March 2020

শিউড়ি স্কুলের বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

গত ২৮শে ফে ব্রুয়ারী শিউড়ি আনন্দমার্গ স্কুলের বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় শিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজের মাঠে৷ বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পারুলিয়া হাইস্কুলের অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক৷ প্রতিযোগিতা শেষে সফল প্রতিযোগিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়৷

ইন্দাসে পদার্পণ দিবস পালন

১৯৫৭ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারী পরম শ্রদ্ধেয় শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী  বীরভূম জেলার ইন্দাসে পদার্পণ করেন৷ সেই উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গের প্রথম ধর্মমহাচক্র অনুষ্ঠিত হয় ইন্দাসে৷ ওই ধর্মমহাচক্রে পরমারাধ্য শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী বরাভয় মুদ্রায় উপস্থিত সকল ভক্তমণ্ডলীকে আশীর্বাদ প্রদান করেন৷ ওই দিন থেকেই আনন্দমর্গের ইতিহাসে ইন্দাস জায়গা করে নেয়৷

বর্তমানে মার্গী ভাইবোন ও গ্রামবাসীদের সহায়তায় ইন্দাস গ্রামের ওই স্থানে একটি স্মৃতিসৌধ ও স্থায়ী কীর্ত্তন মণ্ডপ তৈরী হয়৷ প্রতি বছর এই দিনটির স্মরণে ইন্দাসে নানা অনুষ্ঠানে মিলিত হয় বীরভূম জেলার মার্গী ভাইবোনেরা৷ 

ডিগলিপুরে আনন্দমার্গের সেমিনার

গত ৭,৮ ও ৯ই ফেব্রুয়ারী উত্তর আন্দামানের ডিগলিপুরে আনন্দমার্গের প্রথম ডায়োসিস স্তরের সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়৷ স্থানীয় মার্গী ভাইবোন ও প্রতিবেশী ছাত্র-যুবা ও বুদ্ধিজীবীরা এই সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন৷ সেমিনারের প্রশিক্ষক আচার্য প্রসূণানন্দ অবধূত তাঁর আলোচনায় আনন্দমার্গের আধ্যাত্মিক দর্শন, সাধনা পদ্ধতি ও সমাজ দর্শনের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন৷ উপস্থিত সকলেই আগ্রহের সঙ্গে প্রসূণানন্দজীর বক্তব্য শোনেন ও অনেকেই আনন্দমার্গের প্রতি আকৃষ্ট হন৷

ঝালদায় অখণ্ড কীর্ত্তন ও অন্নপ্রাশন

গত ১৬ই ফেব্রুয়ারী পুুলিয়া জেলার ঝালদা থানার কাঁটাডি গ্রাম নিবাসী বিশিষ্ট আনন্দমার্গী পশুপতি মাহাতর ছেলে বিপ্লব মাহাতর শিশুকন্যার অন্নপ্রাশন মার্গীয় বিধিতে অনুষ্ঠিত হয়৷ এই উপলক্ষ্যে এই দিন তাঁর বাসগৃহে তিন ঘণ্টা অখণ্ড ‘বাবানাম কেবলম্’ কীর্ত্তন হয়৷ এরপর নামকরণ অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন ব্রহ্মচারিণী মন্দ্রিতা আচার্যা৷ আনন্দমার্গের সমাজশাস্ত্রের বিষয়ে বক্তব্য রাখেন আচার্য জগন্নাথ ব্রহ্মচারী৷ এছাড়া বক্তব্য রাখেন আচার্য বিশিষ্টানন্দ অবধূত, আচার্য প্রজ্ঞাধীশানন্দ অবধূত, ভুক্তিপ্রধান পরমেশ্বর মাহাত প্রমুখ৷ শিশুকন্যার নাম রাখা হয় স্মিতা৷ অনুষ্ঠান শেষে সকলকে প্রীতিভোজে আপ্যায়িত করেন পশুপতি মাহাত ও তাঁ

ভাষা শহীদ স্মরণে

পশ্চিমবঙ্গ সহ উত্তরপূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যে আমরা বাঙালী নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণ করে৷ পুরুলিয়া শহরে ভাটবাঁধপাড়া রাঢ় ভবন থেকে একটি শোভাযাত্রা শহরের নানা পথ পরিক্রমা করে আসে দুলমি, নডিয়ায়৷ সেখানে জেলা কার্যালয়ের শহীদ বেদীতে বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ মাল্যদান করেন৷ পরে এক সভায় ভাষার জন্য আত্মত্যাগে উজ্জ্বল শহীদদের কথা স্মরণ করে বক্তব্য রাখেন নেতৃবৃন্দ৷ উপস্থিত ছিলেন বিভূতি দত্ত, জেলা সচিব লক্ষ্মীকান্ত মাহাত প্রমুখ নেতৃন্দ৷

আন্দামানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

গত ২১শে ফেব্রুয়ারী বাঙালী সংসৃকতি পরিষদের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয় আন্দামানে৷ এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আনন্দমার্গের বরিষ্ঠ সন্ন্যাসী আচার্য প্রসূণানন্দ অবধূত৷ তিনি তাঁর বক্তব্যে বাঙলার ভাষা-সংসৃকতির বিকাশের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন ও প্রাউটের ভাষানীতি  ও আর্থিক বিকাশের সঙ্গে ভাষার সম্পর্ক তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে৷

দীঘায় পদার্পণ দিবস পালন

গত ১৫ই ফেব্রুয়ারী পূর্বমেদিনীপুর জেলার দীঘায় মার্গগুরুর বাসভবনে মার্গগুরুর পদার্পণ দিবস পালন করা হয়৷ তিনঘন্টাব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তন ও সাধনা , স্বাধ্যায়ের পর মার্গগুরুর দীঘায় প্রথম পদার্পণের দিনটির ঐতিহাসিক  তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে বলেন বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী অমিতাভ মাইতি৷

আনন্দমার্গের তত্ত্বসভা

রঙ্গত ঃ আন্দামানের রঙ্গত ব্লকে দু’টি তত্ত্বসভা অনুষ্ঠিত হয়৷ একটি রঙ্গত বাজার পল্লী উন্নয়ন সংঘে ও অপরটি নেবুতলাতে৷ ১৭, ১৮ই ফেব্রুয়ারী সেমিনার দুটি অনুষ্ঠিত হয়৷ আচার্য প্রসূণানন্দ অবধূত অষ্টাঙ্গিক যোগ সাধনা ও তার উপকারিতার বিষয়ে এই তত্ত্বসভায় ব্যখ্যা করে বলেন৷

লিট্ল আন্দামানেও ২৩শে ফেব্রুয়ারী দুটি তত্ত্বসভা অনুষ্ঠিত হয়৷ এই তত্ত্বসভাতেও আনন্দমার্গের দর্শনের ওপর বক্তব্য রাখেন অবধূতিকা আনন্দ রসধারা আচার্যা ও আচার্য প্রসূণানন্দ অবধূত৷

২৮ মাইলে তত্ত্বসভা

গত ২৫শে ফেব্রুয়ারী আন্দামান ২৮ মাইলে রবীন্দ্রনগর আনন্দমার্গ মাষ্টার ইয়ূনিটে একটি মনোজ্ঞ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ আচার্য প্রসূণানন্দ অবধূত আনন্দমার্গের আধ্যাত্মিক দর্শন ও সেবার আদর্শের ওপর বিশেষভাবে আলোকপাত করেন৷ এই সভার আয়োজন করেন আচার্য নিত্যধ্যানেশানন্দ অবধূত৷

নাচিন্দায় তত্ত্বসভা

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নাচিন্দা জেঠাইবাড়ী গ্রামে ২রা মার্চ শ্রী অমলেশ মান্নার বাসগৃহে তাঁর পৌত্রের জন্মদিন উপলক্ষ্যে একটি তত্ত্বসভার আয়োজন করেন৷ কীর্ত্তন ও সাধনা শেষে অমলেশ মান্না ও তাঁর স্ত্রী কনকলতা মান্না পৌত্র অনুভব মান্নাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও আশীর্বাদ প্রদান করেন৷  এরপর অনুভবের পিতামাতা অনুপমব্রত ও কাকলী ও উপস্থিত সকল মার্গী ভাইবোন জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও আশীর্বাদ প্রদান করেন৷ সবশেষে আনন্দমার্গ দর্শনে ধর্ম---সাধনা ও প্রাউট তত্ত্ব বিষয়ে আলোচনা হয়৷ আলোচনা করেন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷