রাষ্ট্রসঙ্ঘে স্বীকৃতি পেল বাংলা ভাষা

গত ১০ই জুন রাষ্ট্র সংঙ্ঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে বহুভাষাবাদের পক্ষে অ্যান্ডোরা ও কলম্বিয়ার আনা প্রস্তাব গৃহীত হয়৷ গৃহী

নিজস্ব সংবাদদাতা

আনন্দমার্গ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রের যুগান্তকারী আবিষ্কার

পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার ছেলে সাবির হোসেন এক বিশেষ ধরণের পাউডার আবিষ্কার করেছেন যা ব্যবহারে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষতস্থানের রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে৷ পি.এন.এ.

সুপ্রিম কোর্টে সাতে নেই বাংলা প্রতিবাদে সরব ‘আমরা বাঙালী’

সুপ্রিম কোর্ট তার রায় প্রকাশের মাধ্যম হিসাবে হিন্দী, ইংরাজীর সাথে আরও পাঁচটি ভাষাকে বেছে নিয়েছে৷ তার মধ্যে উড়িয়া, অসমিয়া থাকলেও বাংলা ভাষার স্থান হয়নি নিজস্ব সংবাদদাতা

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আবেদন

‘‘মানুষ যেন মানুষের তরে সবকিছু করে যায়৷

               একথাও যেন মনে রাখে পশুপাখী তার পর নয়

নিজস্ব সংবাদদাতা

ওরা দু’পায়ে দলে, মরণ শঙ্কারে,

পথিকবর

১৮ই এপ্রিল ১৯৩০-বাঙলার সশস্ত্র বিপ্লবের ইতিহাসে রক্তের অক্ষরে লেখা একটি দিন৷ না, সভা-সমিতিতে জ্বালাময়ী বত্তৃণতা দিয়ে নেতা হওয়ার জন্যে নয়, মাতৃভূমির মুক্তির জন্যে আত্মত্যাগের এক দুর্লভ ইতিহাস৷ সাম্রাজ্যবাদী অত্যাচারী ব্রিটিশ শাসককে যোগ্য জবাব দিতে বাঙলার ঘরে ঘরে তখন নবজীবনের সাড়া৷ একতরফা মার খাওয়ার দিন শেষ৷ সাম্রাজ্যবাদী বিদেশী শাসককে এবার যোগ্য জবাব দিতে হবে৷ পরাধীনতার যন্ত্রণা জাগিয়ে তোলে বাঙলার সুপ্ত যৌবনকে৷ নেতৃত্বের লোভে নয়, দেশের জন্যে স্বাধীনতার জন্যে আত্মত্যাগের, জীবন উৎসর্গের প্রতিদ্বন্দ্বিতা---‘আগে কে বা প্রাণ করিবেক দান, তারই লাগি কাড়াকাড়ি৷’ পরাধীন ভারতবর্ষের ইতিহাসের পাতায় ওই সময়

দেশের শাসকগণ নির্বাচন করছেন না জনগণের সঙ্গে ঠাট্টা তামাশা করছেন সেটা বোঝা যাচ্ছে  না!

সঞ্জয় দেব

পশ্চিমবাঙলার রাজ্য নির্বাচনটাকে এক ভয়ঙ্কর কুৎসিত দলবাজির যাকে নেতা ও অভিনেতাগণ বলেন খেলা বা খেলযুদ্ধ সেই খেলাটা চলছে কয়েকমাস ধরে করোনার কবলে আক্রান্ত পশ্চিমবাঙলায়৷ এটা আবার অনেকে কুরুক্ষেত্রের অসম যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করছেন৷ তবে স্মরণে রাখা দরকার কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে বাঙালীরা অংশগ্রহণ করেনি৷ প্রাগজ্যোতিষপুরের রাজা খাদ ও যিনি নরকাসুরের পুত্র ছিলেন তিনি কৌরবদের পক্ষ গ্রহণ করেন৷ এই প্রাগজ্যোতিষপুরটি ছিল উত্তর বাঙলা ও অসমে অবস্থিত৷ শ্রীকৃষ্ণ নাকি নরকাসুরকে দমন করেন তাই তার পুত্র ক্ষুদ্ধ হয়ে কৌরবদের পক্ষ নেন ও যুদ্ধে হস্তি যোগান দেন৷

ভয়ঙ্কর ফ্যাসিষ্ট শোষক ধেয়ে আসছে  বাঙলায়

মনোজ দেব

মার্কস শোষণ বলতে ভেবেছিলেন---শ্রমিক শ্রেণীকে ন্যায্য পাওনা না দিয়ে পুঁজিপতিরা যে মুনাফা লোটে সেটাই শোষণ৷ এটাও শোষণ কিন্তু এই শোষণের আগেও আরও শোষণ আছে৷ শোষণের সঠিক সংজ্ঞা একমাত্র প্রাউটের দৃষ্টিকোণ থেকেই পাওয়া যায়৷ প্রাউট প্রবক্তার ভাষায়---একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক সীমার মধ্যে অবস্থিত তথাকার জনগোষ্ঠীর দৈহিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক বিকাশকে স্তম্ভিত করে, ওই অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদের সঙ্গে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর শ্রম ও মানসিক সম্পদের অবাধ লুণ্ঠনই হ’ল শোষণ৷

ভারতবাসীর মোহ নাশ ঘটবে কবে?

হরিগোপাল দেবনাথ

১৯৪৭ সালে বছরের মাঝামাঝি পার হয়ে এসে ভারত ব্রিটিশশাসনের নাগপাশ তথা সাম্রাজ্যবাদী উপনিবেশবাদী বন্দী দশা থেকে মুক্তিলাভ করেছিল৷ তবে, যেহেতু অতটুকু মুক্তি পেতে গিয়েই বহু বছর ধরে লাখো লাখো ভারতবাসীকে শারীরিক, মানসিক, বৌদ্ধিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, আধ্যাত্মিক---সকল দিক থেকেই অপারিমেয় মাত্রায়  দুঃখ-কষ্ট ও লাঞ্ছনা ভোগ করতে হয়েছিল৷ অনশনে, অর্ধাশনে অসংখ্য মানুষকে তিলে তিলে মৃত্যুর কোলে নিজেদের শঁপে দিতে হয়েছিল৷ স্বাধীনতার দাবী নিয়ে আন্দোলন চালাতে গিয়ে হাজার হাজার প্রাণ বলি হয়েছে, দ্বীপান্তরে নির্বাসনে যেতে হয়েছে---ব্রিটিশের বুলেটের ঘায়ে মরণকে আলিঙ্গন করতে হয়েছে---কাউকে বা আহত হয়ে

বাঙালী আর কতকাল হিন্দী সাম্রাজ্যবাদের দলদাস হয়ে রক্ত ঝরাবে?

এইচ.এন.মাহাতো

সম্প্রতি কোচবিহার শীতলখুচিতে ভোট পর্ব চলাকালিন  শান্ত পরিবেশের মধ্যে এমনকি ঘটলো বিজেপির কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে তাজা ৪টি প্রাণ বাঙালীর মায়ের কোল খালি করে চলে গেল৷ রাজনৈতিক তর্জা অনেক কিছুই বলতে পারে৷ বর্তমান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এক ডজনের উপর বাঙালীর মৃত্যু হয়েছে৷ কেউ বলছে বিজেপি মারা গেছে৷ কেউ বলছে তৃণমূল আপনারা কী কখনো ভেবে দেখেছেন মৃতদেহটি জন্মসূত্রে কোনো পার্টির নয়৷ বাঙলায় জন্মেছে মানেই বাঙালী৷ বলুনতো বাঙালীরা আর কতকাল হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী পার্টির দলদাস হয়ে প্রাণ বিসর্জন করে চলবে?

বিশ্বের সব মানুষের ধর্ম এক

প্রভাত খাঁ

আজ বলা হয় যে অত্যাধুনিক যুগে মানুষের সমাজ এসে পৌঁচেছে৷ সত্যই কি মানুষের সমাজ গড়ে উঠেছে? আর সত্যই কি মানুষ অতি আধুনিক যুগে এসে পৌঁচেছে? যদি সত্যই মানুষের সমাজ অতি আধুনিক যুগে পৌঁছাতো তা হলে এতো ঘৃণা, হিংসা, বিদ্বেষ, নরহত্যা হ’ত না৷

মানব সমাজ এক ও অবিভাজ্য–এ কথাটি যেমন অতীব সত্য, ঠিক তার পাশাপাশি দেশ কাল পাত্রের পরিবর্ত্তনের সাথে সংগতি রেখে ও ভৌগোলিক পরিবেশের তারতম্য অনুসারে তাদের আচার, ব্যবহার, খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে কিছুটা পার্থক্যও আছে তাকে মান্যতা দিতেই হয়৷ তাই তো বলা হয় বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য৷

শৃঙ্খলা

দাদাঠাকুর

জীবনে সফল হবার জন্যে শৃঙ্খলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান৷ ঘরে, স্কুলে, খেলার মাঠে শৃঙ্খলার অভাব দেখা দিলেই অশান্তি ঘটে৷ যে ছেলে–মেয়েরা শৃঙ্খলা মানে না, তারা জীবনে কখনও বড় হতে পারে না, তাদের কেউ ভালবাসে না৷ তাই আমাদের জীবনে সর্বক্ষেত্রে শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে৷

১৷ তুমি তোমার ক্লাশে কখনও গণ্ডগোল করবে না, সবসময় শান্ত হয়ে থাকবে৷

২৷ কেউ কিছু লোকের মধ্যে বসে কিছু বলতে থাকলে তখন তুমি চুপ করে থাকবে৷ তার কথা বলা শেষ হলেই তুমি কথা বলবে৷

৩৷ তোমারা সবাই ছুটির পরে ক্লাশ থেকে এক সঙ্গে বেরোবে না, এক একজন করে বের হবে৷

৪৷ তোমরা কখনও তোমাদের জামা, প্যাণ্ট নোংরা করবে না৷

শাসক দায়িত্বহীন বেচারাম  জনগণ দুঃখীরাম - এ কেমন গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা

প্রভাত খাঁ

বর্তমানে ভারতের বুকে কেন্দ্রে যে শাসন চলছে সেটা হলো বিজেপি দলের শাসন৷ অনেক আশা করেই হয়তো বোটারগন কংগ্রেস দলের শাসন পালটিয়ে এদের আনেন কেন্দ্রে৷ এবার এঁরা কেন্দ্রে এসেছেন দ্বিতীয়বার৷ প্রথম বারের শাসনেই এঁরা বেশ কিছুটা হিন্দুত্ববাদী মানসিকতাকে চাঙ্গা করে তোলে, তাতে দ্বিতীয়বারে তাঁরা পুনরায় শাসনে আসেন৷ যদিও তাঁদের শাসনে দেশ আর্থিক, সামাজিক দিক থেকে দারুণভাবে পিছিয়ে পড়ে,তাতে জনগণের বিশেষ করে কোটি কোটি হতদরিদ্র ভারতবাসীর দৈনন্দিন জীবন যাপনের পথ দুর্বিসহ হয়ে পড়ে৷ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ণের অবস্থাটা তলানিতে চলে যায়৷ চরম দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি,চরম বেকার সমস্যায় মানুষ ছন্নছাড়া হয়ে পড়ে৷ বিমুদ্রাকরণটাই দেশকে