June 2018

উচ্ছের উপকারিতা

পরিচিতি ও প্রজাতি ঃ উৎস + কন্ + টা = উৎসিকা৷ যে তরকারীটি খেলে শরীরের বিভিন্ন উৎস থেকে লালা উৎসারিত হয়ে খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে তাই–ই উৎসিকা৷ উৎসিকা>উচ্ছিআ>উচ্ছে৷ সে জন্যে উচ্ছে প্রথম পাতে খেতে হয়৷ আদিম অবস্থায় বা বন্য অবস্থায় উচ্ছে বাংলার পথে–ঘাটে এখনও জন্মায়৷ এই বুনো উচ্ছেগুলি আকারে খুব ছোট, অতিমাত্রায় তিক্ত ও ঔষধীয় গুণ এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী৷ দ্বিতীয় ধরনের উচ্ছে হ’ল চাষের উচ্ছে৷ বুনো উচ্ছেকে চর্চার দ্বারা উন্নীত করে চাষের উচ্ছের সৃষ্টি হয়েছিল৷ এই উচ্ছে আকারে কিছুটা বড়৷ তিক্ততা বুনো উচ্ছের চেয়ে কিছুটা কম৷ উত্তর ভারতে এই চাষের উচ্ছেকে বলা হয় ‘করেলী’৷ এই চাষের উচ্ছেক

কর্মে উৎসাহহীনতা দূর করতে আদা

যাঁরা কোন কর্মে উৎসাহ পান না, যাঁরা দীর্ঘসূত্রী বা অলস, তাঁরা গুড়–ছোলাভিজে–আদা একসঙ্গে কিছুদিন খেলে কর্মোদ্যম ফিরে পাবেন৷ মুড়িতে যে পেট–ফাঁপার দোষ আছে, আদার সঙ্গে মুড়ি খেলে সে দোষটা থাকে না৷ তাই যেখানে জলখাবারে মুড়ির প্রচলন, সেখানে উচিত মুড়ির সঙ্গে দু’–চারটে আদা–কুচি খেয়ে নেওয়া৷

‘‘মুড়ির সঙ্গে নারকোল কুরো আর আদা কুচি

গপাগপ খাবে দাদা ফেলে দিয়ে লুচি৷’’

ধূমপান অতি বিপজ্জনক

যোগাচার্য্য

ধূমপান করা যে কত বিপজ্জনক তা শুনে ধূমপায়ীরা আঁতকে উঠবেন৷ ব্রিটেনের রয়েল কলেজ অব্ ফিজিসিয়ান্স্ (Britain's Royal College of Physicians) ধূমপানের কুফল সম্বন্ধে যে সকল সত্য উদ্ঘাটিত করেছেন তা সত্যিই উদ্বেগজনক৷

ধূমপানের বহু মারাত্মক রোগের বহুল প্রমাণ এইসব রিপোর্টে দেখান হয়েছে৷ যেমন ঃ  ফুসফুসে ক্যানসার, হৃদরোগ, ব্রঙ্কাইটিস্ (Broncuitis) অর্থাৎ শ্বাসনালীর ঝিল্লীর প্রদাহজনিত রোগ বা কফ্ রোগ, পরিপাক যন্ত্রের বিভিন্ন রকম রোগ (যেমন ঃ পরিপাকযন্ত্রে ঘা (Peptic ulcer) ইত্যাদি৷

প্রতি বছর ৫০ লাখ লোক মারা যায় ধূমপানের কারণে

ওয়ার্ল্ড হেলথ্ অর্গানাইজেশনের মতে নিকোটিন গ্রহণের কারণে সারা বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৫০ লাখ লোক মারা যায়৷ ডব্লিউ–এইচ–ও–র মতে ধূমপান বন্ধের ব্যাপারে কোন দেশের সরকার তেমন কড়াকড়ি করে না৷ মৃত্যুহারের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে৷ সারা বিশ্বের মোট ধূমপায়ীর প্রায় ৯৫ শতাংশই কোন নিয়ম কানুনের ধার ধারে না৷ ধূমপান করে৷ এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে এই মৃত্যুহার গিয়ে দাঁড়াবে ৮০ লাখে৷ তাদের তথ্য থেকে আরো জানা যায়, সেকেণ্ড হ্যাণ্ড ধূমপান অর্থাৎ ধূমপানের ধোঁয়া থেকে আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর মারা যায় প্রায় ৬ লাখ লোক৷ ধূমপানের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্যে ডব্লিউ–এইচ–ও ২০০৩ থেকে সারা বিশ্বের প্রায় ১৭০

তুমি আছো বলেই

শিবরাম চক্রবর্তী

তুমি আছো বলেই আছে

                জগতের সব কিছু

তাই তো তোমার কাছে সবাই

                মাথা করে নীচু৷

তুমি আছো তার তরেতেই

                সূর্য সময় ধরে’

রাতের আঁধার দূরে ঠেলে

                উদয় হয় সে ভোরে

আকাশের চাঁদ গ্রহ তারা

                তোমার ইচ্ছায় আলো দেয়

সারা বছর ছয় ঋতুর কাজ

                তোমার কৃপায় পূর্ণ হয়৷

তুমি আছো বলেই আছে

                পাহাড় সাগর মরু ও

তোমার ইচ্ছায় পৃথিবীর বুকে

                সবুজের সমারোহ৷

জীবজন্তু আহার বিহার

তোমার কাছে

সাধনা সরকার

বড্ড তোমার কাছে যেতে ইচ্ছা করে

ইচ্ছে করে দু-দণ্ড বসি

ভুলে যাই সংসার, সমাজ,

                লাভ-ক্ষতি টানাটানি

শুধু জানি সত্য আছ তুমি

আছ জীবন নদীর গভীরে

                তোমার মত ভালবাসা

                কখনও তো কেউ দেখেনি

                কেউ তো বলেনি কাছে আয়

                আরও কাছে

                আয় আয়৷

ফোটো রে মন ফোটো

বিভাংশু মাইতি

ফোটো রে মন ফোটো

অনুধ্যানে সেই চরণে

কমল হয়ে ফোটো৷

অনুরাগে সিক্ত কর

শতদলের দলগুলি

কোরকে দাও ঢেলে দাও

ভালবাসার অঞ্জলি৷

গ্রীষ্মের দহন দাহে

সেই চরণ চিতচন্দন

বরষার বজ্রপাতে

সে যে দেয় অভয় শরণ৷

শরতের স্নিগ্দাকাশে

সে যে মোর বিভা বিধুর

হেমন্তে হিমেল রাতে

অনুপম পরাণ বধু৷

শীতেরই তুষার পাতে

পরশ তার মধু-উষ্ণ

বসন্তের বর্ণমেলায়

সে যে মোর রসকৃষ্ণ৷

ফোটো রে মন ফোটো

রাত্রিদিনে সে চরণে

কমল হয়ে ফোটো৷

ভাঙে তো মচকায় না

সেই যে গল্প আছে না, একজন বাঙলাভাষী জমিদারের সখ হয়েছিল ঊর্দুভাষী সাজবার৷ থাকতেন তিনি গ্রামে৷ গ্রামের লোককে তিনি বোঝাবার চেষ্টা করতেন যে তাঁর পূর্বপুরুষেরা আসলে উর্দুভাষী ছিলেন৷ বাঙলায় আসার পরে ভাষাতে কিছুটা বাংলা প্রভাব পড়ে গেছে, আসলে তাঁরা উর্দুভাষীই৷

জেনে রাখা ভাল

  •             কাঁচালঙ্কা বেশীদিন রাখতে হলে বোঁটা ছাড়িয়ে রাখুন৷
  •             কলাকে টাটকা রাখার জন্য তাকে খবরের কাগজে জড়িয়ে ফ্রিজে রাখুন৷ পাতলা কাপড় ভিজিয়ে তাতে কলাকে জড়িয়ে রাখলেও কলা তাজা থাকবে৷
  •            কাঁচকলা, লেবুকে প্রতিদিন অন্তত এক ঘণ্টা করে জলে ভিজিয়ে রাখুন৷ বহুদিন তাজা থাকবে৷


 

    কিছু ভাল অভ্যাস

    •           সকলে খালি পেটে জল খাওয়া উচিত ৷ 
    •           রোজ প্রাতরাশে ও মধ্যাহ্ণ ভোজনের পর কিছু ফল খাওয়া ভাল ৷ 
    •           খাওয়ার শেষে কিছু টক দই বা ঘোল খাওয়া শরীরের পক্ষে উপকারী৷
    •           সকাল ও বিকেলে কম পক্ষে আধ ঘন্টা হাঁটা উচিত৷ 
    •           পারতপক্ষে দিনে না ঘুমোনো ও বেশী রাত না জাগা উচিত৷
    •           রাতের খাবার ৮-৯টার মধ্যে খেয়ে নেওয়া ভাল৷