প্রবন্ধ

জীবন-পথে কঠিন ব্রতে

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

 মানুষ পৃথিবীতে আসে সীমিত সময়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যপূরণের উদ্দেশ্যে ৷  শুধুমাত্র ভোজন , শয়ন , পর্যটনের মাধ্যমে গড্ডালিকা প্রবাহে ভেসে যাওয়া  মানব জীবনের লক্ষ্য নয়, কারণ এই কর্মগুলিতো জীব-জন্তুরাও করে থাকে৷  তাহলে মানুষ আর জীব-জন্তুর মধ্যে পার্থক্য কোথায়?  মানুষ ঈশ্বরের সর্র্বেত্তম সৃষ্টি, মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশিত হয় তার মান ও হুঁশের প্রয়োগে৷ মানুষের মধ্যে রয়েছে বুদ্ধি, বিবেক ও বিচারশীলতা আর  এইসকল গুণের প্রেরণায় ও প্রয়োগে জীবনকে পরিচালিত করাই মানুষের কর্ত্তব্য ৷ এর  জন্য চাই  কঠোর ও নিবিড় অনুশীলন, আত্যন্তিকী  নিষ্ঠা৷ মানুষ যখন প্রথম ভূমিষ্ঠ হয়ে  মাতৃক্রোড়ে লালিত-পালিত হয় তখন মাতৃস

প্রাউটের সমাজ আন্দোলন

আজ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সমাজের অর্থনৈতিক উন্নয়নের একমাত্র পথ হিসেবে মেনে নিয়ে আপন আপন কর্মসূচী নিয়ে কাজ করে চলেছে৷ তারা দেশে ক্রমবর্ধমান দারিদ্র্য ও বেকার সমস্যা সমাধানের জন্যে দেশী-বিদেশী পুঁজিপতিদের শরণাগত৷ দেশী-বিদেশী পুঁজিপতিরা যাতে রাজ্যে তাদের মোটা পুঁজি বিনিয়োগ করে’ শিল্প গড়ে তুলতে এগিয়ে আসে, সেজন্যে ওই পুঁজিপতিদের নানান ভাবে তোষণ করে চলেছে৷ তাদের নানাভাবে প্রলোভন দিচ্ছে৷ সস্তায় জমি, বিদ্যুৎ, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে করছাড় ইত্যাদির আশ্বাস দিয়ে নানাভাবে তাদের মন ভেজানোর চেষ্টা করছে৷ কট্টর মার্কসবাদী বলে পরিচিত সিপিএম সহ অন্যান্য সঘোষিত সমাজতন্ত্রী বামপার্টিগুলিও দেশী

দেশকে বাঁচাতে আজ নোতুন নেতা ও নোতুন আদর্শের  বড়ই প্রয়োজন

প্রভাত খাঁ

বর্ত্তমানে সারা পৃথিবী হয়ে পড়েছে একটি বিরাট পরিবার বিশেষ৷ এর মূল কারণ হল ভৌতবিজ্ঞানের অগ্রগতি৷  আজ আর কোনকিছুই পৃথিবীর মানুষের অজানা নয়৷  কিন্তু অতীব দুঃখ ও মর্মবেদনার কথা হল বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র---এই ভারতবর্ষকে কিছু স্বার্থান্বেষী কুচক্রী জঘন্য সাম্প্রদায়িকতার  ভিত্তিতে ভাগ করে এর অগ্রগতিকে  চিরকালের মতো ধবংস করে দিয়ে গেছে৷  এই বিরাট এলাকা আজ  নানা সমস্যায় জর্র্জরিত৷  আমাদের বাস সেই খণ্ডিত  ভারত যুক্তরাষ্ট্রে৷  এখানে বহু ভাষাভাষীর মানুষ বসবাস করেন৷ দীর্ঘ ৭০ বছর হলো নামেই স্বাধীন হয়েছে এদেশ৷  কিন্তু এই হতভাগ্য দেশে অদ্যাবধি তেমন কিছু সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতি তো হয়নি বরং

প্রাউট–প্রবক্তা প্রভাতরঞ্জনের সাহিত্য চেতনা

ডঃ গোবিন্দ সরকার,  প্রাক্তন অধ্যাপক, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন আবাসিক মহাবিদ্যালয়

পূর্ব প্রকাশিতের পর

গণতন্ত্রের স্বার্থে তরুণ-তরুণীরা এগিয়ে এসে প্রকৃত দেশনেতা ও নেত্রীর স্থান পূরণ করুক

প্রভাত খাঁ

দীর্ঘ ৭০ বছর পর এই হতভাগ্য পশ্চিমবাঙলা ও সারা ভারতের রাজ্যগুলির ও খোদ দিল্লীর যে আইন শৃঙ্খলা ও আর্থিক উন্নয়নের বহর তাতেই বোঝা যায় এদেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থার কতটা অধঃপতন ঘটেছে৷ শুধু নোংরা রাজনৈতিক কাজিয়া চলছে৷ সারা রাষ্ট্রের আর্থিক দুরবস্থার সংবাদ সারা পৃথিবী জানে৷ এরা সর্বদা কেন্দ্র কি রাজ্য,  সার্বিক উন্নতির ফাটা ঢাক পিটিয়ে চলেছে৷  কলকারখানা সবই প্রায় বন্ধ ৷ চাকরীর কোন সংবাদই নেই ভারতের রেলসংস্থা সবচেয়ে একটি সর্বভারতীয় কর্মসংস্থানের আশ্রয়স্থল৷ সেখানে যেন শনির দশা!

প্রাউট–প্রবক্তা প্রভাতরঞ্জনের সাহিত্য চেতনা

ডঃ গোবিন্দ সরকার, প্রাক্তন অধ্যাপক, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন আবাসিক মহাবিদ্যালয়

পূর্ব প্রকাশিতের পর

পৃথিবীর বিভিন্ন জাতি আজ পরস্পর কাছে এসে গেছে৷ একটা নতুন মানব সংসৃক্তি গডে উঠেছে৷ এটা খুব ভালো লক্ষণ৷ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির ফলে আন্তর্জাতিক সাহিত্য গডে উঠেছে৷ সেখানে দেশ–বিদেশের গণ্ডী উবে যেতে থাকে৷ যেখানে প্রাদেশিকতা স্বাজাত্যবোধের আবেগ বর্জিত এক সার্বজনীন মানব চেতনা পরিলক্ষিত হয়৷ আনন্দমূর্তি বর্ণিত ‘নব্য মানবতাবাদ তত্ত্ব রূপায়িত হয়৷

দেশকে ধবংসের হাত থেকে বাঁচাতে গেলে জনগণকে সচেতন হতে হবে

প্রভাত খাঁ

বর্তমান দেশের যে হাল সেটার সমীক্ষা করাটা দেশবাসীর প্রধান কর্তব্য৷ প্রথমেই বলতে হয় ৭০ বছর আগে যে অবস্থা দেশের ছিল সেই অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করতে যে সব প্রাতঃস্মরণীায় দেশকর্মী ও নেতা-নেত্রীগণ কঠিন সংগ্রাম করে দেশকে পরাধীনতার শৃঙ্খল মুক্ত করেন তাদের জীবন উৎসর্গ করা ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তির মোকাবিলা করাটা যে কতখানি মহান কাজ ছিল আজ অনেকেই সেটি উপলব্ধি করতে পারবেন না৷

নোটবন্দীর বর্ষপূর্ত্তি ও অন্যান্য আর্থিক গতিপ্রকৃতি

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

দেখতে দেখতে নোটবন্দীর এক বছর পূর্ণ হলো৷  এই একবছরে গঙ্গা-যমুনা দিয়ে  বয়ে গেছে বহু জল--- দেশের বুকে রয়ে গেছে  কত না ঘটনা প্রবাহের স্মৃতি চিহ্ণ৷ তবুও নোটবন্দী নিয়ে বিতর্ক থামেনি - ভালমন্দের চুল চেরা বিশ্লেষণ এখনও সমানে চলেছে৷  একদিকে কেন্দ্রীয় সরকার ও শাসকদল নোটবন্দীর জয়গানে মূখর---  কালো টাকা ধবংস, জাল টাকার বিনাশ, জঙ্গীকার্যকলাপের পায়ে বেড়ি  পড়ানো,  কালোবাজারি ফাটকাবাজীর অবসানে ও সুদূর ভবিষ্যতে আপামর দেশবাসীর সার্বিক উন্নতি বিধানের স্বপ্ণালুতায় মোহাবিষ্ট৷ অন্যদিকে বিরোধী দলগুলির পক্ষ থেকে দেশবাসীর কষ্ট, যন্ত্রণা, নগদের অভাবে কর্মনাশা, সর্বনাশা নোটবন্দীর কুফলগুলির বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিবাদ

প্রাউট–প্রবক্তা প্রভাতরঞ্জনের সাহিত্য চেতনা

ডঃ গোবিন্দ সরকার,  প্রাক্তন অধ্যাপক, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন আবাসিক মহাবিদ্যালয়

‘এ গান থামিবে নাক এ দাবী দমিবে না

পথ বেঁধে দিল আলোকোজ্জ্বল প্রাউটের প্রেষণা’৷

গানটি শুনেই প্রথম প্রশ্ণ জাগে ‘প্রাউট’ কী? মানব দরদী প্রভাতরঞ্জন ‘প্রাউট’ বলতে বুঝিয়েছেন–‘প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্ব’৷ Progressive Utilisation Theory üÑËŽÂËÂó PROUT. এই জীবনবাদ তত্ত্বে একদিকে যেমন ব্যষ্টি জীবনের চাহিদার সঙ্গে সামূহিক জীবনের প্রয়োজনের  এক মধুর সমন্বয় সাধন করেছে, অন্যদিকে বস্তু জগতের সঙ্গে অধ্যাত্ম–জগতের দ্বন্দ্বের সমাধান করেছে৷