মাথার উপর মুক্ত আকাশ
উদারতার প্রতীক,
সকল সৃষ্টি নিকট আত্মীয়
প্রিয়জন প্রাণাধিক৷
সূর্য কিরণে উজ্জীবিত হই
রত থাকি কাজ-কর্মে,
স্নিগ্দ সুষমা মাধুরী ছড়ায়
তারও কথা জাগে মর্মে৷
বিনিদ্র তারা অলক্ষে দেয়
সঠিক পথের নির্দেশ,
ভূমিষ্ঠ হয়েছি ধরার ধূলায়
তাই ভূবন আমার দেশ৷
ঋতুগুলি আসে মোরে ভালবেসে
ভিন্ন তাদের মাহাত্ম,
বৈচিত্র্যময় ষড়ঋতু গুলি
পুলকিত করে চিত্ত!
সাগর আমায় হাতছানি দেয়
চির উচ্ছ্বল তরঙ্গে,
উদ্দীপনায় ঊর্মিমালায়
নৃত্যের নানা বিভঙ্গে৷
পাহাড় আমায় পরামর্শ দেয়
উচ্চ রাখিতে শির,
শত ঝঞ্ঝায় অটল থাকিতে
মৌন ও ধীরস্থির৷
আমার তরে শ্রাবণ ঝরে
করি পূর্ণ অবগাহন,
শিস দিয়ে বলে দখিনা পবন
চির সুন্দর মহাজীবন!
বজ্রপাতে, তুষার ঝড়ে
যবে মুখোমুখি হই বিপদে,
পরমা প্রকৃতি অতি কৃপা করে
রাখে মোরে নিরাপদে৷
আঁকাবাঁকা নদী উচ্ছ্বল গতি
জীবনে লক্ষ্য সিন্ধু,
আমি অনুমন অসীমের মাঝে
হারানো একটি বিন্দু৷
আমি প্রকৃতির স্নেহের পুত্র
মানব ধর্ম, শিব গোত্র,
ধর্ম প্রচারে যত্রতত্র
কীত্তনে মজে অহ-রাত্র৷
‘প্রকৃতি’ যে তাঁর প্রেমের রচনা,
রচিয়াছে এক অবিচ্ছিন্ন বাঁধন,
এ ভূবন তাঁর লীলার ভবন
ব্রহ্মান্ডের অমৃতসদন৷
- Log in to post comments