January 2021

ত্রিপুরা রাজনৈতিক গণতন্ত্র নয় চায় অর্থনৈতিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা

এইচ.এন. মাহাত

বিজেপি ত্রিপুরায় সরকারে আসার আগে একটি রাজনৈতিক স্লোগান মানুষের মুখে মুখে প্রচার শুরু করলেন ‘চলো পাল্টাই’৷ এখানে পালটাই শব্দের অর্থ হলো সিপিএমের ৩৪ বছরের অপশাসনের ফলে সাধারণ মানুষকে সিপিএম জমানার অপশাসন, শোষন ও বঞ্চনার হাত থেকে ত্রিপুরাবাসীকে মুক্ত করা৷ অনেকেই  এই পাল্টাইকে স্বাগত জানালো৷ সিপিএম সরকারের পতন হলো৷ খুশীতে ডগমগ ত্রিপুরাবাসী৷ ‘আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে’৷  সাব্রুম থেকে চুড়াইবাড়ী সকলে মিলে বলতে শুরু করল ৩৪ বছরের যুগ শেষ হলো৷ গেরুয়া আবিরের আকাল পড়ে গেল৷ এতটুকু পর্যন্ত ঠিক ছিলো৷

প্রসঙ্গ ঃ মেদিনীপুর

মেদিনীপুরের যেটা কথ্য বাংলা সেটা কিন্তু  ৰাংলা ভাষার বেশ একটা পুরোনো রূপ৷ ৰাংলার সাংস্কৃতিক জীবনেও মেদিনীপুরের স্থান খুবই উচ্চে৷ শত লাঞ্ছনার ভেতর দিয়ে দিন কাটালেও মেদিনীপুরের মানুষের প্রাণের স্পন্দন কখনও থেমে যায়নি৷ প্রাক্–পাঠান যুগে তো বটেই, পাঠান যুগে ও মোগল যুগেও এমন কি ইংরেজ আমলের গোড়ার দিকেও সেখানে দেখেছি চুয়াড়–বিদ্রোহ–স্বাধীনতার প্রচণ্ড আন্দোলন, তারপর ’৪২ সালের প্রাণ–কাঁপানো নাড়া–দেওয়া আন্দোলন৷ এই মেদিনীপুরের পশ্চিম দিকটা, মানে ঝাড়গ্রাম মহকুমার কথ্য ভাষা মধ্য রাঢ়ীয় উপভাষা৷ ওরই লাগোয়া ময়ূরভঞ্জ ও সিংভূমেও ওই একই উপভাষার প্রচলন রয়েছে৷ এই মেদিনীপুরেরই দক্ষিণাংশে রসুলপুর নদীর মোহনা থেকে সু

মরছে  মানুষ

বিভাংশু মাইতি

মরছে মানুষ পোকার মত

মানবতা জ্বলছে চিতায়

কলঙ্কী চাঁদ ধূম্রাকাশে

লাজ ঢাকতে মুখ লুকায়

           

            চিত্ত চিতায় কঁকিয়ে কাঁদে

            নীরবে বিনা প্রতিবাদে

            বিবেক বুদ্ধি অবরূদ্ধ

            ভোগবাদের মরণ ফাঁদে৷

 

নৃত্যরত নিলাজ নেতা

স্বরূপ ভুলে ব্যাভিচারী

সমাজ-দেহ কোমায় শুয়ে

বীভৎস আজ অত্যাচারী৷

           

            ব্যর্থ প্রেমে গায়ে আগুন

            পড়ার চাপে গলায় ফাঁস

            ধর্ষকরা এক নিমেষে

মানুষ

তৃপ্তি মণ্ডল

হে মানুষ তুমি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম জীব

এই পৃথিবীর কত দায়িত্ব তোমার কাঁধে,

এ ধরাকে রক্ষা কর তুমি৷

রক্ষা কর সবুজ বন আর যত পশুপাখি৷

বিষিয়োনা বায়ু, দূষণ করোনা জল,

 

হে মানুষ তোমার শুভ ভাবনায়

মিলিয়ে যাক ধবংসের ইঙ্গিত

রক্ষা হোক ধরা,

বাঁচুক পৃথিবীর যত প্রাণী৷

আর তোমার মান আর হুঁশ

দুইয়ের বিমিশ্রণে হয়ে ওঠ প্রকৃত মানুষ৷

‘‘চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির’’

পথিক বর

রাজনীতি সেদিন আজকের মত স্বার্থের তরী বেয়ে রাজক্ষমতা ভোগের পেছনে ছুটতো না৷ সেদিনের রাজনীতি ছিল দেশের জন্যে, দশের কল্যাণের জন্যে জীবনাদর্শে উজ্জীবিত, উৎসর্গীকৃত৷ পরাধীন ভারতবর্ষে বাঙলার রাজনীতি তাই ছিল৷ বাঙলার কথাই বললাম কারণ স্বাধীনতার জন্যে স্বর্গীয় হাসি মুুখে নিয়ে ফাঁসীর মঞ্চে নির্ভয়ে এগিয়ে দাঁড়াবার হিম্মত অবশিষ্ট ভারতে ক’জনেরই বা ছিল?

আসন্ন টেস্টে অস্ট্রেলিয় -গ্রিনকে কঠিন পরীক্ষার মুখে ফেলবে  ভারতীয় বোলাররা

আসন্ন টেস্ট সিরিজে ভারতীয় পেসারদের  হাত থেকে  বেরনো ‘মিসাইল’ সামলাতে তাকে আনা হচ্ছে  আরও কঠিন পরীক্ষা নিতে হবে তাকে৷ তা টেষ্টের সিরিজ শুরু হবার আগেই জানালেন দিলেন গ্রিন৷

হারের কথা ভুলে জয়ের রথে পা দেবার প্রস্তুতিতে মোহনবাগান

গত ম্যাচ গুলিতে মোহনবাগান দলের যে পরিস্থিতি তাতে খুবই নিরাশ ফুটবলপ্রেমীরা কিন্তু এমনভাবে বসে থাকলে চলবে৷ খেলায় হার জিত তো থাকবেই তবে হেরে গিয়ে বসে থাকার দল মোহনবাগন নয়, তাই হারের কথা ভুলে জয়ের রথে পা দেবার প্রস্তুতিতে মগ্ণ মোহনবাগান৷ আজকের ম্যাচে আজ অর্র্থৎ শুক্রবারের ম্যাচে মোহনবাগানের  ম্যাচ আছে সেই ম্যাচের আগের দলের ফুটবলার  তিনি  বলছেন, ‘‘এ বার সমানে হায়দরাবাদ৷ এই দলটাও সেট পিসে যথেষ্ট দক্ষ৷ ভালই গোল পাচ্ছে৷ আমাদের রক্ষণের  লক্ষ্য থাকবে সেট পিস কিক-এর বল এলে যেন আর ব্যর্থ না হই৷ সেই আক্রমণ প্রতিহত করতে হবে৷ কোন ম্যাজিকে এটা আটকানো সম্ভব নয়৷ আরও বেশি অনুশীলনের প্রয়োজন আছে৷ অনুশীলনের মাধ্

শিক্ষা বিস্তারে আনন্দমার্গ

 ডিজিটাল ইন্ডিয়া বলে যতই বাজার গরম হোক, দেশের অধিকাংশ মানুষ এখনও অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারে আচ্ছন্ন, সে শিক্ষিত অশিক্ষিত সব শ্রেণীর মানুষ৷ অনেক সামাজিক ব্যাধির কারণ এই অশিক্ষা৷ দেশের  বর্তমান সংকটকে শিক্ষার সংকট বললেও অত্যুক্তি হয় না৷

প্রাউটের পথেই অর্থনৈতিক  স্বয়ম্ভরতা অর্জন সম্ভব

আনন্দনগরে প্রাউট সেবা দল ভবনে চলছে প্রাউট প্রশিক্ষণ শিবির৷ প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্র্সলের বিভিন্ন স্তরের কর্মীরা এই প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশগ্রহণ করেছেন৷ ১৫ই ডিসেম্বর সকাল ৯টায় অতুলানন্দ ভবনে প্রভাত সঙ্গীত ও তিনঘন্টা অখণ্ড কীর্ত্তনের পর শিবিরের উদ্বোধন হয়৷ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্র্সলের  সাধারণ সচিব আচার্য রবিশানন্দ অবধূত, সাংঘটনিক সচিব আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত, দিল্লী সেক্টরের মুখ্য সচিব আচার্য সুপ্রভানন্দ অবধূত প্রমুখ৷ এছাড়া উপস্থিত ছিলেন আচার্য কল্যাণেশ্বরানন্দ অবধূত, আচার্য মোহনানন্দ অবধূত, আচার্য নারায়ণানন্দ অবধূত ও আরও অনেকে৷

আমজনতার সর্বনাশ ধনকুবেরের পৌষমাস

করোনায় সংক্রমিত শুধু আমজনতা নয়, দেশের অর্থনীতিও৷ তবে অর্থনীতির বেহাল দশা করোনা আসার অনেক আগেই শুরু হয়েছে৷ তাই ভারতের অর্থনীতির মন্দা শুধু করোনার কারণে নয়, কো-মর্বিডিটির কারণে৷  করোনাকালে  লক্‌ডাউনের কারণে আর্থিক বিপর্যয় আরও দ্রুত হয়েছে৷ কয়েক কোটি মানুষ কাজ হারিয়েছে, বহু  ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী পথে বসেছে৷ চরম আর্থিক সংকটে পড়ে কায়ক্লেশে দিন কাটাচ্ছে দেশের কোটি কোটি মানুষ৷