ঘুর্ণী, মালদহ, শিয়ালদহ ও সল্টলেক–নামগুলি কেমন করে হ’ল

ৰাঙলার একটি ৰৃহৎ অংশ জলের দেশ৷ এই দেশের যে সমস্ত অঞ্চলে বড় বড় নদী বয়ে গেছে সে সমস্ত অঞ্চলে কোথাও কোথাও নদী বাঁক নিয়েছ

বাংলা বানান সংশোধন

অসংস্কৃতি– ‘সংস্কৃতি’র বিপরীত শব্দ ‘অপকৃতি’ চলতে পারে, তবে ‘অপসংস্কৃতি’ চলতে পারে না৷ কারণ ‘সংস্কৃতি’ (সম্–কৃ  ক্তিন্

রাষ্ট্রসঙ্ঘে স্বীকৃতি পেল বাংলা ভাষা

গত ১০ই জুন রাষ্ট্র সংঙ্ঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে বহুভাষাবাদের পক্ষে অ্যান্ডোরা ও কলম্বিয়ার আনা প্রস্তাব গৃহীত হয়৷ গৃহী

নিজস্ব সংবাদদাতা

আনন্দমার্গ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রের যুগান্তকারী আবিষ্কার

পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার ছেলে সাবির হোসেন এক বিশেষ ধরণের পাউডার আবিষ্কার করেছেন যা ব্যবহারে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষতস্থানের রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে৷ পি.এন.এ.

ভারতে বাঙালীর অবলুপ্তি রুখতে চাই ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস

মনোজ দেব

বাংলা ভাষা ও সাহিত্য সম্পর্কিত এক রচনায় আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় লিখেছেন---বিহার বিহারীর, পঞ্জাব পঞ্জাবীর, অসম অসমীয়ার, কিন্তু বাঙলার দ্বার সকলের জন্যে খোলা৷

১৯২২ সালে এক যুব সম্মেলনে বৈজ্ঞানিক ডঃ মেঘনাথ সাহা বললেন--- একদিকে বিদেশীরা বাংলাদেশকে অধিকার করেছে, অন্যদিকে ব্যবসা-বাণিজ্য করায়ত্ব করে অবাঙালী ব্যবসায়ীরা বাঙলার বৈষয়িক সম্পদ গ্রাস করেছে, বড়ো বড়ো বাঙালী ব্যবসায়ী পরিবার চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কৃপায় জমিদার হয়ে জড় বিলাসীতে রূপান্তরীত হয়েছে, আর মধ্যবিত্ত বাঙালী হয়ে দাঁড়িয়েছে কৃতদাস দেশী বিদেশী ব্যবসায়ীদের৷

আসল পরিবর্তন---শোষণের অবসানে পুঁজিবাদের বিনাশে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

প্রধানমন্ত্রী বাঙলায় এসে আসল পরিবর্তনের ডাক দিয়ে গেলেন৷ তবে আসল পরিবর্তনের স্বরূপ কি হবে তার কোন ব্যাখ্যা তিনি দেননি৷ বক্তব্যের মাঝে আরও একটি কথা তিনি বলেছেন---বাঙলার বিকাশ মোদির গ্যারান্টি৷ যত গন্ডোগোল ওই গ্যারান্টি শব্দ নিয়ে৷ ২০১৪ থেকে প্রথম প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াই থেকে প্রতিশ্রুতির বহর শুনিয়ে আসছেন৷ কিন্তু তার কতটুকু পালন করেছেন সেটাও তিনি জানেন না৷ তাই অনায়াসে বলতে পারেন---মোদির গ্যারান্টি!

কেন্দ্রের সরকারই আজ শোষকের ভূমিকায় রাষ্ট্র পরিচালনা নতুন অভিভাবক নির্বাচন করতে হবে

প্রভাত খাঁ

দীর্ঘ ৭৮ বছর ধরে ভারতযুক্ত রাষ্ট্রের দলতান্ত্রিক ও সাম্প্রদায়িক সরকারগুলো সেই সাম্রাজ্যবাদীদের মতোই নানা ছলাকলায় দেশের সাধারণ সরল জনগণকে একটি হাতে চুষিকাঠি বোটাধিকার দিয়ে নানাভাবেই শোষিত বঞ্চিত করে চলেছে৷ এটি কেউ না বুঝলেও যিনি ভালোভাবে উপলব্ধি করেছিলেন তিনি প্রাউট দর্শনের প্রবক্তা মহান দার্শনিক প্রভাতরঞ্জন সরকার!

প্রভাত সঙ্গীত ঙ্গ আলোয় ফেরার আকুতি

পত্রিকা প্রতিনিধি

১৪ই সেপ্ঢেম্বর প্রভাত সঙ্গীত দিবস৷ ১৯৮২ সালের ১৪ই সেপ্ঢেম্বর দেওঘর আনন্দমার্গ আশ্রমের মনোরম পরিবেশে আনন্দমার্গ দর্শন প্রণেতা শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী লৌকিক জগতে যিনি শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার নামে পরিচিত–প্রথম সঙ্গীত রচনা করে সুরারোপ করেন–

‘বন্ধু হে নিয়ে চলো আলোর ওই ঝর্ণা ধারার পাণে...’

বাঙলা চালাবে বাঙালীই

পত্রিকা প্রতিনিধি

গত ১০ই সেপ্ঢেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি অসম মোড়ের সন্নিকটে এবিপিসি ময়দানে সরকারী সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে ঘোষনা করেন দিল্লির হাতে বাঙলাকে যেতে দেব না৷ বাঙলার নিয়ন্ত্রণ দিল্লি করবে না, বাঙলাই বাঙলাকে চালাবে৷ মুখ্যমন্ত্রী মূলতঃ গত দশবছরে নরেন মোদি সরকারের বাঙলার প্রতি বঞ্চনা, বাঙলার ন্যায্য প্রাপ্য আটকে রাখা ও সম্প্রতি বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙালীর ওপর নির্যাতন নিয়ে সরব হয়েছিলেন৷ সেখানেই তিনি ঘোষনা করেন বাঙলা চালাবে বাঙলাই, দিল্লি বাঙলাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না৷

অসার প্রতিশ্রুতি

পত্রিকা প্রতিনিধি

মানস-অর্থনৈতিক শোষণ Psycho-economic exploitation) হল শোষণের এক বিশেষ ধরণ৷ শোসণ হল যখন কোনো ব্যষ্টি বা জনগোষ্ঠী স্বীয় স্বার্থ রক্ষার জন্যে অপর কোনো ব্যষ্টি বা জনগোষ্ঠীর ক্ষতিসাধন করে বা তাদের বিকাশের পথকে অবরুদ্ধ করে৷ এইভাবে একের প্রাণরস অন্যে শোষণ করে৷ আর মানস-অর্থনৈতিক শোষণ হল মানুষের সেন্টিমেন্টকে উসকে দিয়ে শোষণ করা , মানুষকে বিভিন্ন উপায়ে মানসিক দিক থেকে দুর্বল করে’--- পঙ্গু করে তারপর অর্থনৈতিক শোষণ করা৷

গণতন্ত্রের বেদীতে স্বৈরাচারী আস্ফালন স্বাধীনতার পূর্ব থেকেই চলছে

মনোজ দেব

দেশে এখন অঘোষিত জরুরী অবস্থা চলছে৷ শাসকের বিধানই রাষ্ট্রের বিধান হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ সংবিধান গৌন হয়ে গেছে৷ ভারতী সংবিধানের সব থেকে বড় ত্রুটি হলো শুধুমাত্র সংখ্যা গরিষ্ঠতার জোরে শাসক দল নিজেদের মত করে আইন পাল্টাতে পারে তৈরী করতে পারে৷ বর্তমান শাসকদল তো একপ্রকার বিরোধীদের চোখ রাঙিয়ে নিজেদের ইচ্ছে মতো আইন তৈরী করছে প্রয়োগ করছে৷ সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী মতকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজনও মনে করছে না৷ বিরোধীদের দমীয়ে রাখতে নানা অশোভন অঙ্গ-ভঙ্গী আচার-আচরণও সংসদের ভিতরে বাইরে দেখা যাচ্ছে৷ ভারতীয় রাজনীতিতে এটাকে পশ্চিমি সংস্কৃতি বলা যেতে পারে৷

সৎনীতিবাদী নেতৃত্বের অভাবে দেশ ধবংসের পথে

প্রভাত খাঁ

আমরা এসে পড়েছি এমন এক প্রশাসনের অধীনে যেটা মূলতঃ হয়ে দাঁড়িয়েছে মুসাফির দেশের সেই রাজনৈতিক দলতন্ত্রের যাঁতাকলের সামনে৷ গত ১০ বছর ধরেই এক নাগাড়ে মিথ্যা গণতন্ত্রের মোড়কে জার্সী পরাদের দ্বারা, যা কহতব্য নয়৷ দেখা যাচ্ছে এদেশের যৌথ শাসন ব্যবস্থা সেই সাধারণ নির্বাচনের ঠিক আগে কি কেন্দ্র আর কি রাজ্য সরকারগুলো মিথ্যা প্রচার সর্বস্ব সংবাদপত্রে ও টিভিগুলোতে প্রচার চালাচ্ছে উন্নয়নের! সেটা যেন সেই তিলকে তাল! বাস্তবে যার যৎসামান্য চিহ্ণ চোখে পড়ছে!

বানভাসি মানুষের অবযন্ত্রণা

বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়

১৯৭৮ সালে পশ্চিমবঙ্গে ভয়াবহ সর্বনাশ বন্যার স্মৃতিকে বুকে নিয়ে কিছু প্রাসঙ্গিক কথা লিখছি৷ সে বছর বন্যায় কয়েক লক্ষ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছিল৷ তার সাথে অসংখ্য মানুষের ভদ্রাসন, ক্ষেতের ফসল ও তাদের কষ্টার্জিত রসদ সবকিছুই বন্যার করাল গ্রাসে ধবংস হয়েছিল৷ অনেক মানুষ ও গবাদি পশুর জীবনহানিও ঘটেছিল এই সর্বনাশা বন্যায়৷ অসংখ্য মানুষ শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংঘটন ও সরকারের করুণার পাত্র হয়ে কালযাপন করেছিল৷ সেই স্মৃতি আজও আমাদের চিত্তে এক গভীর ক্ষতের মতোই রয়ে গেছে৷ এরপর কয়েক দশক অতিক্রান্ত হয়েছে আমাদের দেশের তথা বিশ্বের মানচিত্রের অনেক বদল বা পরিবর্ত্তন হয়েছে৷ কেবল বদল বা পরিবর্ত্তন হয়ন

আর্থিক বৈষম্য দূর করতে সঞ্চয়ে নিয়ন্ত্রণ চাই

প্রাউটিষ্ট

বিভিন্ন আর্থিক সংস্থার প্রতিবেদনে যে চিত্র ফুটে উঠেছে তা ভয়ঙ্কর বললেও কম বলা হবে৷ দেশের মোট সম্পদের ৪০ শতাংশের মালিকনা দেশের ৪ শতাংশ ধনীর হাতে ধনতান্ত্রিক আর্থিক ব্যবস্থার কেন্দ্রীত অর্থনীতিই এর জন্য দায়ী৷ তাই সর্বপ্রকার শোষণের অবসান ঘটাতে অবিলম্বে কেন্দ্রীত অর্থনীতির খোল–নলচে পাল্টে প্রাউটের বিকেন্দ্রিত আর্থিক ব্যবস্থার রূপায়ন করতে হবে৷ প্রথমেই প্রাউটের ধনসঞ্চয় নীতির প্রয়োগ করতে হবে৷