প্রবন্ধ

দুর্গাপূজা ও কালীপূজা সম্পর্কে দু’চার কথা

পথিক বর

প্রতি বছর দুর্গাপূজা ও কালী পূজা নিয়ে বাঙালীরা মেতে ওঠে৷ এটা অস্বীকার করার উপায় নেই৷ কিন্তু এই দুর্গাপূজা ও কালীপূজা সম্পর্কে আমার মনে কিছু প্রশ্ণ জেগেছে৷

স্মরণিকা

‘‘তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব৷’’

‘‘স্বাধীনতাই জীবন, স্বাধীনতার সন্ধানে জীবন দানে অবিনশ্বর গৌরব৷’’

‘‘আলোকে জগৎ উদ্ভাসিত করিবার জন্য যদি গগনে সূর্য উদিত হয়, গন্ধ বিতরণের উদ্যেশ্যে বন মধ্যে কুসুমরাজি যদি বিকশিত হয়, অমৃতময় বারিদান করিতে  তটিনী যদি সাগরাভিমুখে প্রবাহিত হয়, যৌবনের পূর্ণ আনন্দ ও ভরা প্রাণ লইয়া আমরাও মর্তলোকে নামিয়াছি একটা সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য৷’’  --- নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু

‘‘জাতিকে আগে রক্ষা করিতে হয়,তবেই ব্যক্তির আধ্যাত্মিক,নৈতিক ও আর্থিক উন্নতি নিরাপদ করা যায়৷’’                                         ---শ্রী অরবিন্দ ঘোষ

 

আপ্তবাক্য

পত্রিকা প্রতিনিধি

‘বই পড়ে বা শুণে যে অনেক কিছু জেনেছে মানুষের সঙ্গে মেশবার সময় তার সবচেয়ে বেশি মনে রাখা দরকার যে সে যার সঙ্গে কথা বার্র্ত বলছে সেও কিছু কিছু জিনিস তার চাইতে অনেক বেশি জানে৷ চাষা বলে যাকে অবজ্ঞা করা হয়, ধানচাষের খুঁটিনাটি ব্যাপার তাঁর নখদর্পণে অথচ ধান্যোৎপাদনের পরিসংখ্যানের  চরম হিসাবটুকু যার সই দিয়ে বেরোচ্ছে তাকে হয়ত ধান কাঠের চেয়ার দেখালেও তিনি তা সহজভাবে স্বীকার করে নেবেন৷ তাই বলি কোন জিনিসটা কে কতখানি জানেন তা নিয়ে গর্ব করা একেবারেই মুর্খতা বরং এই গর্বই শিক্ষাহীনতার মুর্ত প্রতীক৷ চতুষ্পাঠীর পণ্ডিত নৌকার নাবিককে বলেছিল,‘‘ তুই আমার কোন দার্শনিক প্রশ্ণেরই উত্তর দিতে

আনন্দমার্গের নৈতিক শিক্ষা

রত্নেন্দু দাস

আনন্দমার্গের সমাজশাস্ত্র (আনন্দ মার্গের  চর্যাচর্য) কেউ যদি নিষ্ঠা সহকারে ভালো করে অনুসরণ করে তবে ১০০ শতাংশ গ্যারান্টি দেওয়া যায় যে সে আর মানুষ থাকবে না, সে দেবতায়  পরিণত হবে৷ এই চর্যাচর্য মানুষকে শিক্ষা দেয় মানুষের কি করণীয় ও কি অকরণীয়৷ এককথায় বলতে গেলে আনন্দমার্গ সবসময় মানুষকে নৈতিকতার শিক্ষা দিয়ে আসছে৷ এই কথা শুণে হয়ত কেউ বলতে পারেন শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর আগে কি নীতিবাদ ছিল না?

ভারতীয় রাজনীতির গতি-প্রকৃতি

জ্যোতিবিকাশ সিন্‌হা

কথায় আছে রাজনীতি মানে রাজার নীতি,  আবার অনেকে বলেন,  রাজনীতি হলো  নীতির রাজা৷  অর্থ যাই হোক,  রাজনীতির উদ্দেশ্য হচ্ছে একটি ভৌগোলিক সীমারেখার মধ্যে অবস্থিত রাজ্য বা দেশের জনগণের সার্বিক  উন্নতি ও মঙ্গল সাধনে একটি সুসংবদ্ধ পদ্ধতি অবলম্বন করে শাসকবৃন্দ বা নেতৃবৃন্দ সেই রাজ্য বা দেশ পরিচালনা করবেন৷  জনগণের সার্বিক উন্নতি  শুধুমাত্র অর্থনৈতিক উন্নয়ন  বা অন্ন-বস্ত্র--শিক্ষা-বাসস্থান-স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যার সমাধানই নয় , তাদের পরিপূর্ণ মানসিক  ও আত্মিক বিকাশের  জন্যে  সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টিরও বিশেষ প্রয়োজন৷  এই রাজনীতি শব্দটির আর্থিক বা বৈবহারিক প্রয়োগ  যেভাবেই হোক---‘‘নীতি’’ শব্দটি  তার সঙ্গে  স

শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী প্রবর্ত্তিত শিক্ষাপদ্ধতি বিজ্ঞান সম্মত  ও সার্থক  শিক্ষা-ব্যবস্থার চাবিকাঠি

প্রভাত খাঁ

শিক্ষাব্যবস্থায়  ও শিক্ষা গ্রহণে  যদি  ত্রুটি থাকে  তাহলে সে শিক্ষায় যাইহোক না কেন প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ তৈরী হতে পারে না বা হয়না৷  কথায়  আছে মানব জমিন রহিলো পতিত আবাদ করলে  ফলতো  সোনা’’৷ তারই শিক্ষা বিশেষ  করে  সুশিক্ষাই  হলো সেই সুআবাদ, প্রতিটি মানুষের  জীবনে ৷  সেটার দারুণ অভাবের কারণে  প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ গড়ে  ওঠে না৷  সেই কারণে  শুধু  এদেশে  নয়  সারা পৃথিবীতে  প্রকৃত সুশিক্ষিত  মানুষের  অভাবে প্রকৃত রাষ্ট্রনায়ক, দেশসেবক  ও সুনাগরিকের  এমন কি ধর্মমতের জগতে দেখা দিয়েছে  দারুণ  সংকট৷  শুধু লোভ, হিংসা, ঘৃণা আর অন্ধ কুসংস্কার, অহংকারেই  সুন্দর এই পৃথিবীটা শ্মশানে পরিণত হয়ে চলেছে৷

কৈবর্ত বিদ্রোহ ঃ পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম সুসংগঠিত গণবিদ্রোহ

সুকুমার সরকার

র্বপ্রকাশিতের পর,

(৯)  সমাজ-সংস্কৃতির এই সূত্র থেকেই শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী তুলে আনলেন সেই যুগের এই কৈবর্ত বিদ্রোহের মিসিংলিঙ্ক  ইতিহাসের অংশটুকু৷ কৈবর্ত বিদ্রোহের বিস্মৃত ইতিহাসের ধূম্রজাল থেকে  বেরিয়ে আসার জন্য এইটুকুই যথেষ্ট ছিল৷ কেননা, ঐতিহাসিকমদের মতে ভীম বা দিবেবাক যদি উচ্চ রাজ আমর্ত্য হয়ে থাকেন, তবে রাজ অন্তপুরের এই সমর্থন ছাড়া এমন বিদ্রোহ করা সম্ভব ছিল না৷ অন্তত সেই যুগে৷ যখন সাধারণ মানুষের মধ্যে গণচেতনার কোনো উন্মেষই ঘটেনি৷

স্মরণিকা

পত্রিকা প্রতিনিধি

‘‘আলোকে জগৎ উদ্ভাসিত করিবার জন্য যদি গগনে সূর্য উদিত হয়, গন্ধ বিতরণের উদ্দেশ্যে বনমধ্যে কুসুমরাজি যদি বিকশিত হয়, অমৃতময়  বারিদান করিতে তটিনী যদি সাগরাভিমুখে প্রবাহিত হয় যৌবনের পূর্ণ আনন্দ ও ভরা প্রাণ লইয়া আমরাও মর্তলোকে নামিয়াছি একটা সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য৷’’ --- নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোস

আপ্তবাক্য

পত্রিকা প্রতিনিধি

ভারতবর্ষ ঃ সংস্কৃত ভূ ধাতু মানে খাওয়ানো -‘ভরণ করা’৷ সরকারের ফুড ডিপার্টমেন্টকে বলা হয় ‘জনসম্ভরণ বিভাগ’ যে খাওয়ায়৷ স্বামীর কর্তব্য পত্নীকে খাওয়ানো, তাই স্বামীকে সংস্কৃত ভাষায় ‘ভর্তা’ বলা হয়৷ ‘ভূ’ ধাতু ক্তিন৷ প্রথমার  একবচন-‘ভর্তা’৷ আর ‘তন্ত্র’ শব্দের ব্যাখ্যাতেই শুণেছ-‘ত্বন’ মানে বিস্তারিত হওয়া-যে দেশ বিস্তারেও সবরকমের সাহায্য করে ‘তন’ ধাতু ‘ড’ প্রত্যয় করে ‘ত’ যে দেশ খাওয়া ও সবরকমের বিস্তারে সাহায্য করে সেই দেশটা হ’ল ভরত৷ তার সঙ্গে ‘ষ্ণ’ প্রত্যয় করে ও বর্ষ শব্দ যোগ করে হ’ল ভারতবর্ষ৷ আমাদের সংবিধানে আছে ‘’৷ না ‘ভারত’ দেশটার নাম নয়, দেশটার নাম ভারতবর্ষ৷ ‘ভরতের সঙ্গে

সৎ ও নীতিবাদী নাগরিকগণই আজ দেশকে বাঁচাতে পারেন

প্রভাত খাঁ

ভারতের শাসন ব্যবস্থা যেভাবে চলছে সেটা দেখে মনে হচ্ছে যদি  এমন দেশের সরকার চলে তা হলে সে সরকারের কোন দরকার আছে বলে মনেই হয় না৷ সব কিছু ভুলে যদি শুধু কল্যাণের দিকটা দেখে বিচার বিশ্লেষণ করা হয় তা হলে বলতেই হয় যে সরকারে যাঁরা থাকবেন আর বিরোধী দলের যাঁরা বর্ত্তমান থাকবেন তাদের সংখ্যা যতই কম আর বেশী হোক না কেন সরকার পক্ষকে তাঁদের বলার সুযোগ দিতেই হয়৷ কারণ সব দিকের বিচার বিশ্লেষণটি করেই দেশের আইন পাশ করাটা যুক্তিযুক্ত৷  আজ যা দেখা যাচ্ছে বিধান সভায় ও লোকসভায় হইচই করে একটা গণ্ডগোল পাকিয়ে মহামান্য সভার মূল্যবান সময় নষ্ট করা হয়৷ যেখানে জন প্রতিনিধি রয়েছেন সেখানে তো সংযম ও একটা গাম্ভীর্য থাকবে৷ এটি দে