প্রবন্ধ

বর্তমান ভারতে রাজনীতির অভিমুখ

জ্যোতিবিকাশ সিন্‌হা

কথায় আছে রাজনীতি মানে রাজার নীতি,  আবার অনেকে বলেন,  রাজনীতি হলো  নীতির রাজা৷  অর্থ যাই হোক,  রাজনীতির উদ্দেশ্য হচ্ছে একটি ভৌগোলিক সীমারেখার মধ্যে অবস্থিত রাজ্য বা দেশের জনগণের সার্বিক  উন্নতি ও মঙ্গল সাধনে একটি সুসংবদ্ধ পদ্ধতি অবলম্বন করে শাসকবৃন্দ বা নেতৃবৃন্দ সেই রাজ্য বা দেশ পরিচালনা করবে৷  জনগণের সার্বিক উন্নতি  শুধুমাত্র অর্থনৈতিক উন্নয়ন  বা অন্ন-বস্ত্র--শিক্ষা-বাসস্থান-স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যার সমাধানই নয় , তাদের পরিপূর্ণ মানসিক  ও আত্মিক বিকাশের  জন্যে  সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টিরও বিশেষ প্রয়োজন৷  এই রাজনীতি শব্দটির আর্থিক বা ব্যবহারিক প্রয়োগ  যেভাবেই হোক---‘‘নীতি’’ শব্দটি  তার সঙ্গে  স

বর্তমান কঠিন সময় কেন্দ্র সরকারকে ভারতের কথা ভেবে দেশ শাসন করতে হবে

প্রভাত খাঁ

এদেশে গণতন্ত্রের নামে প্রথমে যে কটি রাজনৈতিক ব্যবসাদারদের দলীয় সংঘটন ছিল সেগুলি ভারত যুক্তরাষ্ট্রের মতো বিরাট বহুভাষা ভাষীর দেশে কি কেন্দ্রে  আর কি  রাজ্যগুলিতে তাদের দীর্ঘ ৭৫ বছরে যে জনসেবা সেটা কিন্তু কোথাওই জনগণকে মোটামুটি সুখে ও শান্তিতে থাকতে দেয়নি৷ অধিকাংশ রাজ্যেই সেই শাসক দলগুলি মিথ্যা ছলে-বলে-কৌশলে এমন শাসন করে গেছে যাতে মানুষ দলগুলির উপর বিরক্ত ও অসন্তুষ্ট হয়েই তাদের ত্যাগ করেছে৷ তারই কারণে সেই জাতীয় দলগুলি আজ নিশ্চিহ্ণ হয়ে নানা ধরণের আঞ্চলিক দল হয়ে এদেশের গণতন্ত্র টাকে পৃথিবীতে এক পরিহাসের পাত্র করে ছেড়েছে৷

আপ্তবাক্য

‘‘মানসিক সাম্যাবস্থাকেই শান্তি বলে৷ সুতরাং দেখতে হবে কী কী কারণে মানসিক সাম্য আসে, কী কী কারণে তা বিদূরিত হয়৷ আর আধ্যাত্মিক সাধনা মানসিক সাম্যাবস্থা আনে ও কুসংস্কারে বিশ্বাস এই সাম্যাবস্থাকে নষ্ট করে দেয়৷ তাই মানসিক শান্তি আনয়নের জন্যে প্রয়োজন একাধারে আধ্যাত্মিক সাধনার অনুশীলন ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম৷’’

আন্দামান, বাঙালী ও কমিউনিষ্ট পার্টি

অসিত দত্ত

‘হেথায় আর্য হেথা অনার্য হেথায় দ্রাবিড়হীন

শক-হুন-দল পাঠান মোগল এক দেহে হল লীন৷’

ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসনের পূর্বে সম্প্রদায়গত যে মিলন তার কথা বলে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাজাতির জয়গান করেছেন৷ কিন্তু তিনি এখানেই থেমে থাকেননি তিনি আরো এগিয়ে বললেন,

‘এসো এসো আজ তুমি ইংরাজ এসো এসো খৃষ্টান৷’

আদর্শ নেতৃত্বের প্রয়োজন

রত্নেন্দু দাশ

উনবিংশ শতাব্দীতে মহাসদবিপ্র শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী আবির্ভূত হয়েছিলেন জগত থেকে শোষণ, অত্যাচারকে সরিয়ে দিয়ে এক নোতুন পৃথিবী তৈরি করতে, তার সঙ্গে চাই কিছু জনের উপর দায়িত্ব দেওয়া যারা সমাজকে পরিচালিত করবে, যারা হচ্ছে সৎ ও আদর্শবাদী  নেতৃত্ব তাদেরকে প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্ব দর্শনে বলা হয়েছে সদ্‌বিপ্র, এরা কেমন হবে তার বিশদ ব্যাখ্যা তিনি দিয়েছেন তাঁর প্রাউট দর্শনে, সেটা অবশ্যই আমাদের সবাইকে জেনে নেওয়া উচিত, সাথে আমাদেরও চেষ্টা  করে যেতে হবে৷

প্রাকৃতিক পরিবেশ, সাধনা ও মাইক্রোবাইটাম

শ্রী সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

কোন প্রাকৃতিক পরিবেশ মানুষের ভাল সাধনা করার পক্ষে অনুকূল বা উপযুক্ত?

নাম হোক বাঙালীস্তান

উদয়ভানু গুপ্ত

পশ্চিমবঙ্গের নোতুন নামকরণের প্রশ্ণটি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে৷   এ সম্পর্কে এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চিন্তাভাবনাও করছেন৷ সরকারী বিচারে ‘বাংলা’ নামটাই নাকি পশ্চিমবঙ্গের পক্ষে সবচেয়ে বেশী উপযুক্ত৷

কোন ভূমিখণ্ডের নামকরণের বিষয়টি মুখ্যতঃ পাঁচটি তত্ত্বের ভিত্তিতেই হওয়া উচিত৷ নামকরণের এই পাঁচটি তত্ত্ব হলো--- সংশ্লিষ্ট ভূমিখণ্ডে বসবাসকারী সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর বা জাতির ১) ইতিহাস,২) ভাষা ও সংস্কৃতি,৩) বসবাসের ভৌগোলিক ব্যাপ্তি, ৪) অর্থনীতি ও ৫) নৃতাত্ত্বিক ঐতিহ্যপ্রসূত ভাবপ্রবণতা৷