ঘূর্ণঝড় আম্ফানে বিদ্ধস্ত দঃ ২৪ পরগণায় এ্যামার্টের সেবাকার্য

আনন্দ মার্গ ইউনিবার্সাল রিলিফ টীম(এ্যামার্ট)ভারত সহ সাড়া পৃথিবী ব্যাপী বিভিন্ন জায়গায় দুঃস্থ ঘরবন্দী মানুষের সাহায্য করে চলেছে। তারই কয়েকটা সংবাদ পরিবেশন করছি।
গুয়াহাটি, আসামঃ গত ২৪শে মে, গুয়াহাটির বসিস্থার দূরবর্তী গ্রামে চাল, ডাল, আলু, নুন, ভোজ্য তেল, সাবান ও সয়াবীনের প্যাকেট ২৬০ টি পরিবারকে বিতরণ করা হয়। এছাড়া আসামের এ্যামার্ট সমন্বয়কারী শ্রী প্রদীপ চৌধুরী জানান যে, ঐ দিন রাতে গুয়াহাটি রেল ষ্টেশনে, পরিযায়ী শ্রমিক যারা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে পৌঁছেচেন। তারা বাদে স্থানীয় ভিক্ষুক ও ক্ষুধার্ত ৩৫০ জন লোক কে রান্না করা খাবার দেন।
২৪শে মে সন্দেশখালি ব্লকের তিয়রপাড়া, মেতিয়াকখালি গ্রামে AMURT এর পক্ষ থেকে চিড়া, গুড়, দুধ, বিস্কুট দিয়ে ২৫০টি পরিবারকে সাহায্য করা হয়।
ঝাড়খণ্ডঃ দেওঘরে ২৫ শে মে এ্যামার্টেলের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার প্যাকেট ২০০ পরিবারকে বিতরণ করা হয়।
বাঙালী ছাত্র যুব সমাজের উদ্যোগে ত্রিপুরায় ধলাই জেলার বিরাশি মাইলে দুঃস্থদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ
২৮ শে মে: পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে রাজ্যে ফেরাতে রেল মন্ত্রক কোন দায়িত্ব নেয় নি। আর্থিক দায়ভার রাজ্যের। কিন্তু রেলমন্ত্রী এতটাই অপদার্থ, অমানবিক যে দীর্ঘ যাত্রাপথে যাত্রীদের জন্য সামান্য জল ও খাবার ব্যবস্থা পর্যন্ত করা হয়নি। নিদারুণ দুর্ভোগ সহ্য করে যাত্রীরা ঘরে ফিরছে। খাবার ও জলের অভাবে কেউ কেউ মারা যাচ্ছে।
কেউ কেউ পরমপুরুষকে চিতিশক্তি বলে অভিহিত করেন কিন্তু বাস্তবে পরমপুরুষ হলেন তার অতিরিক্ত কিছু। দর্শণের বড় বড় পন্ডিতেরা বলে থাকেন যে পরমপুরুষ হলেন জ্ঞাতৃসত্তা ও পরমাপ্রকৃভি হলেন ক্রিয়াশক্তি। তোমরা জানো যে ক্রিয়াশক্তি হ’ল একটা অন্ধাশক্তি মাত্র, এর পেছনে চৈতন্যশক্তির সমর্থন থাকতেই হবে। যখন পরমাপ্রকৃতি কাজ করা শুরু করেন, ক্রিয়াশক্তি যখন কোন কিছু সৃষ্টি করেন বা পালন করেন বা ধংস করেন, সৃষ্টি-স্থিতি-ধ্বংসমূলক তিনি যা কিছু করেন বা তাঁর যা কিছু বাস্তব ক্রীয়াশীলভা তার সবই কিন্তু ভূমা চৈতন্যের অনুমতিসাপেক্ষ।
সভ্যতার উন্মেষের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মনে জেগেছিল শিল্প সৃষ্টির এষণা ও প্রেষণা। এষণাই প্রেষণাকে ডেকে আনে। সভ্যতার প্রথম ধাপে শিল্পমাত্রেই ছিল কুটির শিল্প। নারী-পুরুষ-বালক-বালিকা নির্বিশেষে সবাই শিল্প রচনায় হাত লাগাত। পরে দেখা গেল কিছু শিল্প গ্রামে গ্রামে করা যায় না...
বর্তমান পুঁজিবাদী অর্থনীতি ব্যবস্থার একটা মস্তবড় ত্রুটি এতদিন পরে সবার চোখে পড়ছে৷ কি রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা, কি বুদ্ধিজীবীরা এতদিন এই সমস্যাটাকে দেখেও দেখছিলেন না৷ ভাবছিলেন এ তো বেশ চলছে! সমস্যা কোথায়! এখন সমস্যাটাকে কারোর চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতে হচ্ছে না৷ সব পত্র-পত্রিকাতেই লেখা হচ্ছে৷মোবাইলে,দূরদর্শনে এটাই এখন অন্যতম প্রধান খবর৷ করোনা বাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দেশ জুড়ে লকডাউনের পরিপ্রেক্ষিতে এই সমস্যাটি এখন দেশের জ্বলন্ত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে৷