প্রবন্ধ

পরমারাধ্য ৰাৰার  মহাপ্রয়াণে প্রার্থনা জানাই তাঁর নব্যমানবতাবাদ  বিশ্বকে রক্ষা করুক

প্রভাত খাঁ

পৃথিবীর বুকে পরমারাধ্য ৰাৰা শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী (মহান দার্শনিক শ্রদ্ধেয় শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার) এসেছিলেন এমন সময়ে  যখন সারা পৃথিবীর  মানুষ তথা জীবজন্তুর বেঁচে থাকাটা সংকটের  মধ্য দিয়েই চলছিল৷ তাঁর আধ্যাত্মিকতা ভিত্তিক নব্যমানবতাবাদকে প্রতিষ্ঠা করতে৷   নব্যমানবতাই হ’ল  বিশ্ব সংসারের সৃষ্টিকে রক্ষার ও তাদের সার্বিক  বিকাশের জন্য সুষ্টু পরিবেশ গড়ে  ওঠার চাবিকাঠি৷ সদবিপ্র সমাজের  আন্তরিক সেবা ও নিষ্ঠায় তা কেবলমাত্র সম্ভব৷ প্রগ্রতিশীল  উপযোগ তত্ত্ব অর্র্থৎ প্রাউট তত্ত্বই হল মহোষধি বিশেষ যা সমগ্র বিশ্বের জাতি ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সকল মানুষকে  এক ছাতার  নীচে নিয়ে আসার  একমাত্র মহান পথ৷

বাংলা-বাঙালীকে ধবংস করার  সাম্রাজ্যবাদী কলা-কৌশল

একর্ষি

বাঙলার অতুল ঐশ্বর্য ও অফুরন্ত সম্পদ যুগে যুগে সাম্রাজ্যবাদীদের লোভের শিকার হয়েছে৷ বিদ্যায়, বুদ্ধিতে, জ্ঞান-বিজ্ঞানে, সংসৃকতিতে, শিল্প-,সাহিত্যে, শৌর্য-বীর্যে বাঙালীর  অগ্রণী সত্তার জন্য অন্যদের মনে পরশ্রীকাতরতা থেকে বিদ্বেষ, ঈর্র্ষ থেকে প্রতিহিংসার  জন্ম নিয়েছে৷ তদুপরি বাঙালীর  আধিপত্যবাদ-বিরোধী জেহাদী মানসিকতা, তথা প্রতিবাদী চরিত্র, বিপ্লবী চেতনা ও আপোষহীন সংগ্রামের মানসিকতা সাম্রাজ্যবাদীদের  মনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে৷ তাই বাংলা-বাঙালীকে ধবংস করার প্রয়াস বহুদিনের৷ দেশী-বিদেশী সাম্রাজ্যবাদীদের চক্রান্তের শেষ নেই৷ সাম্রাজ্যবাদের নানারূপ-সামরিক সাম্রাজ্যবাদ, অর্থনৈতিক সাম্রাজ্যবাদ, ভাষা-সাংসৃকতিক  সা

সংকীর্ণ দলবাজীর ঊধের্ব উঠে সর্বাত্মক শোষণমুক্তির আন্দোলন চাই

প্রভাত খাঁ

ইতিবৃত্তে উল্লেখ্য সেই ফ্রান্সের সম্রাট পঞ্চদশ লুই অত্যন্ত দুঃখের  সঙ্গে ঘোষনা করেছিলেন - ‘‘আমার পর মহাপ্লাবন৷’’

শারদোৎসব- দুর্গোৎসব-বিজয়োৎসব

একর্ষি

‘‘ যা অস্তিত্বকে উদ্বেল ও উচ্ছ্বসিত করে দিয়ে বাঁচার আনন্দে জীবনকে পূর্ণ করে তোলে তাকেই বলে উৎসব’’---শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তি৷

শারদোৎসব বা দুর্গোৎসব পূর্ণতা পায় বিজয়োৎসবে এই সমাসবদ্ধ পদটির অর্থ হল বিজয়সূচক যে উৎসব৷ পদে উৎসবেরই প্রাধান্য৷ এখন দেখা যাক এই উৎসব ব্যাপারটা কী৷ উৎসব শব্দটি ভাঙলে পাওয়া যায় উৎ-স+অল্৷ এই প্রত্যয় জাত প্রতিপাদিকটির মধ্যে ‘সু’ ধাতুর সঙ্গে ‘অল’ প্রত্যয়  লাগালে হয় ‘সব’৷ ‘সব’ এর অর্থ জন্মগ্রহণ করা৷ আর ‘উৎ’ মানে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠা৷ অর্র্থৎ মানুষ যখন নেচে নেচে প্রাণের উছ্বাস দিয়ে নোতুন জীবনের আস্বাদন গ্রহন করে তখন তাকে উৎসব বলে৷

ঝাড়ু হাতে অমিত-মোদী, আর বুলি তাঁদের বিবেক-রবি

 কৃষ্ণমোহন দেব

মোদীজী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর হাতে ঝাড়ু নিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করা দেখাচ্ছেন আর বলছেন যে স্বচ্ছ ভারত গড়ে তুলবে হবে৷ সেইসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ ও তাঁর দলের সাঙ্গ-পাঙ্গগণও লেগে গেলেন ঝাড়ু হাতে রাস্তা পরিষ্কারের কাজে৷ উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ যোগী  মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার  পরও ঝাড়ু হাতে রাস্তা পরিষ্কার করা দেখাতে লাগলেন৷ মোদিজীর, অমিতজীর ও আদিত্যনাথজীর  ঝাড়ু হাতে ছবি মিডিয়া ও পত্রিকাগুলিতে  ফলাও করে প্রকাশ  হয়েছে৷ ঝাড়ু হাতে রাস্তা পরিষ্কার করার দ্বারা এঁরা নিজেদের জাহির করতে চেয়েছেন যে---আমাদের দেশ সেবার পরাকাষ্ঠা কতখানি৷ কিন্তু এর আগে অর্থাৎ দেশের প্রধানমন্ত্রী বা বিজেপ

প্রাউটের ব্লক ভিত্তিক বহুমুখী উন্নয়ন পরিকল্পনার বাস্তবায়নেই মানুষের হাতে আসবে পূর্ণ অর্থনৈতিক ক্ষমতা

মনোরঞ্জন বিশ্বাস

বিচিত্রতা প্রকৃতির প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্য অথচ ওই বৈচিত্র্যের মধ্যেই এক সুনিবিড় ঐক্য বিরাজমান৷ বৈচিত্র্যময় প্রকৃতির ক্রোড়াশ্রিত মানুষের মন বড়ই বিচিত্র৷  চেহারা, গায়ের রং খাদ্য-পোশাকে-চলন-বলন-আচার-আচারণ সবকিছুতেই বৈচিত্র্য৷ আর এই মানুষের চরৈবেতি-প্রেষণা, তার আধারিত ভৌমিক সংরচনা আর এর সঙ্গে প্রতুলতা, স্বল্পতা, সামাজিক জীব হিসাবে সামাজিক দায়বদ্ধতা, বন্ধন, মনস্তাত্বিক  বিকাশের  ধারা সব মিলিয়ে চাওয়া-পাওয়া, চাওয়া-নাপাওয়া ইত্যাদি নিয়ে দ্বন্দ্বের শেষ নেই৷ আজকের সমগ্র পৃথিবীটাই নানা সমস্যায় জর্জরিত৷ আবার এই পরিবর্তনশীল জগতে  পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সমস্যা আসছে নব অভিনবরূপে৷  একটা সমস্যার সমাধান হল তো আর

রাজনৈতিক নেতাদের সংকীর্ণ মানসিকতা সম্বন্ধে এরাজ্যের জনগণ  সচেতন ও সজাগ থাকুন

প্রভাত খাঁ

আজকের প্রতিবেদনটি লিখতে বসে বার বার একটা কথাই আমার মনে উঠে আসছে তা হল আমাদের দেশের ঐক্য নিরাপত্তা  সাংবিধানিক সার্বভৌমিকতা ও আরো অনেক কিছুর  কি কোন মূল্য নেই নামকে ওয়াস্তে গণতান্ত্রিক দেশে জঘন্য নোংরা দলবাজি ব্যতীত এই পশ্চিমবাংলা ভারতে তার অস্তিত্ব কে টিকিয়ে রেখেছে অনেক কষ্ট করে ভয়ংকর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের সঙ্গে লড়াই করে৷  ভারতকেশরী মহান  নেতা মাননীয়  শ্যামাপ্রসাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্যে পশ্চিম বাংলা আজ ভারতের অন্তর্গত৷ তা না হলে এই বৃহত্তর বাংলার সামান্য ক্ষুদ্রাংশ এই রাজ্যটি সাম্প্রদায়িকতার ঘৃতাহুতিতে কোথায় মিলিয়ে যেত৷ হতভাগ্য সমস্ত হিন্দুদের  বিশেষ করে  বাঙ্গালীদের উদ্বাস্তু হয়ে  জন্মভূ

শরতের নতুন আলোকে

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

নীলাকাশে ভেসে চলা ফালি ফালি মেঘের সারি, মাঝে মধ্যে এক পশলা বৃষ্টি, কখনো মেঘ রোদ্দুরের লুকোচুরি,বাতাসে শিউলির গন্ধ, মাঠে-ঘাটে কাশফুলের দোলা, গাছের পাতায়, ঘাসের ডগায় জমে থাকা শিশিরে নব রবিকিরণের হীরকদ্যুতি ঘোষণা করে প্রকৃতির র৷মঞ্চে নব শরতের উপস্থিতি৷ শরতের ছোঁয়ায় বাঙালীর মন হয় উদ্বেলিত, নব আনন্দে শিহরিত৷ বাঙলা ও বাঙালীর জীবনের সঙ্গে শরতের রয়েছে এক চিরায়ত অচ্ছেদ্য সম্পর্ক৷ এই শরতেই বাঙলার সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব শারদোৎসব পালিত হয়৷ দীর্ঘদিনের প্রস্তুতির চরম পর্যায়ে হর্র্ষেৎফুল্ল বিস্ফোরণ ঘটে এই শারোদৎসবের দিনগুলিতে৷ আপামর বাঙালী মাতৃবন্দনার সাধ্যমত আয়োজন করতে নতুন উদ্যমে ও উন্মাদনায় মেতে ওঠে৷ বহু দিন

ভারতবর্ষে আর্থিক কেলেঙ্কারি বা ভ্রষ্টাচারের চাঞ্চল্যকর ঘটনাবলী

মনোজ সরকার

ট্রান্সপেরেন্সি ইণ্টারন্যাশানাল (Transperancy International)নামে একটি আন্তর্জাতিক রেটিং সংস্থা প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ভ্রষ্টাচারের মাত্রা কতটা গভীর তার একটি তালিকা প্রস্তুত করে৷ প্রতিটি দেশের ভ্রষ্টাচারের অনীধাবনযোগ্য সূচকের(Corruption Perception Index) ভিত্তিতে এই তালিকা প্রস্তুত করা হয়৷ সরকারী ক্ষমতা অপব্যবহার করে ব্যষ্টিগত স্বার্থ হাসিল করাকেই সাধারণতঃ ভ্রষ্টাচার অনুধাবনযোগ্য সূচকের মাপকাঠি ধরা হয় এবং ভ্রষ্টাচারের মাত্রার আধিক্য অনুযায়ী তালিকার ক্রমাঙ্ক তৈরী করা হয়৷ অর্থাৎ যে দেশ সবচেয়ে কম ভ্রষ্টাচারী তার স্থান সবচেয়ে উপরে থাকে৷ বিশ্বের ১৭৬টি দেশকে নিয়ে ২০১৬ সালে যে তালিকা তৈরী

দুর্গাপূজা, কালীপূজা ও তন্ত্রসাধনা

আচার্য্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

বর্ষার পর শরৎ আসে নীল আকাশে শাদা মেঘের ভেলায় চড়ে’–শেফালীর গন্ধে জগৎকে মাতিয়ে কমল–কুমুদের শোভা, নদীতীরে কাশের বনের হিন্দোল আমাদের প্রাণকে আনন্দে মাতিয়ে দেয়৷ ‘প্রভাত সঙ্গীতে’ শরতের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে–

‘‘শরৎ ওই আসে, ওই আসে, ওই আসে

শরৎ নাচের তালে তালে পা ফেলে’ ফেলে’

            মন্দাক্রান্তা ছন্দে ধরায় হাসে৷৷

শরৎ শুধু নয়, শেফালীর সুগন্ধেতে,

শরৎ শুধু নয় শাদা মেঘের ভেলাতে,

শরৎ প্রাণে আসে, শরৎ মনে আসে,

শরৎ ভুবনকে ভুলিয়ে মর্মে হাসে৷৷

শরৎ শুধু নয় বাতাবী নেবুর গন্ধে,

শরৎ শুধু নয়, কুশকাশের দোলার ছন্দে,