ছাত্র–ছাত্রাদের স্মরণ শক্তি ৰাড়ানোর উপায়

Baba's Name
শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার

(১) শাঁখালুর রস প্রত্যহ পান করা (২) Repeatation প্রয়োগ অর্থাৎ মুখস্থ করা বিষয় লেখা বা অন্যকে শোণানো (৩) পাঠ্যবিষয় এমন ভাবে পড়া যাতে কানও শুণতে পায় (৪) অধীত (পাঠ্য বিষয় যা আয়ত্ত করা হয়েছে) বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ catch-word-গুলিকে একটা ছন্দের মধ্যে সাজিয়ে নিয়ে মনে রাখা (৫) প্রাক্–প্রত্যুষে যখন বাহ্যিক পরিবেশ শান্ত থাকে তখন অবশ্যই পড়ার অভ্যাস তৈরী করা (৬) কয়েকটি আসন যেমন মৎস্যমুদ্রা, জ্ঞানাসন, শশঙ্গাসন অভ্যাস করা ঙ্মআচার্য শেখাবেনৰ (৭) মাঝে মাঝে ব্রাহ্মী শাক, স্বল্প পরিমাণে তেঁতুল খাওয়া (৮) গুরুধ্যান ৰ৷   (শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের ‘দ্রব্যগুণে রোগারোগ্য’ থেকে)

পোস্তর গুণাগুণ

ওপিয়াম পপির ৰীজকোরক সাধারণ পপি থেকে ৰড় ও পুষ্ট৷ এর গা চিরে দিলে এর থেকে রস বা আঠা বেরোয়৷ তাই হল কাঁচা আফিং৷ এই ওপিয়াম পপির ৰীজকোরকে যে ৰীজ থাকে তার রঙ ফিকে ঘি–রঙের, তাকে আমরা পোস্ত বলে থাকি৷ কী অদ্ভুত ব্যাপার, পোস্তর ৰীজকোরকের আঠা ৰড় রকমের নেশা ও অধিক মাত্রায় সেবন করলে ৰড় রকমের বিষ, অথচ ভেতরকার ৰীজ পোস্তর দানা, যা একটি সত্ত্বগুণসম্পন্ন বস্তু, তা শরীরের স্নিগ্ধতা বজায় রাখতে সাহায্য করে৷

তরল ভেদ–বমিতে ও উদরাময়ের ৰাড়াৰাড়ি অবস্থায় গরম ভাতে অল্প পরিমাণ কাঁচা পোস্ত ৰাটা ঈষৎ লবণ সহযোগে ভক্ষণ করলে দ্রুত রোগ অপসারণে সাহায্য করে৷ ৰাংলার মানুষ (বিশেষ করে রাঢ়ের মানুষ) পোস্তর ৰড়া তো খায়–ই, আলু–পোস্ত, ঝিঙ্গে–পোস্ত, ৰড়ি–পোস্ত, কুঁদরী–পোস্ত, কাঁচা পোস্ত–ৰাটা–সবই সাগ্রহে খেয়ে থাকে৷ কথায় ৰলে ‘‘অতি সর্বত্র বর্জয়েৎ’’৷ খুব বেশী পোস্ত খেলে অপাক আমাশয় হতে পারে৷ তবে মাঝারী পরিমাণ পোস্ত খেলে তা স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য দু’য়ের ৰৃদ্ধিতেই সাহায্য করে৷

পোস্ত শরীরকে পোষণ করে ৰলে সংস্কৃতে এর একটি নাম পোষিত (পোষিতঞ্ছ পোষ্তঞ্ছপোস্ত–‘ষ’ মূর্দ্ধ বর্ণ৷ তার সঙ্গে দন্ত্য বর্ণ ‘ত’ এর সংযুক্তি হয় না৷ তাই ‘পোস্ত’ বানানে ‘ষ’এর স্থানে ‘স’এর আগম হচ্ছে)