ঘুর্ণী, মালদহ, শিয়ালদহ ও সল্টলেক–নামগুলি কেমন করে হ’ল

ৰাঙলার একটি ৰৃহৎ অংশ জলের দেশ৷ এই দেশের যে সমস্ত অঞ্চলে বড় বড় নদী বয়ে গেছে সে সমস্ত অঞ্চলে কোথাও কোথাও নদী বাঁক নিয়েছ

বাংলা বানান সংশোধন

অসংস্কৃতি– ‘সংস্কৃতি’র বিপরীত শব্দ ‘অপকৃতি’ চলতে পারে, তবে ‘অপসংস্কৃতি’ চলতে পারে না৷ কারণ ‘সংস্কৃতি’ (সম্–কৃ  ক্তিন্

রাষ্ট্রসঙ্ঘে স্বীকৃতি পেল বাংলা ভাষা

গত ১০ই জুন রাষ্ট্র সংঙ্ঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে বহুভাষাবাদের পক্ষে অ্যান্ডোরা ও কলম্বিয়ার আনা প্রস্তাব গৃহীত হয়৷ গৃহী

নিজস্ব সংবাদদাতা

আনন্দমার্গ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রের যুগান্তকারী আবিষ্কার

পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার ছেলে সাবির হোসেন এক বিশেষ ধরণের পাউডার আবিষ্কার করেছেন যা ব্যবহারে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষতস্থানের রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে৷ পি.এন.এ.

শহীদ বিপ্লবী দীনেশ গুপ্ত

পত্রিকা প্রতিনিধি

৭ই জুলাই, ১৯৩১সাল৷ শেষ রাতের অন্ধকার ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে৷ আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের বন্দিরা কেমন নিস্তব্ধ, নীরব৷ ম্লান মুখগুলো অব্যক্ত যন্ত্রণায় ভারাক্রান্ত৷ আর কিছুক্ষণ পরেই চিরদিনের মত চলে যাবে তাঁদের সহবন্দি বিপ্লবী দীনেশ গুপ্ত৷ পরাধীন দেশের বিদেশি সাম্রাজ্যবাদী শাসকের বিচারে তাঁর ফাঁসি৷ পরাধীন দেশের নাগরিকদের বিদেশি অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে মুখ খোলা নিষেধ৷ আর উনি মুখ খোলেননি, মহাকরণের অভ্যন্তরে গিয়ে বিদেশি শাসকের কোমর ভেঙে দিয়ে এসেছে৷ এইরকম বিপদজনক ছেলেকে বাঁচিয়ে রাখাও বিপদ৷ তাই বিচারের প্রহসনে ফাঁসির দন্ডই বরাদ্দ হয়েছে তার জন্য৷

সামাজিক অপরাধের দায় সাহিত্য সংস্কৃতির জগৎকেও নিতে হবে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

কসবার ঘটনা নিয়ে শুধু শাসক পুলিশ প্রশাসনের দিকে আঙুল তুললে হবে না৷ যুব সমাজকে সঠিক পথের দিশা দেখানোর একটা দায় কবি সাহিত্যিক শিল্পীদেরও আছে৷ তারা কি সেই দায়ীত্ব পালন করছে!

গণ–র্থনীতিকে সার্থক করে তুলতে হবে সমবায়ের মাধ্যমে

প্রভাত খাঁ

ব্যষ্টি নিয়ন্ত্রিত ও রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত উৎপাদন ব্যবস্থাই অদ্যাবধি পৃথিবীর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে ও মূলতঃ বন্টন ব্যবস্থাকে পরিচালিত করছে৷ এদের যথাক্রমে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রক সাম্যবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বলা হয়৷

আজ এই দুটি উৎপাদন ও বন্টন ব্যবস্থাই শোষণের হাতিয়ার হিসাবে চিহ্ণিত হচ্ছে৷

সারা পৃথিবীতে চলছে চরম অর্থনৈতিক শোষণ৷ বর্ত্তমানে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাই সর্বত্র স্বনামে ও বেনামে কাজ করে চলেছে৷ এই দুই ক্ষেত্রেই শ্রমিক, বুদ্ধিজীবী নানাভাবে আর্থিক দিক থেকে শোষিত হচ্ছে৷

প্রাউট প্রসঙ্গে

প্রাউটিষ্ট

একটা মানুষ অন্যের মুখের গ্রাস কেড়ে নেবে, এটা তো উচিত নয়৷ সুতরাং মানুষ যাতে একটা বিধিসম্মতভাবে তার সমস্ত সম্পদ নিজেদের মধ্যে মিলে মিশে ভাগ করে কাজে লাগাতে পারে তার একটা ব্যবস্থা দরকার ছিল যা এর আগে কোন মহান পুরুষ করে নি৷... এই না করার জন্যে সমাজ জীবনে যে অনুপপত্তি থেকে গিয়েছিল, সেই অনুপপত্তির জন্যেই মানুষের যত দুঃখ কষ্ট ভোগ চলছিল৷...

মানবধর্ম ও প্রাণধর্ম: আমাদের সত্তার অন্তর্জাগরণ

আশীষ দত্ত রায়

মানুষ আর পশু এক নয়এটা শুধু মুখের কথা নয়, এটা আমাদের অন্তঃসত্তার গভীরে প্রোথিত এক চিরন্তন সত্য৷ মানুষ ও পশুর পার্থক্য শুধু তাদের গঠন বা আচরণগত প্রভেদে নয় আসল পার্থক্য নিহিত সেই সূক্ষ্ম অনুভূতিতে, যেখানে ন্যায়-অন্যায়ের বিচার জন্ম নেয়, মূল্যবোধ গড়ে ওঠে, এবং অপরের জন্য কিছু করার বোধ জেগে ওঠে৷

দলগুলি দলাদলিতে ব্যস্ত, তাই শাসককে হতে হবে জনগণের সেবক ধনীর সেবাদাস নয়!

প্রভাত খাঁ

যতো দিন যাচ্ছে ততই মনে একটা বড়ো প্রশ্ণ জাগছে সেটা হলো বর্তমানে সরকার তো একট বিরাট দেশে সেই গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে কেন্দ্রের দিল্লি পর্যন্ত সুবিস্তৃত! কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে সামান্য বর্ষায় রাস্তাগুলি এমন গর্তে পরিপূর্ণ হয়ে যার কারণে মানুষের চলা তো কঠিন, কিন্তু বাস মটর লরি মালভর্ত্তি গাড়িগুলো যেকোন সময়ে উল্টে যেতে পারে! তাতে যে মারাত্মক ক্ষতি হবে সেটার দিকে গ্রাম পঞ্চায়েতের তো নজর নেই, পঞ্চায়েতের সদস্যরা যদি একটু দায়ীত্বশীল হলে তাহলে দশা এমন হয় না৷ তা হলে বছরে বছরে বোট করে তৃণমূল স্তর থেকে এই সব জনপ্রতিনিধি সৃষ্টি করে লাভ টা দেশের হচ্ছে কী?

বাংলা ভাষার অবদমন বন্ধ হোক

পত্রিকা প্রতিনিধি

মাতৃভাষায় মানুষ যত সহজে সাবলীল ভাবে ও স্বচ্ছন্দে ভাবপ্রকাশ করতে পারে, অন্য কোনো ভাষায় সে তা পারে না৷ অন্য ভাষায় মানুষ স্বচ্ছন্দে ভাব প্রকাশ করতে পারে না৷ প্রতি মুহূর্ত্তে কোনো জনগোষ্ঠীকে অন্য ভাষায় ভাব প্রকাশ করতে বাধ্য করা হলে, সব সময় তারা অস্বচ্ছন্দ বোধ করে, ফলে তাদের প্রাণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ এ অবস্থায় তাদের দু’ধরণের মানসিক সংকটের সম্মুখীন হতে হয়–(১) হীনম্মন্যতা বোধ৷

বঞ্চনার ইতিহাস

আচার্য কীর্ত্যানন্দ অবধূত

এবারে বাঙালীর বঞ্চনার ইতিহাস শোনাব৷ সে বঞ্চনা দেশ বিভাগের বঞ্চনা৷ বৃটিশ ‘ডিভাইড এন্ড রুল’ পদ্ধতি চালু করেই পৃথিবীব্যাপী সাম্রাজ্য বিস্তার করেছিল৷ ভারতের বেলাতেও এ কথা প্রযোজ্য৷ হিন্দু মুসলমানের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে ব্রিটিশ তা’র সাম্রাজ্যের কালকে দীর্ঘায়ত করবার চেষ্টা করেছিল৷ তারপর যখন ভারত ত্যাগে বাধ্য হল তখনও সেই ডিভাইড এন্ড রুল পদ্ধতিই চালু করল৷ পাকিস্তান নামক অন্য একটি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা হল৷ তৎকালীন অদূরদর্শী নেতাগণ বিনা প্রতিবাদে তা মেনে নিলেন৷ তড়িঘড়ি এই সিদ্ধান্ত মেনে নেবার পেছনে কারণ হল ক্ষমতা লাভের মোহ৷ ১৯৩৯ সালে নেতাজী সুভাষচন্দ্র এক চিঠিতে জওহরলাল নেহেরুকে লিখেছিলেন ‘‘তোমরা যেপথ

বৈষম্য দূর করে আর্থিক বিকাশ সবার ঘরে পৌঁছে দিতে হবে

প্রবীর সরকার

 

দীর্ঘ ৭৭ বছর পরেও আমাদের ভাবতে হচ্ছে স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়ে দেশের সিংহভাগ মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যে পাঁচটি জিনিষের অত্যধিক প্রয়োজন, তারা পাচ্ছে না৷ আজও অনেকের ক্ষুধা নিয়ে জন্ম হচ্ছে পথে ঘাটে, আর মরতে হচ্ছে সেই পথে ঘাটে অবহেলিত পশু-পক্ষীদের মত৷ পাশাপাশি ভারতের মত বিরাট দেশে যৎসামান্য মুষ্টিমেয় কিছু ধনী ভাগ্যবানরা দেশের সম্পদের সিংহভাগের মালিক৷

আদর্শ সমাজ রচনায় আনন্দমার্গ

বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়

আনন্দমার্গ একটি সামাজিক -আধ্যাত্মিক সংস্থা৷ ব্যষ্টি ও সমষ্টিজীবনে আধ্যাত্মিকতার সুষ্ঠু বিকাশের জন্যে একটা সুন্দর সামাজিক পরিকাঠামো প্রয়োজন৷ তাই একটা আদর্শ সমাজে মানুষের আচার-অনুষ্ঠান কেমন হবে, তার জন্যে আনন্দমার্গ এক সামাজিক বিধিব্যবস্থা দিয়েছে(আনন্দমার্গে চর্যাচর্য ৩ খন্ড ও জীবনবেদ পুস্তকে) এর মধ্যে রয়েছে ব্যষ্টি ও সমষ্টি জীবনের আচরণ বিধি, সামাজিক উৎসবানুষ্ঠান কেমন হওয়া উচিত প্রভৃতি৷বলা বাহুল্য,এ সমস্তই যুক্তি ও বিজ্ঞানভিত্তিক,নৈতিকতা আশ্রিত, প্রগতিশীল ভাবধারা ও নব্যমানবতাবাদের ওপর আধারিত৷ কোন প্রকার অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কার তথা ডগ্মার স্থান এখানে নেই৷ বর্তমান প্রবন্ধে সে সব দিকে কিছুটা আলোক