জলাভাব---ভারতের ইতিহাসে ঘনিয়ে আসছে সঙ্কটময় সময়

লেখক
মনোজ দেব

ভারত সরকারের নীতি আয়োগের এক সমীক্ষায় জানা গেছে --- আগামী একবৎসরের মধ্যে দেশের ২১টি বড় শহরের ভূগর্ভস্থ জল নিঃশেষ হয়ে যাবে৷ রাজস্থান, তামিলনাড়ু , মহারাষ্ট্র, দিল্লীর মতো রাজ্যগুলিতে জলের অভাব তীব্ররূপ ধারণ করবে৷

নীতিনিয়োগের সমীক্ষায় ধরা পড়েছে শেষ ১০ বছরে দেশের ভূগর্ভস্থ জলের ৬১ শতাংশ ব্যবহার হয়ে গেছে৷ যদি এইভাবে ভূগর্ভস্থ জল ব্যবহার করা হয় তবে আগামী দুবছরে ভূগর্ভস্থের জল শেষ হয়ে যাবে৷ চেন্নাই, দিল্লি, ব্যাঙ্গালুরু  মতো বড় শহর গুলিতে জলসংকট মহামারির রূপ ধারণ করবে৷

 

প্রাউটিষ্ট ইউনিবার্র্সলের মূখপাত্র জানান ৩০ বৎসর আগেই প্রাউট তত্ত্বের প্রবক্তা শ্রদ্ধেয় শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার এই সংকটের কথা বলে গেছেন৷ তিনি শুধু সংকটের কথাই বলেননি সংকটের কারণ ও পরিত্রাণের পথও দেখিয়েছেন, কিন্তু দেশের সরকার সে দিকে ধ্যান দেয়নি৷ সরকার তো শুধু বোফোর্স রাফাল,রামমন্দির নিয়ে হল্লা করেছে, এসব নিয়ে সরকারের চিন্তা করার সময় কই! প্রাউট প্রবক্তা সতর্ক করে বলে গেছেন- জলের অভাবে পৃথিবী গ্রহের সামগ্রিক পরিবেশগত ভারসাম্যটাই নষ্ট হয়ে যাবে৷ ক্ষুদ্র এককোশী জীব থেকে বৃহৎ জানোয়ার,মানুষ সবাই মারা যাবে৷ শেষে পৃথিবী এক পরিত্যক্ত ঊষর ভূমিতে পরিণত হবে৷

এই জল সংকটের কারণ---ভূগর্ভস্থ জলের যথেচ্ছ ব্যবহার, ব্যাপকভাবে গাছপালা ও বন ধবংস করা, ভূ-নিম্নস্ত সম্পদের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার৷ পৃথিবীকে মর্র্মন্তিক পরিণতি থেকে বাঁচাবার একমাত্র উপায় জলসম্পদ সংরক্ষণের জন্য একটি বিকেন্দ্রিত পরিকল্পনা রূপায়িত করা৷ জল সংরক্ষণের জন্যে কি কি পরিকল্পনা প্রয়োজন ও তা কেমন ভাবে কার্যকর করতে হবে তা প্রাউট-প্রবক্তা ত্রিশ বছর আগেই বলে গেছেন৷ প্রাউটিষ্ট ইউনিবার্র্সলের মুখপাত্র আক্ষেপ করে বলেন ৩০ বছর আগে প্রাউট প্রবক্তার সতর্ক বার্র্তয় রাষ্ট্র পরিচালকরা কান দিলে আজ দেশকে এই জলসংকটের মধ্যে পড়তে হত না৷ তবে সময় এখনও আছে৷ সংকট যতই ঘনিভূত হোক পরিত্রাণের পথও আছে, প্রাউটই সেই পথ দেখিয়েছে৷ এখন যদি রাষ্ট্রনেতাদের শুভবুদ্ধি উদয় হয়---দেশ ও সমাজের কল্যাণের জন্য প্রাউটের পথকে বেছে নিক সমস্যা সমাধানের জন্য৷