May 2024

আমতায় জলসত্র

আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের হাওড়া জেলা শাখার পক্ষ থেকে প্রত্যেক বছরের মত এবারেও ১লা বৈশাখ আমতা বাসস্ট্যাণ্ডে জলসত্রের আয়োজন করা হয়৷ সকাল ১০টা থেকে অপরাহ্ণ পর্যন্ত সহস্রাধিক মানুষকে ঠাণ্ডা জলের সঙ্গে বাতাসা ও ভিজে ছোলা প্রভৃতি দেওয়া হয়৷ তাপ-ক্লান্ত মানুষ খুব-তৃপ্তির সঙ্গে জল-ছোলা-বাতাসা খায়৷

২৪ঘন্টা ব্যাপী বাবা নাম কেবলম কীর্ত্তন ও তত্ত্বসভা

মেদিনীপুর ডায়োসিসের মাসিক কর্মসূচী অনুযায়ী ৪ঠা ও ৫ই এপ্রিল,২০২৪ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনারোডের নিকটবর্তী বোরোজাম গ্রামে স্থানীয় আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের ইউনিটের পরিচালনায় ২৪ঘন্টা ব্যাপী ৰাৰা নাম কেবলম কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হল৷ কীর্ত্তন অনুষ্ঠানে গ্রামবাসীদের সহযোগিতা ও উপস্থিতি বিশেষভাবে লক্ষণীয় ছিল৷ স্থানীয় মানুষজন ছাড়াও বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকেই এই কীর্ত্তন অনুষ্ঠানে যোগদান করেন৷ ৫ই এপ্রিল দুপুরে মিলিত আহারে গ্রামবাসীগণ সহ উপস্থিত সকলেই অংশ নেন৷ কীর্ত্তন অনুষ্ঠান শেষে মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান ও স্বাধ্যায় করা হয়৷ কীর্ত্তন ও আনন্দ মার্গ আদর্শ প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখেন আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূ

মেদিনীপুরে অখণ্ড কীর্ত্তন

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের ঝেঁতলার বড়গোপীনাথপুর গ্রামের সুকেশ পলমল ও রবীন্দ্র পলমলের গৃহে ১১ই এপ্রিল তিন ঘণ্টা ব্যাপী ’ বাবা নাম কেবলম’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হল৷ সকাল ৯টায় প্রভাত সঙ্গীত গাওয়ার পর শুরু হয় কীর্ত্তন ৷ কীর্ত্তন শেষে ঈশ্বর প্রণিধান ও স্বাধ্যায় পাঠ করা হয়৷ ‘পরমপুরুষ আমার’ প্রবচনটি পাঠ করেন শ্রী রঞ্জিত কুমার ঘোষ মহাশয়৷ এরপরে কীর্ত্তন প্রসঙ্গে ও আনন্দ মার্গ আদর্শ সম্বন্ধে সুন্দরভাবে বক্তব্য রাখেন আচার্য শিবপ্রেমানন্দ অবধূত৷ প্রায় ঘন্টা খানেক বক্তব্যে উপস্থিত সকলেই মোহিত হয়ে যান৷ ইতিমধ্যে একটি নেবু গাছের চারা তাদের গৃহপ্রাঙ্গনে রোপণ করা হয়৷ সবশেষে চার শতাধিক গ্রামবাসী সহ আনন্দ

পাঁশকুড়ায় সেমিনার

গত ৭ই এপ্রিল রবিবার সুরানানকার আনন্দমার্গ স্কুলে তিন ঘন্টার অখণ্ড কীর্ত্তন ও পাঁশকুড়া পুরসভার ব্লক পর্যায়ের সেমিনার অনুষ্ঠিত হল৷ উক্ত অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও স্থানীয় মার্গীরা সবাই উপস্থিত হয়েছিলেন৷ অবধূতিকা আনন্দ নবীনা আচার্যা সেমিনারে মানবজীবনের লক্ষ্য ও আদর্শ মানুষের জীবনচর্যা কেমন হওয়া উচিত সে সম্পর্কে সুন্দর বক্তব্য রাখেন৷ প্রায় দুই শতাধিক ব্যষ্টি মিলিত আহারে অংশগ্রহণ করেন৷

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন

গত ১৪ই এপ্রিল রবিবার কোলাঘাট ব্লকের অন্তর্গত কাঁউরচণ্ডী আনন্দমার্গ স্কুলে মহাসমারোহে বিদ্যালয়ের ২৯তম প্রতিষ্ঠাদিবস পালন করা হল৷ সকালে প্রভাতসঙ্গীত, নগর কীর্ত্তন ও মিলিত সাধনার পর জলযোগপর্ব৷ তারপর ছাত্র-ছাত্রাদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান৷ অভিভাবক-অভিভাবিকা ও স্থানীয় মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত৷কোলাঘাট ইউনিটের মার্গীদের আন্তরিক অনুরোধে পূর্বমেদিনীপুরের ভূক্তিকমিটির মিটিংTeacher-in-charge মিটিং উক্ত স্কুলেই অনুষ্ঠিত হয়৷ আচার্য কৃষ্ণনাথানন্দ অবধূত, আচার্য চিতিবোধানন্দ অবধূত ও ভূক্তিপ্রধান শ্রীসুভাষপ্রকাশ পাল প্রমুখ ব্যষ্টিরা সারাক্ষণ উপস্থিত থেকে সবাইকে উৎসাহ প্রদান করেন৷ সবশেষে মিলিত আহা

দধি ও ঘোলপান

যে ক্রমি (ব্যাকটিরিয়া) দুধকে দইয়ে রূপান্তরিত করে দধ্যম্লের (দম্বল বা জোড়ন) সাহায্যে সে ক্রমি স্বাভাবিক অবস্থায় মানুষের শত্রু নয়৷ তবে (দইয়ে) সেই ক্রমির মৃতদেহের প্রাচুর্য ঘটলে তখন তা মানুষের পক্ষে শত্রু হলেও হতে পারে৷ পচা দইয়ে সাধারণতঃ এই ধরনের ব্যাপার ঘটে৷ তাই দইয়ে দুর্গন্ধ দেখা দিলে তা কিছুতেই ভক্ষণ করা উচিত নয়৷ দই তাজা অবস্থায় থাকলে এই ধরণের ক্রমির মৃতদেহ কম থাকে৷ দধিতে (তো মিষ্ট দধিই হোক আর অম্ল দধিই হোক) লবণ সংযোগ করলে মৃত ক্রমির বিরুদ্ধাচারণ কিছুটা প্রতিহত হয়৷ তাই ‘‘দধি লবণেন সহ ভক্ষয়েৎ৷’’

যোগ ও স্বাস্থ্য

 যোগাচার্য্য

স্বাস্থ্য বলতে সাধারণতঃ মানুষের ধারণা শরীরটা সুস্থ থাকা৷ না, শুধু শরীর সুস্থ থাকলেই তাকে স্বাস্থ্য বলা হয় না৷ ধরা যাক, একজন শারীরিক ভাবে সুস্থ কিন্তু প্রচণ্ড ধরণের মানসিক বিষাদে ভুগছে৷ তাকে কী করে সুস্থ বলতে পারি! কিছুদিন পর মানসিক বিষাদ থেকে তার পরিপাক ক্রিয়ায় ত্রুটি দেখা দেবে, ও তারপর নানান দৈহিক রোগেরও শিকার হবে৷ তাই ট্টবলছি, কেবল শারীরিক সুস্থতাকে স্বাস্থ্য বলে না৷

ভাবজড়তার বিরুদ্ধে সংগ্রাম

সমাজে এমন কিছু সুবিধাবাদী লোক থাকে যাদের স্বভাবই হ’ল মানুষকে শোষণ করা কিন্তু প্রকাশ্যে তারা সে কথা বলে না৷ বরং তারা মানুষকে কু–যুক্তি দেখিয়ে বলে–প্রকৃতি বা পরমাত্মার বিধানই এই যে সমাজের কিছু মানুষ চির অবহেলিত থাকুক৷ তারা জীবনভর শুধু অমানসিক পরিশ্রম করে যাক, আর সীমিত সংখ্যক লোক প্রাচুর্যের স্রোতে গা ভাসিয়ে সুখে শান্তিতে বাস করুক৷ এটাও ভাবজড়তা ড্ডপ্সন্ধপ্প্ত্রগ্গ৷ যাঁরা বুদ্ধিমান, যাঁরা ধার্মিক তাঁরা অবশ্যই এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করবেন তথা আপোষহীন সংগ্রাম চালিয়ে যাবেন, কারণ মানুষের স্বাধীন বুদ্ধিকে যা কিছু অবরুদ্ধ করে তা’ মানুষের বুদ্ধির মুক্তিকেও সুদূরপরাহত করে৷

জাগাও মানবতা

কৌশিক খাটুয়া

তিরিশে এপ্রিল আসে--------

ভারাক্রান্ত মনে স্মরণ বেলায় অশ্রুতে আঁখি ভাসে৷

অসহায় প্রাণ জর্জরিত হল

নির্মম আঘাতে,

মর্ত্যভূমির বীর পুঙ্গবেরা ছিল নাতো রাজপথে!

পরমাত্মা ও মহাত্মার মাঝে পাপাত্মা করে খেলা,

অহংকারের মিথ্যা দম্ভে অপকর্ম সারা বেলা৷

জড়বাদী মন থাকে সর্বক্ষণ

পাপাচারে আবদ্ধ,

কোনো বিরোধিতা মানিতে নারাজ

শুনিলেই হয় ক্ষুব্ধ!

পরের স্বার্থে দধীচির দান

দেবাত্মারই ধর্ম,

ধরনীতে তাঁরা আসা যাওয়া করেন

সারিতে আপন কর্ম৷

প্রাতঃস্মরণীয় চির বরনীয়

মহারণে জয়ী বীর,

মধুময় প্রীতি

সুকুমার রায়

রাতের কালোয় খুঁজি আলো

আর সহে না, প্রদীপ জ্বালো

মন মানে না চলব দুলে,

অনিত্য ধরার, দোয়ার খুলে

নবিন আশায়, নবিন দেশে

নন্দনলোকের ছন্দে মিশে৷

তুমি হে, প্রিয়তম মোর এসেছ ধরায়

প্রীতিতে বেঁধেছ সবারে স্নেহচ্ছায়,

জানিনা কত আনন্দ ওগো, তোমার তরে

দাও সে নয়ন জোরে দেখি প্রাণভরে,

সুখে-দুঃখে তুমি সবার চিরসাথী

যুগে যুগে এসেছ নিয়ে মধুময় প্রীতি৷