June 2018

২০১৮-র বিশ্বকাপের ফুটবল জ্বরে আক্রান্ত ফুটবল রসিকরা

ঘণ্টাধবনি বেজে উঠেছে ফিফা  বিশ্বকাপ ২০১৮-র৷ আগামী ১৪ই জুন থেকে রাশিয়াতে শুরু হতে চলেছে ফুটবলের এই মহারণ৷ যা শেষ হবে ১৫ জুলাইয়ে মস্কোর লুজনেকি ষ্টেডিয়ামে ফাইনালের মধ্য দিয়ে৷ ফুটবল মানেই উত্তেজনার পারদ তরতর করে উঠে যাওয়া৷ কাউণ্ট-ডাউন শুরু হয়েছে গেছে কোন দেশ জয় করে নেবে এই বিশ্বকাপ, আর কে হবে এই বিশ্বকাপের নায়ক? গত বিশ্বকাপ জিতে নিয়েছিল জার্র্মনি৷ আর এবারও কি জার্র্মনির হাতেই শোভা পাবে সোনালী বিশ্বকাপ? মেসি, রোনাল্ডো, নেইমার, সালাহ, ম্যাটস হামেলস্রা কতটা ছাপিয়ে যাবেন একে-অপরকে?

২০১৮ বিশ্বকাপ কি মেসির স্বপ্ণ পূরণ করবে?

আর্জেন্তিনার লিওনেল মেসির এটা শেষ বিশ্বকাপ৷ ক্লাব ফুটবলে অসাধারণ নৈপুণ্যের পরিচয় তিনি বার বার রেখেছেন৷ মারাদোনার

পরেই এই আর্জেন্তিনিয় অনেক প্রতিযোগিতায় নিজের

দলকে সেরার মুকুট উপহার দিয়েছেন ঠিকই কিন্তু নিজের দেশকে তিনি বিশ্বকাপ এনে দিতে পারেননি৷  দেশের হয়ে বিশ্বজয়ের কৃতিত্ব তাঁর কাছে এখনও অধরা৷ আর এই

বিশ্বকাপই তাঁর শেষ বিশ্বকাপ৷ ২০২২-এ মেসি অবশ্যই অতীতের নক্ষত্রই হয়ে

নীরব মোদিদের দুর্নীতিতে ব্যাঙ্কের লোকসান ৮৭ হাজার কোটি টাকা

হীরে  ব্যবসায়ী নীরব মোদি আর তার মামা মেহুল চোকসির মত  ব্যাঙ্ক জালিয়াতী ও এক শ্রেণীর পুঁজিপতির ঋণখেলাপী সহ বিভিন্ন দুর্নীতির  কারণে  বর্তমানে  রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির  লোকসানের  পরিমাণ  দাঁড়াল ৮১ হাজার ৩৫৭ কোটি  টাকা৷ ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষের  এই হিসেব৷  সবচেয়ে বেশী লোকসান হয়েছে পঞ্জাব ন্যাশানাল ব্যাঙ্কের৷ তাদের লোকসানের পরিমাণ ১২ হাজার ২৮৩ কোটি  টাকা৷ দেশের  বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ষ্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ারও লোকসান হয়েছে৷  এদের লোকসানের পরিমাণ ৬ হাজার  ৫৪৭ কোটি টাকা৷

যদিও এই লোকসান  অসৎ পুঁজিপতিশ্রেণীর জন্যে, কিন্তু এরজন্যে ভুগতে হবে দেশের কোটি কোটি দরিদ্র জনসাধারণকে৷

প্রণব মুখার্জীকে ঘিরে বিতর্ক

নাগপুর রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সদর দফতর নাগপুরে  তাদের সংঘটনের অনুষ্ঠানে প্রণব মুখার্জীর যোগদানকে  ঘিরে নানান্ কথা শোণা যাচ্ছে৷ আজীবন যে প্রণববাবু আর.এস.এস তথা বিজেপি’র  বিরোধিতা করে গেছেন, গান্ধী-হত্যার পেছনেও যাঁদের হাত ছিল বলে আসছেন, আজ হঠাৎ তাদের অনুষ্ঠানে প্রণববাবু নিজের এতদিনের  মতাদর্শ বিসর্জন দিতে গেলেন কেন?

ওপার বাঙলা ও এপার বাঙলার বাঙালীদের অর্থনৈতিক করুণ চিত্র

সুশান্ত দেব

সোনার বাংলা! সে কি আর আদৌ আছে! না সেই বই---কবিতা, পদ্য, গদ্যের মধ্যেই সোনার বাংলার সীমাবদ্ধতা৷ সোনার বাংলায় শাসক আসে আর যায়৷  বাংলা মায়ের  মলিন মুখ সেই তেমনি থাকে৷ জনগণের  সার্বিকভাবে  উন্নতি আর হয় না৷ রবীন্দ্রনাথের সোনার  বাংলা, জীবনানন্দের রূপসী বাংলা, নজরুলের বিদ্রোহী বাংলা আজ বেকারত্বের জ্বালায় পুড়ে ছারখার৷ কোথায় সেই  সোনার বাংলা! কোথায় সেই  সারা ভারতকে  পথ দেখানো সেই বাংলা?

আনন্দমার্গের ষান্মাসিক সেমিনার কর্মসূচী

আনন্দমার্গের যুগান্তকারী আদর্শকে সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যে দেশে-বিদেশে সর্বত্রই আনন্দমার্গের ষান্মাসিক সেমিনারের কর্মসূচী নেওয়া হয়৷ সেই অনুসারে বিগত আনন্দনগর ধর্ম সম্মেলনে ও আনন্দমার্গের আগামী ৬ মাসে সেমিনার কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে৷

বলা বাহুল্য, এই কর্মসূচী ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে নেওয়া হয়েছে তেমনি বহির্ভারতে বিভিন্ন দেশেও নেওয়া হয়েছে৷

কর্ণাটকে বিধায়কদের মধ্যে বিদ্রোহের ছায়া?

কর্ণাটকে অবিজেপি জোট সরকার হয়েছে৷  গত ২৩ শে মে মুখ্যমন্ত্রী এইচ.ডি কুমারস্বামীর নেতৃত্বে জেডিএস কংগ্রেস জোট সরকার শপথ নিয়েছে৷ কিন্তু কংগ্রেসের বহু বিধায়ক  তাদের মনোমত দফতর না পাওয়ায় বিদ্রোহী হয়ে উঠেছে৷ ফলে কংগ্রেসের কোটায়  থাকা দফতরগুলিতে  এখনও সম্পূর্ণ নিয়োগ করা যাচ্ছে না৷  কংগ্রেসের  বিধায়করা কেউ উপমুখ্যমন্ত্রী, কেউ অর্থমন্ত্রী, কেউ  পরিবহনমন্ত্রী, কেউ আবার  প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পদের  জন্যে দারুণভাবে লালায়িত৷ ওইসব পদ নাহলে চলবে না! এমন হুমকি দিচ্ছেন৷ এদিকে বিরোধী দলনেতা (বিজেপি) এস ইয়েদুরাপ্পা দাবী করছেন, কংগ্রেস-জেডিএস-এর বহু বিক্ষুদ্ধ বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিতে উৎসুক৷

অর্থ ও পরমার্থ

শাস্ত্রে বলা  হয়েছে,

‘‘পার্শদ্ধো ভবেজ্জীবঃ পাশমুক্তো ভবেচ্ছিব৷’’

ব্যষ্টিসত্তা যখন মায়াজালে আবদ্ধ থাকে তখন তাকে বলে  জীব বা অণুমন, অর্থাৎ  জীবের বৈশিষ্ট্যই হ’ল ন্ধন৷ ব্রহ্মকৃপায়  সাধনার  দ্বারা  যাঁরা এই  বন্ধন ছিন্ন করে  যখন   নিজেকে  মুক্ত  করতে পারেন  তখন তাঁরা শিবত্বে  উন্নীত  হন৷  শিব হলেন বন্ধনমুক্ত আর জীব বন্ধনযুক্ত৷

সংশ্লেষণ ও বিশ্লেষণ

জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সর্বাত্মক জয়লাভের ইচ্ছা মানুষের মধ্যে আদিম ও অনন্ত৷ প্রয়োজনীয় বা অপ্রয়োজনীয়---জীবনের সকল ক্ষেত্রে ছোট হয়ে বাঁচাটা মানুষের পক্ষে অভাবনীয়৷ অনন্তকাল ধরে প্রকৃতির আজ্ঞাবহ ভৃত্য হিসেবে বাঁধাধরা পথে চলার ধারণা কোনদিনই তার মনঃপুত নয়৷ তবে সে যে অনেক সময় প্রকৃতির নিয়মমাফিক চলে জানতে হবে, সেটা, নিতান্তই অবস্থার চাপে পড়ে৷ আর সেটা হচ্ছে তার পর্যাপ্ত পরিমাণ বুদ্ধি বা Intellect ও Stamina-র অভাব৷ তার সর্ব সাধনা হচ্ছে কেবল এইসমস্ত অভ্যন্তরীণ দুলতাগুলোকে দূর করার প্রচেষ্টার নামান্তর মাত্র৷ মনোজগতের অপূর্ণতা দূর করার জন্যে তাই সে অহরহই আদর্শগত সংঘর্ষকে অভ্যর্থনা জানায় ও জন্ম দেয় নোতুন