July 2024

অলিম্পিক্সের আগে জিমন্যাস্টিক্সে ইতিহাস গড়লেন দীপা কর্মকার

অলিম্পিক্সের দলে সুযোগ পাননি দীপা কর্মকার৷ কিন্তু অলিম্পিক্সের আগে জিমন্যাস্টিক্সে ইতিহাস গড়লেন তিনি৷ প্রথম ভারতীয় হিসাবে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতেছেন তিনি৷

রবিবার তাসখন্তে জিমন্যাস্টিক্সের ভল্ট ফাইনালে সোনা জিতেছেন ৩০ বছরের দীপা৷ ফাইনালে দীপার গড় ১৩.৫৬৬৷ উত্তর কোরিয়ার দুই প্রতিযোগীকে হারিয়ে এই কীর্তি করেছেন তিনি৷ দ্বিতীয় স্থানে শেষ করে রুপো জিতেছেন কিম সন হ্যাং৷ তাঁর গড় ১৩.৪৬৬৷ ব্রোঞ্জ জিতেছেন জো কিয়ং বিয়ল৷ তাঁর গড় ১২.৯৬৬৷ ফাইনালে টান টান লড়াইয়ের পরে শেষ হাসি হাসেন দীপা৷

আনন্দনগরে আনন্দপূর্ণিমা ধর্ম মহাসম্মেলন সমাপ্ত

৩১মে, ১ ও ২ জুন ২০২৪ আনন্দনগরে আনন্দপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে আন্তর্জাতিক আনন্দমার্গ ধর্ম মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ বিভিন্ন দেশ-বিদেশের ভক্তমণ্ডলীর সমাগমে ও উচ্চ আধ্যাত্মিক তরঙ্গের পরিমণ্ডলে ৩০ মে ২০২৪ বিকেল ৩টায় ৭২ ঘণ্টা অখণ্ড ‘বাবা নাম কেবলম’ নাম সংকীর্ত্তনের মাধ্যমে সম্মেলনের শুভারম্ভ হয়৷ প্রত্যহ প্রভাতী কীর্তনের মাধ্যমে প্রভাতফেরী ও ভোর পাঁচটায় সামূহিক পাঞ্চজন্যের আধ্যাত্মিক উন্মেষনায়, উন্মীলনে অনুষ্ঠানের সমারম্ভ হতো৷ এ তদ্ব্যতীত সকাল-সন্ধ্যায় মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, প্রভাত সঙ্গীত ও তার মর্মার্থ ব্যাখ্যা, দুবেলা তাণ্ডব-কৌষিকী নৃত্য পরিবেশন অনুষ্ঠিত হতো৷ এক সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পশ্চিম রাঢ়ে

বাঙলা তৃণমূলেরই---দেশে একক গরিষ্ঠতা পেল না বিজেপি

আবারও এক্সিট পোলকে মিথ্যে প্রমাণ করে বাঙলায় আধিপত্য বজায় রাখলো তৃণমূল৷ এ যেন ২০২১-এর পুনরাবৃত্তি৷ গোটা দেশে বিজেপি ধাক্কা খেয়েছে৷ অব কি বার ৪০০ পার দুরস্ত্‌ একক গরিষ্ঠতাও পেলোনা বিজেপি৷ ২৪০সেই থেমে গেল বিজেপির রথ৷ ৩০০ পার হল না এন.ডি.এ জোট৷ গোটা দেশে ৬০টিরও বেশী আসন হারিয়েছে বিজেপি৷ উত্তর প্রদেশেও অখিলেশ যাদবের কাছে পরাজিত যোগী৷ প্রায় দ্বিগুন আসন বাড়িয়ে কংগ্রেস সংসদে ফিরে আসছে৷ মোদির পক্ষে রাহুল গান্ধীকে উপেক্ষা করা আর সহজ হবে না৷

জনাদেশ মেনে মোদির সরে যাওয়াই ভালো

অষ্টাদশ সাধারণ নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর স্পষ্ট হল জনগণের রায়৷ কেন্দ্রীয় শাসকদলের ইসবার চারশপার অসার গর্জনে পরিণত হল৷ প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী প্রভাত খাঁ বলেন, সংখ্যার বিচারে এন.ডি.এ শাসন ক্ষমতায় ফিরলেও জনগণের রায়ে স্পষ্ট-দেশবাসীর বৃহত্তম অংশ মোদির প্রতি অনাস্থা জানিয়েছে৷ এবার নির্বাচনে দল হিসেবে বিজেপি নয়, মোদি সরকারের প্রচার হয়েছে৷ তাই দলের এই পরাজয়ের দায় মোদিকেই নিতে হবে৷ তাই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে মর্যাদা দিয়ে মোদির সরে যাওয়া উচিত৷

মেদিনীপুরে পিক্যাপ PCAP) এর বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন

প্রিভেনশন অফ ক্রুয়েলটি টু এ্যানিম্যালস এণ্ড প্ল্যান্টস পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাখার উদ্যোগে ও তরুণ সংঘ ব্যায়ামাগার, মেদিনীপুর এর সহযোগিতায় গত ৫ই জুন, বুধবার বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন করা হয় মেদিনীপুর শহরের কেরানীটোলায়৷ বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবে জীবজগত যে সমস্যার সম্মুখীন বর্তমানে তার থেকে কীভাবে তারা মুক্তি পেতে পারে এই বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে এই প্রচারমূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷ মহান দার্শনিক শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকারের লেখা নব্যমানবতাবাদের উপর আধারিত প্রভাত সঙ্গীত ‘মানুষ যেন মানুষের তরে সবকিছু করে যায়’ সমবেতভাবে পরিবেশন করেন ধৃতি পাল, মণিকা দে, মমতা পাল, কল্পনা গিরি, ইলা রানী পাত্র প্রমুখ সদস্

ভৌতিক সম্পদের যথার্থ উপযোগ ও সঞ্চয় প্রসঙ্গে

প্রাউটিষ্ট ফোরাম

সম্পদ তিন ধরণের– ভৌতিক সম্পদ, মানস সম্পদ ও আধ্যাত্মিক সম্পদ৷ ভৌতিক সম্পদ বলতে বোঝায় যা পঞ্চভূত দিয়ে তৈরী৷ যেমন ধন দৌলত, জমিজমা প্রভৃতি–যে সম্পদ চোখে দেখা যায় বা আমাদের ইন্দ্রিয়ানুভুতির মধ্যে আসে৷

প্রকৃতপক্ষে পরম ব্রহ্ম মানুষের সমস্ত ধরণের অভাব পূরণের জন্যে নানান ধরণের সম্পদ সাজিয়ে রেখেছেন কিন্তু আমরা এই সমস্ত সম্পদের যথার্থ উপযোগ গ্রহণ করতে জানি না বা করি না৷ মানুষের সমস্ত অভাবের মূল কারণ এইটাই, সমস্ত সমস্যার মূল কারণ এইটাই৷

তাই কীভাবে সমস্ত সম্পদের যথার্থ উপযোগ গ্রহণ করতে হবে–প্রাউট–প্রবক্তা তাঁর নবোদ্ভাবিত তত্ত্বে সেই নীতিটাই তুলে ধরেছেন৷

যক্ষের প্রশ্ণ

মহাভারত একটা ইতিহাস৷ ইতিবৃত্তের যে অংশ শিক্ষাপ্রদ, যার দ্বারা ধর্ম–র্থ–কাম–মোক্ষ্ প্রাপ্তি হয় আর যার মধ্যে নীতিবাক্য থাকে, সেটাই ইতিহাস৷

মহাভারতে আছে যে যুধিষ্ঠিরকে যক্ষ চারটি প্রশ্ণ করেছিল৷ যুধিষ্ঠির মানে যুদ্ধে ভিতরে তথা বাইরে চলতে থাকা সংঘর্ষের মধ্যে যে স্থির থাকে–যুধি স্থির ইত্যর্থে যুধিষ্ঠির৷

প্রশ্ণগুলি ছিল–‘কস্য মোদতে’, সুখী কে ‘কা বার্তা’ সবচেয়ে বড় কথা কী ‘কীম্ আশ্চর্যম্’, সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বস্তু কী ‘ক পন্থা’ সবচেয়ে সত্য পথ কী প্রথম প্রশ্ণের উত্তরে যুধিষ্ঠির বললেন–

          ‘‘দিবস্যাষ্টমে ভাগে শাকং পচতি যো গৃহে৷

পুঁজিবাদ ও সাম্যবাদ (কম্যুনিজম)–– এদের মূলগত ত্রুটি

সাম্যবাদ ও পুঁজিবাদ মূলতঃ জড়বাদী দর্শন৷ উভয়েই জাগতিক আসক্তির মানসিকতাকে বাড়িয়ে দেয়৷ যার ফলে মানুষ অন্ধভাবে অর্থ, নাম, যশ, ক্ষমতা, প্রতিষ্ঠা ও প্রভাব–প্রতিপত্তির জন্যে ক্ষ্যাপা কুকুরের মত ছুটে চলে৷

প্রজাতন্ত্রের প্রতিশ্রুতি

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

১৯৪৭ সালের ১৫ আগষ্ট ভারতবর্ষ স্বাধীনতা লাভ করার পর অষ্টাদশ লোকসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল৷ এবার নির্বাচনে শাসকদলের স্লোগান ছিল মোদি গ্যারান্টি৷ স্বাধীনতার পর থেকেই দেশের জনগণ রাষ্ট্র নেতাদের কাছ থেকে শুধুই প্রতিশ্রুতি বহর শুণে আসছে৷ কিন্ত গত ৭৭ বছর ধরে জনগণ কতটুকু কি পেল, সে হিসাবে না গিয়ে গণতন্ত্রের স্বরূপটা একটু দেখা যাক৷

প্রধানমন্ত্রীর একনায়কতান্ত্রিক মানসিকতা দেশবাসী বর্জন করল

প্রবীর সরকার

২০১৯-এর বিপুল জয়ে দিশেহারা হয়ে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী ও তার দল৷ তাই গণতন্ত্রের রীতিনীতি ভুলে গত পাঁচবছরে বিরোধী দলকে কোনরকম পাত্তাই দেয়নি৷ একের পর এক জনস্বার্থ বিরোধী আইন সংসদে পাশ করে নিয়েছে বিরোধীদের সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে৷ কিন্তু একটা সরকারের আয়ু যে পাঁচবছর বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী সেটা ভুলে গিয়েছিলেন৷ তাই এই নির্বাচনে জনগণ তাঁকে মনে করিয়ে দিলেন, গণতন্ত্রে একের আস্ফালন একের স্পর্ধার কোন স্থান নেই৷