December 2024

আমরা পৃথিবীর---পৃথিবী আমাদের দেশ-

‘‘আমরা পৃথিবীর---পৃথিবী আমাদের দেশ---আরো ভালভাবে বলতে গেলে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডই আমাদের দেশ৷ এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের এক কোণে পৃথিবী নামে যে ছোট গ্রহটা আছে, সেই পৃথিবীর এক কোণে ৰাঙালী নামে যে জনগোষ্ঠী আছে সেই জনগোষ্ঠীও অতীতের অন্ধকার থেকে এগোতে এগোতে তার অন্ধকারের নিশা শেষ হয়ে গেছে, তার জীবনে নোতুন সূর্যোদয় এসেছে৷ এবার তাকে এগিয়ে চলতে হবে৷....

একান্ত ব্যষ্টিগত সত্তা

তোমরা জান, যে ললিত-মার্মিক নৃত্যের সাহায্যে কীর্ত্তন করা হয় তা হ’ল বিশুদ্ধ আধ্যাত্মিক ভাবের নৃত্য, আর কৌশিকী হ’ল মানসাধ্যাত্মিক নৃত্য যার সূত্রপাত হয় মানসিক স্তরে ও শেষ পরিণতি আধ্যাত্মিক স্তরে৷ তাণ্ডব শারীরিক-মানসিক আধ্যাত্মিক নৃত্য৷

ললিত-মার্মিকে হাত দু’টিকে ৯০০-র বেশী কোণ তৈরী করে ওপরে রাখতে হয়৷ এতে বোঝা যায় যে এটি একটি মুদ্রা, যা সংস্কৃত শব্দ৷ এই মুদ্রার তাৎপর্য হচ্ছে ‘‘হে সৃষ্টিকর্তা, তুমি আমার৷ আমি তোমার, আমি একান্তভাবে তোমার৷’’

আস্তিত্বিক প্রাণিনতার উৎস

আমাদের আস্তিত্বিক সম্ভাবনার সবটাই অণুচৈতন্য থেকে উৎসারিত৷ ভৌতিক স্তরে তা’ জ্ঞানেন্দ্রিয় ও কর্মেন্দ্রিয়ের মাধ্যমে কাজ করে৷ মানসিক স্তরে তা’ চিত্তবৃত্তির মাধ্যমে কাজ করে আর আধ্যত্মিক স্তরে তা মানসাধ্যাত্মিক পদ্ধতির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে এগিয়ে চলে৷ এ সমস্ত কিছু মিলেই তৈরী করছে জীবের আস্তিত্বিক প্রাণিনতা৷

এখন প্রশ্ণ হচ্ছে, এই যে আস্তিত্বিক প্রাণিনতা এর উৎসটা কী এটা কী ভাবপ্রবণতা(sentiment), যুক্তি(logic), লক্ষ্য(desideratum), অথবা কর্মৈষণা (actional faculty)?

তুলসী ঃ শ্বাসযন্ত্র সংক্রান্ত ও অন্যান্য রোগ নিরাময়ে এর উপকারিতা

বিশ্বে এক শতাধিক প্রজাতির তুলসী বা চ্ত্রব্দন্প্ত বর্গীয় গাছ রয়েছে৷ সমগ্র তুলসী বর্গীয় গাছের একটা নিজস্ব বর্ণ–গন্ধ আছে৷ যদিও সকল রকম স্বভাবের তুলসীর ৰীজ অনেকটা এক ধরনের ও তুলসী বর্গের মূল গন্ধ সবাইতে আছে, তবুও সবাইকারই স্বকীয় বৈশিষ্ট্য হিসেবে নিজস্ব গন্ধও আছে৷ যে কয়েক প্রজাতির তুলসী ৰাংলার একেবারে স্থানীয় অর্থাৎ ব্যাঞ্জালাইটিস বর্গীয়, তাদের মধ্যে রাধাতুলসী ও বাবুইতুলসী অন্যতম৷ কৃষ্ণতুলসী এসেছে উত্তর ভারত থেকে৷ যে তুলসীর পাতা সবুজ ও একটু বড় আকারের কিন্তু গাছও খুব ৰড় হয় না, তাকে রাধাতুলসী বলে৷ রাধাতুলসী মুখ্যতঃ দু’টি প্রজাতির হয়, তাদের গন্ধেরও তারতম্য আছে৷ পাতার আকার প্রকারেও অল্পসল্প ভেদ আছে৷

ওল

ওল একটি কন্দবিশেষ৷ ইংরেজীতেElephant roots লাতিন(Arum) শব্দটিও কতকটা এই অর্থে ব্যবহৃত হত৷ পূর্বভারতে ‘ওল’ শব্দটি সমধিক প্রচলিত৷ ভোজপুরীতে, মধ্যপ্রদেশে ও মহারাষ্ট্রে ‘ওল’ অর্থে ‘শূরণ’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়৷ হিন্দীতে ‘ওল’-কে ৰলে ‘জমীঁকন্দ’৷ শব্দটি সম্ভবতঃ ‘জমীকন্দ’ থেকে এসেছে৷ চাষের ও আরণ্যক ভেদে ওল নানান ধরণের হলেও ও নানান আকার-আকৃতির হলেও সুপরিচিত ওল মোটামুটি বিচারে দু’ধরণের--- শাদা ও লাল৷ চর্চার মাধ্যমে তৈরী করা ওলে গলা ধরে না ও তা সুখাদ্য৷ ৰাঙলার জলপাইগুড়ি, কোচবিহার অঞ্চলের ওল খুবই ৰড় আকারের হয়৷ চর্চার দ্বারা উন্নীত ওলের চাষ বেশী হয় হাওড়া ও মেদিনীপুর জেলায়৷ হাওড়া জেলার সাঁতরাগাছীর ও মেদিনীপুর

ওষ্ঠ

উষ্‌ থকন্‌ (থক্‌) প্রত্যয় করে ‘ওষ্ঠ’ শব্দ নিষ্পন্ন হচ্ছে৷ স্বাভাবিক নিয়মে ৰানানটি হওয়া উচিত ছিল ‘ওস্‌থ’ কিন্তু ‘ষ’ মূর্ছ্য বর্ণ ও ‘থ’ দন্ত্য বর্ণ৷ তাই এতদুভয়ের সংযুক্তি হতে পারে না৷ এজন্যে ‘থ’-এর পরিবর্তে ‘ট’ বর্গের সংশ্লিষ্ট বর্ণ ‘ঠ’ ব্যবহৃত হয়ে শব্দটি হয়ে দাঁড়ায় ‘ওষ্ঠ’৷ ‘‘উষ ধাতুর অর্থ গরম করা৷ সঞ্চালনের দ্বারা যা উষ্ণতা সৃষ্টি করে তা-ই ‘ওষ্ঠ’৷ ওপরের ঠোটকে ৰলা হয় ‘ওষ্ঠ’ আর নীচেকার ঠোটকে ৰলা হয় ‘অধর’৷ এই ‘ওষ্ঠ’ শব্দ থেকেই হিন্দী ‘ওঠ’ শব্দটি এসেছে আর এসেছে ৰাংলা ‘ঠোট’ শব্দটি৷ উর্দু ‘হোঁট’ শব্দটিও এই ‘ওষ্ঠ’ শব্দ থেকেই এসেছে৷                      (শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের লঘুনিরক্ত থেকে সংগৃহী

কাঁচা বেঁশো হ্যাংলামি

‘ক্রুড্’ ধাতুর একটি অর্থ ‘হ্যাংলামি করা’ বা ‘ন্যালা খ্যাপামি করা’ –কাঁচা বাঁশের মত হ্যাংলামি বা ন্যালা খ্যাপামি যা শুণলেই বোঝা যায়, দেখলেই ধরা যায় অথবা এমনও কেউ কেউ থাকে যারা ধরা পড়বার জন্যেই এই রকম হ্যাংলামি বা ন্যালাখ্যাপামি করে থাকে৷ যেমন নেম্তন্ন বাড়ীতে তোমার আরও কয়েকটা রসগোল্লা খাবার ইচ্ছে হল৷ তুমি পাশের ভদ্রলোকটির পাত দেখিয়ে বললে......ও দাদা, এদিকে, এদিকে, এঁর পাতে কয়েকটা রসগোল্লা দিন৷

যুদ্ধায় কৃত নিশ্চয়

জগতে যেসব বস্তুকে আমরা নিত্য বলে মানি তাদের নিত্যতাপ্রদানকারীও পরমপুরুষ৷ বস্তু হ’ল প্রতিফলিত সত্তা–রিফ্লেক্টেড এণ্টিটি৷ চেতন বস্তুর মনঃশক্তিও তাঁর থেকেই এসেছে৷ তিনি সকলের প্রয়োজনের পূর্তি ঘটান–পিঁপড়ে থেকে হাতী পর্যন্ত, ছোট ছোট জীব থেকে সমুদ্রের বড় বড় জানোয়ার পর্যন্ত সকলের৷ এতই উদার তিনি৷ সেইজন্যেই তিনি জগতের কর্তা, অধিকর্তা, প্রভু৷ এই রকম উদারতা লাভ করতে পারলে তুমিও তিনি হয়ে যাবে৷

সমাজের কল্যাণে সকল শ্রেণীর মানুষের উপযোগ গ্রহণ

সমাজের উন্নতি বা প্রগতি ব্যষ্টি–বিশেষের একক প্রচেষ্টায় হয় না, বা হতে পারে না৷ কেউ দেয় মস্তিষ্ক, কেউ দেয় হাত, কেউ পা৷ তাই সুবিচার করতে গেলে পা–কে হীন আর মাথাই সর্বস্ব অথবা মাথাটার কোন দাম নেই–বুদ্ধিজীবী মাত্রেই শোষক, আর যারা গায়ে গতরে খেটে চলেছে তারাই সবকিছু–এই দুই প্রকার চিন্তাধারাই সমান বিপজ্জনক৷ আসল কথাটা হচ্ছে কে নিজের সামর্থ্য কতখানি কাজে লাগিয়েছে সেইটাই বিচার করে’ দেখা৷ সমুদ্র বাঁধতে গিয়ে হনুমানের পর্বত বয়ে আনা, আর কাঠবেড়ালীর নুড়ি বয়ে আনা তত্ত্বগত বিচারে তুল্যমূল্য৷ কারও আন্তরিকতাতেই আমরা সন্দেহ রাখতে পারি না, অবজ্ঞাও করতে পারি না৷ নিজের সম্পদ যে যথাযথভাবে খাটায়নি সে যদি, যে নিজের সম্প

বধিরতার নিরাময়

লক্ষণ ঃ এই রোগে আক্রান্ত হবার প্রথমের দিকে রোগী কাণে ভোঁ–ভোঁ শব্দ শোণে ও ক্রমশঃ অনান্য সমস্ত শব্দই রোগীর কাছে অস্পষ্ট হয়ে যেতে থাকে৷

কারণ ঃ জন্মগত কারণ ব্যতিরেকে বধিরতা নিজে কোন রোগ নয়–অন্য রোগের প্রতিক্রিয়া মাত্র৷ তাই এ রোগের অজস্র কারণ থাকতে পারে৷

১) অতিরিক্ত কুইনাইন বা অন্য কোন বিষ ঔষধ রূপে দীর্ঘকাল ব্যবহার করলে শ্রবণশক্তি হ্রাসপ্রাপ্ত হয় বা স্তম্ভিত হয়ে যায়৷

২) পুষ্টিকর খাদ্যের অভাবে পৌঢ়ত্বে বা বার্দ্ধক্যে অনেক লোকের শ্রবণযন্ত্রের স্নায়ুপুঞ্জ দুর্বল হয়ে পড়ে ও তার ফলে বধিরতা দেখা দেয়৷