February 2020

উপস্থিত বুদ্ধি

‘তন্’ ধাতুর অর্থ হ’ল বেড়ে যাওয়া, অভিব্যক্ত হওয়া৷ যে মানুষ তার ভাবধারাকে নাচে–গানে অভিনয়ে–আবৃত্তিতে অভিব্যক্ত করতে পারে তার জন্যে ‘তন্’ ধাতুূড প্রত্যয় করে ‘ত’ শব্দ ব্যবহৃত হয়৷ তাই এক্ষেত্রে ‘ত’–শব্দের একটি অর্থ হ’ল ণট বা অভিনেতা৷

অভিনেতার মধ্যেও অনেক সময় অদ্ভুত রকমের উপস্থিত বুদ্ধি দেখা যায়৷ সে বিচারে তিনি দু’দিক দিয়েই ‘ত’৷ অভিনয় জগতের ‘ত’–এদের উপস্থিত–বুদ্ধি সম্বন্ধে বা উপস্থিত বুদ্ধির স্বভাব সম্বন্ধে অনেক গল্প প্রচলিত আছে৷ দু’একটি গল্প তোমাদের শোনাচ্ছি ঃ

পৃথ্বী ও সঞ্জুর  ভালো ফর্মের কারণে  ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট স্বস্তিতে

প্রথম বেসরকারি একদিনের ম্যাচে কিউই পাখির দল অর্থাৎ নিউজিল্যান্ডদের ভারত পাঁচ উইকেটে পরাজিত করে৷ এই জয়ের কৃতিত্ত্ব সরাসরি দুইজন যুব খেলোয়াড়ের দিকে যায়---পৃথ্বীশ ও সঞ্জু স্যামসন৷ ১২৩ বল বাকী রেখে এই জয় শিরোপা ভারতের কপালে তুলে দিয়েছে ভারত৷

প্রথমে নিউজিল্যাণ্ড টসে হেরে প্রথম ব্যাটিং করতে নেমে নিউজিল্যাণ্ড ৪৮.৩ ওভারে ২৩০ রানে শেষ হয়৷ মহম্মদ সিরাজ (৩-৩৩), অক্ষর প্যাটেল (২-৩১), খলিল আহমেদ (২-৪৬) নজর কাড়েন বল হাতে৷

গত বিশ্বকাপের ফরমূলায় ভারতকে বিপাকে ফেলতে চাইবে নিউজিল্যাণ্ড

এই মূহূর্ত্তে ভারতীয় সিনিয়র ক্রিকেট দল নিউজিল্যাণ্ডের মাটিতে নিউজিল্যাণ্ডের বিরুদ্ধে ক্রিকেট খেলবে৷ গত বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে এই দলটির বিরুদ্ধেই হার মেনে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিতে বাধ্য হয়েছিল৷ সেদিনকার জেরক্স কপি অর্থাৎ বাউন্সী পিচে শরীর লক্ষ করে গতিসম্পন্ন বলে ফাঁদে ফেলতে চাইবে নিউজিল্যাণ্ডের বোলাররা৷ পাশাপাশি ভারতও বিশ্বকাপে হারের বদলা নিতে চাইবে৷ ফলে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি৷

আনন্দমার্গীয় বিধিতে বৈপ্লবিক বিবাহ

কলিকাতা, ১৬ই জানুয়ারী ঃ গত ১৬ই জানুয়ারী দক্ষিণ কলকাতার মুকুন্দপুরে আনন্দমার্গীয় বিধিতে একটি বৈপ্লবিক বিবাহ অনুষ্ঠান হয়৷ পণপ্রথা ও জাতিভেদ প্রথা সহ সর্বপ্রকার কুসংস্কারমুক্ত এই বিবাহ অনুষ্ঠানে পাত্র ছিলেন আটঘরা সুভাষ পার্ক, ঢালুয়া নিবাসী শ্রীমান অমল সামন্ত (পিতা প্রয়াত শ্রী বসন্ত  সামন্ত ও মাতা শ্রীমতী ছবি সামন্ত ) ও পাত্রী ছিলেন দক্ষিণ কাশিপুর, থানা পাথরপ্রতীম জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগণা নিবাসী কল্যাণীয়া টুম্পা রাউথ (পিতা প্রয়াত শ্রী সুশান্ত রাউথ ও মাতা শ্রীমতী সন্ধ্যা রাউথ)৷ অনুষ্ঠানে আনন্দমার্গের বহু সন্ন্যাসী-সন্ন্যাসিনী ও পাত্র ও পাত্রীর আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবের উপস্থিতিতে এই বিবাহ অনুষ্ঠানট

আনন্দমার্গের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

নিশীথ ঋতের মা তারাবালা ঋত গত ১৫ই জানুয়ারী প্রয়াত হন৷ গত ১৯শে জানুয়ারী আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও আনন্দমার্গী দাদাদিদিদের উপস্থিতিতে তাঁর  বাসভবনে আনন্দমার্গের বিধি অনুসারে একটি ভাবগম্ভীর পরিবেশে তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়৷ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ও আনন্দমার্গের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের ওপর বক্তব্য রাখেন আচার্য সুবিকাশানন্দ অবধূত৷

ডি-ভোটারের অপবাদ নিয়ে  চলে গেলেন সেনা-পত্নী

প্রাক্তন সেনাকর্মী  প্রয়াত যশোদাজীবন চক্রবর্তীর স্ত্রী প্রতিমারাণী চক্রবর্তী গত বিশবছর ধরে সন্দেহভাজন বিদেশি নাগরিকের  অপবাদ বয়ে বেড়াচ্ছিলেন৷ স্বামী ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্মী হওয়া সত্ত্বেও স্ত্রীকে বিদেশি নাগরিকের অপবাদ বয়ে বেড়াতে হয়েছে৷ ২০১৭ সালে তাঁর বিরুদ্ধে করিমগঞ্জে ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের হয়৷ ২১শে জানুয়ারি তার সাক্ষ্য ছিল৷ কিন্তু গত ১৩ই জানুয়ারি সরকারি হাসপাতালে তিনি পরলোক গমন করেন৷ তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৫৯ বছর৷ দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে এই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন সেনাকর্মীর স্ত্রী হয়েও বিদেশি অপবাদ মাথায় চাপায়৷

এ লজ্জা রাখি কোথায়!

হিন্দী ভারতের রাষ্ট্রভাষা নয়৷ ভারতের সংবিধানে কোন নির্দিষ্ট ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে গ্রহণ করা হয়নি৷ কিন্তু ছোট্ট থেকে আমাদের মনে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে হিন্দী রাষ্ট্র ভাষা৷ এমনকি  ত্রিপুরা বোর্ডের সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণীর হিন্দী পাঠ্য বইয়ের নামই দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রভাষা হিন্দী৷ বই দুটি যে বা যাঁরা লিখেছেন তাঁরা নিশ্চয়ই শিক্ষিত সমাজের খুব উঁচুদরের মানুষ৷ তাঁরা না জেনে এটা করেনি৷ ভাবতে লজ্জা হচ্ছে আমাদের শিক্ষিত সমাজেরও কিছু মানুষ নির্লজ্জ ভাবে হিন্দীর তাঁবেদারি করছে৷

বিদেশী বানানোর আইন

মাঠে ময়দানে চিৎকার করে প্রচার করা হয়েছিল ২০১৪ সালে ধর্মীয় উৎপীড়নে প্রতিবেশী দেশ থেকে আসলেই নাগরিকত্ব পাবে৷ তার জন্যে কোন প্রমাণ লাগবে না৷ এখন কিন্তু সরকার উল্টো গাইছে৷ যদিও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ হবার পরে এখনও পর্যন্ত সরকার সি.এ.এ.-র নিয়মাবলী জানাতে পারেনি৷ এর মধ্যে ২৭শে জানুয়ারী স্বরাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে প্রতিবেশী ভিন্ দেশ থেকে আসা অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব পেতে তাদের নিজের ধর্মের প্রমাণ দিতে হবে৷ অর্থাৎ যে শরণার্থী যে দেশ থেকে এসেছে সেই দেশের নথিতে কোন্ ধর্মের উল্লেখ আছে তার কাগজপত্র দেখাতে হবে৷ এখন প্রশ্ণ যারা প্রাণভয়ে অত্যাচারিত হয়ে এক কাপড়ে চলে এসেছে তারা ধর্মের প্রমাণ দেখাবে কী

আন্তর্জাতিক বইমেলা প্রাঙ্গণে আনন্দমার্গ প্রকাশনের বুকষ্টল

কলকাতা ঃ কলকাতা সল্টলেকে গত ২৯শে জানুয়ারী ২০২০ বুধবার করুণাময়ীর মোড়ের কাছে সেন্ট্রাল পার্ক মেলা প্রাঙ্গনে বুক সেলার্স অ্যাণ্ড পাবলিসার্স গিল্ড আয়োজিত আন্তর্জাতিক বইমেলার উদ্বোধন হ’ল৷ প্রতি বছরের মত এবারও আনন্দমার্গ প্রকাশনের পক্ষ থেকে মেলায় বুকষ্টল  দেওয়া হয়েছে৷ বুকষ্টল নং ৪৫০৷ এই বুকষ্টলে আনন্দমার্গ প্রকাশনের বিপুল পুস্তক সম্ভার রয়েছে---যেমন শিশু সাহিত্য, যোগ ও তন্ত্রের বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা, যোগের সঙ্গে মনস্তত্ত্বের সম্পর্ক,শিব ও কৃষ্ণের সঠিক মূল্যায়ন, ভাব-ভাষা-ছন্দের অপরূপ মেলবন্ধনে রচিত প্রভাত সঙ্গীত,  বাংলা-বাঙালীর ইতিহাস, সামাজিক-অর্থনৈতিক তত্ত্ব ‘প্রাউট’ সম্পর্কিত পুস্তক সম্ভারে সজ্জ

মূল্যবোধের অবক্ষয়l সামাজিক বিভাজনl অর্থনৈতিক বিপর্যয়-আনন্দমার্গের জীবনাদর্শই পথ দেখাবে

২০২০ নববর্ষের ধর্ম মহাসম্মেলন শেষ হওয়ার পর নির্ধারিত সূচী অনুযায়ী সেমিনার শুরু হয়েছে৷ গত ২৪ , ২৫ ও ২৬শে জানুয়ারী কলিকাতা রিজিয়নে টাটানগর, আগরতলা ও ভূবনেশ্বরের বোধে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়ে গেল৷ এইসব সেমিনারে টাটানগরের প্রশিক্ষক ছিলেন আচার্য বিকাশানন্দ অবধূত ও আচার্য তথাগতানন্দ অবধূত, আগরতলায় ছিলেন আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত, আচার্য তন্ময়ানন্দ অবধূত, বোধে ছিলেন আচার্য বিশুদ্ধাত্মানন্দ অবধূত৷

সেমিনারের আলোচ্য বিষয় ছিল ‘সাধনা ও মধুবিদ্যা’, ‘জাগ্রত বিবেক’, ‘ভক্তি ও কৃপা’, ‘অর্থনৈতিক গণতন্ত্র৷’ প্রত্যেকটি সেমিনারেই প্রচুর সংখ্যক মার্গী ভাইবোন ও সাধারণ মানুষ আগ্রহ সহকারে অংশগ্রহণ করেন৷