লক্ষণ ঃ এই রোগে আক্রান্ত হবার প্রথমের দিকে রোগী কাণে ভোঁ–ভোঁ শব্দ শোণে ও ক্রমশঃ অনান্য সমস্ত শব্দই রোগীর কাছে অস্পষ্ট হয়ে যেতে থাকে৷
কারণ ঃ জন্মগত কারণ ব্যতিরেকে বধিরতা নিজে কোন রোগ নয়–অন্য রোগের প্রতিক্রিয়া মাত্র৷ তাই এ রোগের অজস্র কারণ থাকতে পারে৷
১) অতিরিক্ত কুইনাইন বা অন্য কোন বিষ ঔষধ রূপে দীর্ঘকাল ব্যবহার করলে শ্রবণশক্তি হ্রাসপ্রাপ্ত হয় বা স্তম্ভিত হয়ে যায়৷
২) পুষ্টিকর খাদ্যের অভাবে পৌঢ়ত্বে বা বার্দ্ধক্যে অনেক লোকের শ্রবণযন্ত্রের স্নায়ুপুঞ্জ দুর্বল হয়ে পড়ে ও তার ফলে বধিরতা দেখা দেয়৷
৩) অতিরিক্ত মাদকদ্রব্যের ব্যবহারের ফলে রক্তে অম্লদোষ বেড়ে গেলে শ্রবণশক্তি হ্রাসপ্রাপ্ত হয়৷
৪) যাদের শ্লেষ্মাপ্রধান ধাত তাদের কখনও কখনও অতিরিক্ত শ্লেষ্মা জমে শ্রবণযন্ত্রের কাজকর্ম ব্যাহত হয় ও তার ফলে বধিরতা রোগ সৃষ্ট হয়৷
৫) অতিরিক্ত শুক্রক্ষয়ের ফলে শ্রবণশক্তি শোচনীয়ভাবে কমে যায় ও তাতে করে স্থায়ী বধিরতা সৃষ্ট হয়ে থাকে৷
৬) যাদের নস্য গ্রহণের অভ্যাস আছে অথবা যাদের জোরে নাক ঝাড়বার অভ্যাস আছে তাদেরও অনেক সময় শ্রবণস্নায়ুর স্বাভাবিক কর্মধারা ব্যাহত হয়ে যাওয়ায় বধিরতা দেখা দেয়৷
৭) কূপিত বায়ু বা শ্লেষ্মা কর্ণের স্নায়ুতন্তুর স্বাভাবিক কাজে বাধা দিয়ে বধিরতার সৃষ্টি করে৷
৮) কর্ণমূলের স্ফীতি বা কাণে পুঁজ সঞ্চয়ের ফলে বধিরতা দেখা দিতে পারে৷
প্ত যে ব্যাধির ফলে বধিরতা সৃষ্টি হয়েছে সেই ব্যাধিটির চিকিৎসা করলে ধীরে ধীরে এ রোগ সেরে যাবে৷
(‘যৌগিক চিকিৎসা ও দ্রব্যগুণ’ থেকে গৃহীত)