জাগৃতি ভবনে ডিট্ লেবেল সেমিনার
কৃষ্ণনগর নদীয়া ৫,৬,৭ই মার্চ ২০২১ মহা উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্যে শতাধিক আনন্দমার্গের সদস্য-সদস্যার উপস্থিতিতে কৃষ্ণনগর মোমিন পার্কে অবস্থিত জাগৃতিভবনে সাড়ম্বরে পালিত হল তিনদিনের ‘‘কৃষ্ণনগর ডিট্ লেবেল সেমিনার৷’’
কৃষ্ণনগর নদীয়া ৫,৬,৭ই মার্চ ২০২১ মহা উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্যে শতাধিক আনন্দমার্গের সদস্য-সদস্যার উপস্থিতিতে কৃষ্ণনগর মোমিন পার্কে অবস্থিত জাগৃতিভবনে সাড়ম্বরে পালিত হল তিনদিনের ‘‘কৃষ্ণনগর ডিট্ লেবেল সেমিনার৷’’
গত ১৪ই মার্চ এলাঙ্গী, নদীয়া জেলার অন্তর্গত এলাঙ্গী গ্রামের প্রবীন আনন্দমার্গী শ্রী সন্তোস মৃধা ও শ্রীমতি নিরুপমা মৃধার বাসগৃহে শতাধিক ভক্তের উপস্থিতিতে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত মানবমুক্তির মহামন্ত্র ‘‘বাবা নাম কেবলম্’’ অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তন আধ্যাত্মিক তরঙ্গে, মধুর সুরে গ্রামে আকাশ বাতাস মুখরিত হয়ে ওঠে৷ উক্ত গ্রামের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বহু ভক্ত কীর্ত্তন অঙ্গনে উপস্থিত হন৷ প্রভাত সঙ্গীত ও কীর্ত্তন পরিচালনা করেন অনুপ্রিয়া দেব, কৌশিক সরকার, আচার্য সত্যসাধনানন্দ অবধূত, ডাঃ বৃন্দাবন বিশ্বাস প্রমুখ৷ কীর্তন শেষে মিলিত সাধনা গুরুপূজা হয়৷ স্বাধ্যায় করেন মার্গীবোন শ্রীমতি তৃণা পা
গত ১৫ই মার্চ হাওড়া জেলার রামরাজাতলায় শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর শুভপদার্পণ দিবস পালিত হয় ভাবগম্ভীর আধ্যাত্মিক পরিবেশে৷ প্রভাত সঙ্গীত কীর্ত্তন ও মিলিত ঈশ্বর প্রণিধানের পর সেই ঐতিহাসিক স্মরণীয় দিবসের স্মৃতি তর্পণ করেন সেদিনের উপস্থিত মার্গী ভাই-বোনেরা ও আচার্য পরিতোষানন্দ অবধূত ও আচার্য তন্ময়ানন্দ অবধূত৷ এছাড়া শ্রী তপন ভৌমিক, শ্রীমতি সুপ্রিয়া ভৌমিক, বকুল রায়, ভুক্তিপ্রধান সুব্রত সাহা প্রমুখ৷ শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী সেদিনের সভায় প্রকৃত গুরু সম্পর্কে প্রবচন দিয়েছিলেন৷ সেদিনের অনুষ্ঠানে এই প্রবচন পাঠ করে শোণান হয়
গত ২৮শে মার্চ রাণীহাটি আনন্দমার্গ শিশু সদনে ও জেলার বিভিন্ন ইয়ূনিটে বসন্ত উৎসব পালিত হয়৷ রাণীহাটিতে প্রভাতসঙ্গীত, কীর্ত্তন ও মিলিত সাধনার পর সকলে পরম আরাধ্য শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তির চরণে আবির দিয়ে শ্রদ্ধা জানান, এরপর পরস্পরকে আবিরে রঞ্জিত করে সকলে বসন্ত উৎসব পালন করে৷
দেখতে দেখতে একটা গোটা বছর আমরা কাটিয়ে ফেললাম৷ বিদায় নিচ্ছে ১৪২৭৷ অন্যদিকে নোতুনের গান গেয়ে এসে গেছে ১৪২৮৷ আপামর বাঙ্গালীর কাছে ১লা বৈশাখ দিনটি একটি বিশেষ মাত্রা নিয়ে আসে৷ যদিও পরিতাপের বিষয় যে ইংরেজী নববর্ষকে নিয়ে বিশ্ববাসীর যে উন্মাদনা দেখা যায় তাঁর বিন্দুমাত্র বাংলা নববর্ষের কপালে জোটে না৷ জুটবেই বা কেন এ যে নেহাৎ ‘গেঁয়ো যোগী ভিখ পান না’র মত দশা৷ আমরা বাঙালীরা যতটা ধুমধামে ইংরেজী নববর্ষ উদযাপন করি বাংলা নববর্ষের বেলায় ততটা অবহেলা করি৷ বাঙালী আত্মবিস্মৃত জাতি হিসেবে নিজেকে দেখতে ও দেখাতে খুশি হয়৷ কিছুদিন হল আমরা ২১শে ফেব্রুয়ারীর স্মরণে নানা উৎসব অনুষ্ঠান করলাম৷ ‘বাংলা আমার প্রাণের ভাষা’ বল
সমাজে নারীর অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়, একান্তই দুর্বিসহ৷ সংঘের যারা ‘তাত্ত্বিক’, তাদের কর্ত্তব্য হ’ল অনগ্রসর মহিলাদের মধ্যে কল্যাণমূলক কাজ করা, তাদের কুসংস্কার–নিরক্ষর দূর করা, ধর্মচক্রের বন্দোবস্ত করা ও তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা৷ দেখা যায়, স্বামীর মৃত্যুর পর নারীরা আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হন৷ তাই তাঁরা যাতে স্বাধীনভাবে জীবিকার্জন করতে পারেন সে ধরণের সুযোগ তৈরী করতে হবে৷
ফোঁড়া কেন হয় ঃ
পঞ্চ-দধীচির বেদীমূলে
জানাই সশ্রদ্ধ প্রণাম৷
সহস্র হৃদয় রঞ্জিত আজি,
জানায় সবাই সম্মান৷
ধন্য তোমরা বীর পুরুষ
নিমেষেই করিলে জীবন দান৷
আত্মত্যাগে বিশ্ব বিজয়
উজ্জ্বল অবদান৷
দধিচী দিবস পালিত হোল
সারাটা বিশ্বব্যাপী,
মোক্ষ প্রাপ্তির পথ বেছে নিলে,
বাবা-ই তোমাদের সাথী৷
আনন্দনগরকে গড়িলে
তোমরা মহান তন্ত্রপীঠ৷
রাজাধিরাজ যোগ
অভ্যাসের আদর্শ স্থান,
সংকল্প সঠিক৷
পূন্যভূমি আনন্দ নগর
বিশ্বের আলোক বর্তিকা৷
আনন্দমূর্ত্তিজীর স্পর্শে৷
শীতের জড়ত্বের অন্তে
বসন্তের চাপা চঞ্চলতা
ফাগুনের নানাবিধ গুনে
হৃদয়ের দীর্ঘ উদ্বেলতা৷
পলাশ-শিমুলে মিলে
অরণ্য রাঙানোর এত দায়!
বনবীথি সজ্জিত কৃষ্ণচূড়ায়
রঙীন বসন্ত শোভা পায়৷
পুষ্প কাননে-বনে
রঙীন পোষাকের নব সাজ,
দখিনা পবন যেন কয়
দুয়ারে এসেছে আজ ঋতুরাজ৷
শুষ্ক পাতা ঝরার শেষে
নবপত্রিকা শাখায় শাখায়
যেন হতাশার যবনিকা পরে
আশার ইঙ্গিত আলোক রেখায়৷
রঙীন ডানায় উড়ে প্রজাপতি
পুষ্পে পুষ্পে গুঞ্জরিত ভ্রমর,
জানিনা কী লগনে এই সমাবেশ
আয় বসন্ত,আয় দুরন্ত, আয় চৈতালী ঝড়
আয়রে ভীষণ, আয়রে ভয়াল, আয়রে ভয়ংকর!
আনরে কাঁপন জীর্ণ শাখায়,
আনরে মরণ শুষ্ক পাতায়,
আনরে মাতন সবুজ পাতায়---হানরে অসুন্দর!
আয় বসন্ত, আয় দুরন্ত , আয় চৈতালী ঝড়!!
আয় ভাঙনের জয়গান গেয়ে, আয় মহা তাণ্ডবে,
এক ঘেয়েমির সুর-তাল কেটে আয় হতগৌরবে৷
আয় ধবংসের ডঙ্কা বাজিয়ে,
আয় সৃষ্টির অর্ঘ্য সাজিয়ে,
নবীন আশার পুলক জাগিয়ে আয় নতুনের চর!
আয় বসন্ত, আয় দুরন্ত, আয় চৈতালী ঝড়!!