প্রবন্ধ

বাংলা ভাষা ও বাঙালী জনগোষ্ঠী সম্পর্কে কিছু মূল্যবান তথ্য

(‘কণিকায় প্রাউট’ ও ‘বাংলা-বাঙালী’ গ্রন্থের অনুসরণে একর্ষি কর্তৃক সম্পাদিত)

নৃতাত্ত্বিক বিচারে জাতিসত্তার উন্মেষ   হয় ভাষাকে কেন্দ্র করে৷ এর প্রকাশ ও বিকাশ ভৌম পরিচয়ে৷ সাবেক বাংলা বা অখন্ড বাংলা বা গৌড়বঙ্গের মাটির ভাষা বাংলা৷ বর্তমান বাঙালী জাতির পরিচয় ওই ভাষা দিয়েই৷ তাই ভাষা সংক্রান্ত তথ্যাবলী তো মনে গেঁথে রাখতেই হবে৷

l পৃথিবীর প্রধান ভাষাগুলির মধ্যে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় (পোটেনশিয়াল) ভাষা হল বাংলা৷ এই ভাষা আগামী দিনে বিশ্বভাষা হওয়ার সম্ভাবনায় ভরপুর৷

l সাহিত্য সম্ভারের বিচারে বিশ্বে বর্তমানে ৪থ সাহিত্য সমৃদ্ধ ভাষা হল বাংলা৷

l ইউনেসকোর ভাষা বিভাগের অনুসন্ধানের প্রতিবেদন  হল-পৃথিবীর মধুরতম ভাষা হল বাংলা৷

পাকিস্তানী আই এস আইয়ের জঘন্য ষড়যন্ত্রের কুফল হ’ল মায়ানমারের রোহিঙ্গা বিতাড়ন

মুশাফির

পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইণ্টার সার্ভিস ইণ্টেলিজেণ্স-এর (আই এস আই) কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার আসফাকের সাঙ্গপাঙ্গরা পাকিস্তানের (টেররিস্থান)-এর  মাটিতে আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি (আরশা) গঠন করেন৷ এদের উদ্দেশ্য হ’ল বর্তমান বাঙলাদেশের মাটিতে রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে এনে বাঙলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করে তোলা৷ তাছাড়া এই রোহিঙ্গাদের মধ্যে দিয়ে উগ্রপন্থী, জঙ্গী রোহিঙ্গারা ঢুকে পড়বে বাঙলাদেশ ও প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে৷ এরা অস্থিরতা সৃষ্টি করবে এই সমস্ত দেশে পাকিস্তানী জঙ্গী যারা আছে তাদের মদতে৷

দলতন্ত্রের আগ্রাসনে গণতন্ত্রের নাভিঃশ্বাস

 প্রভাত খাঁ

দলতন্ত্র আর গণতন্ত্র যে এক নয় সেটা যতদিন না দেশের নাগরিকগণ মন থেকে উপলব্ধি করছেন ততদিন গণতন্ত্রের মুক্তি নেই৷ বর্তমানে দলতন্ত্র এমন এক নির্লজ্জ স্থানে এসে হাজির হয়েছে যা বলার নয়৷ অত্যন্ত বেদনা ও দুঃখের কথা, এই দলতন্ত্র প্রয়োজনে নিছক দলীয় স্বার্থে সংবিধানকে পর্যন্ত অস্বীকার করে দেশের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে পদদলিত করতেও ছাড়ে না৷ এর উদাহরণ তো স্বয়ং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী দেশে অভ্যন্তরীণ জরুরী অবস্থা জারী করে দেখিয়ে গেছেন৷ লোকসভাকে না জানিয়ে তিনি এ কাজ করেছিলেন৷

প্রাউট–প্রবক্তা প্রভাতরঞ্জনের সাহিত্য চেতনা

ডঃ গোবিন্দ সরকার, প্রাক্তন অধ্যাপক, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন  আবাসিক মহাবিদ্যালয়

‘এ গান থামিবে নাক এ দাবী দমিবে না

পথ বেঁধে দিল আলোকোজ্জ্বল প্রাউটের প্রেষণা’৷

গানটি শুনেই প্রথম প্রশ্ণ জাগে ‘প্রাউট’ কী? মানব দরদী প্রভাতরঞ্জন ‘প্রাউট’ বলতে বুঝিয়েছেন–‘প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্ব’৷ Progressive Utilisation Theory সংক্ষেপে PROUT ৷ এই জীবনবাদ তত্ত্বে একদিকে যেমন ব্যষ্টি জীবনের চাহিদার সঙ্গে সামূহিক জীবনের প্রয়োজনের  এক মধুর সমন্বয় সাধন করেছে, অন্যদিকে বস্তু জগতের সঙ্গে অধ্যাত্ম–জগতের দ্বন্দ্বের সমাধান করেছে৷

পাকিস্তানী আই এস আইয়ের জঘন্য ষড়যন্ত্রের কুফল হ’ল মায়ানমারের রোহিঙ্গা বিতাড়ন

মুশাফির

পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইণ্টার সার্ভিস ইণ্টেলিজেণ্স-এর (আই এস আই) কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার আসফাকের সাঙ্গপাঙ্গরা পাকিস্তানের (টেররিস্থান)-এর  মাটিতে আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি (আরশা) গঠন করেন৷ এদের উদ্দেশ্য হ’ল বর্তমান বাঙলাদেশের মাটিতে রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে এনে বাঙলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করে তোলা৷ তাছাড়া এই রোহিঙ্গাদের মধ্যে দিয়ে উগ্রপন্থী, জঙ্গী রোহিঙ্গারা ঢুকে পড়বে বাঙলাদেশ ও প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে৷ এরা অস্থিরতা সৃষ্টি করবে এই সমস্ত দেশে পাকিস্তানী জঙ্গী যারা আছে তাদের মদতে৷

দলতন্ত্রের আগ্রাসনে গণতন্ত্রের নাভিঃশ্বাস  

প্রভাত খাঁ

দলতন্ত্র আর গণতন্ত্র যে এক নয় সেটা যতদিন না দেশের নাগরিকগণ মন থেকে উপলব্ধি করছেন ততদিন গণতন্ত্রের মুক্তি নেই৷ বর্তমানে দলতন্ত্র এমন এক নির্লজ্জ স্থানে এসে হাজির হয়েছে যা বলার নয়৷ অত্যন্ত বেদনা ও দুঃখের কথা, এই দলতন্ত্র প্রয়োজনে নিছক দলীয় স্বার্থে সংবিধানকে পর্যন্ত অস্বীকার করে দেশের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে পদদলিত করতেও ছাড়ে না৷ এর উদাহরণ তো স্বয়ং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী দেশে অভ্যন্তরীণ জরুরী অবস্থা জারী করে দেখিয়ে গেছেন৷ লোকসভাকে না জানিয়ে তিনি এ কাজ করেছিলেন৷

অতীতের মতো বাঙালী কবে  আত্মসচেতন হবে

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

আমরা দেখে শিখি,  পড়ে শিখি, নয়তো ঠেকে শিখি৷  মানুষ হিসেবে জীবনের ছোট্ট পরিসরে  বিপুলা এই পৃথিবীর কতটুকুই বা  আমরা দেখতে পারি!

প্রাউটের স্বয়ংসম্পূর্ণ সামাজিক–র্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা

সত্যসন্ধ দেব

প্রাউটের মতে গোটা দেশের সর্বাত্মক সামাজিক–র্থনৈতিক উন্নয়নের জন্যে, সঙ্গে সঙ্গে সর্বস্তরে শোষণের অবসান ঘটানোর জন্যে, চাই বিজ্ঞানভিত্তিক সুষ্ঠু অর্থনৈতিক পরিকল্পনা৷ এ জন্যে প্রথমে গোটা দেশকে প্রয়োজনে একাধিক সামাজিক–র্থনৈতিক অঞ্চলে •socio-economic unit— বিভক্ত করে প্রতিটি অঞ্চলকে স্বয়ং–সম্পূর্ণ করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিতে হবে৷ প্রতিটি সামাজিক–র্থনৈতিক অঞ্চলে ওই এলাকার বিশেষ অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে পৃথক পৃথক পরিকল্পনা রচনা করা বাঞ্ছনীয়৷ এই যে দেশকে প্রয়োজনমত একাধিক সামাজিক–র্থনৈতিক অঞ্চলে বিভক্ত করার কথা বলা হ’ল, তা করতে হবে, নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করে–

মানব জীবনে বিজ্ঞান ও ধর্ম

 সৌমিত্র পাল

পূর্ব প্রকাশিতের পর

মনকে বিস্তৃত করবার পদ্ধতি Process of Extension of  Human Mind) ঃ- মানবদেহ  যেমন পাঞ্চভৌতিক উপাদানে (ক্ষিতি-অপ-তেজ-মরুৎ ব্যোম) সৃষ্ট, তেমনি মানবমনও পঞ্চকোষের  সমাহারে  গঠিত৷ মনের  পাঁচটি  কোষ হল যথাক্রমে ঃ

১. কামময় কোষ

২.মনোময় কোষ

৩. অতিমানস কোষ

৪.বিজ্ঞানময় কোষ

৫. হিরন্ময় কোষ

কলাফুলের  পাঁপড়িগুলি যেমন বিভিন্ন স্তরে  (বাইরের থেকে ভেতরের দিকে) বিন্যস্ত থাকে,