June 2017

ধর্মের নামে ধর্মমতের উদ্বাহু নৃত্য বন্ধ হোক

সুকুমার সরকার

ধর্ম(Dharma) আর ধর্মমত (Religion) এক না হলেও এখনো পর্যন্ত সমাজ, রাষ্ট্রের হোতারা ধর্মমতকেই ধর্ম বলে চালিয়ে যাচ্ছেন৷ আর ধর্মের নামে ধর্মমতকে নিয়েই রাজনীতি করছেন৷ যদিও তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষবাদীরা বলছেন, ধর্ম নিয়ে রাজনীতি নয় তথাপি ভারতবর্ষের রাজনীতির গতি প্রকৃতি নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে ধর্মের নামেই৷ কোথাও প্রত্যক্ষভাবে কোথাও পরোক্ষভাবে৷ আর সমস্যার বীজ রোপিত হচ্ছে সেখানেই৷ যে বীজ উপযুক্ত পরিবেশ পরিস্থিতি পেলে মহীরুহে পরিণত হয়ে সমাজরাষ্ট্রের কাঠামোতে ফাটল ধরিয়ে দিচ্ছে৷ ধবংস করছে সমাজ-সৌধের দৃঢ় ভিত্তিটাকে৷

বিজেপির দার্জিলিংয়ের স্কুলগুলিতে বাংলা শিক্ষার বিরোধিতা

গত ১৬ই মে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবাঙলার সমস্ত স্কুলে দশম শ্রেণী পর্যন্ত বাংলা পড়ানো বাধ্যতামূলক করার কথা ঘোষণা করেছেন৷ দার্জিলিংয়ে বিমল গুরুংরা এর বিরোধিতা করেছে৷ এর প্রতিবাদে পাহাড়ে স্কুল-কলেজ বন্ধ রেখে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে৷ নেপাল থেকে জীবিকার সন্ধানে গোর্খারা বা নেপালীরা পশ্চিমবঙ্গে এসে বসতি স্থাপন করেছে৷ ১৯৫০-এর ভারত-নেপাল চুক্তিতেও বলা হয়েছে নেপালীরা জীবিকার জন্যে ভারতে বসবাস করতে পারবে, কিন্তু তারা এদেশের নাগরিকত্ব পাবে না৷ অর্থাৎ তারা বিদেশী বলেও পরিচিত থাকবে৷ সেই বিদেশী নেপালীরা পশ্চিমবাঙলায় থাকবে, এখানকার সব সুবিধা ভোগ করবে অথ

ভূয়ো ডাক্তারে ছেয়ে গেছে রাজ্য

ভূয়ো ডাক্তারে ছেয়ে গেছে গোটা রাজ্য গত মে মাস থেকে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে ৫০০ ভূয়ো ডাক্তার ৷ এর মধ্যে আছেন উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার ক্লাসটেন পাশ করা কাইজার এনান থেকে হাওড়া জেলার বাউরিয়ার রামশংকর, যার পাশে লাগানো ভুয়ো এম.বি.বি.এস, এম.ডি৷ ভূয়ো ডাক্তারের অবাধ দাপট ছিল বেলভিউ থেকে কোঠারির মত মহানগরীর প্রথম শ্রেণীর হাসপাতালে নার্সিংহোম গুলিতে৷

পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের পক্ষ থেকে এমনকি ২১ জনের বিরুদ্ধে এফ.আই. আর করা হয়েছে৷ বাকিদের বিরুদ্ধে শীঘ্র এফ.আই.আর জারী করা হবে বলে জানা গেছে৷

পাহাড়ের স্কুলে বাংলাকে বাধ্যতামূলক করতে আমরা বাঙালীর আন্দোলনের ডাক

পশ্চিমবাঙলায় বাস করে বাংলার বিরোধিতা করা চরম বিচ্ছিন্নতাবাদ৷ জীবিকার সন্ধানে পশ্চিমবাঙলায় এসে নেপাল থেকে আগত গোর্খারা যেভাবে বাংলা বিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে, একে বরদাস্ত করা কখনেই উচিত নয়৷ বিদেশ আগত গোর্র্খাদের হাতে অন্যায়ভাবে জিটিএ (গোর্খাল্যাণ্ড টেরিটোরিয়্যাল অ্যাডমিনিষ্ট্রেশন) তুলে দেওয়ার এই মারাত্মক কুফল৷ তাই দার্জিলিংয়ের স্কুলগুলিতে বাংলা শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা, জিটিএ বাতিল করা, মদন তামাং হত্যার অভিযোগে বিমল গুরুংদের অবিলম্বে গ্রেফ্তার করার দাবীতে ‘আমরা বাঙালী’ সারা রাজ্য জুড়ে আন্দোলন করবে বলে আজ এক সাক্ষ্যাৎকারে জানিয়েছেন আমরা বাঙালীর কেন্দ্রীয় সচিব বকুল

গোষ্ঠী রাজনীতির তীব্র বিষে বিষাক্ত এখন শিক্ষা জগৎ!

সাম্প্রতিক কালে দেখা যাচ্ছে উত্তর ২৪ পরগণার বারাসত কলেজের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ ক্রমশঃ রক্তাক্ত সংঘর্ষে পরিণত হচ্ছে৷ আগে বামফ্রণ্ট আমলে এখানে সিপিএমের ছাত্র সংঘটন এস.এফ.আই.-এর দাপট ছিল এস. এফ.

শোষিত বাঙলা - বঞ্চিত বাংলা ও বাঙালী

তারাপদ বিশ্বাস

বাঙলায় জলবায়ু পৃথিবীর বিস্ময়৷ প্রকৃতির অফুরন্ত দানে বাঙলা কৃষিজ-খনিজ-বনজ-জলজ সম্পদে স্বয়ংসম্পূর্ণ, জীবনের আবির্ভাব ও বিকাশের জন্য অবশ্য প্রয়োজনীয় অত্যুর্বর মাটি, পর্যাপ্ত মিষ্টি জলভান্ডার, সূর্যালোক, তাপমাত্রা, হাওয়া, বৃষ্টিপাতের প্রাচুর্যের কারণে বাঙলা সুজলা-সুফলা-শস্য-শ্যামলা এক সোনার দেশ৷ সোনার বাঙলার অফুরন্ত সম্পদ ভান্ডার ছিল, বিশ্বাবাসীর ঈর্ষার বিষয়৷ ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছে, সেই সম্পদের লোভে খ্রী: পূ: ৩২৭ অব্দে ম্যাসিডোনিয়া সম্রাট আলেকজান্ডার দি গ্রেট বাঙলা অভিযানের সংকল্প নিয়ে অগ্রসর হয়েছিলেন কিন্তু বাঙলার গঙ্গারীডি রাজার অপরাজেয়, অমিতবিক্রম বাহিনীর সামনে দাঁড়

ধর্ম মহাসম্মেলনের পুরোধা প্রমুখের সংক্ষিপ্ত প্রবচন

আচার্য মােহনানন্দ অবধূত

 আধ্যাত্মিক সাধনার ক্ষেত্রে মানুষের মনে যে ধরণের জিজ্ঞাসা আসে তাদের বলা হয় পরিপ্রশ্ণ৷ অধ্যাত্ম জীবনের পরিপ্রশ্ণগুলির মধ্যে বিশেষ পরিপ্রশ্ণ হলো যে পরমপুরুষ  কাছেই আছেন  অথচ তাকে পাচ্ছি না কেন? আর তাকে পেতে গেলে সাধনাটাই কিরূপ ভাবে করতে হবে?