সংবাদ দর্পণ

বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতি দর্শণে সূর্যগ্রহণে মিলল বহু তথ্য

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

৮ এপ্রিলের (সোমবার) পূর্ণগ্রাস সূর‌্যগ্রহণ দৃশ্যমান হয়েছিল মেক্সিকো, আমেরিকা ও কানাডা থেকে৷ এই সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেননি এরিস-এর গবেষকেরা৷ তাঁরা পাড়ি দিয়েছিলেন আমেরিকার টেক্সাসের ডালাস শহরে৷ উদ্দেশ্য, সূর‌্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা৷ ডালাসের ‘কটন বোল স্টেডিয়াম’-এ গ্রহণ পর্যবেক্ষণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছিল৷ বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি স্টেডিয়ামে হাজির ছিলেন কমপক্ষে ১০ হাজার সাধারণ মানুষ৷ সূর‌্যের পূর্ণগ্রাস গ্রহণ দেখার জন্য উত্তেজনায় ফুটছিলেন সকলেই৷ গ্রহণ দেখলেন তাঁরা, জানলেন সৌরজগতের খুঁটিনাটি, বিজ্ঞানের গল্প শুনলেন বিশেষজ্ঞদের থেকে৷

স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২৩ মিনিট থেকে সূর‌্যের গা থেকে একটু একটু করে খসতে শুরু করে৷ প্রকট হতে থাকে উজ্জ্বল কাস্তের ফলা৷ তার পরে একেবারে চাঁদের আড়ালে চলে যায় সূর্য৷ দিনের বেলা অন্ধকার নামে পৃথিবীর বুকে৷ পূর্ণগ্রাস গ্রহণ শুরু হয়েছিল ১টা ৪০ মিনিটে৷ পুরোপুরি ঢেকে যায় সূর‌্য৷ আর ঠিক এই মুহূর্তে স্পষ্ট ভাবে, উজ্জ্বল হয়ে ওঠে সূর‌্যের করোনা (সূর‌্যের পরিমণ্ডলের একেবারে বাইরের স্তর)৷ এ দিনের গবেষণায় বিজ্ঞানীদের লক্ষ্য ছিল এই করোনা-ই৷ তাঁদের বিশ্বাস, সূর‌্যের এই অংশের কার‌্যকলাপ বা গতিবিধি বেশ গুরুত্বপূর্ণ এবং চমকপ্রদও বটে৷ দীপঙ্কর বলেন, ‘‘এমন বিরল ঘটনার সাক্ষী হতে পারা ভাগ্যের ব্যাপার৷ তা ছাড়া এই গবেষণার জন্যেও এটা আদর্শ সময়৷’’ গত বছর ২ সেপ্ঢেম্বর মহাকাশে পাড়ি দেয় ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর প্রথম সৌরযান ‘আদিত্য-এল১’৷ এ বছর ৬ জানুয়ারি সে পৌঁছয় গন্তব্যে৷ বর্তমানে পৃথিবী ও সূর‌্যের মাঝখানে এল ১ পয়েন্টকে ঘিরে থাকা হ্যালো অরবিট থেকে আদিত্য নজর রাখছে সূর‌্যের উপরে৷ এটি একটি করোনাগ্রাফি স্পেসক্রাফ্‌ট৷ পৃথিবী থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে নির্দিষ্ট কক্ষপথ থেকে সূর‌্যের পরিমণ্ডলের উপর নজরদারি চালাচ্ছে সে৷ আদিত্যের ৭টি প্রোব-ই নিয়মিত ভাবে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে সূর‌্য ও তার হেলিওস্ফিয়ারকে নিয়ে৷

দীপঙ্কর জানান, ঠিক এই সময়ে সূর‌্যগ্রহণ এর থেকে ভাল সুযোগ হতে পারত না বিজ্ঞানীদের জন্য৷ সূর‌্য, চাঁদ ও পৃথিবীর এমন অবস্থানে স্পষ্ট হয়ে উঠবে সৌর পরিবেশ বা সোলার অ্যাটমোস্ফিয়ার৷ এই সোলার অ্যাটমোস্ফিয়ারের সব চেয়ে বাইরের অংশকে বলা হয় করোনা৷ পূর্ণগ্রাস সূর‌্যগ্রহণের সময়ে করোনার ভিতরের অংশ অনেকটাই পরিষ্কার দৃশ্যমান হবে৷

ডালাসের স্টেডিয়ামে উপস্থিত এরিসের দলে দীপঙ্কর ছাড়াও ছিলেন বিজ্ঞানী এস কৃষ্ণপ্রসাদ এবং বিজ্ঞানী টি এস কুমার৷ তাঁদের সঙ্গে ছিল একটি ১৪ সেন্টিমিটার টেলিস্কোপ৷ গ্রহণকালে দূরবীক্ষণ যন্ত্রটির উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সূর‌্যের করোনায় তীব্র গতিতে ঘটতে থাকা পরিবর্তন৷ দীপঙ্কর বলেন, ‘‘এই ক্যামেরা এতটাই শক্তিশালী যে প্রতি সেকেন্ডে ৮টি ফ্রেম বন্দি করতে পারে৷’’ দীপঙ্কর বলেন, ‘‘ইসরোর সৌরযান আদিত্য-এল১-এও একটি করোনাগ্রাফ যন্ত্র রয়েছে৷ পরবর্তী কাজ হচ্ছে, আদিত্যের করোনাগ্রাফ থেকে পাওয়া তথ্য ও আমাদের গ্রাউন্ড রিপোর্ট মিলিয়ে দেখা৷ বিষয়টা নিয়ে আমরা খুবই উত্তেজিত৷’’

অসমে ভোট এলেই বিজেপির বাঙালী প্রেম জেগে ওঠে

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

প্রধানমন্ত্রীর মতো অসমের মুখ্যমন্ত্রীও বাঙালীদের ধাপ্পা দিয়ে চলেছেন৷ অসমে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার প্রতিশ্রুতি ৬ মাসের মধ্যেই অসমে ডি-ভোটার সমস্যার সমাধান হবে৷ অসমবাসী বাঙালীরা এটাকে মুখ্যমন্ত্রীর ধাপ্পা বলেই উড়িয়ে দিচ্ছে৷ ২০১৪ সালে স্বয়ং নরেন্দ্রমোদি অসমে ভোট-প্রচারের সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিজেপি ক্ষমতায় এলে অসমের সমস্ত  ডিটেনশন ক্যাম্প গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে৷ দুবছর পরে বিধানসভা নির্বাচনেও অসমে বিজেপি জয়লাভ করে৷ অসমে ডবল ইঞ্জিন সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরও একটা ডিটেনশন ক্যাম্প ও ভাঙা হয়নি, গোয়ালপাড়ায় তৈরী হয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম ডিটেনশন ক্যাম্প৷ ডি-ভোটার নিয়ে হিমন্তর প্রতিশ্রুতিও প্রধানমন্ত্রীর মতোই অসার ভোট প্রচার মাত্র৷ অসম মেঘালয় সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলে ক্যা, এন.আর.সি ডিলিমিটেশন, ফরেনার্স ট্রাইবুনালের নামে বাঙালীদের উপর অত্যাচার চলছেই৷ অথচ ভোট এলেই বিজেপি নেতারা বাঙালী প্রেমে গদ গদ হয়ে ওঠেন৷ অসমের নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমন্বয় সমিতির কো-চেয়ারম্যান ও আমরা বাঙালীর অসম রাজ্য সচিব সাধন পুরকায়স্থ বলেন বিজেপির বাঙলা প্রেমের পুরোটাই ধাপ্পা৷ বাঙালী বিদ্বেষী মেঘালয়ে ক্যা বিরোধীতার নামে অনুপজাতির হত্যার দোষীদের বিচার চেয়ে দিল্লীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তরে স্মারকপত্র দেন শ্রীপুরকায়স্থ ৷ তিনি মেঘালয়ের সন্ত্রাস সৃষ্টিকারী সংঘটনগুলি নিষিদ্ধ ঘোষনার দাবী করেন৷

এদেশে গণতন্ত্রের নামে চলছে দলতান্ত্রিক শোষণ

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী প্রভাত খাঁ বলেন---দেশে এখন গণতন্ত্রের নামে চলছে দলতান্ত্রিক শোষণ৷ স্বাধীনতার পর থেকে রাজনৈতিক দলের ‘ব’-কলমে দেশের শাসনভার পরিচালনা করছে মুষ্টিমেয় কয়েকজন পুঁজিপতি গোষ্ঠী৷ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকারের জনগণের স্বার্থ রক্ষা করাই পবিত্র কর্তব্য৷ কিন্তু ভারতবর্ষের আজও ৮০ শতাংশের বেশী মানুষ সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে সচতেন নয়৷ তাই নির্বাচনের আগে নেতাদের গালভরা আশ্বাসের প্রলভনে ৭৭ বছরে কোন শাসকই জনগণকে এ বিষয়ে সচেতন নয়৷ তাই নির্বাচনের আগে নেতাদের গালভরা আশ্বাসের প্রলোভনে পড়ে জনগণ শাসক নির্বাচন করে নিজেদের ভালোমন্দ না বুঝেই ৭৭ বছরে কোন শাসক জনগণকে এ বিষয়ে সচেতন করার কোন চেষ্টাই করেনি, কোন সরকারের কোন কর্মসূচীও নেই৷ কারণ জনগণের অচেতনতাই রাজনৈতিক দলগুলোর মূলধন৷ শ্রী খাঁ বলেন--- নির্বাচন ঘোষণার মাত্র তিনদিন আগে পরিবেশ দপ্তরের আপত্তি উপেক্ষা  করে মধ্য প্রদেশের মারা-২ মাহান কয়লা ব্লক আদানি গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে৷ এখানে মজুত কয়লার পরিমাণ প্রায় ৯ হাজার ৯৫০ লক্ষ টন৷ শ্রী খাঁ বলেন এই বিপুল পরিমাণ কয়লা জলের দরে ধনকুবেরদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে আয়ের মাত্র ৬ শতাংশ সরকার পাবে৷  পুঁজিবাদের অর্থেপুষ্ট রাজনৈতিক দলগুলো পুঁজিপতিদেরই সেবা দাসে পরিণত হয়েছে৷ দেশের সম্পদ এইভাবে লুঠ হচ্ছে৷ এখন নির্বাচন সামনে আসতেই নেতারা জনদরদী হয়ে গেছে৷ প্রধানমন্ত্রীর কোচবিহারে জনসভায় নারী শক্তি উত্থানের স্বপ্ণ দেখাচ্ছেন৷

আচার্য প্রসুনানন্দ বলেন প্রাউটে (প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্ব) স্পষ্টই বলা হয়েছে সফল গণতন্ত্রের প্রধান শর্তই হলো জনগণের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চেতনা৷ কিন্তু জনগণকে অন্ধকারে রেখে রাজনৈতিক দলগুলো পুঁজিবাদের  সেবা করে চলেছে, জনগণের পকেট কেটে পুঁজিপতিদের ভাণ্ডার ভরে দিচ্ছে৷ এইভাবে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে দলগুলি৷ ভারতীয় গণতন্ত্রের ছিদ্রপথে পুঁজিপতি ও রাজনৈতিক দলের যৌথ শোষণে জনগণ জেরবার হচ্ছে৷

রাজনীতির রং বদল নয়---ক্ষমতা হাতবদল নয় অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় আমূল পরিবর্তন চাই

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

বর্তমান সমাজ সার্বিক সংকটে দিশাহীন হয়ে পড়েছে৷ নেতৃত্বের সংকট,অর্থনীতির দেউলিয়া অবস্থা, শিক্ষা, শিল্প, সাহিত্য সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অশ্লীলতার স্রোত মানুষকে বিপথে ঠেলে দিচ্ছে৷ অপরাধের পথে যেতে বাধ্য করছে৷ পুঁজিবাদী শোষণের চরম অবস্থায় পৌঁচেছে শোষণ৷ আকন্ঠ দুর্নীতিতে ডুবে নেতারা পরস্পরের প্রতি অশালীন ভাষায় সমালোচনা ছাড়া যুব সমাজকে সৎপথে চলার প্রেরণা দেওয়ার কোন বার্র্ত নেই৷ বরং নেতা মন্ত্রীদের কথায় বিপরীত পথে চলার উস্কানি আছে৷ হাত পা ভেঙে দেওয়ার মত হুমকিও দেওয়া হচ্ছে৷ গণতন্ত্রের বেদীতে দানবতন্ত্রের আস্ফালন৷ এই পরিস্থিতিতে আসল নকল কোন পরিবর্তনই মানুষের কল্যাণ করতে পারবে না৷

সততা ও নৈতিকতায় দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত নেতৃত্ব ব্যতিরেক মানুষের কাঙ্খিত পরিবর্তন সম্ভব নয়৷ প্রাউট প্রবক্তা পরম শ্রদ্ধেয় শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার আধ্যাত্মিক নৈতিকতার আদর্শে সুপ্রতিষ্ঠিত নেতৃত্বের কথা বলেছেন৷ প্রাউটের ভাষায় এঁদের বলা হয় সদ্‌বিপ্র নেতৃত্ব৷ মানুষের সার্বিক কল্যাণের জন্যে পরিবর্তন আনতে হলে সদ্‌বিপ্র নেতৃত্বের হাতে সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব তুলে দিতে হবে৷

বিশিষ্ট প্রাউটিষ্ট আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত বলেন শুধুমাত্র ক্ষমতার হাত বদল হলেই যে পরিবর্তন হবে তা নয়৷ পুঁজিবাদী সামাজিক অর্থনৈতিক কাঠামোয় রাজনৈতিক দলগুলো ধনকুবেরদের হাতের পুতুল মাত্র৷ নির্বাচনী বণ্ড প্রকাশ হওয়ায় আরও স্পষ্ট হলো, জনসমর্থন নয়, রাজনৈতিক দলগুলো পুঁজিপতিদের দয়ার উপর নির্ভর করে চলে৷ তাই শাসক বিরোধী সবপক্ষই পুঁজিপতিদের সেবাদাস, জনগণের কল্যাণ ভাবনা এদের মধ্যে বিন্দুমাত্র নেই৷ দেশের রাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি ধনকুবেররাই নিয়ন্ত্রণ করছে৷ তাই ক্ষমতার হাত বদল হলেও সামাজিক অর্থনৈতিক  কাঠামোর কোন পরিবর্তন হয় না৷ আর তা যদি না হয় তবে মানুষের কল্যাণ সম্ভব নয়৷ পরিবর্তন চাই পুঁজিবাদ নির্ভর সামাজিক অর্থনৈতিক কাঠামোর৷ পরিবর্তন চাই রাজনৈতিক দলগুলির দৃষ্টিভঙ্গির৷ শুধুমাত্র ক্ষমতার হাত বদলে যা কিছুতেই সম্ভব নয়৷

আচার্য প্রসূনানন্দ বলেন বর্তমান সামাজিক অর্থনৈতিক সংরচনার আমূল পরিবর্তন আনতে হবে৷ কেন্দ্রীত অর্থনৈতিক পরিকাঠামো ভেঙে চুরমার করে প্রাউটের আদর্শে বিকেন্দ্রীত অর্থনৈতিক পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে৷ অর্থনৈতিক পরিকল্পনার সূচনা হবে ব্লক থেকে৷ স্থানীয় মানুষের হাতে থাকবে আর্থিক শক্তি৷ প্রতিটি ব্লকের ভৌগোলিক অবস্থান ও কৃষি অকৃষি সম্পদের ওপর নির্ভর করে ব্লকভিত্তিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গড়ে তুলতে হবে৷ যেখানে কৃষিভিত্তিক, কৃষিসহায়ক ও অকৃষি শিল্প গড়ে একশ শতাংশ মানুষের  কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করে প্রতিটি মানুষের হাতে ক্রয় ক্ষমতা তুলে দিতে হবে৷ অর্থাৎ প্রতিটি মানুষের অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানের নিশ্চিততা দিতে হবে৷ তবে প্রাউটের উন্নয়ন এখানেই থেমে থাকবে না৷ সামাজিক-অর্থনৈতিক মানের ক্রমবৃদ্ধি ঘটিয়ে মানুষের জীবন ধারণের মানের উন্নয়ন করে যেতে হবে৷ মানুষ যাতে জীবনে পরমলক্ষ্যের পানে চলার সুযোগ পায়৷

আচার্য প্রসুনানন্দ অবধূতের কথায় একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে পুঁজিবাদ ও মার্কসবাদের পক্ষে মানুষের সার্বিক কল্যাণ করা সম্ভ নয়৷ একমাত্র প্রাউটের পথে সদবিপ্রের নেতৃত্ব ও বিকেন্দ্রীত অর্থনৈতিক  পরিকল্পনাই প্রকৃত পরিবর্তনই আনবে৷ প্রাউটিষ্টরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করে চলেছে৷ অচিরেই মানুষের সামাজিক অর্থনৈতিক রাজনৈতিক চেতনার আমূল পরিবর্তন আসবে৷ সমাজের বুকে আর একটা নবজাগরণের ঢেউ আছড়ে পড়বে৷ আর সেটা ঘটবে প্রাউটের আদর্শকে ভিত্তি করে সদবিপ্রের নেতৃত্বে৷

পাঁশকুড়ায় মার্গীয় বিধিতে অন্নপ্রাশন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২৪শে মার্চ রবিবার পাঁশকুড়ার পূর্ববাকুল্দা গ্রামে বাকুল্দা আনন্দমার্গ স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্রী অনিল কুমার মণ্ডলের নাতির শুভ অন্নপ্রাশন ও নামকরণ অনুষ্ঠান মার্গীয় প্রথায় সুসম্পন্ন হল৷ সকাল থেকে ছয় ঘণ্টার অখণ্ড কীর্তন ও মিলিত সাধনার পর শুরু হয় মূল নামকরণ অনুষ্ঠান৷ অচিন্ত্য-মধুছন্দার নবজাতক পুত্রের নাম রাখা হয় ’তৃষাণ’৷ অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন আচার‌্য কৃষ্ণনাথানন্দ অবধূত মহোদয়৷ সহযোগিতা করেন অবধূতিকা আনন্দ নবীনা আচার‌্যা, বিভুকনা আচার‌্যা প্রমুখ শ্রদ্ধেয়া দিদিগন৷ অনুষ্ঠান উপলক্ষে রক্তদান শিবির(৪০) ও চারাবিতরণ (৬০০) উপস্থিত অতিথিদের মনে সামাজিক অনুষ্ঠান সম্পর্কে নোতুন ভাবনার জন্ম দেয়৷ গৃহকর্তী শ্রীমতী চিন্ময়ী মণ্ডলের আন্তরিক অতিথি আপ্যায়ন সত্যিই ভোলা যাবে না৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন শ্রী অনন্ত কুমার গোস্বামী৷

 চাকদহে অখন্ড কীর্ত্তন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২৪ শে মার্চ ২৪ রবিবার নদীয়া জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ১০০জন ভক্তের উপস্থিতিতে নদীয়া জেলার অন্তর্গত চাকদহের বিশিষ্ঠ আনন্দমার্গী শ্রীশক্তিপদ সরকার ও শ্রীমতী গোপা সরকার এর বাসগৃহে একটি মনোরম পরিবেশে সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ৩ঘন্টা ব্যাপী মানব মুক্তির মহামন্ত্র বাবানাম কেবলম অখন্ড সংকীর্র্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্র্ত্তনের মধু মুর্চনায় গ্রামের দূর-দুরান্ত থেকে বহু ভক্ত কীর্র্ত্তন অঙ্গনে ছুটে আসেন৷

কীর্র্ত্তন ও প্রভাত সঙ্গীত পরিচালনা করেন ব্রহ্মচারিণী শুদ্ধা আচার্যা, ব্রহ্মচারিণী সুচেতা আচার্যা, দিদি চিরকীর্র্তি, শ্রীপ্রশান্ত শীল, শ্রীমতী কাজল সরকার,শ্রীমতী কাকলী মন্ডল ডাঃ বৃন্দাবন বিশ্বাস, কৌশিক সরকার, মৃদঙ্গে ছিলেন-স্বরুপানন্দ দে কীর্র্ত্তন শেষে মিলিত সাধনা,গুরুপুজা, হয়৷ স্বাধ্যায় করেন-কৃষ্ণনর ডিটএস এল ব্রহ্মচারিণী শুদ্ধা আচার্যা৷

কীর্ত্তন মহিমা বিষয়ে আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন গৌরাঙ্গ ভট্টাচার্য ও নদীয়া ভুক্তি প্রধান ডাঃ বৃন্দাবন বিশ্বাস ও ব্রহ্মচারিণী শুদ্ধা আচার্যা৷ শতাধিক ভক্তকে নারায়ন সেবায় আপ্যায়ীত করেন --- শক্তিদার পুত্র ও পুত্রবধু বিবেকজ্যোতি ও তনুকা৷

কৃষ্ণনগরে ডিট লেবেল সেমিনার

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

৩০,৩১শে মার্চ ২০২৪ মহা উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্যে দিয়ে কৃষ্ণনগর ডায়োসিস সচিব আচার্য সৌম্য সুন্দরানন্দ অবধূত দাদার নেতৃত্ত্বে ও নদীয়া জেলা ভুক্তি কমিটির সদস্যবৃন্দ তথা নদীয়া জেলার সমস্ত দাদা দিদির অকুন্ঠ সহযোগীতায় ৩০শে মার্চ ২০২৪ শনিবার সকাল ৯টা ৩০মিঃ থেকে বেলা ১২টা ৩০মিঃ পর্যন্ত তিন ঘন্টা ব্যাপী মানবমুক্তির মহামন্ত্র বাবা নাম কেবলম অখন্ড সঙ্কীর্তন শেষে মিলিত সাধনা, গুরুপুজা,ও স্বাধ্যায়র মধ্যে দিয়ে সেমিনারের শুভ সুচনা করা হয়৷

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পরমারাধ্য মার্গগুরুদেবের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে আসন গ্রহন করেন সেমিনারের প্রধান প্রশিক্ষক আচার্য নির্মল শিবানন্দ অবধুত প্রবীন সন্ন্যাসী আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত ও নদীয়া জেলার সাধারন ভুক্তি প্রধান ডাঃ বৃন্দাবন বিশ্বাস৷ অতিথি বৃন্দকে পুষ্প স্তবকে বরণ করার পর উলুধবনী ও শঙ্কধবনীর মধ্যে দিয়ে আচার্য নির্মল শিবানন্দ অবধুত মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে পরমারাধ্য মার্গগুরুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে আনুষ্ঠানিক ভাবে সেমিনারের শুভ সূচনা করেন৷ উক্ত তিন জন অতিথি সেমিনারের উদ্যেশ্য সম্পর্কে অবহিত করেন৷

মধ্যাহ্ণ ভোজনের অব্যবহিত পরে অপরাহ্ণ ৫টা ৩০ মিঃ পর্যন্ত পরপর দুটি বিষয়ের ওপর আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন আচার্য নির্মল শিবানন্দ অবধুত ও আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত৷ অনুরুপ ভাবে ৩১/০৩/২৪ সকাল ১০টা ৩০মিঃ থেকে ১টা ৫০মিঃ পর্যন্ত পর পর দুটি বিষয়ের ওপর আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন উক্ত দুজন দাদা৷ এরপর সংক্ষিপ্ত সাঘটনিক আলোচনা হয়৷ ব্লক লেবেল সেমিনার সমুহের তারিখ--- অর্গানাইজারের নাম ও ট্রেইনারদের নাম ঘোষণা করেন ভুক্তি প্রধান ডাঃ বৃন্দাবন বিশ্বাস৷

প্রতিদিন গুরুসকাশ পাঞ্চজন্য সকালসন্ধা ভজন কীর্ত্তন-মিলিত সাধনা হয়েছে৷ সেমিনারে আলোচনার বিষয় ছিল---(১) আদর্শমানুষের জীবনচর্যা কেমন হওয়া উচিত --- (২) প্রত্যাহার যোগ ও পরমা গতি--- (৩) বুদ্ধির মুক্তি (৪) পাপস্য কারণত্রয়ম মধ্যাহ্ণ ভোজনের পর সেমিনারের সমাপ্তি হয়৷

শ্রদ্ধাঞ্জলী অনুষ্ঠান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

চিৎমু নিবাসী পীতাম্বর টুডুর ধর্মপত্নী শ্রীমতী বাসন্তী টুডু-কিস্কুর কাকু করচে নিবাসী স্বর্গীয় মনোরঞ্জন কিস্কু (মার্গের অনুগামী ছিলেন না) গত ২৫শে মার্চ’২৪ পরলোক গমন করেন৷ তিনি অকৃতদার ছিলেন৷ বাসন্তী কিস্কুই শ্রাদ্ধকর্তী৷ ৩১শে মার্চ’২৪ রবিবার সকালে করচে আনন্দমার্গ জাগৃতিতে তাঁর শ্রদ্ধাঞ্জলী অনুষ্ঠান আনন্দমার্গ সমাজশাস্ত্র ‘‘আনন্দমার্গে চর‌্যাচর‌্য’’ বিধানুসারে প্রভাত সঙ্গীত(ভক্তিমূলক গান), নাম-সংকীর্তন, মিলিত ঈশ্বর-প্রণিধাণ, বর্ণার্ঘ্যদান, স্বাধ্যায় শেষে মূল শ্রদ্ধাঞ্জলী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়৷

আনন্দনগরের আকর্ষণে

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২৫-৩০শে মার্চ’২৪ আসামের হোজাই, উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার ও ২৪পরগণার বেলঘরিয়া-নন্দনপুর থেকে আনন্দমার্গের অনুগামী ও শুভানুধ্যায়ীগণ আনন্দনগর দেখতে তথা বেড়াতে আসেন৷ ২৬-২৭মার্চ’২৪ হোজাইয়ের অধিবাসী ডাক্তার সুজিত দেবনাথ আনন্দনগর থেকেই পড়াশোনা ও জীবনের ভিত্তি গড়া কিন্তু তাঁর পরিবার ও দুইকন্যা সঙ্গে একজন শুভানুধ্যায়ী এই প্রথম আনন্দনগরে আসা৷ ওরা দুইদিনে আনন্দনগরের দর্শনীয়স্থান ও তন্ত্রপীঠ, শিক্ষা-সেবামূলক প্রকল্পগুলো দেখে খুবই উদ্ভুদ্ধ হয়৷ ২৭-৩০মার্চ’২৪ আলিপুরদুয়ার থেকে গৌতম চন্দ্র রায় সঙ্গে একজন শুভানুধ্যায়ী নারায়ণ বিশ্বাসকে নিয়ে আসেন৷ ওনারা আনন্দনগরের প্রাগৈতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন আনন্দনগরের শিক্ষা-সেবা-কল্যাণ ও উন্নয়নমূলক কাজগুলো দেখেন ও আনন্দনগর সম্বন্ধে অনেক সম্বৃদ্ধ হন৷ শিশুসদনের সব ছেলে ও মেয়েদের একবেলা মধ্যাহ্ণ ভোজনের আয়োজন করেন৷ ছেলেদের শিশুসদনের তিনটি সিলিং ফ্যান প্রয়োজন ছিল সেগুলো ক্রয় করে দেন৷ ২৫-৩০মার্চ বেলঘরিয়া-নন্দনপুর থেকে আসেন শচীন্দ্র নাথ সেন মহাশয় তিনি অনেক পুরনো সাধক শিশুসদনের ছেলেদের দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্যে চপ্পল, শর্টস, ছাতা ইত্যাদি ও মিলিত আহারেরও ব্যবস্থা করেন৷

আনন্দনগরে বসন্তোৎসব

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২৫শে মার্চ’২৪ আনন্দনগরে বসন্তোৎসব সাড়ম্বরে পালিত হয়৷ এই উপলক্ষ্যে ২৪শে মার্চ সকাল সাড়ে দশটা থেকে ২৪ঘণ্টা অখণ্ড ‘বাবা নাম কেবলম্‌’ নাম সংকীর্ত্তনের শুভারম্ভ হয়৷ ২৫শে মার্চ নাম-সংকীর্ত্তন শেষে মিলিত ঈশ্বর প্রণিধাণ, বর্ণার্ঘ্যদান, স্বাধ্যায় ও বসন্তোৎসবের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করা হয়৷ অতঃপর সকলেই গুরুদেবের প্রতিকৃতিতে রঙ-আবীর অর্পণ করেন৷ ছোটরা বড়দের চরণে আবীর দিয়ে প্রণাম করে ও বড়রা ছোটদের আশীর্বাদ প্রদান করেন৷ পরিশেষে সকলে পুরুষ ও মহিলারা পৃথকভাবে নিজেদের মধ্যে আবীর খেলা করে৷ অবশেষে মিলিত আহারের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়৷