্‌স্বাধীনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ বিভিন্ন কথা বা লেখা আমাদের পছন্দ নাও হতে পারে, কিন্তু সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য৷ মোদি জমানায় বাকস্বাধীনতায় লাগাম বিরোধী কন্ঠরোধ নিয়ে শুধু দেশের মধ্যে নয়, বিদেশেও সমালোচিত হচ্ছে৷

চিৎমুতে অষ্টাদশতম বাৎসরিক নাম-সংকীর্ত্তনের মহোৎসব সম্পন্ন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ৮-৯ মার্চ ২০২৫, চিৎমু আনন্দমার্গ সেন্ট্রাল জাগৃতিতে আয়োজিত হলো বাৎসরিক অষ্টাদশতম ২৪-ঘণ্টার অখণ্ড ’বাবা নাম কেবলম নাম-সংকীর্তন৷ এ মহতী আয়োজনে প্রভাত সঙ্গীত, মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, স্বাধ্যায়, তত্ত্বসভা ও নারায়ণসেবার মতো পবিত্র কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত ছিল৷

আনন্দনগরের অন্যতম বৃহৎ এই নাম-সংকীর্তনে যোগ দিতে দূর-দূরান্ত থেকে স্থানীয় ভক্ত বাসিন্দারা, যারা দূরস্থলে কর্মরত, তারা কর্মস্থল থেকে ছুটি নিয়ে আসেন৷ স্থানীয় কন্যারা, যাদের বিবাহ দূরস্থ স্থানে হয়েছে, তারা শ্বশুরবাড়ি থেকে এসে নাম-সংকীর্তনে অংশগ্রহণ করেন৷ এ মহতী অনুষ্ঠান কেবল ভক্তির আবহই সৃষ্টি করেনি, বরং পারস্পরিক মিলন ও সৌহার্দ্যের এক অনন্য উপলক্ষ হয়ে উঠেছে, যেখানে আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও পরিচিতদের সঙ্গে পুনর্মিলনের আনন্দ ধরা দিয়েছে৷ এক কথায়, এ কীর্তন পরিণত হয়েছে এক মহামিলনোৎসবে৷

বনগাঁয় সেমিনার

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২২ ও ২৩ শে মার্চ উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ ডিটের সেমিনার বনগাঁ আনন্দমার্গ স্কুলে অনুষ্ঠিত হয়৷ উক্ত সেমিনারে আনন্দমার্গ দর্শনের সামাজিক অর্থনৈতিক ও আধ্যাত্মিক বিষয়ে আলোচনা করেন প্রশিক্ষক আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ দু’দিনের এই সেমিনারের আয়োজন করেন কৃষ্ণনগর ডায়োসিস সচিব আচার্য পরাজ্ঞানানন্দ অবধূত৷ তাঁকে সহযোগিতা করে বনগাঁ স্কুলের শিক্ষক জীবেশ মণ্ডল, গৌতম বিশ্বাস প্রমুখ ও স্থানীয় ইয়ূনিটের কর্মীবৃন্দ৷

বাংলাদেশে ইতিহাস মুছতে চায় ইউনুস সরকার

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

গত ২৬শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস৷ প্রতিবছর এই দিনটি বাংলাদেশের মানুষ স্বাড়ম্বরে পালন করে৷ কিন্তু এ বছর বাংলাদেশের হাসিনা সরকারের বিদায়ের পর ইউনুসের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত সরকার সেই স্বাধীনতা দিবসকে ভুলিয়ে দিতে চাইছে৷ এই দিন মহম্মদ ইউনুস কোন সরকারী অনুষ্ঠানের আয়োজন না করে চীনের উদ্দেশ্যে উড়ে গেছে৷ যাবার আগে বাংলাদেশের মানুষকে আশ্বাস দিয়ে গেছেন আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে৷

মহম্মদ ইউনুসের বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করার অপচেষ্টাকে একই সুরে প্রতিবাদ করেছে আওয়ামী লীগ ও তাদের চির প্রতিদ্বন্ধী বি.এন.পি দল৷ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছতে পাকিস্তানী মদতপুষ্ট হানাদাররা বাংলাদেশ স্বাধীনতা সংগ্রামের বহু তথ্য ও নথি ধবংস করে দিয়েছে৷ তারা ধানমুণ্ডিতে বঙ্গ বন্ধুর বাড়িও ভাঙচুর করেছে৷ শেখ হাসিনা ইউনুসের ভূমিকার তীব্র প্রতিবাদ করে তাঁকে হায়নার সঙ্গে তুলনা করে বলেন এরাই ছিল একাত্তরের পরাজিত শক্তি৷ একই সুরে প্রতিবাদ করেছে বাংলাদেশ ন্যাশানাল পার্টির নেতারাও৷ তারা ইউনুসকে একাত্তরের গণহত্যাকারীদের সঙ্গে তুলনা করেছে৷

বদল স্কুল রুটিনে, গরমে নয় বাড়তি ছুটি!

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

এপ্রিল মাসে স্কুলগুলোর ক্লাসের দু’রকম দৈনিক রুটিন প্রকাশ করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ৷ রাজ্যের ৫০ হাজার প্রাথমিক স্কুলে এপ্রিলে একই সঙ্গে মর্নিং এবং ডে বিভাগের এই রুটিনে অভিনবত্ব দেখছেন অভিজ্ঞ শিক্ষক---শিক্ষিকাদের অনেকেই৷ তবে ঠিক কী কারণে প্রাক---প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ১০টা ও সকাল ১০টা ৫০ মিনিট থেকে বিকেল সাডে ৩টে এই দু’রকম রুটিনের কথা বলা হয়েছে, তা নিয়ে শিক্ষক---শিক্ষিকাদের পাশাপাশি পড়ুয়া এবং অভিভাবকরাও কিছুটা ধন্দে৷

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুয়ায়ী, এ সপ্তাহের মাঝামাঝি থেকেই দিনের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে৷ এই পরিস্থিতিতে শিক্ষাবর্ষের মাঝপথে আচমকা ৫০ হাজার প্রাথমিক স্কুলের জন্য দিনে দু’রকমের রুটিন প্রকাশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে৷

তবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল বলছেন, ‘রাজ্যে বেশ কিছু প্রাথমিক স্কুল রয়েছে, যেখানে ডে বিভাগে ষষ্ঠ থেকে দশম বা দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস হয়৷ আবার গ্রীষ্মের ছুটির ঠিক আগে ও পরে বহু স্কুলেই ক্লাস হয় সকালে৷ তাদের কথা ভেবেই এই উদ্যোগ৷’

কলকাতার বেলেঘাটার শাস্ত্রীজি হরিজন বিদ্যামন্দিরের (বাংলা) প্রধান শিক্ষক সুজয় শিকদার বলেন, ‘প্রতি বছর গরমে বাড়তি ছুটিতে পঠন---পাঠন ও পরীক্ষা ব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে৷ সে দিক থেকে পর্ষদের নির্দেশিকায় নতুনত্ব রয়েছে৷ এই রুটিনে ছাত্রছাত্রীদের উপকার হলে অবশ্যই স্বাগত৷’ যদিও এই যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয় বলেই শিক্ষকদের কয়েকটি সংগঠনের নেতা---নেত্রীদের পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষক---শিক্ষিকাদেরও দাবি৷ তাঁদের বক্তব্য, তাপপ্রবাহের দাপটের জেরে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজ্য প্রশাসন একতরফা ভাবে বার বার স্কুলে গরমের ছুটি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে৷ এতে স্কুল স্তরের পঠন---পাঠনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে৷

অল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদক চন্দন গরাইয়ের অভিমত, প্রাথমিক স্কুলগুলোর ক্ষেত্রে গরমে বাড়তি ছুটি কমিয়ে ক্লাস হওয়ার দিনের সংখ্যা অপরিবর্তিত রাখতে মর্নিং সেশন শুরুর নির্দেশিকা জারি হলে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরেও একই গাইডলাইন প্রয়োগ করা উচিত৷

অভিনব উদ্যোগ সুইৎজারল্যান্ডে মানসিক চাপ কমাতে ভরসা জাদুঘর!

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

ওষুধ নয়, রোগীদের হাতে আসছে ‘মিউজিয়াম প্রেসক্রিপশন’, যা দিয়ে শহরের যে কোনও চারটি জাদুঘর বিনামূল্যে ঘুরে দেখতে পারবেন তাঁরা৷ ২০১৯---এ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এক রিপোর্টে জানিয়েছিল, শিল্প মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে পারে৷ মানুষের ভেঙে পড়ার হার কমিয়ে আনতে পারে৷ সর্র্বেপরি ‘অকালমৃত্যু’র হারও কমাতে৷ সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, শিল্প চাক্ষুষ করায় ‘মন কি শক্তি’ আর হেঁটে জাদুঘরে ঘোরা, ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়ানোয় ‘তন কি শক্তি’৷ এই রিপোর্ট ভিত্তি করেই নুশাটেলে শুরু হয়েছে দু’বছরের পাইলট প্রজেক্ট উদ্যোক্তা শহরের কালচারাল মেডিয়েশন ম্যানেজার মারিয়ান দে রেনিয়ের নেভস্কি৷ তাঁর মতে, কেবল মানসিক অবসাদগ্রস্ত মানুষরাই নন, উপকৃত হবেন দূরারোগ্য রোগে আক্রান্তরাও৷ জানিয়েছেন,২০১৯---এ ক্যানাডার মন্িন্টয়লেও এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল৷ কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপে মাথা তোলা দায়? বাড়ির সমস্যায় জেরবার? থেরাপির বদলে এক অভিনব চিকিৎসা পদ্ধতি বেছে নিয়েছেন সুইৎজারল্যান্ডের নুশাটেল শহরের চিকিৎসকেরা৷

আশ্চর্যের ব্যাপার, এমন এক প্রজেক্টের জন্য খরচ খুবই সামান্য৷ মাত্র দশ হাজার সুইস ফ্রাঁ, অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৯ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার কাছাকাছি বাজেট ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জুলি৷ এই উদ্যোগ সফল হলে থিয়েটার বা নাচের অনুষ্ঠানে যাওয়ার পরামর্শের কথাও ভেবে দেখা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷

জাদুঘর ভ্রমণের সব খরচ বহন করছে প্রজেক্ট কর্তৃপক্ষ৷ নুশাটেলের কাউন্সি ল সদস্য জুলি কোর্সিয়ার ডেলাফন্টেন বলেন, ‘লকডাউনের সময়ে সব রকমের কালচারাল সাইট বন্ধ থাকায় মানুষ এখন বুঝছে, ভালো থাকার জন্য সেগুলো কতটা প্রয়োজনীয়৷’ আরও জানিয়েছেন, এখনও অবধি ৫০০ প্রেসক্রিপশন ডাক্তারদের মধ্যে বিলি করা হয়েছে৷ সেগুলি কাজে লাগাতেও শুরু করেছেন ডাক্তাররা৷ নুশাটেল হসপিটাল নেটওয়ার্কের সার্জারি বিভাগের প্রধান মার্ক---ওলিভিয়ের সোভাঁ জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই দুই রোগীর অস্ত্রোপচারের আগে এই প্রেসক্রিপশন ব্যবহার করেছেন তিনি৷ তাঁর দাবি, ‘সার্জারির আগে রোগীর ফিটনেস বাড়াতে একটু বেড়িয়ে আসতে বলা বেশ ভালো প্রস্তাব৷ রোগীরা ওষুধ বা পরীক্ষা---নিরীক্ষা বিশেষ পছন্দ করেন না৷ চিকিৎসার অঙ্গ হিসেবে তাঁদের জাদুঘরে ঘুরে আসার কথা বলতে ডাক্তার হিসেবেও বেশ লাগে৷’ মার্কের আশা, এই প্রজেক্ট সফল হলে তা আরও নানা শহরে ছড়িয়ে পড়বে৷

বিশ্বে সুখী দেশের তালিকায় নেপাল পাকিস্তানের পরে ভারত

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

গত ২০শে মার্চ বিশ্ব সুখ দিবস৷ ২০২৫ সালের সুখী দেশের তালিকা প্রকাশ করে রাষ্ট্র সংঘ৷ ১৪৭টি দেশের মধ্যে ২০২৪ সালে ভারতের স্থান ছিল ১২৬৷ ২০২৫-এ কয়েক ধাপ নেবে হয়েছে ১১৮৷ তবে নেপাল ও পাকিস্তানের পিছনে আছে ভারত৷ পাকিস্তান ১০৯ নম্বরে ও নেপাল রয়েছে ৯২ স্থানে৷

সুখী দেশের তালিকায় এক নম্বরে আছে ফিনল্যাণ্ড৷ গত আট বছর ফিনল্যাণ্ড তালিকার শীর্ষে থাকছে৷ ভারতের প্রতিবেশী বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা ভারতের থেকে পিছিয়ে আছে৷ বাংলাদেশ ১৩৪তম স্থানে ও শ্রীলঙ্কা ১৩৩ নম্বর স্থানে আছে৷ চীনের স্থান ৬৮ নম্বরে৷ আমেরিকা ২৪তম স্থানে৷ সবার পিছনে আফগানিস্তান ---১৪৭তম স্থানে৷

দেশের জীবন যাপনের মান, মাথাপিছু জিডিপি, সামাজিক সহায়তা, স্বাস্থ্যকর জীবন, সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাধীনতা, উদারতা, দুর্নীতির ধারণা, নিরপেক্ষতা,পরিবেশসহ বিভিন্ন মাপকাঠিতে নাগরিকদের মতামত বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ প্রতিবেদনে উদারতা ও দুর্নীতির মানে ভারত অনেকটা পিছিয়ে আছে৷

পোষ্ট কোভিড উপসর্গ---‘হু’র সতর্কবার্র্ত

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

বিশ্বের ৪০ কোটি মানুষের শরীরে আজও কোভিড-১৯ বাসা বেঁধে আছে পোষ্ট কোভিড বা লং কোভিড নামের উপসর্গ নিয়ে৷ চিকিৎসা গবেষকদের মতে কোভিড-১৯ আক্রান্ত মানুষের এক অংশের দেহে করোনা উপস্থিত প্রায় ২০০ রকমের উপসর্গ নিয়ে৷ এই বিষয় নিয়ে সতর্ক করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’ ফ্যাক্ট শিট প্রকাশ করে জানাল পোষ্ট কোভিড ৪টি উপসর্গের কথা---ক্লান্তি, অনিদ্রা, গাঁটে গাঁটে বা মাংস পেশির ব্যথা, শ্বাসকষ্ট ৷ সাধারণত ধূমপায়ী, স্থূলকায় অল্পবয়সি মহিলাদের মধ্যে এই উপসর্গ দেখা দিচ্ছে৷

বর্ধমান মেডিকেল কলেজের বর্তমান সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় করোনার সময় আইডি হাসপাতালে পোষ্ট কোভিড আউটডোর চালু করেছিলেন৷ তাঁর মতে ফুসফুসের স্থায়ী ক্ষতি, শ্বাসকষ্ট, উদ্বেগ, প্রভৃতি উপসর্গ দেখা দিচ্ছে করোনা আক্রান্ত একটি অংশের মধ্যে৷ তবে তিনি মনে করেন শুধু করোনার কারণে নয়, কোভিড ভ্যাকসিনের জন্যেও এই উপসর্গ দেখা দিতে পারে৷

অ্যাসোসিয়েশন ফিজিশিয়ান অব ইন্ডিয়ার সভাপতি জ্যোতির্ময় পাল বলেন--- অল্প বয়সিদের মধ্যে হার্টের অসুখ, শ্বাসকষ্ট ও সাডেন কার্ডিয়াক ডেথ লং-কোভিড বা পোষ্ট কোভিডের অন্যতম উপসর্গ৷