ফ (১) ‘স্ফায়’ একটি বৈদিক ধাতু৷ মানে হ’ল ‘ফুলে যাওয়া’, যা থেকে আমরা ‘স্ফীতি’, ‘স্ফীত’ প্রভৃতি শব্দ পাচ্ছি৷ ‘স্ফায়’+ ‘ড’ প্রত্যয় করে পাচ্ছি ‘ফ’ শব্দটি৷ এ ক্ষেত্রে ভাবারাঢ়ার্থে ‘ফ’ ৰলতে বোঝায় ‘যা ফুলে গেছে’ কিন্তু যোগারাঢ়ার্থে ‘যা ফুলেছে বা ফুলে চলেছে’ যেমন স্ফীতোদর না ৰলে ৰলতে পারি ‘ফোদর’ (ফ+উদর)৷ যোগারাঢ়ার্থে ৰোবায় যা সংখ্যায় বেড়ে চলেছে’৷ এক অনেকে পর্যবসিত হচ্ছে৷ একটি জীবপঙ্কগত কোষ cell) একাধিক জীবপঙ্কে পর্যবসিত হয়ে চলেছে৷ তাই ‘ফ’ ৰলতে জীবপঙ্কীয় কোষকে protoplasmic cell) ৰোঝায়৷ (২) যিনি এক ছিলেন কিন্তু নিজ সংকল্পে অনেক হয়েছেন ‘ফ’ ৰলতে সেই ‘পরমব্রহ্ম-কেও ৰোঝায়৷ (৩) যা আকারে ছোট ছিল, কোন কারণে আকারে ৰড় হয়ে গেল সেই ৰড় হওয়া অবস্থাকে ‘ফ’ ৰলা হয়৷ যেমন দেওয়ালীতে পোড়ানো হয় যা সাপৰাজি নামে অভিহিত তা৷ (৪) যা ওজনে বেড়ে যায়, যেমন যে শুকনো শাঁঠা আলু রাত্রে জলে ভিজিয়ে রাখলে পরের দিন সকালে ফেঁপে ওজনে বেড়ে যায়, সেই ধরণের আলুকে বা সেই ধরণের বস্তুকে ‘ফ’ ৰলা হয়৷ (৫) যে জিনিসটি ক্রমশঃ বেড়ে চলেছে সেই বর্ধমান (বৃধ+শানচ= বর্দ্ধমান--ever-increasing) বস্তুকেও ‘ফ’ ৰলা হয়৷ ৬) যিনি কোন বস্তুকে বা ব্যষ্টিকে লালন পালন করে তার উপযুক্ত সংবর্দ্ধন ঘটান তাকেও ‘ফ’ ৰলা হয়৷ এই অর্থে পিতাকে ‘ফ’ ৰলা হয়৷ (৭) উপরি-উক্ত অর্থে মাতাকে ‘ফ’ ৰলা হয়৷ (৮) উপরি-উক্ত অর্থে পালক পিতাকে ‘ফ’ ৰলা হয়৷ (৯) উপরি-উক্ত অর্থে বিশ্বের পালনকারী সত্তা বিষ্ণুকেও ‘ফ’ ৰলা যায়৷ (১০) ‘স্ফায়্’ ধাতুর আর একটি অর্থ হ’ল সোঁ সোঁ শব্দ করতে করতে দ্রুত যাওয়া৷ এই অর্থে যোগারূড়ার্থে ‘স্ফায়্’ ধাতুর একটি অর্থ হচ্ছে, ‘যে অতি দুরন্ত ঝড় সোঁ সোঁ শব্দে প্রবাহিত হতে থাকে’৷
(শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের লঘুনিরক্ত থেকে সংগৃহীত)