মহান দার্শনিক ধর্মগুরু, সমাজগুরু ঋষি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ১৯৫৫ সালের জানুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহে জগৎ কল্যাণের উদ্দেশ্যে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের প্রতিষ্ঠা করেন৷ তিনি জানতেন কোন মহান আদর্শ সমাজের বুকে দীর্ঘস্থায়ী করতে হলে একটা মজবুত সংঘটন দরকার৷ সেই জন্যেই এই সংঘটনের প্রতিষ্ঠা করেন৷ তাঁর সংঘটনে যেমন সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী সন্ন্যাসিনী আছেন ঠিক সেভাবে আদর্শের জন্যে প্রাণপাত করতে প্রস্তুত গৃহী মার্গীরাও আছেন৷
মানব সমাজ এক ও অবিভাজ্য৷ এই আদর্শকে সামনে রেখে সারা পৃথিবীকে ৯টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে৷ তার মধ্যে একটি হল দিল্লী সেক্টর৷ প্রত্যেক সেক্টরকে কয়েকটি রিজিয়নে ভাগ করা হয়েছে৷ আমরা কোলকাতা রিজিয়নের অন্তর্ভুক্ত৷ প্রত্যেক রিজিয়নকে কতকগুলি ডায়োসিসে ভাগ করা হয়েছে৷ মেদিনীপুর একটি ডায়োসিস৷ বর্তমানে তিনটি জেলা নিয়ে মেদিনীপুর ডায়োসিস গঠিত৷ সংস্থার সাংঘটনিক কাঠামোয় ভুক্তি মানে জেলা৷ সেই হিসেবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মেদিনীপুর ডায়োসিসের একটি ভুক্তি৷ একটি ভুক্তির মধ্যে কতকগুলি ব্লক -ব্লকের মধ্যে পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েতের মধ্যে গ্রাম রয়েছে৷ বেশ কিছু পরিবার নিয়ে একটি গ্রাম৷ শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী তাঁর ভক্তরা ভক্তি ভরে ৰাৰা বলেই সম্বোধন করেন৷ ৰাৰা তাঁর কাজের সুবিধার্থে যেমন সন্ন্যাসীদের জন্যে সাংঘটনিক কাঠামো তৈরী করেছেন (জিএস, এস এস, আর এস, ডিএস, ডিট.এস, বি.এস) ঠিক তেমনি গৃহী মার্গীদের জন্যে তাঁর প্রদত্ত সাংঘটনিক কাঠামো জেলা অর্থাৎ ভুক্তি স্তর থেকে শুরু৷ ভুক্তির মার্গীরা মিলিত হয়ে ভুক্তি প্রধান নির্বাচন করবেন৷ ব্লককে বলা হয় উপভুক্তি, উপভুক্তির মার্গীরা মিলিত হয়ে উপভুক্তি নির্বাচন করবেন৷ অনুরূপভাবে পঞ্চায়েত প্রমুখ, গ্রাম প্রমুখ
- Log in to post comments