সম্পাদকীয়

‘হিংসায় উন্মত্ত পৃথ্বি নিত্য-নিঠুর দ্বন্দ্ব’

আচার্য সাত্যশিবানন্দ অবধূত

কবিগুরুর এই উক্তি আজ যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে৷ সমাজের সর্বত্র---সারা বিশ্বেরই এখন এই ছবি৷ আমেরিকার মত তথাকথিত অধুনিক সভ্যতার ধবজাধারী দেশে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে নিষ্ঠুর ভাবে কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের খুনের ঘটনায় গোটা দেশে বিক্ষোভের অগুন জ্বলছে৷ রাস্তায় পড়ে আছে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড৷ তার দুটো হাত পিছমোড়া করে বাঁধা৷ আর তার ঘাড়ের ওপর হাঁটু গেড়ে বসে আছে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার৷ কৃষ্ণাঙ্গ যুবকটি চিৎকার করে বলবার চেষ্টা করছে, আমি আর শ্বাস নিতে পারছি না!

পরিযায়ী শ্রমিক সমস্যা ও তার সমাধান

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

বর্তমান পুঁজিবাদী অর্থনীতি ব্যবস্থার একটা মস্তবড় ত্রুটি এতদিন পরে সবার চোখে পড়ছে৷ কি রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা, কি বুদ্ধিজীবীরা এতদিন এই সমস্যাটাকে দেখেও দেখছিলেন না৷ ভাবছিলেন এ তো বেশ চলছে! সমস্যা কোথায়! এখন সমস্যাটাকে কারোর চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতে হচ্ছে না৷ সব পত্র-পত্রিকাতেই লেখা হচ্ছে৷মোবাইলে,দূরদর্শনে এটাই এখন অন্যতম প্রধান খবর৷ করোনা বাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দেশ জুড়ে লকডাউনের পরিপ্রেক্ষিতে এই সমস্যাটি এখন দেশের জ্বলন্ত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে৷  

নব্যমানবতাবাদই শেষ আশ্রয়

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

নব্যমানবতাবাদ কী? নব্যমানবতাবাদ তত্ত্বের প্রবক্তা মহান দার্শনিক শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার তাঁর রচিত ‘প্রভাত সঙ্গীতের’ ভাষায় বলেছেন---

        ‘‘ মানুষ যেন মানুষের তরে সব কিছু করে যায়৷

  একথাও যেন মনে রাখে পশু-পাখী তার পর নয়

        তরুও বাঁচিতে চায়৷’’

কভিড-১৯-এর প্রেক্ষিতে মাইক্রোবাইটাম তত্ত্ব

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

বর্তমানের করোনা বাইরাস সারা বিশ্বে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে ভাবে চীনের হুবেই  প্রদেশের উহান শহর থেকে শুরু করে সমগ্র চীন, ইতালি, স্পেন, ইংল্যান্ড, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, ইরান , ভারত, পাকিস্তান সহ প্রায় সমস্ত রাষ্ট্রেই ছড়িয়ে  পড়েছে  ও প্রায় সর্বত্রই এর থেকে ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছে, এই পরিপ্রেক্ষিতে মহাসম্ভূতি ধর্ম গুরু শ্রী শ্রী আনন্দ মূর্ত্তিজী, যিনি মহান দার্শনিক ও যুগান্তকারী 'মাইক্রোবাইটাম' তত্ত্বের উদ্ভাবক শ্রী প্রভাত রঞ্জন সরকার নামেও সমধিক  পরিচিত, তাঁর তত্ত্বের ভিত্তিতে করোনা বাইরাসের মত মারাত্মক রোগজীবানুর হাত থেকে বাঁচার উপায় কী -এর উপর কিছু আলোকপাত করছি।

বাইরাস আক্রান্ত গণতন্ত্র

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

বিশ্বজুড়ে করোনা বাইরাসের আতঙ্কের মধ্যেই মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের তরুণ ব্রিগেডের নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ২২ জন বিধায়ক নিয়ে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি’তে  যোগ দিলেন৷ ফলে এই সম্পাদকীয়  লেখা পর্যন্ত যে পরিস্থিতি তাতে দেড় বছরের মধ্যেই কমলনাথ সরকারের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারের পতনের সম্ভাবনা ও এখানে পুনরায় বিজেপির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা প্রবল৷

করোনা বাইরাস আতঙ্কের প্রেক্ষীতে মাইক্রোবাইটাম তত্ত্ব

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

করোনা বাইরাস (corona virus)  আজ সারা পৃথিবীর আতঙ্ক হয়ে উঠেছে৷ গত  ডিসেম্বরের শেষের দিকে চীনের উহান প্রদেশে এই করোনা ভাইরাসের আক্রমণ শুরু হয়৷  এখান থেকে  চীনের অন্যত্র ও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এইরোগ ( চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় কার্ভড-১৯) ছড়িয়ে পড়েছে৷ এই সম্পাদকীয় লেখা পর্যন্ত  চীনে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ৩০৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই রোগে আক্রান্ত ৮০,৫৫২৷ দক্ষিণ কোরিয়ায় মৃত ২৮ জন, আক্রান্ত  ৬,২৮৪ জন, ইতালিতে  মৃত ১০৭ জন, আক্রান্ত ৩,৫৫৮, ইরানে মৃত ১৩৭জন, আক্রান্ত ১,৭৪৭, ফ্রান্সে মৃত ৭, আক্রান্ত ৪২৭৷ এমনিভাবে বহু দেশেই  এই রোগ অতি দ্রুত ছড়িয়ে  পড়েছে৷ ভারতেও এ পর্যন্ত ৬১ জনের আক্রান্তের সংব

এই কি রাজধর্ম

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

দিল্লী আগুনে জ্বলছে৷ সিএএ পন্থী ও সিএএ বিরোধীদের মধ্যে লড়াই চলছে৷ যেন পুরোপুরী যুদ্ধক্ষেত্র৷ এই সম্পাদকীয় লেখা পর্যন্ত পুলিশের রিপোর্টেই বলা হচ্ছে, ৫০০ রাউণ্ড গুলি চলেছে৷ মূলত লড়াই চলেছে ওই দুই পক্ষের মধ্যেই৷ এ পর্যন্ত মৃত ৫০ জন, আহত ২৫০-এর বেশী৷ পুলিশের গুলিতে কেউ মারা যায়নি বলে পুলিশেরই রিপোর্ট৷ গুলির সঙ্গে চলেছে অ্যাসিড ছোড়া, পুড়ছে ঘরবাড়ী, গাড়ী, সুকটার৷ এখন প্রায় সমস্ত উত্তরপূর্ব দিল্লী জ্বলছে৷ এ আগুনই সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা৷ বিস্ময়ের বিষয় এখনও পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ঘটনাস্থলে গিয়ে শান্তির জন্য আবেদন করা, দুই পক্ষকে শান্ত করা---এসব করতে দেখা যায়নি৷

অমর দধীচি লহ প্রণাম

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

যাঁরা মানবতার জন্যে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করেছেন, তাঁরা হলেন দধীচি৷ বাংলা ভাষায় যে শহীদ শব্দটি ব্যবহার করা হয় এর উৎস সন্ধান করলে আমরা দেখবো, মধ্যযুগে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে অন্য ধর্মাবলম্বীদের লড়াইয়ে যে সমস্ত মুসলিম মৃত্যু বরণ করতেন তাঁদের আরবী ভাষায় বলা হতো শহীদ৷ আর এই যুদ্ধের পরে যাঁরা জয়ী হয়ে ফিরে আসতেন তাঁদের বলা হতো গাজী৷ তেমনি খ্রীষ্ট ধর্মের হয়ে লড়াইতে যাঁরা প্রাণ বিসর্জন করতেন তাঁদের বলা হতো মার্ট্যার Martyr)৷ শহীদ ওMartyr শব্দ দুটির সঙ্গে তাই বিশেষ বিশেষ রিলিজিয়ন বা মতবাদের স্বার্থে লড়াইয়ের সম্পর্ক জড়িত৷ যদিও বর্তমানে এই দুটি শব্দ ব্যাপক অর্থে প্রযুক্ত হয়৷

মাতৃভাষায় শিক্ষালাভ ও সমস্ত সরকারী ও বেসরকারী কাজে মাতৃভাষার দাবী

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী৷ মাতৃভাষার গৌরব প্রতিষ্ঠার আন্দোলন বিশেষভাবে স্মরণীয় একটা দিন৷ ওই দিন ওপার বাঙলায় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে অবিস্মরণীয় এক ভাষা আন্দোলনের দিন৷

নীলকণ্ঠ দিবসের তাৎপর্য

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

জগৎগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী তাঁর একটি বাণীতে বলেছেন ---

‘‘ইতিহাসে দেখা গেছে যখনই মানুষ ধার্মিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক বা অন্য কোন ক্ষেত্রে স্পষ্ট কথা বলেছে, সন্দেহের নিরসন করেছে বা অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে, তখনই তার বিরুদ্ধে পাপ শক্তি ষড়যন্ত্র করেছে, বিষ প্রয়োগ করেছে, অপপ্রচার করেছে, ক্ষেপে মরিয়া হয়ে উঠেছে, ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে৷ নিষ্ঠুর ভাবে আঘাতের পর আঘাত হেনেছে, কিন্তু সেই আঘাতই আবার প্রত্যাহত হয়ে তারই কাছে ফিরে গেছে৷ নিজের আঘাতের প্রত্যাঘাতেই পাপশক্তি বিনষ্ট হয়েছে৷ তোমরা জেনে রেখো, ইতিহাসের অমোঘ বিধানে পাপ শক্তিকে বিধবস্ত হতেই হবে৷’’