আমি প্রকৃতির সন্তান

লেখক
কৌশিক খাটুয়া

মাথার উপর মুক্ত আকাশ

 উদারতার প্রতীক,

সকল সৃষ্টি নিকট আত্মীয়

 প্রিয়জন প্রাণাধিক৷

সূর্য কিরণে উজ্জীবিত হই

 রত থাকি কাজ-কর্মে,

স্নিগ্দ সুষমা মাধুরী ছড়ায়

 তারও কথা জাগে মর্মে৷

বিনিদ্র তারা অলক্ষে দেয়

 সঠিক পথের নির্দেশ,

ভূমিষ্ঠ হয়েছি ধরার ধূলায়

 তাই ভূবন আমার দেশ৷

ঋতুগুলি আসে মোরে ভালবেসে

 ভিন্ন তাদের মাহাত্ম,

বৈচিত্র্যময় ষড়ঋতু গুলি

 পুলকিত করে চিত্ত!

সাগর আমায় হাতছানি দেয়

 চির উচ্ছ্বল তরঙ্গে,

উদ্দীপনায় ঊর্মিমালায়

 নৃত্যের নানা বিভঙ্গে৷

পাহাড় আমায় পরামর্শ দেয়

 উচ্চ রাখিতে শির,

শত ঝঞ্ঝায় অটল থাকিতে

 মৌন ও ধীরস্থির৷

আমার তরে শ্রাবণ ঝরে

 করি পূর্ণ অবগাহন,

 শিস দিয়ে বলে দখিনা পবন

 চির সুন্দর মহাজীবন!

বজ্রপাতে, তুষার ঝড়ে

 যবে মুখোমুখি হই বিপদে,

পরমা প্রকৃতি অতি কৃপা করে

 রাখে মোরে নিরাপদে৷

আঁকাবাঁকা নদী উচ্ছ্বল গতি

 জীবনে লক্ষ্য সিন্ধু,

আমি অনুমন অসীমের মাঝে

 হারানো একটি বিন্দু৷

আমি প্রকৃতির স্নেহের পুত্র

 মানব ধর্ম, শিব গোত্র,

ধর্ম প্রচারে যত্রতত্র

 কীত্তনে মজে অহ-রাত্র৷

‘প্রকৃতি’ যে তাঁর প্রেমের রচনা,

 রচিয়াছে এক অবিচ্ছিন্ন বাঁধন,

এ ভূবন তাঁর লীলার ভবন

 ব্রহ্মান্ডের অমৃতসদন৷