December 2023

এন.জে.পি স্টেশনে ধৃত ১১কোটি টাকার হাতির দাঁত

অসম থেকে দিল্লীগামী রাজধানী এক্সপ্রেসে হানা দিয়ে প্রায় ৭ কেজি ৩২০ গ্রাম  ওজনের তিনটে হাতির দাঁত উদ্ধার করেছেন কেন্দ্রীয় রাজস্ব বিভাগের গোয়েন্দারা৷ গ্রেফতার হয়েছে দুজন পাচারকারী৷ গত রবিবার ধৃত পাচারকারীদের শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হয়৷ তাঁদের আগাম জামিন আবেদন খারিজ করে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক৷

মার্গীয়বিধিতে অন্নপ্রাশন ও নামকরণ

কলিকাতার সোনারপুর  নিবাসী সন্দীপন রায় ও  অনন্যা সেনগুপ্ত রায়ের প্রথম পুত্রের শুভ অন্নপ্রাশন ও নামকরণ অনুষ্ঠান গত ১০ই ডিসেম্বর নরেন্দ্রপুর আনন্দমার্গ শিশুসদনে অনুষ্ঠিত হয়৷

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রভাতসঙ্গীত ও তিনঘন্টা অখণ্ড ‘াা নাম কেবলম্‌’ সিদ্ধমন্ত্র কীর্ত্তন পরিবেশিত হয়৷ এরপর মিলিত সাধনা ও স্বাধ্যায়ের পর মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়৷

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ বৈদিক মন্ত্রপাঠের পর নবজাত শিশুর মুখে পরমান্ন তুলে দেন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত, শিশুর মামা অগ্ণিবেশ সেনগুপ্ত ও উপস্থিত আত্মীয় পরিজনেরা৷ নবজাত শিশুর নাম রাখা হয় চিরায়ুষ্মান৷

 

দূর্র্গনগরে অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ১০ই ডিসেম্বর,২৩ দুর্গানগরে শ্রী সন্তোষ কুমার বিশ্বাসের বাড়ীতে বেলা-১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অখণ্ড ‘াা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তনানুষ্ঠানে স্থানীয় ইয়ূনিটগুলির দাদা-দিদি সহ পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয় স্বজন সকলেই অংশগ্রহণ করেছেন৷  কীর্ত্তনের মাঝে কীর্ত্তন পরিক্রমাও হয়েছে৷

কীর্ত্তনশেষে কীর্ত্তনের তাৎপর্য, গুরুত্ব ও উপকারিতা নিয়ে বক্তব্য রাখেন মিশনের প্রবীন সন্ন্যাসী আচার্য বিকাশানন্দ অবধূত ও অবধূতিকা আনন্দ গতিময়া আচার্যা৷ সকলকে ধন্যবাদ জানান শ্রী সন্তোষ কুমার বিশ্বাস৷ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ডি.এস আচার্য সোম্যসুন্দরানন্দ অবধূত৷

 

উচ্ছে

পরিচিতি ও প্রজাতি ঃ উৎস  কন্  টা ঞ্চ উৎসিকা৷ যে তরকারীটি খেলে শরীরের বিভিন্ন উৎস থেকে লালা উৎসারিত হয়ে খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে তাই–ই উৎসিকা৷ উৎসিকাঞ্ছউচ্ছিআঞ্ছউচ্৷ সে জন্যে উচ্ছে প্রথম পাতে খেতে হয়৷ আদিম অবস্থায় বা বন্য অবস্থায় উচ্ছে ৰাংলার পথে–ঘাটে এখনও জন্মায়৷ এই বুনো উচ্ছেগুলি আকারে খুব ছোট, অতিমাত্রায় তিক্ত ও ঔষধীয় গুণ এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী৷ দ্বিতীয় ধরনের উচ্ছে হ’ল চাষের উচ্ছে৷ বুনো উচ্ছেকে চর্চার দ্বারা উন্নীত করে চাষের উচ্ছের সৃষ্টি হয়েছিল৷ এই উচ্ছে আকারে কিছুটা বড়৷ তিক্ততা বুনো উচ্ছের চেয়ে কিছুটা কম৷ উত্তর ভারতে এই চাষের উচ্ছেকে বলা হয় ‘করেলী’৷ এই চাষের উচ্ছেকে চর্চার দ্বারা আবার

লিপির ইতিকথা

লিপি বা অক্ষরের ক্ষেত্রেও এমানেশনের প্রভাব রয়েছে৷ আমরা আগেই বলেছি যে এক একটি ভাষা আনুমানিক এক হাজার বছর বাঁচে কিন্তু এক একটি লিপি বাঁচে আনুমানিক দু’ হাজার বছরের মত৷ যজুর্বেদের যুগের গোড়ার দিকে কোন লিপি ছিল না৷ শেষের দিকে অর্থাৎ আনুমানিক পাঁচ হাজার বছর আগে ভারতে লিপির আবিষ্কার হয়৷ অক্ষর আবিষ্কারের সময় ঋষিরা ভেবেছিলেন যে অ–উ–ম অর্থাৎ সৃষ্টি–স্থিতি–লয় নিয়ে এই জগৎ রয়েছে৷ কিন্তু ব্যক্ত জগৎটা হচ্ছে চৈতন্যের ওপর প্রকৃতির গুণপ্রভাবের ফল–ক্গনিটিব্ ফ্যাকাল্টির ঙ্মচৈতন্যসত্তারৰ ওপর বাইণ্ডিং ফ্যাকল্টির ঙ্মপরমা প্রকৃতিৰ আধিপত্যের ফল৷ অর্থাৎ এক্ষেত্রে পরমপুরুষ প্রকৃতির ৰন্ধনী শক্তির আওতায় এসে গেছেন৷ এই য

মোসাহেৰ

কথায় বলা হয়, খোসামদে পাহাড়ও গলে মাখন হয়ে যায়৷ খোসামদে দুর্বাসা মুনিও গলে যান৷ সেই খোসামদের জন্যে ‘কাণ্ড’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়৷ ‘খোসামদ’ শব্দটি এসেছে ফার্সী ‘খুসামদ’ থেকে৷ অনেকে ‘খুসামদ’–কে মার্জিত রূপ দেবার জন্যে ‘তোষামোদ’ ৰলে থাকেন৷ না, ‘তোষামোদ’ ৰলে কোনো শব্দ নেই৷ শাস্ত্রে ৰলেছে, খোসামদকারীর প্রতি মুহূর্তেই প্রতি পদবিক্ষেপেই অধোগতি হয়, কারণ সে প্রতি মুহূর্তে, প্রতি পদবিক্ষেপে কেবল স্বার্থচেতনায় অস্বাভাবিক কাজ করে থাকে৷ আগেকার দিনে রাজাদের বা অবস্থাপন্ন লোকেদের বেতনভুক খোসামদকারী থাকত৷ তাদের ৰলা হত মোসাহেৰ–যারা সৰ সময় নিজেদের কর্ত্তাকে  ‘সাহেৰ’, ‘সাহেৰ’ ৰলে তুষ্ট রাখবার চেষ্টা করে৷ আরৰী ব

কবিতায় মাইক্রোবাইটা

শ্রীসমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

ভাব ও জড়ের মধ্যে এক অতি সূক্ষ্ম সত্তা       আছে বিদ্যমান৷

এই সত্তারই প্রভাতরঞ্জন প্রথম

                দিলেন সন্ধান৷৷

বিজ্ঞানীরা হতাশ হ’য়ে যুগ যুগান্ত ধরে

                করছে প্রাণের সন্ধান৷

অবশেষে জানা গেল ‘মাইক্রোবাইটাম্‌ই

                সঞ্চারিছে জড়ের বুকে প্রাণ৷৷

মানব দেহের গোপন ঘাঁটি দুই চক্রে

                মূলাধার আর স্বাধিষ্ঠান৷

নেগেটিভ মাইক্রোবাইটামরা দুই চক্রে

                অধিক করে অবস্থান৷

পাকস্থলী, কিডনী, লিভার কোটীতে সৃজন

                করে নানা রোগ এরাই৷

সান্ত্বনা

আচার্য গুরুদত্তানন্দ অবধূত

তুমি আসবে বলে ছিলুম দাঁড়িয়ে

কিন্তু তখন এলে না,

বলতে পারো কিসের তরে

এসব তব ছলনা?

দ্রুতগ রথে এলে যবে তুমি

পথ প’রে থামলে না,

মালা হাতে  ছিলুম সেথা---

তা-ও তুমি নিলে না৷

মনের ব্যথা বুঝলে যখন

সামনে এসে দাঁড়ালে,

কথা কিছু কইলে না,

মুচকি হেসে রইলে চেয়ে

কিসের এত ছলনা?

বাঁধন হারা চিত্ত মম

এসব কিছু বোঝে না,

আপন হাতেই নিলে তুলি মালা

এই শুধু মোর সান্ত্বনা!

 

কিশোর বিপ্লবী

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

সেটা ১৯০৬ সাল৷  সারা দেশ ব্রিটিশের অত্যাচারে অতিষ্ট৷ মুক্তি পাগল দেশবাসীর মনে  স্বাধীনতার স্পৃহা জাগাবার জন্য সশস্ত্র উষ্ণ রক্ত বিপ্লবীর দল সবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে৷ ফেব্রুয়ারি মাস মেদিনীপুর শহরের একটি পুরোনো জেলখানার প্রাঙ্গনে কৃষি শিল্পের প্রদর্শনী শুরু হয়েছে৷ নানান লোকের আনাগোনা চলছে৷  দর্শকের সংখ্যা নিতান্ত কম নয়৷ একটি বালক রোজই আসে৷ মেলা দেখে চলে যায়৷

মেলা আরম্ভ হবার ৮ দিন পর  শুরু হলো পুরস্কার বিতরণী সভা৷ জেলায় যত হোমড়া-চোমড়া এবং বড় সরকারী কর্মচারী যোগ দিলেন সেই সভায়৷ চারদিকে হৈচৈ পড়ে গেল৷ অতিথিদের আপ্যায়ণে সভার উদ্যোক্তারা ব্যস্ত ৷

কায়া ও কাশ

যে শব্দ বা সংরচনা বৈয়াকরণিক বিচারে ভুল কিন্তু সেই ভুল দীর্ঘকাল ধর সাহিত্যে চলে আসছে তাকে স্বীকার করে নেওয়া ছাড়া গত্যন্তর থাকে না৷ এই স্বীকৃতি দেওয়া হয় কোথাও শব্দ বা সংরচনার লালিত্যের খাতিরে, আবার কোথাও বা উপরোধে ঢেঁকি গেলার মত অবস্থায় পড়ে৷ সংস্কূতে  ‘অনাথিনী’ ‘প্রোষিত ভর্ত্তৃকা’ ‘বিপ্রলব্ধা’ প্রভৃতি শব্দগুলি এই ধরণেরই৷