ভৃঙ্গরাজবর্গীয় কেশ–ঔষধীয় গাছ হচ্ছে এই কেশরঞ্জন বা কেশরাজ৷ ৰাংলার শহরে–গ্রামে বর্ষার জল পেয়ে প্রচুর পরিমাণে কেশরঞ্জন গাছ জন্মায়৷ বর্দ্ধমানের গ্রামের ভাষায় ভৃঙ্গরাজকে ৰলে ‘ভীমরাজ’ ও কেশরঞ্জনকে ৰলে ‘কেশরাজ’৷ চব্বিশ পরগণার গ্রামাঞ্চলে আমি কেশরঞ্জনকে ‘কেশুত’ বলতে শুণেছি৷ বাজারে পাওয়া ভৃঙ্গরাজ তেল চুলের গোড়ার ও মস্তিষ্কের ঔষধ৷ তেলটি খুবই ঠাণ্ডা৷ তাই মাথা গরম ও বায়ু বিকারের ঔষধ হিসেবে এর ব্যবহার আছে৷ উন্মাদ রোগেও ভৃঙ্গরাজ (তেল) ব্যবহূত হয়৷ মাথা–ঠাণ্ডা সুস্থ মানুষ অধিক ভৃঙ্গরাজ ব্যবহার করলে অনেক সময় সর্দিতে আক্রান্ত হয়ে যায়৷ ভৃঙ্গরাজ–জাত তেলকে সংক্ষেপে কেউ কেউ ‘ভৃঙ্গর’ বলে থাকেন৷
কেশরাজ/কেশরঞ্জন/কেশুত চুলের গোড়ার ঔষধ, চুলকে চকচকে করে রাখার ঔষধ৷ ঈষৎ শীতল আবহাওয়ায় কেশরাজ বা কেশুত তেল প্রস্তুত করে শুকনো স্থানে শিশিতে ভরে রাখলে তা কেশ–রোগের ভাল রকমের ঔষধের কাজ করে থাকে৷ ভৃঙ্গরাজের মত কেশরাজও ইন্দ্রপতন–এর (কেশঘ্ণরোগ বা টাকপড়া–ত্ব্ত্রপ্তস্তুুন্দ্বব্দব্) প্রাথমিক স্তরের ঔষধ৷ চুলপড়া ৰন্ধ করতে বজ্রাসন ও উৎকট বজ্রাসন কার্যকর যা আচার্য শেখাবেন৷
প্রাচীন আর্যেরা তৈল ৰীজের মধ্যে তিলের সংস্পর্শে প্রথম এসেছিলেন৷ আর তৈল শব্দটিও তিল থেকেই এসেছে৷ তৈল শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থই হল–যা তিলসঞ্জাত৷ ভারতীয় তিল সাধারণত তিন ধরনের হয়ে থাকে–শাদা তিল, লাল তিল ও কৃষ্ণ তিল৷ খাদ্য হিসেবে সবচেয়ে ভাল শ্বেততিল (তিলকুট, তিলুয়া, তিলখাজা, রেউড়ী)৷ রন্ধন তৈল হিসেবে লাল তিলই সবচেয়ে ভাল৷ তবে সব ধরনের তিলই সব কাজে লাগানো যেতে পারে৷
মাথার পক্ষে সবচেয়ে ভাল হচ্ছে কৃষ্ণতিল চ্প্ত্ত্রন্তুন্স ব্দন্দ্বব্দ্ত্রপ্পন্দ্ব– নুস্তুন্ন্তুব্ভপ্প ড্ডড্রগ্গ৷ কৃষ্ণতিলের তেল চুলের গোড়াকে মজবুত রাখে৷ তিল তৈলের একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এই যে তিলের তেল কোন গন্ধ বস্তুর সংস্পর্শে এলেই সেই গন্ধকে টেনে নিতে পারে ও দীর্ঘকাল ধরে সেই গন্ধকে নিজের মধ্যে আটকে রাখতে পারে৷ ভারতীয় পদ্ধতিতে, বিশেষ করে আয়ুর্বেদে যে সমস্ত কেশ তৈল প্রস্তুত করা হয় তাদের বেশীর ভাগই করা হয় তিল তৈল থেকে৷
চুলের যত্ন
চুল চামড়ার নীচ থেকে ঠেলে ওঠে ও সেই ভাবে ৰাড়ে৷ চুলের শেষাংশ ৰাড়ে না৷ কাঁচা হলুদ–ৰাটা মাথায় মেখে স্নান করে, মাথা মুছে নিয়ে, তারপর শুকনো গামছা মাথায় ১৫/২০ মিনিট চেপে ৰেঁধে রাখলে চুল মজবুত হয়, চুলপড়া বন্ধ হয় চুল একটু ঢ়েউ খেলানো বা কোঁকড়ানো হয়৷