September 2021

অচ্ছে দিনের সংসারে ১৫ দিনে গ্যাসের দাম বাড়ল ৫০ টাকা

অনেক ঢাঁক-ঢোল পিটিয়ে দেশে আচ্ছাদিনের সংকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে৷ আচ্ছা দিন এসেছে  তবে দেশে হাতে গোণা কয়েকটি পরিবারের৷ সাধারন মানুষের অবস্থা দিন দিন কাহিল হচ্ছে, সেপ্ঢেম্বরের প্রথম দিনেই গৃহস্থের হেঁসেলে দুঃসংবাদ--- গ্যাসের দাম ২৫ টাকা বেড়ে হলো ৯১১ টাকা৷ ১৫দিন আগেই ২৫ টাকা গ্যাসের দাম বেড়েছে৷ ১৫ দিনে গ্যাসের দাম বাড়লো ৫০ টাকা৷

রাজ্যে বকেয়া ভোট অক্টোবরে

পূজোর আগেই রাজ্যের দুটি কেন্দ্রের বকেয়া ভোট ও পাঁচকেন্দ্রের উপনির্বাচন  সেরে ফেলতে চায় নির্বাচন কমিশন৷ গত ১লা সেপ্ঢেম্বর যে সব রাজ্যে উপনির্বাচন হওয়ার কথা সেইসব রাজ্যের মুখ্যসচিবদের সঙ্গে রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন কমিশনের কর্তারা৷ জানা যায় নির্বাচন কর্মকর্র্তরা মুখ্যসচিবদের কাছে জানতে চান রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কোভিড পরিস্থিতি ইত্যাদি৷ তিন নির্বাচন কমিশন উপস্থিত না থাকায় চূড়ান্ত তারিখ এইদিন স্থির হয়নি৷

 

জিডিপি নয়---ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি আর্থিক উন্নয়ণের মানদণ্ড

২০২১-২২ অর্থবর্ষের এপ্রিল থেকে জুন প্রথম তিনমাসের জিডিপি (গ্রস ডমেস্টিক প্রডাক্টস) পরিসংখ্যান মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়৷ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রত্যাশা ছিল আর্থিক বৃদ্ধির হার ২০.৪ শতাংশ হবে৷  রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রত্যাশা মত না হলেও এপ্রিল জুনের আর্থিক বৃদ্ধির হার ২০.১ শতাংশ৷ গত বছর এই সময় আর্থিক সংকোচন ছিল ২৪ শতাংশের ওপর৷ তাই এবারের প্রথম ত্রৈমাসিক  বৃদ্ধির হার নিয়ে সাফল্যের  ঢোল পেটাতে শুরু করেছে মোদি সরকার৷ তবে বৃদ্ধির হার এখনও কোভিড পরিস্থিতির  পূর্বের অবস্থায় যেতে পারেনি৷ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পূর্বাভাস ২০২১-২২ অর্থবর্ষে আর্থিক হার হবে ৯.৫ শতাংশ৷ আর্থিক  বিশেষজ্ঞদের  অনুমান প্রথম তিনমাসেই যখন রিজার্

কৃষি ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তনের দাবী প্রাউটিষ্টদের

গত ৩০শে আগষ্ট কলিকাতায় প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্র্সলের কেন্দ্রীয় সংঘটন সচিব আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত এক আলোচনাচক্রে বলেন---ভারতবর্ষের মত দেশে আর্থিক বিকাশ নির্ভর করছে কৃষির ওপর৷ পাশাপাশি অন্যান্ন শিল্পে জড়িত শ্রমিকদের শ্রমদানের গুরুত্ব সমান৷ কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত কোন শাসক দলই কর্ষক ও শ্রমিকদের সার্বিক বিকাশের দিকে নজর দেয়নি৷ ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক রাষ্ট্র কাঠামোয় পুঁজিপতিদের স্বার্থের দিকে তাকিয়েই আইন প্রণোয়ন থেকে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নিতে বাধ্য হয় শাসক দল৷ দেশের গণতান্ত্রিক রীতিনীতিকে অগ্রাহ্য করে কৃষিবিল সংসদে পাশ করিয়ে আইনে পরিণত করা হয়েছে পুঁজিপতিদের স্বার্থরক্ষার কথা ভেবেই৷ এই

আবার বাঙলা ভাগের ঘৃণ্য চক্রান্ত

একর্ষি

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

গৌতম বুদ্ধ মানুষের দুঃখ নিবারণ তথা নির্বাণ লাভের উপায় হিসাবে অষ্টপন্থা বা মার্গের নির্দেশ দিয়েছিলেন--- সম্যক দৃষ্টি, সম্যক চিন্তা, সম্যক সঙ্কল্প, সম্যক প্রচেষ্টা ইত্যাদি৷ সেই রকম বাঙালীকেও যদি ওই সাম্রাজ্যবাদীদের চক্রান্তটা ধরতে হয়--- বুঝতে হয়, যোগ্য জবাব দিতে হয় তথা সার্বিক মুক্তি পেতে হয়--- তবে বাঙালীকেও বাঙালীর অষ্টমার্গ বা পন্থা কঠোরভাবে অনুসরণ করতেই হবে (নান্যঃ পন্থা বিদ্যতেহয়নায়)

যম–নিয়ম সাধনা তথা বৈবহারিক নীতিশিক্ষার গুরুত্ব

সাধনার ভিত্তিভূমি নৈতিকতা৷ প্রথমেই মনে রাখা দরকার যে এই নৈতিকতা (morality) সাধকের চরম লক্ষ্য (ultimate goal) নয়, আর এই নৈতিকতায় প্রতিষ্ঠিত হওয়া বা মর্যালিষ্ট হওয়া সাধকের জীবনে এমন কোনো একটা অবস্থা নয় যা অন্য কারুর চরম আদর্শ হতে পারে৷ সাধনামার্গে যাত্রা শুরু করবার ঠিক প্রথম ক্ষণটিতেই সাধকের যে মানসিক সামঞ্জস্যের প্রয়োজন সেটারই নাম নৈতিকতা বা মর্যালিটি৷...

কৃষি সমস্যা ও তার সমাধান প্রসঙ্গে

কৃষিভূমির সর্বাধিক ও সঙ্গত উপযোগিতা গ্রহণ, ও সকল কৃষিভূমির সুষ্ঠু পুনর্বিন্যাসের জন্যে সমবায়–প্রথাই অধিকতর কাম্য হওয়া উচিত৷

কৃষি কাজ যদি সমবায়–প্রথা অনুযায়ী সম্পন্ন করা হয় তাহলে অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কৃষি–জমিকে মিলিয়ে একটি বড় কৃষি–জমিতে পরিণত করা যাবে৷ তার ফলে সব কর্ষকেরই বিরাট সামূহিক লাভ হবে৷ এতে আলের জন্যে অযথা জমি নষ্ট হবে না, কৃষিযোগ্য ভূমির আয়তনও বাড়বে৷

প্রভাত সঙ্গীত  ঙ্গ আলোয় ফেরার আকুতি

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

আজ সমাজের সর্বস্তরে দেখা দিয়েছে চরম অবক্ষয়ের অমানিশা৷ অর্থনৈতিক স্তরে চলছে চরম শোষণ ও দুর্নীতি৷ ঈশ্বর সৃষ্ট এই জগতের সম্পদ যা ঈশ্বরের সন্তান সমস্ত মানুষের মিলেমিশে খেয়ে পরে বাঁচার জন্যে, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে জীবনের চরিতার্থতার পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্যে, কিন্তু আজ সেই সম্পদ লুঠে পুটে খাচ্ছে সমাজের এক শ্রেণীর শোষকগোষ্ঠী৷ রাজনীতি – যা নাকি দেশ–সেবার প্রকৃষ্ট নীতি, তা হয়ে উঠেছে যেন তেন প্রকারেণ ক্ষমতা করায়ত্ত করার ও ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকার কৌশল মাত্র৷ এখানে ‘নীতি’টা নিতান্তই গৌণ৷ শিক্ষার নামে চলেছে কেবলমাত্র অর্থ রোজগারের উপায় আয়ত্ত করার প্রশিক্ষণ, সেখানে নীতিশিক্ষা–ধ্যাত্মশিক্ কোনো নাম–ঠিকানা নেই৷ সং

প্রসঙ্গ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার

পত্রিকা প্রতিনিধি

অনুদান না দিয়ে স্থায়ী আয়ের ব্যবস্থা করে দেওয়াতে অর্থের উপযুক্ত ব্যবহার হয়৷ এই সহজ সত্যটা বোঝার জন্যে অর্থনীতিতে পণ্ডিত হওয়ার প্রয়োজন নেই৷ কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের হাতে নগদ অর্থ তুলে দিচ্ছেন৷ কোভিডজনিত আর্থিক পরিস্থিতিতে মানুষের হাতে ক্রয় ক্ষমতা দিতে কোনো কোনো অর্থনীতিবিদ এই ধরণের প্রস্তাবও দিয়েছেন৷ রাষ্ট্রসংঘে রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী প্রকল্প পুরস্কারও পেয়েছে৷

সরকারের আর্থিক সংস্থাগুলি বিক্রি করার পরিকল্পনা দেশের পক্ষে ক্ষতিকারক হয়ে দাঁড়াবে

নিরপেক্ষ

ভারত যুক্তরাষ্ট্রকে অত্যন্ত সংকটের মধ্য দিয়েই  চলতে হচ্ছে নানা কারণে৷ প্রধান কারণ হলো দেশের নাগরিকদের অশিক্ষা, অসচেতনতা, দরিদ্রতা৷  দেশটি বিরাট কিন্তু  একটা বয়সে তাঁরা নাগরিক অধিকার পান অর্থাৎ একটা বোট দানের অধিকার৷ আগে দলগুলো জোর করে তাঁদের ডেকে এনে বোট দান করাতো৷ বর্ত্তমানে তাঁদের মধ্যে কিছুটা সচেতনতাবোধ জেগেছে মাত্র৷ কিন্তু দলগুলির  কারচুপী ও নির্বাচন পরিচালন কর্তৃপক্ষের নৈতিক দৃঢ়তার অভাবে অনেক ক্ষেত্রে নির্বাচনে প্রকৃত জনমত প্রতিফলিত হয় না৷ কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলির কারচুপী ও যাঁরা বোটদানের ব্যবস্থা করেন তাঁদের মধ্যেও অনেক ত্রুটি থাকায় বোট দান পর্বটা বানচাল হয় আর বোট এমনভাবে পড়ে তাতে প্রক