প্রবন্ধ

আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে

একর্ষি

বৈষম্য-অসাম্য আর বৈচিত্র্য পার্থক্য এক ব্যাপার নয়। বৈচিত্র্য-পার্থক্য বলতে সত্তা থেকে সত্তার  স্বরূপগত ভিন্নতা  অর্থাৎ   অস্তিত্বগত-গঠনগত-গুণগত ভিন্ন ভিন্ন স্বাতন্ত্র্য  পরিচয়। আর বৈষম্য-অসাম্য  বলতে ওই  স্বাতন্ত্র্য পরিচয়কে  প্রকৃতিদত্ত সমতা-সম্মানকে   মান্যতা না দিয়ে    বিরূপাত্মক,অবৈজ্ঞানিক, অমানবিক , বিদ্বেষমূলক বৈবহারিক দৃষ্টিভঙ্গী ও বহিঃপ্রকাশ। যেমন  বর্তমান ভারতবাসী বলতে আর্য-অনার্য, শক-হূন-মোঙ্গল-পাঠান, নিগ্রো-অষ্ট্রিক-দ্রাবিড়-মঙ্গোলীয় রক্তের মিশ্রণজাত শঙ্কর জনগোষ্ঠী। কিন্তু সকল ভারতবাসীই  ভারত সন্তান, 'অমৃতস্য পুত্রাঃ' -  এটাই হল বৈচিত্র্যের স্বীকৃতি। এখানে মানুষে মানুষে পার্থক্য আ

বিপন্ন গণতন্ত্র বিপন্ন দেশ---উদ্ধারে এগিয়ে আসতে হবে তরুণ তরুণীদের

প্রভাত খাঁ

দীর্ঘ ৭৪ বছর পর এই হতভাগ্য পশ্চিমবাঙলা ও সারা ভারতের রাজ্যগুলির ও খোদ দিল্লীর যে আইন শৃঙ্খলা ও আর্থিক উন্নয়নের বহর তাতেই বোঝা যায় এদেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থার কতটা অধঃপতন ঘটেছে৷ শুধু নোংরা রাজনৈতিক কাজিয়া চলছে৷ সারা রাষ্ট্রের আর্থিক দুরবস্থার সংবাদ সারা পৃথিবী জানে৷ এরা সর্বদা কেন্দ্র কি রাজ্য, সার্বিক উন্নতির ফাটা ঢাক পিটিয়ে চলেছে৷ কিন্তু বিভিন্ন আর্থিক সমস্যার  প্রতিবেদন মোটেই আশাব্যঞ্জক নয়৷ বরং চরম হতাশার৷

রবীন্দ্রনাথ, ঊনিশে মে ও বাংলাভাষা

রবীন্দ্রনাথ, ঊনিশে মে ও বাংলাভাষা

বঙ্গভঙ্গ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ভীষণভাবে পীড়া দিয়েছিল৷ তাই বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে সকল বাঙালীকে একত্রিত করতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রচলন করেছিলেন ‘রাখি বন্ধন’ উৎসবের৷ যা আজও পালিত হয়ে থাকে৷ তবে কালক্রমে বঙ্গভঙ্গ কিন্তু হয়েই গেছে৷ সেই ভাঙ্গা বাংলার গানও লিখে গেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর৷

    ‘‘মমতাবিহীন কালস্রোতে

    বাংলার রাষ্ট্রসীমা হতে

    নির্বাসিতা তুমি

    সুন্দরী শ্রীভূমি–’’

আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে

একর্ষি

(পূর্বপ্রকাশিতর পর)

অর্থনীতির বিভাগগুলির প্রসঙ্গে আর-একটা কথা জানা দরকার যে এযাবৎ  যত অর্থনৈতিক তত্ত্ব  এসেছে সেগুলোকে  দুটো প্রধান ভাগে ভাগ করা যায় 

১. কেন্দ্রিত অর্থনীতি, ও

২. বিকেন্দ্রিত অর্থনীতি।

সময়োচিত কিছু কথা

বিশ্বদেব মুখার্জী

"হট্টমালার দেশে" গল্প বইয়ে লেখক শ্রী প্রভাত রঞ্জন সরকার ডাইনীর মুখ দিয়ে এক অতি বাস্তব সত্য কথা তুলে ধরেছেন। যেখানে তিনি বলেছে " যে ভাবে এক, বলে আরেক, আর করে আরেক তাকে বলে বজ্জাত।ভালো পোষাক পরা মিষ্টি মিষ্টি কথা বলা এমন অনেক ভদ্রলোক আছে যারা আসলে বজ্জাত"। লেখক এই গল্পটি বহু বছর আগে লিখেছেন। কিন্তু গল্পের ছলে লিখে যাওয়া তাঁর এই কথাটি যে যথার্থ আজ অনেকেই প্রতিমূহুর্তে তা উপলব্ধি করে। কি পারিবারিক, কি সামাজিক জীবন সর্বত্রই এই শ্রেণীর মানুষের সংখ্যা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে ।

 

জীবন ধারণের নূ্যনতম প্রয়োজন পূর্তিতে গণ অর্থনীতি মহৌষধ

প্রভাত খাঁ

আজ পর্যন্ত মানুষের সমাজে বিশেষভাবে প্রচলিত যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু আছে তা হ’ল এ্যাডাম স্মিথের ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা৷ এই ব্যবস্থার সঙ্গে ধনী ব্যষ্টি ও শাসককুল যুক্ত৷ যাদের মূল অর্থনৈতিক লক্ষ্যটা ‘‘শোষণের ওপর সমৃদ্ধি’’৷ এখানে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠতম জীব হ’ল মানুষ৷ সেই মানুষকে উৎপাদনের অন্যতম ফ্যাক্টর হিসেবেই দেখা হয়৷ শ্রমের বিনিময়ে তাঁকে পারিশ্রমিক দেওয়া হয়, খাদ্য বা খাদ্যের বিনিময়ে যৎসামান্য অর্থ যাকে বলা হয় স্যালারি, সাপ্তাহিক বা মাসিক মাহিনা৷

সভ্যতার সঙ্কট-উত্তরণে তারকব্রহ্ম

গৌরাঙ্গ রুদ্র পাল

বর্তমান একবিংশ শতাব্দীতে এসে মানব প্রগতির বিভিন্ন দিক লক্ষ্য করলে দেখতে পাই, আজকের সমাজ  জ্ঞানে-বিজ্ঞানে, প্রযুক্তিতে, বিদ্যায় ও বৈদগ্দ্যে উন্নতির এক চরম শিখরে প্রতিষ্ঠিত হলেও ব্যষ্টিগত জীবনে আমরা অনেকেই লক্ষ্যভ্রষ্ট ও দিশাহীন৷ আবার বর্তমান ধনতান্ত্রিক কাঠামোয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এই অভাবনীয় উন্নতির ফলেই একদিকে যেমন মানুষ এখন গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে পাড়ি জমাচ্ছে কম্পিউটার, রোবট জাতীয় যন্ত্র আবিষ্কারের কারণে মানুষের দৈহিক শ্রম লাঘবের পাশাপাশি জাগতিক কাজকর্মে এসেছে অসম্ভব দ্রুতি, এর ঠিক বিপরীতে গোটা বিশ্ব জুড়ে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে মানুষের কর্মহীনতা বা বেকারত্ব, যার সমাধানের চাবিকাঠি এখন আর কার

পশু পক্ষীদের গণিতে দক্ষতা

সমর ভৌমিক

‘‘আমি আজ কানাই মাস্টার পোড়ো মোর বিড়াল ছানাটি৷’’ আমরা অনেকেই জানি,  এই কবিতাটি কোন্ কবির রচনা৷ কবিতাটি লিখেছেন - বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর৷ কবি এখানে নিজেই কানাই মাস্টার হয়েছেন৷ কবির এখানে পড়ুয়া ছাত্র হ’ল বিড়ালছানা৷ কিন্তু সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ জীব মানুষকে - পড়ুয়া হিসাবে না পড়িয়ে, পড়ুয়া ছাত্র হিসাবে বিড়াল ছানাকে কানাই মাস্টার সেজে শিক্ষা দান করার কথা কবি ভাবলেন কেন? তাহলে কি সত্য সত্যই পশুপক্ষীদের বাস্তবে শিক্ষা দান করা যেতে পারে? সম্ভবতঃ পশু পক্ষীদের শিক্ষাদানের ইঙ্গিত কবির মনে উদ্ভাসিত হয়েছে৷ কিন্তু কিভাবে এই পশুপাখিদের শিক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে? পশু পক্ষীদের কি প্রথম ভাগের অ, আ, .......

আদর্শ সমাজ ঘটনের একমাত্র পথ-আনন্দমার্গ

প্রভাত খাঁ

বর্ত্তমান বিশ্বের প্রতিটি মানুষ, জীব জন্তু গাছপালা আজ অত্যন্ত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ও পরিবেশ এমন বিষাক্ত হয়ে উঠেছে যা কহতব্য নয়৷ এই ধ্বংসোন্মুখ পৃথিবী গ্রহের অধিকাংশ রাষ্ট্র পরস্পর বিদ্বেষ ঘৃণায় মারমুখী হয়ে মারাত্মক ধ্বংসকেই আহ্বান জানাচ্ছে৷ তারই কারণে এই গ্রহের উদ্ভিদ প্রাণী কুলের কল্যাণার্থে যতোটুকু করা দরকার তা না করে দৈত্যকুলের ন্যায় পৃথিবী ধ্বংসে অস্ত্র প্রতিযোগিতা মুক্তকচ্ছ হয়ে ছুটছে৷

মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠজীব৷ তারই উপর পরম পিতা দায়িত্ব দিয়েছেন সকলকে রক্ষার৷ তা না করে ধ্বংসে মেতেছে৷ তাই সভ্যতা আজ দিশাহীন অসভ্যতা রূপে সৃষ্টিকে বার বার পরিহাস করেই চলেছে৷

হিন্দি সাম্রাজ্যবাদের শোষণ বজায় রাখতে বিধায়কের মুখে বাঙলা ভাগের বুলি

নিরপেক্ষ

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অখণ্ড বাঙলার যে দাবী ছিল সেই দাবীকে অগ্রাহ্য করে চতুর সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজ অখণ্ড ভারতবর্ষকে তিন টুকরো করে ভারতবর্ষের দু’টো ডানা মুসলীমলীগের দাবী মেনে পাকিস্তান আর মধ্যভাগে রাখে ভারতযুক্তরাষ্ট্রকে৷ স্বাধীনতা লাভের পূর্বে কংগ্রেস প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এই বলে যে বাংলাকে তার সীমান্তবর্তী রাজ্যের সঙ্গে যুক্ত অংশগুলি  বাংলাকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে৷ কংগ্রেস শাসন ক্ষমতা পেয়ে সেটা করেনি কারণ একটাই তা হলো যদি বাংলা অসমে, বিহারে ও উড়িষ্যায় যে এলাকা বাংলার যুক্ত হয় তা ফেরত পেলে রাজ্য আকারে পশ্চিমবঙ্গ  অনেক বড়ো হবে৷  আর নির্বাচনে এমপি  ও এম.এল.এদের  সংখ্যা বেশী হবে তাতে হিন্দি সাম্রাজ্