ঘুর্ণী, মালদহ, শিয়ালদহ ও সল্টলেক–নামগুলি কেমন করে হ’ল

ৰাঙলার একটি ৰৃহৎ অংশ জলের দেশ৷ এই দেশের যে সমস্ত অঞ্চলে বড় বড় নদী বয়ে গেছে সে সমস্ত অঞ্চলে কোথাও কোথাও নদী বাঁক নিয়েছ

বাংলা বানান সংশোধন

অসংস্কৃতি– ‘সংস্কৃতি’র বিপরীত শব্দ ‘অপকৃতি’ চলতে পারে, তবে ‘অপসংস্কৃতি’ চলতে পারে না৷ কারণ ‘সংস্কৃতি’ (সম্–কৃ  ক্তিন্

রাষ্ট্রসঙ্ঘে স্বীকৃতি পেল বাংলা ভাষা

গত ১০ই জুন রাষ্ট্র সংঙ্ঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে বহুভাষাবাদের পক্ষে অ্যান্ডোরা ও কলম্বিয়ার আনা প্রস্তাব গৃহীত হয়৷ গৃহী

নিজস্ব সংবাদদাতা

আনন্দমার্গ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রের যুগান্তকারী আবিষ্কার

পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার ছেলে সাবির হোসেন এক বিশেষ ধরণের পাউডার আবিষ্কার করেছেন যা ব্যবহারে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষতস্থানের রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে৷ পি.এন.এ.

১৫৩তম জন্মদিনে ঋষি অরবিন্দকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন

পত্রিকা প্রতিনিধি

অতীতের সেই স্বর্ণগর্ভা বাঙলার বুকে এমন এক মহান ব্যষ্টিত্বের জন্ম হয়েছিল যাঁরা বিশ্বের বুকে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন৷ তঁদের জন্যে এই বাঙলাও নিজেকে ধন্য মনে করে৷ তেমনই এক মহাসাধক, মহাজ্ঞানী, মহান বিপ্লবী হলেন ঋষি অরবিন্দ ঘোষ৷ তিনি জন্মগ্রহণ করেন হুগলী জেলার উত্তরপাড়ায় ১৮৭২ সালের ১৫ই আগষ্ট৷ তিনি ছিলেন একাধারে দার্শনিক রাজনৈতিক নেতা ও যোগী৷ তাঁর পিতার নাম ডাঃ কৃষ্ণমোহন ঘোষ৷ তাঁর পিতা চাইতেন তিনি উচ্চ সরকারী বিভাগে চাকুরী করে জীবন নির্বাহ করুন৷ সেই কারণে তিনি তাঁকে ইংল্যাণ্ডে আই.সি.এস.

এই স্বাধীনতা দেশীয় পুঁজিপতিদের ব্রিটিশের দেওয়া অনুদান

এইচ. এন. মাহাত

স্বাধীনতার ৭৮ বছর পরে আজ ভারতীয় বাঙালীকে বাংলা বললেই বাংলাদেশী চিহ্ণিত করা হচ্ছে৷ রাজ্যে রাজ্যে বিশেষ করে বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালীকে নির্মম নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে৷ এই পরিস্থিতিতে আজ পর্যালোচনা করে দেখা যাক স্বাধীনতার ৭৮ বছরে বাঙালী কি পেল৷ স্বাধীনতা দিবসের ৭৮ বছর পালন করার আগে দেশমাতৃকার সেবক যে সব বীর বাঙালীর রক্তে রাঙ্গা হলো স্বাধীনতা, সেই সকল বিপ্লবীদের স্মরণ করুণ, যাঁদের আত্মত্যাগে আমরা তথা কথিত রাজনৈতিক স্বাধীনতা পেয়েছি৷ একবার ভেবে বলুন তো বাঙালী কী পেয়েছে এই তথা কথিত স্বাধীনতায়!

পুঁজিবাদী শোষক ও শাসকের নিষ্পনে বিপন্ন ভারতীয় বাঙালীরা

মনোজ দেব

বিশ্বকবি বহু আগেই বাঙালীকে সতর্ক করেছিলেন স্বদেশী শাসকের শোষণ ও অত্যাচারের বিষয়ে৷ স্বাধীন ভারতে প্রাউটে প্রবক্তা শোষণের স্বরূপ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বাঙলার উপর দিল্লীর শাসক ও পুঁজিবাদী শোষণের নিদারুণ চিত্র তুলেধরেছেন তবু বাঙালীর হুঁস ফেরেনি৷ আজ রাজ্যে রাজ্যে বাঙালীওপর নির্যাতনে কিছুটা হলেও বাঙালীর ওপর অত্যাচার প্রতিবাদে পথে নেমেছেন৷ আজ বাঙলার ওপর শুধু আর্থিক শোষণ নয় --- তাকে মানসিক দিক থেকেও পঙ্গু করে দেবার নির্মম খেলায় মেতেছে দিল্লির শাসকবর্গ৷ মার্কস শোষণ বলতে ভেবেছিলেন - --শ্রমিক শ্রেণীকে ন্যায্য পাওনা না দিয়ে পুঁজিপতিরা যে মুনাফা লোটে সেটাই শোষণ৷ এটাও শোষণ কিন্তু এই শোষণের আগেও আরও শোষণ আছে

বিশ্বের সচেতন নাগরিকগণই বর্তমানের মেকী বিশ্বনেতা ও শাসকদের উচিত শিক্ষা দেবেন

প্রভাত খাঁ

বর্তমান পৃথিবীর অধিকাংশ রাষ্ট্রেই জনগণের শাসনের নামে চলছে পুঁজিবাদী শোষণ ও শাসন৷ রাজনৈতিক দল আছে, নির্বাচনও হয়, জনগণ বোটও দেয়, কোন একটি দল নির্বাচনে জিতে মন্ত্রীসভা ঘটন করে ক্ষমতায় বসে৷ কিন্তু---নাচায় পুতুল যথা দক্ষ বাজিগরে---এই পুঁজিবাদী বাজিগরের অঙ্গুলি হেলনেই জনগণের দ্বারা নির্বাচিত পুতুল সরকারগুলি চলে৷ গণতন্ত্র সম্পর্কে প্রচলিত যে কথা---জনগণের দ্বারা, জনগণের জন্য জনগণের সরকার তা হয় দাঁড়িয়েছে পুঁজিপতিদের দ্বারা পুঁজিপতিদের জন্য,পুঁজিপতির সরকার৷ জনগণের দ্বারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচনে জয়ের পর আর জনগণের প্রতিনিধি থাকে না, তারা হয়ে যায় পুঁজিপতিদের প্রতিনিধি৷

সুস্পষ্ট ভাষানীতি চাই

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

‘‘ভারতের সমস্ত ভাষাগুলিকে সমান অধিকার ও মর্যাদা দিতে হবে৷ সংস্কৃত হবে সকলের সাধারণ ভাষা কেননা তা সমগ্র ভারতেরই পিতৃপুরুষদের ভাষা৷ যদি সমস্ত ভারতবাসীর মধ্যে যোগসূত্র হিসেবে সংস্কৃতকে স্বীকৃত দেওয়া হয় তাহলে তা সকলের পক্ষেই সুবিধাজনক হবে৷ আগেই বলা হয়েছে ভারতের সমস্ত ভাষারই মূল উৎস সংস্কৃত৷ যখনই কোনো ভাষায় কোনো বিশেষ শব্দের অভাব হবে, সংস্কৃতের শব্দ সম্ভার থেকে সেটা সংগ্রহ করা সম্ভবপর হবে৷ যদি জোর করে তোমাকে হিন্দী শিখতে হয়, যেমনটি আজ করা হচ্ছে, সেটা বাঞ্ছনীয় নয়৷ যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষ মাতৃভাষায় নিজেদের অভিব্যক্ত করার সুযোগ না পাচ্ছে ততক্ষণ তারা অন্যের সঙ্গেও যোগসূত্র স্থাপন করতে সক্ষম হয় না৷’’

পুঁজিবাদী নিষ্পেষণে বিপন্ন বৃহত্তম গণতন্ত্র

পত্রিকা প্রতিনিধি

ভারতের সামাজিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পুঁজিতান্ত্রিক৷ প্রশাসন ব্যবস্থা গণতান্ত্রিক৷ মিশ্র অর্থনীতির এ এক ‘সোনার পাথরবাটি’৷ ভারতবর্ষকে বিশ্বের বৃহত্তম গতণন্ত্র বলে বড়াই করা হয়৷ কিন্তু স্বাধীনতার ৭৮ বছর পর দেশের চেহারা দেখলেই বোঝা যায় গণতন্ত্র এখানে এক বিরাট ভাঁওতা৷ গণতন্ত্র সম্পর্কে বলা হয়ে থাকে জনগণের দ্বারা, জনগণের জন্যে, জনগণের সরকার৷ কিন্তু পুঁজিতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় ভারতের গণতন্ত্রকে বলা যায়---বৈশ্যদের দ্বারা, বৈশ্যদের জন্যে, বৈশ্যের সরকার৷ জনগণ এখানে ভোট দেবার যন্ত্র মাত্র৷ রাজনৈতিক দল, আমলাতন্ত্র, প্রচারমাধ্যম, শিক্ষা-সংস্কৃতি, পুলিশ-প্রশাসন এমনকি খেলার মাঠও বৈশ্য শোষকের কালো হাতের নিয়

শ্রাবণী পূর্ণিমা–নবযুগের পথে বিশ্বমানবের যাত্রা শুরু

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

সব কাজেরই শুরুর আগে একটা শুরু আছে৷ যাকে বলে আয়োজন৷ কবির কথায় সন্ধ্যাবেলায় তুলসী তলায় প্রদীপ জ্বালার আগে সকাল বেলায় শলতে পাকিয়ে রাখতে হয়৷ প্রদীপ জ্বালার আয়োজন তখন থেকেই৷ ১৯৫৫ সালের ৯ই জানুয়ারী বিহারের ছোট্ট শহর জামালপুরে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী আনন্দমার্গ নামের যে দীপশিখাটি জ্বালিয়েছিলেন তারও আয়োজন শুরু হয়েছিল আরও ১৬ বছর আগে ১৯৩৯ সালের শ্রাবণী পূর্ণিমাতে৷ বস্তুতঃ আনন্দমার্গের যাত্রা শুরু ওই দিন থেকেই৷ সেইসঙ্গে বিশ্বমানবেরও নবযুগের পথে যাত্রার সূচনা হয়৷

আজ ভারতে চরম দুর্দিন নাগরিকদের আরো দায়িত্বশীল হতে হবে

প্রভাত খাঁ

সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ সুভাষ আতঙ্কে দেশ ছাড়তে বাধ্য হলে, যাঁরা ইংরেজের বশংবদ তাদের হাতে সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে ভারতবর্ষকে ভাগ করে দিয়ে এদেশ ছেড়েছে! দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও ৫০-এর ভয়ঙ্কর দুর্ভিক্ষের অভিশাপ ফেলে রেখে! আজ দলতন্ত্রের ও সাম্প্রদায়িকতার বিষে বিষাক্ত দলীয় সরকারগুলো দলাদলি ও গদীর লড়াই কিভাবে দেশকে ধবংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে দেখতে হচ্ছে৷ এইভাবে ৭৮ বছর কেটে গেল!

মানুষকে আধ্যাত্মিক অনুশীলন করতেই হবে

পত্রিকা প্রতিনিধি

 

পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীকুল সমান দুই ভাগে বিভক্ত৷ এককচারী ও যূথবদ্ধ৷ অতি পরিচিতদের মধ্যে ছাগল, মুরগী জাতীয় কয়েকটি প্রাণী এককচারী৷ আবার হাতী, ভেড়ার মত কিছু প্রাণী আছে তারা যূথবদ্ধ৷ এককচারী জীবেরা সাধারণতঃ আত্মস্বার্থ কেন্দ্রিক হয়৷ সব সময় নিজের স্বার্থ রক্ষার্থেই ব্যস্ত থাকে৷ অন্য কারোর দিকে ফিরেও চায় না৷ পাশে কেউ বিপদে পড়লেও তাদের কোন ভ্রূক্ষেপ থাকে না৷ এই ধরণের জীবকে গৃহে পোষ মানাতে গেলেও তারা কখনোই পালক প্রভুর অনুগত হয় না৷ যেখানেই থাকুক যাই করুক,নিজের স্বার্থটাই কেবল তার কাছে প্রাধান্য পায়৷