September 2021

ভালোবাসো তাই---

বিভাংশু মাইতি

তোমাকে আমি ভালোবাসি

তাই দুঃখ দাও রাশি রাশি

আমাকে তুমি ভালোবাসো

তাই শতদুঃখে সদা হাসি৷

কালোর পারে আলো থাকে

ভয় তবে কি আঁধার পথে

ঝড়-বাতাসে জলোচ্ছ্বাসে

ক্লেদমুক্ত ধরা হাসে৷

আমি, দুঃখ-শেলে বিদ্ধ বুকে

সেই চরণে মাথা রেখে

নামটি তোমার রাখব লিখে

এগিয়ে যাবো অগ্ণিপথে৷

সোজাপথ

কৌশিক খাটুয়া

দুইদিকে ধান ক্ষেত

মাঝখানে বিভাজন,

ছায়া ঘেরা সোজাপথ

নাই লোকজন৷

নাই কোন কোলাহল

শুধু নীরবতা,

নীরবতা প্রকাশিছে

তাঁহার বারতা৷

তুমি

সুকুমার রায়

যুগে যুগে তুমি এসেছো ধরাতে

দুঃসহ আঁধারের ব্যাথা সরাতে

উদ্ধারীতে জীবে সত্য সনাতন

পথহারা জনে দিয়েছো শরণ

নিরবধি বাজে হৃদয় মাঝে

পথ চেয়ে তোমার নন্দন সাজে৷

 

তোমার পথ স্মৃতি পড়ে মনে

দেয় যে দোলা সকল প্রাণে

নন্দন লোকের ছন্দে তালে

হৃদয় সবার যায় যে খুলে

যাত্রা মোদের আপন দেশে

প্রাণের টানে আনন্দে ভেসে

শিল্পীর মর্যাদা

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি বিখ্যাত ছবি---‘শেষ বোঝা’ মরুভূমির ওপর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে শুয়ে পড়েছে একটি উট৷ তার আর চলার ক্ষমতা নেই৷ অবসাদ আর গ্লাণিতে নিস্তেজ  হয়ে পড়েছে৷ পেছনে দিনাবসানের ইঙ্গিতে লালরঙে আভাসিত হয়েছে অস্তমিত জীবন৷ অর্থাৎ উটটির আয়ু ফুরিয়ে এসেছে৷ অপূর্ব ছবি৷

ছবিটি বিদেশে প্রচুর সমাদর পেলো৷ ফ্রান্সের বিখ্যাত ল্যুভার মিউজিয়াম ছবিটি কিনতে চাইলেন৷ কিন্তু ছবিটির দাম অত্যন্ত কম ধার্য হওয়ায় অবনীন্দ্রনাথ ছবিটি দিতে রাজী হলেন না৷

খবরটা শুণে একজন বিদেশী বন্ধু অবনীন্দ্রনাথকে বোঝালেন, বিশ্ববিখ্যাত মিউজিয়ামে তোমার ছবি ঠাঁই পাবে৷ একি কম গর্বের কথা৷ দিয়ে দাও ছবিখানা৷

হাসির চুটকী

 

গ্রামের বাঙলার মাষ্টারমশাই ঢাকা শহরে বেড়াতে এসেছেন৷ ষ্টেশনে নেমে রিক্সাওয়ালাকে বললেন, ‘যাবে ভাই?

রিক্সাওয়ালা ঃ যাইবেন কই?

মাষ্টারমশাই ঃ বিশ্ববিদ্যালয়ে যাব৷

রিক্সাওয়ালা ঃ পাঁচ ট্যাহা লাগবে৷

মাষ্টারমশাই ঃ ঠিক আছে তাই দেব চলো৷

মাষ্টারমশাইকে ঘণ্টাখানেক ঘোরাবার পরও রিক্সাওয়ালা আর বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজে পায় না৷ মাষ্টারমশাইও অধৈর্য হয়ে পড়লেন৷

মাষ্টারমশাই ঃ তুমি ঢাকার রিক্সাওয়ালা, বিশ্ববিদ্যালয় চেন না?

রিক্সাওয়ালা ঃ দাঁড়ান, হালায়, জিগাইয়া লই ওই দোকানদারাটায়৷

দোকানদারকে জিজ্ঞেস করে এসেই রিক্সাওয়ালা রীতিমত উত্তেজিত৷

ধরা আর সরা

দেশজ শব্দে ‘ট’ যথাযথভাবেই বজায় থাকে৷ আর ‘ড’ বা ‘ড়’ মৌলিক শব্দ হিসেবেই থেকে যায়৷ যেমন, আজ ভুলোর সঙ্গে ভোঁদার আড়ি হয়ে গেল৷ ওরা বলছে, ওরা আর একসঙ্গে মার্ৰেল খেলবে না, একটা পেয়ারাও আর কামড়াকামড়ি করে খাবে না৷ গোপনে কান পেতে শোনাকেও আড়িপাতা বলে৷ এটিও বাংলা দেশজ শব্দ৷

উলুবেড়ে লোক্যাল

অনেকে ভাবে, বিতর্ক মানে তর্কসংক্রান্ত বা তর্কযুক্ত জিনিস৷ কথাটি আংশিকভাবে সত্য৷ বিশেষ ধরনের তর্ককে ‘বিতর্ক’ বলা হয়৷ কিন্তু এটাই ‘বিতর্ক’ শব্দের শেষ কথা নয়৷ ‘বিতর্ক’ মানে অতি জল্পন (অহেতুক বকবক করা)৷ এই বকবক করার সঙ্গে যদি বদ্মেজাজ বা প্রগল্ভতা সংযুক্ত থাকে তবে তা ‘বিতর্ক’ পর্যায়ভুক্ত–‘কষায়’ পর্যায়ভুক্ত হবে না৷ নীচে কয়েকটা বিভিন্ন স্বাদের বিতর্কের দৃষ্টান্ত দিচ্ছি–

ফাস্টফুডের দোকান চালিয়েও রাজ্যস্তরের কিকবক্সিংয়ে অংশ নিলেন ধূপগুড়ির সুব্রত

ধূপগুড়ি ব্লকের গাদং-২ অঞ্চলের শালবাড়ির বাসিন্দা সুব্রত জানিয়েছেন, সংসার চালাতে তাকে ফাস্টফুডের দোকান খুলতে হয়েছে ঠিকই কিন্তু তাঁর মন সব সময় কিক বক্সিংয়ে পড়ে ছিল৷ লকডাউনের সময় সংসারে টানাটানি চললেও ছেদ পড়েনি কিকবক্সিংয়ের অনুশীলনে৷ অবশেষে এতদিন কষ্ট করার সুযোগ  তার হাতে এলো,আর সেটা হ’লো চলতি মাসে গোয়ায় রাজ্যস্তরের কিকবক্সিং প্রতিযোগিতায় জল- পাইগুড়ির একমাত্র প্রতিনিধি হিসাবে নাম উঠেছে সুব্রতর৷ সুব্রত জানিয়েছেন---২৬ ও আজ অর্থাৎ ২৭তারিখে গোয়ায় এই প্রতিযোগিতায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোট ৫৩ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করবে৷  সেইজন্য গত সোমবারই সকলে গোয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেছে৷ কিন্তু সুব্রত  ‘ওয়

মার্গীয়বিধিতে গৃহপ্রবেশ

শিলচর ঃ- গত ১১ই আগষ্ট বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী হেমচন্দ্র দাস তাঁর শিলচর আশ্রম রোডে ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে ‘‘ ৰাৰা ট্রের্ডাসের শুভ উদ্বোধন আনন্দমার্গে চর্যাচর্য বিধিমতে করেন৷

ওইদিন প্রত্যুষ্যে এক ঘন্টা অখণ্ড কীর্ত্তন মিলিত ঈশ্বর প্রণিধানের পর শঙ্খধবনি  ও ইষ্টমন্ত্র উচ্চারন করতে  করতে নবনির্মিত ভবনে সকলে প্রবেশ করেন৷ চর্যাচর্য বিধি অনুযায়ী প্রথমে পরিবারের প্রধান কর্তী ও অন্যান্য মহিলারা তারপর পুরুষ আত্মীয়স্বজন ও অন্যান্নরা গৃহে প্রবেশ করেন৷