August 2018

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্প

গত ৫ই অগাষ্ট  সন্ধ্যায়  ইন্দোনেশিয়া এক ভয়ানক  ভূমিকম্পে  ৯১ জন প্রাণ হারিয়েছেন৷ অনেকের মতে  প্রাণহাণির সংখা অনেক বেশি৷  ইন্দোনেশিয়ার  লম্বক দ্বীপের মাটির ১০ কিলোমিটার  নীচে  ছিল  এই  ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র৷ রিখটার স্কেলে  এই ভূমিকম্পের  মাত্রা ছিল ৬.৯৷

শহীদ ক্ষুদিরাম বসু ও ভারতবর্ষের স্বাধীনতা

গৌতমচন্দ্র চন্দ্র

শহীদ ক্ষুদিরাম বসু ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক কিংবদন্তী যুবক প্রতিভা৷ ক্ষুদিরাম বসুর আত্মবলিদান সমকালে জনমানসে প্রবল আলোড়ন তুলেছিল৷ দেশ প্রেম আর বাঙালী চারণ কবিরা তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে গান গেয়ে দেশ প্রেমের বার্তা গ্রামে ও গ্রামান্তরে ছড়িয়ে দিতেন৷ ফাঁসির পরবর্তী কালে পরাধীন ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামে যথেষ্ট ভাবাবেগ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছিল যা এককথায় অকল্পনীয় ছিল৷Khudiram Bose

ভাবজড়তার বিরুদ্ধে সংগ্রাম

ধর্মমতের উপর ভিত্তি ক’রে তৈরী হয়েছে পাপ–পুণ্যের খসড়া, তৈরী হয়েছে বিভিন্ন ধর্মের বিভিন্ন দণ্ডসংহিতা ও শাস্ত্র৷ নিজেদের কায়েমী স্বার্থের দুরভিসন্ধিতে সেই সব শাস্ত্রকে অপৌরুষেয় বলে প্রচার করা হয়েছে৷ তাই মানুষের থেকে তথাকথিত শাস্ত্র বর্ণিত দেববাণীর দাম অনেক বেশী৷ মানুষ সেই বাণীর, সেই ব্যবস্থার অবমাননা বা বিরুদ্ধাচরণ করলে তাকে পেতে হবে কঠোর শাস্তি৷ বিজাতীয় মানুষকে স্পর্শ করা মহাপাপ৷ সমাজ থেকে তাকে হ’তে হবে বিতাড়িত সেই পাপের জন্যে৷ শাস্ত্রমতে হয়তো প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে, সে প্রায়শ্চিত্ত কখনও কখনও তার প্রাণহানিরও কারণ হয়ে দাঁড়ায়৷ কেউ যদি এই কঠোর শাস্তি থেকে একটু শৈথিল্য প্রার্থনা করে, সমাজগুরুরা তা

চক্ষুরোগে পদ্মমধু

পদ্মফুলের শোভা ও সৌন্দর্য্যে ও এর গন্ধে মউমাছি, ভ্রমরা, কীটপতঙ্গেরা আকৃষ্ট হয়৷ অন্যান্য পদ্মের তুলনায় শ্বেতপদ্মের গন্ধ বেশী৷ পদ্মের মধু (বিশেষ করে শ্বেতপদ্মের মধু) সর্ববিধ চক্ষুরোগের মহৌষধ বিশেষ করে চোখের মণি সংক্রান্ত রোগে৷ বাংলায় এই পদ্মমধু নিয়ে চর্চা হলে ভাল হয়৷ চক্ষুরোগে গোলাপ জলের ব্যবহার হিতকর৷ এছাড়া ফুলকপি ও গাজর চক্ষুরোগে প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে৷

পদ্মের পরাগ সর্পবিষের প্রতিষেধক

উদ্বাস্তু

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

তোমরা হলে মন্ত্রী নেতা

আমরা যাযাবর

মোদের ভিটে মাটি বেচে

আনিলে স্বাধীনতা৷

তোমরা হলে স্বাধীন সুখী

ভাঙলে মোদের ঘর ঃ

মোদের দেশের মানচিত্র

হারিয়ে গেল কোথা?

মহাজনের গদীর খেলায়

আমরা জুয়ার তাস,

তোমরা পেলে ভায়ের মায়ের

শান্তি স্নেহ সুখ,

আমরা পায়ে পাই না মাটি

চারিদিকে সন্ত্রাস---

পা বাড়ালেই গর্জে ওঠে

উদ্যত বন্দুক৷

তোমার কাছে প্রার্থনা

সাধনা সরকার

তুমি এসো আর একবার এসো৷

যাদের ভালোবেসেছিলে

বাঁধা আছে তারা

ভালোবাসায়, মানুষের জন্যে

অগাধ ভালোবাসায় ও

তোমার অবাধ স্বপ্ণ

আত্মায় বহন করেই

ওঁরা ছুটে চলেছে প্রান্তর নগর

দেশে-বিদেশে গ্রহান্তরে

আত্মার আত্মীয় হয়ে৷

ওরা মৃত্যুকে জয় করেছে

ক্ষুধা পথের দুর্গমতা নিত্যসঙ্গী

বন্ধু ওদের

তবুও চলেছে দুর্গম পথে

জয় হোক ওদের

বারবার৷

মহা সদ্বিপ্র

চিত্রা

জাগ্ দুনিয়ার প্রতিটি সর্বহারা

ওঠ্ জেগে সব বন্দী ক্রীতদাস,

মহাসদ্বিপ্র দিয়েছে তোদের ডাক্

দিয়েছে তোদের মুক্তির আশ্বাস৷

এই বিশ্বের কত মানুষের ঘরে---

ওঠে আজ শুধু দৈন্যের হাহাকার,

ওরে তোরা আজ চেয়ে দেখ চারিদিকে

চলিয়াছে কত অবিচার-অনাচার৷

আয় ছুটে মহাসদ্বিপ্রের ডাকে,

দেয় সে তোদের নূতন আলোর দিশা৷

প্রতি মানুষের বিহ্বল হৃদয়েতে

জাগবে যে আজ নবীন দীপ্ত আশা৷

চোর

রামদাস বিশ্বাস

এক যে আছে চোর, চুরি করাই স্বভাব তার৷

কেউ তাকে বাসে না ভালো জোটে না আহার৷

কোন্ কারণে চুরি করে কেউ করেনা খোঁজ

দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয় সকলে রোজ রোজ৷

পরণে তার নেইকো পিরহান পেটে নেই ভাত

ঘর নেই দোর নেই রাস্তায় দিনরাত৷

কেউ বোঝে না ব্যথা তার নেই কারো দরদ

ধরা পড়লে পিটুনি খায় কপালে গারদ৷

বিশ্বপিতার এই ধরণী সবার অধিকার

চোরের কেবল নেই অধিকার এ কেমন বিচার!

পাটোয়ারী বুদ্ধি

‘ক্রথ্’ ধাতুর অর্থ হ’ল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে কাউকে হত্যা করা৷ দেবোদ্দেশ্যে বা ধর্মের নামে পশুহত্যা এই পর্যায়ে পড়ে৷ ক্রথ্ + অচ্ = ক্রথ৷ ‘ক্রথ’ মানে যাকে হত্যা করা হচ্ছে৷ ক্রথ্ + ল্যুট্ = ক্রথন মানে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে হত্যা করা, ধর্মের নামে হত্যা করা, অথবা যাকে হত্যা করা হচ্ছে৷ কেউ যদি ভাবে ধর্মের নামে পশু–হত্যা করলে উভয় পক্ষেরই লাভ অর্থাৎ মানুষের লাভ দুটো ঃ তার লোল জিহ্বা পাবে নিরীহ পশুর মাংস আর অর্জন করবে পুণ্য আর ওই নিরীহ হতভাগ্য পশু, যে জীবনে সবচেয়ে বড় ভুল করেছিল মানুষ নামে জীবকে বিশ্বাস করে, সে পাবে পশুজীবন থেকে মুক্তি–এ ধরনের জিনিসগুলি ভাবের ঘরে চুরি ছাড়া কিছুই নয়৷ সম্ভবতঃ মানুষ জাতে

অ্যাথলেটিক্সের নতুন প্রতিভা বাপীর স্বপ্ণ অন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সাফল্য

চরম দারিদ্রের মধ্যে থেকেও বাগদার এক কিশোরBapi অ্যাথলেটিক্সে সাড়া ফেলে দিলেন সম্প্রতি সল্টলেকের একটি প্রতিযোগিতায়৷ ১০.৯ সেকেণ্ডে ১০০ মিটার দৌড়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে ১৭ বছরের এই কিশোর বাপী৷ নিঃসন্দেহে বাপীর মত এই প্রতিভাধরদের ঘষামাজা করলে বিশ্ব ক্রীড়া জগতে ভারতের মুখ উজ্জ্বল হবেই৷ কিন্তু বাপীর মত ক্রীড়াবিদরা অনেকেই হারিয়ে যান শুধুমাত্র দারিদ্রতার সঙ্গে যুঝতে গিয়ে৷ সংসারের বেহাল অবস্থা প্রতিনিয়ত দেখতে