স্বভাব অনুযায়ী মৌমাছিদের উপযুক্ত স্থান হ’ল ফুলের ওপর অর্থাৎ পবিত্র ও সুগন্ধ পরিবেশই হ’ল থাকার প্রিয় স্থান৷ অপরপক্ষে মশা-মাছি এরা পচাগলা দুর্গন্ধ পরিবেশেই থাকতে ভালবাসে৷ ঠিক তেমনি পজিটিভ মাইক্রোবাইটাম এদের স্বভাব অনুযায়ী সাত্ত্বিক পরিবেশই হ’ল থাকার প্রিয় স্থান৷ অর্থাৎ পজেটিভ মাইক্রোবাইটামেরা সাত্ত্বিক পরিবেশেই প্রভাব বিস্তার করে৷ কিন্তু নেগেটিভ মাইক্রোবাইটামেরা সাত্ত্বিক পরিবেশে থাকতে পারে না৷ এই কারণেই সাত্ত্বিক মানুষ যদি সাত্ত্বিক পরিবেশে হোমোপ্যাথ ঔষধের উপাদান বা মাদার টিংচার থেকে হোমেপ্যাথ ঔষধ তৈরী করেন তা হ’লে ঐ ঔষধের মধ্যে পজেটিভ মাইক্রোবাইটা আকৃষ্ট হয়৷ হোমোপ্যাথ ঔষধের মধ্যে পজেটিভ মাইক্রোবাইটা থাকে বলেই এই হোমোপ্যাথ ঔষধ সাধারণ ঔষদের চেয়ে বেশী ক্রিয়াশীল হয় ও রোগীকে সুস্থ করতে অবশ্যই অনেক বেশী কার্য্যকরী হয়৷ কিভাবে রোগীর রোগ সারে? নেগেটিভ মাইক্রোবাইটা সাত্ত্বিক পরিবেশে থাকতে পারে না৷ এই সাত্ত্বিক পরিবেশ নেগেটিভ মাইক্রোবাইটার পক্ষে থাকার অনুকূল নহে৷ তাই রোগীর শরীরের মধ্যে সাত্ত্বিক পরিবেশ সৃষ্টি করলে অর্থাৎ ঔষধের দ্বারা পজেটিভ মাইক্রোবাইটামের দ্বারা এই সাত্ত্বিক পরিবেশ সৃষ্ট হওয়ার ফলে রোগীর শরীর ছেড়ে নেগেটিভ মাইক্রোবাইটারা দূরে সরে যায়৷ ফলে রোগীর শরীরে পজেটিভ মাইক্রোবাইটাম বেশী হওয়ার জন্যে রোগী দ্রুত সারতে সারতে রোগী সম্পূর্ণ নিরাময় হয়৷ ঠিক যেমন ‘অন্ধকার’, আলোর সংস্পর্শে দূরীভূত হয়৷ তেমনি পজেটিভ মাইক্রোবাইটার আধিক্য হ’লে নেগেটিভ মাইক্রোবাইটাম শরীরে থাকার সুযোগ পায় না৷ শরীর ছেড়ে পালিয়ে যায়৷
যদি কোন ব্যক্তি দীক্ষা নেওয়ার পূর্বে নেগেটিভ মাইক্রোবাইটা জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে, তবে ঐ ব্যষ্টিটি যদি দীক্ষা নিয়ে ভক্তি ও নিষ্ঠার সঙ্গে সাধনা করে কিংবা ধ্যানক্রিয়া করতে থাকে, তা’হলে রোগ আর বেশী ছড়াতে পারবে না৷ উপরন্তু রোগীটি নিয়ন্ত্রিত হ’তে থাকবে৷ এক্ষেত্রে রোগীকে খাদ্যা-খাদ্যের বিধি নিষেধ মানতে হবে সেই সঙ্গে ধ্যান অভ্যাসও করতে হবে৷
কোন মানুষ দীক্ষা নেওয়ার পরে যদি নেগেটিভ মাইক্রোবাইটা দ্বারা রোগে আক্রান্ত হয়, সেই মানুষটি যদি নিয়মিত ধ্যানাভ্যাস করে ও খাদ্যের ব্যাপারে বিধিনিষেধ পালন করে তা হলে রোগী সম্পূর্ণভাবে সেরে উঠবে৷ মনে রাখতে হবে ধ্যানক্রিয়ার মাধ্যমে অসংখ্য পজেটিভ মাইক্রোবাইটা শরীরে প্রবেশ করে শুধুমাত্র নেগেটিভ মাইক্রোবাইটাদের নিয়ন্ত্রিত করে তা নয়৷ পজেটিভ মাইক্রোবাইটারা নেগেটিভ মাইক্রোবাইটাদের গ্রাস করে নেয়৷ বলেই রোগী রোগ মুক্ত হয়৷ ধরা যাক, যদি কোন মানুষ ‘জন্ডিস’ রোগে আক্রান্ত হয় তবে ঐ ব্যষ্টিটি যদি নিয়মিত নিষ্ঠার সঙ্গে ধ্যানাভ্যাস ক’রে যায় তবে রোগী খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে৷ অন্যান্য কঠিন কঠিন রোগ হতে ধ্যানাভ্যাসের দ্বারা ও খাদ্যনিয়ন্ত্রনের দ্বারা আরোগ্য লাভ করতে পারে৷
মাইক্রোবাইটা ঔষধ তৈরীর জন্যে একটি Health Center খোলা হয়েছে তিলজলা আনন্দমার্গ আশ্রমে৷
- Log in to post comments