ঝাড়খণ্ডের ভূমিপুত্র বাঙালীর অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবী আমরা বাঙালীর

লেখক
পত্রিকা প্রিতিনিধি

বাংলাকে ঝাড়খণ্ডের প্রধান রাজভাষা করা ও ১০০ ঝাড়খণ্ডের ভূমিপুত্র বাঙালীদের কর্মসংস্থানের নিশ্চিততার দাবী নিয়ে  ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে খরসোঁওয়া কেন্দ্রে, জুগসলাই কেন্দ্রে ও বোকারো কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছে ‘আমরা বাঙালী’ রাজনৈতিক দল৷

দলের পক্ষে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সচিব তপোময় বিশ্বাস জানান, ইতিহাস সাক্ষ্য ঝাড়খণ্ডের ৬৫-৭০শতাংশ অধিবাসীরা বাঙালী৷ আজ যা ঝাড়খণ্ড তার অধিকাংশ জায়গা পশ্চিম রাঢ় (বাঙলার) অংশ বিশেষ৷চতুর ব্রিটিশ বাঙলার ওপর অর্থনৈতিক লুটতরাজ চালিয়ে বাঙালীদের বৈপ্লবিক মেরুদন্ডকে ভাঙতে ১৯১১ সালে খনিজ সম্পদপূর্ণ পশ্চিমরাঢ়ের অংশগুলো কেটে তৎকালীন বিহারের সঙ্গে যুক্ত করে পরবর্তীতে বঞ্চনার বিরুদ্ধে বিহার ভেঙে তৈরি হয় ঝাড়খণ্ড রাজ্য৷ কিন্তু ঝাড়খণ্ডের বাঙালীদের প্রতি বঞ্চনা, শোষণ একটুও কমেনি৷ যে ঝাড়খণ্ডের সংখ্যাগরিষ্ঠ ৬৫-৭০ বাংলাভাষী মানুষ রয়েছে, সেই ঝাড়খণ্ডের বাঙালীদের মুখের ভাষা বাংলাকে কেড়ে নিয়ে জোর করে হিন্দী শিখাতে বাধ্য করছে৷ জোর করে ঝাড়খণ্ডের বাংলা মাধ্যম বিদ্যালয়গুলিকে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে!! বর্তমান প্রজন্মের বাঙালীরা ঘরে রাঢ়ী বাংলায় কথা বললেও সরকারীস্তরে বাংলা ভাষাকে অবলুপ্ত করে ঝাড়খণ্ডের ভূমিপুত্র বাঙালীদের ওপর চরম মানসিক ও আর্থিক শোষণ চালানো হচ্ছে৷ জোর করে হিন্দীর মগজ ধোলাই করে  বর্তমান ঝাড়খণ্ডের বাঙালী যুব সমাজকে হিন্দী অপসংস্কৃতির স্টাইলে যৌনতা সর্বস্ব গান নাচ ও নেশায় বুদ করে রেখে সরকারী বিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে শুরু করে কলকারখানার শ্রমিক সব কিছুতেই বহিরাগত হিন্দীভাষী অবাঙালীদের নিয়োগ হচ্ছে৷ বেসরকারী ক্ষেত্রে ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছুই বহিরাগতদের বেদখলে৷এদিকে  বিজেপির নেতা তথা অসম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ঝাড়খণ্ডের এসে বাঙালীদের বিরুদ্ধে বিষ ঢেলে বিভেদের রাজনীতি করছেন৷উনি বলতে চাইছেন বাঙালীরা এখানে অনুপ্রবেশকারী!! উনি ঝাড়খণ্ডের ইতিহাস জানেন না৷ ঝাড়খণ্ডের একটি বাঙালীও অনুপ্রবেশকারী নন, এঁরা প্রত্যেকেই স্থানীয় ভূমিপুত্র৷এনার দল বিজেপি তো হিন্দুদের রক্ষক, অসমে এন.আর.সি তালিকায় যে ১৯লক্ষ বাঙালীর নাম বাদ গেছে তার মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু বাঙালীরা,সেই হিন্দু বাঙালীদের নাগরিকত্ব কেন দিচ্ছে না অসম বিজেপির সরকার! এর জবাব দিক আগে৷ উনিযে একজন বাঙালী বিদ্বেষী তা স্পষ্ট৷ ঝাড়খণ্ডে এই বাঙালী বিদ্বেষের বিরুদ্ধে, প্রত্যেক বাঙালীর কর্মসংস্থানের নিশ্চিততার দাবীতে, বাংলাকে ঝাড়খণ্ডের প্রধান রাজভাষা করার দাবীতে, ঝাড়খণ্ডের এই বিপুল খনিজসম্পদপূর্ণ অঞ্চলকে কাজে লাগিয়ে শিল্পনগরী গড়ে প্রত্যেক স্থানীয় ভূমিপুত্রদের চাকরিতে অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবীতে ‘আমরা বাঙালী’র পক্ষ থেকে খরসোঁওয়া বিধানসভা কেন্দ্রে দিগম সরদার  জুগসলাই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে মোহনলাল রজক, বোকারো বিধানসভা কেন্দ্র থেকে সুভাষ চক্রবর্তী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন৷ এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের উপনির্বাচনেও সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রে ‘আমরা বাঙালী’র পক্ষে কমল বর্মন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন৷তাদের সমর্থনে প্রচারে রয়েছেন ‘আমরা বাঙালী’র কেন্দ্রীয় সহ সচিব সুশীল কুমার মাহাতো, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা প্রবীণ নেতা মনোতোষ মণ্ডল,রাঢ় সাংগঠনিক সচিব সুধীর মাহাতো, সুনীল মাহাতো প্রমুখ নেতৃবৃন্দ৷